ওয়েব সিরিজ রিভিউ: রুদ্রবীনার অভিশাপ- মমতাজ-এর কন্যা ( সিজন ২- অষ্টম পর্ব )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে রুদ্রবিনার অভিশাপ ওয়েব সিরিজটির দ্বিতীয় সিজনের অন্তিম পর্ব তথা অষ্টম পর্ব রিভিউ দেব। আজকের পর্বের নাম হলো "মমতাজ-এর কন্যা"। আগের পর্বে দেখেছিলাম বিক্রম সহ রুদ্রপুরের সমস্ত লোকজন সবাই জলশূন্য মৃত দমন নদীতে পুনরায় প্রাণ ফিরিয়ে আনার জন্য সবাই রাগ সঞ্জীবনী গাইছিলো। আজকে দেখবো গানটা গাওয়ার পরে সেখানে কি ঘটনা ঘটলো বা ঘটতে চলেছে।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
❆মূল কাহিনী:❆
বিক্রম এর সাথে সাথে যখন সবাই গান গাইছিলো তখন সবার গানের মধ্যে দিয়ে যেন একটা প্রার্থনা করার মতো ভাষা ছড়িয়ে পড়ছিলো যে এই দমন নদীতে যেন আবার জলে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। গান শেষ করার পরে প্রথমে কিছুই হচ্ছিলো না, ফলে রুদ্রভৈরব , হেমন্ত লোকেরা ভাবছিলো তাহলে আর কিছু হবে না আর তারা অনেক খুশিও হচ্ছিলো কারণ নাহলে যে বিক্রমকে তাদের কথা মতো ভগবান মানতে হবে। কিন্তু তার কিছুক্ষন পরে সবার ভ্রম ভেঙে যায়, আর একটা বড়োসড়ো গর্জন করার মতো করে যেন বাঁধ ভাঙার মতো ভেঙে একটা তুফানের বেগে জল চলে আসে আর সেই মৃত দমন নদী আবার জলে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে যা বিগত ১০০ বছর ধরে জলশূন্য ছিল। এই জলশূন্য হয়েছিল তখন যখন রুদ্রপুরে একটা ভয়াবহ বন্যা এসে সব তলিয়ে দিয়েছিলো আর অনেক মানুষ মারাও গিয়েছিলো আর তখন থেকেই এই নদী শুকিয়ে গিয়েছিলো আর সবাই এটাকে মনে মনে ভাবতো যে কোনো অভিশাপের কারণে এইরকম হয়েছে। কারণ রুদ্রভৈরব এর মতো লোকজন এইসব বহু বছর ধরে গ্রামের মানুষের মনের মধ্যেও ছড়িয়ে রেখেছিলো। যাইহোক নদীতে জলে পরিপূর্ণ হওয়ার পরে গ্রামের সবাই আনন্দে উল্লাসে মেতে ওঠে আর রুদ্রভৈরব এবং হেমন্ত মাথা নিচু করে সেখান থেকে চলে যেতে লাগে।
রুদ্রভৈরব যখন সেখান থেকে চলে যাচ্ছিলো তখন নাদ এর মা গিয়ে তাকে আটকায় আর গ্রামের সবার সামনে বলে দেয় এইসব ভন্ড লোকেদের রাজ্ আর এই গ্রামের ভিতরে চলবে না তাই সবাই তাকে বের করে দিতে যায় কিন্তু রুদ্রভৈরব তখন নাদের মায়ের গলা চেপে ধরে ছুরি মেরে দিয়ে মেরে ফেলে। আর এইটা দেখে নাদ পাগলের মতো ছুটে গিয়ে রুদ্রভৈরব এর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে আর তাকেও একইভাবে মেরে ফেলে নাদ। এরপর তাদের মহাগুরু শশীকান্ত লোকটার কাছে ছুটে চলে যায় আর তাকে প্রশ্ন করে আপনাদের মতো লোকের কারণে আজ আমাদের সবকিছু অন্ধকারের মধ্যে ডুবে গেছে। আজ আমি যে গান গেয়ে কিছু করতে পারলাম না সেটা বিক্রম করে দেখালো, তাদের গানে এতো আলো, প্রাণ আছে কিন্তু আমাদের গানের মধ্যে শুধু অন্ধকার আছে। এইসব বলার পরে তাকে বলে আপনার নিজের হাতে তৈরি করা এই নাদের শেষ সেবাটুকু নিয়ে যান অর্থাৎ তাকেও শেষ করে দিতে চেয়েছিলো। আর শশীকান্ত লোকটা এইসব ঘটনার পর থেকে নিজেই একদম নিস্তেজ হয়ে পড়েছিল। এরপর নাদ তাকে ছুরি মারতে গেলে তার আগেই সে হার্ট এটাক করে মারা যায়। এরপর নাদ সেখান থেকে দৌড়িয়ে তার মায়ের কাছে চলে যায়।
