আশুতোষ শর্মার অসাধারণ ব্যাটিং প্রদর্শন
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ক একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল মুম্বাই আর পাঞ্জাবের মধ্যে একটি ম্যাচ ছিল। এই ম্যাচটি বেশ লড়াই সম্পূর্ণ একটি ম্যাচ হয়েছে, অবশ্য সেটা শেষের দিকে। আসলে মুম্বাই বা পাঞ্জাব এদের বর্তমানে পয়েন্ট পজিশন এর যে অবস্থা, দুই টিমেরই পয়েন্ট অবস্থান মাইনাস-এ অবস্থান করছে। এইবার আসলে তেমন সুবিধা করতে পারলো না প্রথম থেকে। আসলে এই মাইনাসে যাওয়ার একটা কারণ হচ্ছে, একদম শুরুতে এতো বড়ো বড়ো রানে কয়েকবার হেরে একদম সোজা মাইনাসে চলে গিয়েছে তাদের অবস্থান। এখন এই পর্যায়ের থেকে ঘুরে দাঁড়ানো একপ্রকার মুশকিল। তবে এখন যদি উঠে উঠে কয়েকটা ম্যাচ উইন হতে পারে, তাহলে হয়তো মাইনাসটা প্লাসে পরিণত হতে পারে। সে যাইহোক, গতকাল এই ম্যাচটা মুল্ল্যাণপুর নামক একটি স্টেডিয়ামে হয়েছে। এই পিচটা রান তোলার জন্য ভালো সুবিধাজনক আছে।
গতকাল যদিও পাঞ্জাব আগে টসে জিতে যায় এবং আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। মুম্বাই আগে ব্যাটিং করতে আসে ঠিকই, কিন্তু প্রথমেই ঈশান আউট হয়ে যায়। তবে ওর যে শর্টটা ছিল, সেটা আসলে ভাবাই যাইনি যে, ক্যাচ হবে, ঝুলন্ত বল ছিল, ভেবে নেওয়া গিয়েছিলো বাউন্ডারি পার হবে, কিন্তু হলো অন্য কিছু। ফিল্ডারটাও ছিল একদম বাউন্ডারির গায়ে, না হলে ক্যাচ ধরা অসম্ভব ছিল বলা যায়। রোহিত মোটামুটি শুরুটা ভালোই করেছিল এবং খেলছিল ভালোই আর সাথে সূর্যকুমার যাদব অসাধারণ ব্যাটিং করে গিয়েছে। বেশ ভালো একটা পার্টনারশীপ করেছিল দুইজনে আর এটা গুরুত্ত্বপূর্ণ ছিল অনেক ওই সময়ে পাওয়ারপ্লেতে। তবে রোহিতের কিছু আউটও এক্ষেত্রে রিভিউ এর মাধ্যমে রক্ষা পেয়েছিলো। একটি lbw বোঝাই যাচ্ছিলো না যে, ওটা উইকেট মিস করতে পারে। এক্ষেত্রে গতকাল এই আউট এর সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক ভুল সিদ্ধান্তও দিয়েছিলো।
যাইহোক, সূর্যকুমারের কিছু কিছু শর্ট আছে যেগুলো একদম ক্লাসিক শর্ট, এইগুলো বেশ ভালো খেলে। রোহিতের পরে তিলক বর্মাও ভালো খেলে গিয়েছিলো আর এর ফলে সর্বমোট ভালো একটা রান করতে সক্ষম হয়। তবে ২০০ ক্রস করা উচিত ছিল বা হয়েও যেত, কিন্তু যে মুহূর্তে সেট ব্যাটসম্যান দরকার, সেখানেই সেট ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যায়। ফলে একজন নতুন ব্যাটসম্যানের পক্ষে সাথে সাথে হাত খুলে খেলা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে এই রান চেজ করতে গিয়ে পাঞ্জাব নাকুনিচুপানি খেয়েছে বলতে গেলে প্রথম থেকে। প্রথম দুই ওভারেই ৪ উইকেট, কি একটা অবস্থা। এই অবস্থা দেখে তো আমি ভেবেছিলাম ১০০ রান করার আগেই অলআউট হয়ে যাবে। তবে পঞ্চম উইকেটে তারা বুদ্ধি করে অন্তত উইকেট হারায়নি, রান বেশি উঠুক আর নাই উঠুক। কিন্তু আশ্চর্য বিষয় হলো ১০ ওভারের ওখান থেকে রান রেট ১০ করে বজায় রাখে। যেখানে ম্যাচ হেরে যাওয়ার পথে সেটা কি করে যে রিকভার করলো এটাই বুঝতে পারলাম না সত্যি বলতে।