নাদ এর আসলে কিছুই সেখানে আর করার ছিল না, শুধু সে নিজের পাপের ফল পেয়েছে এই বলে সবার সাথে। সে যে এতো মানুষের হত্যা করে পাপ করেছে তার প্রাশ্চিত্য করার জন্য সে নিজেকে শেষ করে দিতে চায়। ঠিক যেভাবে সে তার বাঁশির সুরে সবাইকে একদিন মেরে ফেলেছিলো সেই একইভাবে সে নিজেকে শেষ করতে যায়। এরপর সবাইকে নিজেদের কান ঢাকতে বলে যাতে এই বাঁশির সুর খালি কানে কারো না পৌঁছায় আর সবাই কান ঢাকার পরে নিজেই সেই বাঁশি বাজায় আর সেইভাবেই সে মারা যায়। এরপর বিক্রম সেই বাঁশিটাকে তুলে তার বাহাদুর মামার কাছে জানতে চায় যে তার বোন মমতাজ এর মৃত্যু কিভাবে হয়েছিল। তখন বাহাদুর লোকটা বিক্রমকে বলতে থাকে সেই কাহিনীটা যে কেদার মিশ্র লোকটা তখনকার সময়ে মানে এই শশীকান্ত নামে রুদ্রভৈরব এর কাছ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কেদার মিশ্র বাহাদুরের কাছে বলেছিলো যে আমি তোমাকে আর তোমার বোন মমতাজকে মারতে চাইলে অনেক আগেই মেরে ফেলতে পারতাম কিন্তু মমতাজকে ভালোবেসে ফেলার কারণে সে আর তাকে মারতে চাইনি তাই একটা বেয়ারিশ লাশ নিয়ে আসে শশীকান্ত উরফে রুদ্রভৈরবকে বিশ্বাস দেওয়ায় যে সে মদন্তীর সব বংশধরদের শেষ করে ফেলেছে।
এরপর কেদার মিশ্র রুদ্রভৈরব এর কাছ থেকে মুক্তি পেয়ে যায়, কিন্তু এখানে মমতাজ বাড়িতে যখন জিনিসপত্র ঠিক করছিলো তখন একটা নোটবুক পায় আর সেই নোটবুকে একইরকম দেখতে বাঁশির ছবি দেখতে পায় আর এটা কোন সুরে বাজাতে হবে সেটার দিক নির্দেশনা লেখাও ছিল সেখানে। এইটা দেখে মমতাজ এর বাজানোর ইচ্ছা হয় আর তখনি সে ওই বাঁশি বাজায় আর মারা যায়, সে জানতো না এই ইচ্ছা তাকে মৃত্যুর কোলে নিয়ে যাচ্ছে। এরপর এই কাহিনী বলে বাহাদুর লোকটা। আর হেমন্ত একা বেঁচে ছিল যে পরে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে চাইলে তাকে সবাই ধরে ফেলে। বিক্রমই ছিল সত্যিকারে এই হেমন্ত এর ছেলে কিন্তু সেটা একটা ভুল ছিল তাই হেমন্তকে সে তার বাবা হিসেবে মানে না, তাই তার মেক খারাপ ভাষায় গালি দিলে তাকে মেরে সেখান থেকে নিয়ে যেতে বলে। আর এখানে একটা বিষয় যে মমতাজ এর কন্যা আসলে কে ছিল, অর্থাৎ এতদিন সবাই ভেবে এসেছিলো যে শ্রুতির মা মানে বিক্রমের গুরুমাই ছিল মমতাজ এর মেয়ে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে মমতাজ এর মেয়ে ছিল বিক্রমের নিজেরই মা যেটা বিক্রম অনেক আগেই নিশ্চিত হতে পেরেছিলো। কারণ গৌরাঙ্গ লোকটা মারা যাওয়ার আগে তার হাতে একটা ডিএনএ রিপোর্ট দিয়ে যায় যেটা সবার পরিবারের সাথে ম্যাচ করলেও তার মায়ের সাথে ম্যাচ করিনি আর চাকতি তার কেবল মায়েরই ছিল না কারণ কেদার মিশ্র চাইনি যে সে কোনোরকম বিপদে পড়ুক।
❆ব্যক্তিগত মতামত:❆
এই সম্পূর্ণ সিরিজটা যে রাগ সঞ্জীবনী এর রহস্য নিয়ে ঘেরা ছিল এতদিন সেটার রহস্য বেরিয়ে আসলো। এই রাগ সঞ্জীবনীর জন্য কত হিংসা বিদ্বেষ চলেছে সবার মাঝে, বিশেষ করে আনন্দগড় রাজঘরানার সাথে। শুধু যে রাগ সঞ্জীবনী এর রহস্য উন্মোচন হয়েছে তা কিন্তু না, এখানে অনেকের সাথে অনেকের সম্পর্কের মধ্যে একটা বেড়াজালও ছিল সেটার বিষয়েও জানা গেছে। রাগ সঞ্জীবনীর সাথে সাথে এইসব বিষয়ও তারা গোপন রাখার সিদ্ধান্ত নেয়, আগে যেমন গোপন ছিল এখনো আমরা কয়জন বাদে সবার কাছেই গোপন থাকবে। আর এই রাগ সঞ্জীবনীর রহস্য গোপন রাখার জন্য বিক্রম সেই দমন নদীর জলে রাগ সঞ্জীবনী ভাসিয়ে দেয়।
❆ব্যক্তিগত রেটিং:❆
৯.৯/১০
❆ট্রেইলার লিঙ্ক:❆
এই রহস্যময় ওয়েব সিরিজটি খুবই রহস্যময় ছিল। প্রতিটা পর্ব যেন এক নতুন নতুন রহস্য বেরিয়ে আসলো। আজকের এই রহস্যময়ই পর্বটির পড়ে খুবই ভালো লাগলো। কারণ রাগ সঞ্জীবনী এর রহস্য নিয়ে ঘেরা ছিল আজকে পর্বটি। এতদিন পরে রহস্য ঘটনা বেরিয়ে আসলো। এই রাগ সঞ্জীবনীর জন্য নানা হিংসা বিদ্বেষ চলেছে সবার সাথে। আজকে শুধু রাগ সঞ্জীবনী এর রহস্য উন্মোচন বেড়িয়ে এসেছে তার সাথে অনেকের সম্পর্কের মধ্যে একটা বেড়াজালও ছিল সেটাও বেড়িয়ে আসলো।সত্যি দাদা এই ওয়েব সিরিজটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। প্রতিটা পর্ব যেন নতুন নতুন রহস্যময় ঘেরা ছিলো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
রুদ্রবীনার অভিশাপ ওয়েব সিরিজের এবারের পর্বটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। গত পর্বে আমরা দেখেছিলাম বিক্রম সহ রুদ্রপুরের সমস্ত লোকজন সবাই জলশূন্য মৃত দমন নদীতে পুনরায় প্রাণ ফিরিয়ে আনার জন্য রাগ সঞ্জীবনী গাইছিলো। আসলে আজকের পর্বে অনেক রহস্য উন্মোচিত হলো। বিক্রম সফল হয়েছে। অভিশপ্ত শুকনো নদীতে আবার প্রাণ ফিরে এসেছে। অনেক বছর আগে এই নদীর পানিতে এবং বন্যায় অনেক লোকের মৃত্যু হয়েছিল। মমতাজের কন্যা যে বিক্রমের মা সেটা জানতে পারলাম। আর বিক্রম যে হেমন্তের ছেলে এটা অজানা ছিল। আজকে জানতে পারলাম দাদা। আসলে অনেক রহস্যই লুকিয়ে ছিল এর মাঝে। যেগুলো ধোঁয়াশার মধ্যে ছিল। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে নতুন নতুন তথ্য জানতে পারলাম দাদা। তবে যাই বলুন না কেন এই পর্বটি কিন্তু দারুণ ছিল। আমার কাছে তো ভীষণ ভালো লেগেছে। অন্যদিকে নাদ তার শাস্তি স্বরূপ তার মাকে হারিয়ে ফেলল। যাই হোক দাদা ওয়েব সিরিজের এবারের পর্বটি পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