ম্যাচ কিন্তু ওইসময়েই ৮৫% এর মতো মুম্বাইয়ের কন্ট্রোলে চলে গিয়েছিলো। তবে ওদের এক আশুতোষই ম্যাচ এর মোড় ঘুরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো। মানে বিষয়টাই উল্টো করে দেয় সে, একাই ম্যাচের পাল্লা ভারী করে তোলে নিজেদের দিকে। মুম্বাই এর হাতের থেকে একপ্রকার ম্যাচ বেরিয়েই গিয়েছিলো। আশুতোষ থাকলে এই ম্যাচ জেনুইন মুম্বাইয়ের হাতের থেকে চলে যেতো। বুমরা এখানে ভালো বোলিং করেছে, ফলে সুবিধা করতে পারেনি। আশুতোষ ২৮ বলে ৬১ রান, মানে কতটা মেরেছে প্রতিটা বোলারের উত্তরে। তবে বেশ হার্ড পরিশ্রম করে ব্যাটিং করেছে বলে মানতেই হয়। লাস্ট উইকেট টা না পড়লেও বিপদ ছিল এখানে, ৯ টা রান বাকি ছিল মাত্র, উইকেট পড়ায় তারাও অলআউট হয়ে যায় আবার মুম্বাইও যেন হেরে যাওয়া ম্যাচটা ফিরে পায়। একপ্রকার হারতে হারতে জিতেছে। লাস্টে ম্যাচটা এমন ইন্টারেষ্টিং হয়ে উঠেছিল যে, একবার মনে হয় পাঞ্জাব জিতে যাবে আবার মনে হয় মুম্বাই জিতে যাবে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা এমন শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। যদিও এই ম্যাচটি দেখা হয়নি আমার। তবে আপনার রিভিউ পড়ে বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছি ম্যাচটা অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে। রোহিত শর্মা এবং সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটিং আমি সবসময়ই বেশ উপভোগ করে থাকি। তাছাড়া এই ম্যাচে তো দেখছি তিলক বর্মাও দারুণ ব্যাটিং করেছে। তবে পাঞ্জাব এতো বড় স্কোর চেজ করতে গিয়ে, প্রথমেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলার পর দুর্দান্তভাবে কামব্যাক করেছে, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। আশুতোষ শর্মা শেষ পর্যন্ত থাকতে পারলে তো খুব সহজেই জিততে পারতো এই ম্যাচটি। তাছাড়া তারা অলআউট না হলেও মনে হচ্ছে এই ম্যাচটি জিততে পারতো। যাইহোক এমন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলে খেলা দেখার সময় বাড়তি উত্তেজনা কাজ করে। আশা করি মুম্বাই এবং পাঞ্জাব তাদের পরবর্তী ম্যাচগুলো জিতে, এই টুর্নামেন্টে কামব্যাক করতে পারবে। তাদের জন্য শুভকামনা রইল।
এবার আইপিএলের ম্যাচগুলো এমনই হচ্ছে। মনে হচ্ছে বড় ব্যবধানে হারবে কিন্তু না। কেউ একজন এসে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে এবং অসাধারণ খেলছে। ব্যাপার টা বেশ দারুণ। মুম্বাই এবং পাঞ্জাবের ম্যাচেও এমনটাই হয়েছে দেখছি। আমি ম্যাচটা দেখিনি যদিও। কিন্তু বেশ ভালো লড়াই হয়েছিল দেখছি। অনেক সময় শেষে গিয়ে সেট ব্যাটসম্যান আউট হয়ে গেলে যে পরিমাণ আশা করা যায় ঐ পরিমাণ রান ঠিক হয় না। নতুন ব্যাটসম্যান এসে ঐভাবে রান তুলতে পারে না।