রুদ্রবীনার অভিশাপ ওয়েব সিরিজের আজকের পর্বের নাম "মমতাজ-এর কন্যা" এই পর্বটি ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে যে কোন কিছুর শেষ পর্ব অনেক বেশি আকর্ষণীয় থাকে। বিশেষ করে আমি ঠিক ভেবেছি যে এই পর্বে অবশ্যই বিক্রম মরা দমন নদীতে আবারো জল ফিরিয়ে আনতে পারবে। তবে খুবই হাসি পেল রুদ্রভৈরব , হেমন্ত লোকেরা যখন ভাবল হয়তোবা এরকম কিছু হবে না। শেষ পর্যন্ত মৃত দমন নদীতে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে পেরেছে এই বিষয়টা ভীষণ ভালো লেগেছে। অনেকগুলো রহস্যের সমাধান বেরিয়েছে আজকে। বিশেষ করে হেমন্ত এর ছেলে বিক্রম এটাও জানা গেল। আর মমতাজের মেয়ে বিক্রমের মা এটাও জানতে পারলাম। এই বিষয়গুলো অনেকটাই ধোঁয়াশা ছিল। অন্যদিকে নাদের মাকে রুদ্র ভৈরব মেরে ফেলল। আবার নাদ এসে রুদ্র ভৈরবকে মেরে ফেলল। রাগ সঞ্জীবনী সহ অনেক কিছুর রহস্য এই পর্বে উদঘাটন হলো। এজন্য পড়েও ভীষণ ভালো লেগেছে। আসলে সবার শেষে যখন সবকিছুর মিল পাওয়া যায় তখন ভীষণ ভালো লাগে।
জী দাদা আপনি ঠিক বলেছেন এই সম্পূর্ণ সিরিজটাতে রাগ সঞ্জীবনী এর রহস্য নিয়ে ঘেরা ছিল। আমরা প্রতি পর্বে রাগ সঞ্জীবনীর বিষয়টা নিয়ে পড়েছি এবং লিখেছি। অবষেশে মোটামুটি সব রহস্যের উন্মোচন হলো। অনেক কষ্টের পড়ে পাওয়া সেই রাগ সঞ্জীবনী বিক্রম সেই দমন নদীর জলে ভাসিয়ে দিল। গল্পটা পড়ে আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে। প্রত্যেকটা পর্বে এমন কিছু ঘটেছে যেটা পরের পর্বের জন্য দর্শকের মন টেনেছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
আজকের পর্বটি বেশ ভালো লাগলো দাদা। সকল রহস্যের জাল উদঘাটন হল। তাছাড়া শশীকান্ত এবং রুদ্রভৈরব এই রাগ সঞ্জীবনী পাওয়ার জন্য যতই অপকর্ম করুক না কেন শেষে তাদের পরিণতির মৃত্যুই ছিল। তাছাড়া নাদ শেষে ভালো হয়ে গেলেও তার নিজের অনুশোচনায় নিজে বাঁশি বাজিয়ে নিজে মৃত্যু বরণ করে। তাছাড়া বিক্রমের আসল মা কে তাও আজকে জানা গেল। গল্প থেকে বোঝা গেল যে কিছু কিছু লোক তাদের নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য বাকি লোকদের বোকা বানিয়ে কাজ উদ্ধার করেছে। কিন্তু সত্য চাপা থাকে না। তা একসময় বেরিয়ে আসে তা শেষে এসে প্রমাণ হলো। বেশ ভালো লাগলো সিরিজটি দাদা। বিশেষ করে আপনার উপস্থাপনার জন্য আরো ভালো লেগেছে।
একদম শেষের পর্বটা বেশ আকর্ষণীয় লেগেছে দাদা। বিশেষ করে এই পর্বে প্রায় অনেকগুলো রহস্য বেরিয়ে এসেছে। বিশেষ করে শেষ পর্যন্ত এত বছরের মরা দমন নদীতে প্রাণ ফিরিয়ে আনলো বিক্রম। মানে রাগ সঞ্জীবনী গেয়ে একেবারে তাক লাগিয়ে দিল। এই ব্যাপারটা ভীষণ আকর্ষণীয় ছিল। তার সাথে আবার মমতাজের মেয়ে বিক্রমের মা এই বিষয়টাও আজকে একদম ক্লিয়ার ভাবে বোঝা গেল। যদিও এই ব্যাপারটা অনেক ধোঁয়াশার মধ্যে ছিল। আবার দেখছি বিক্রম হেমন্তের ছেলে এই বিষয়টাও জানতে পারলাম। এদিকে নাদ তার শাস্তি হিসেবে নিজের মাকে হারালো রুদ্র ভৈরবের হাতে। কিন্তু সে আবার নিজের হাতে রুদ্র ভৈরব কেউ মেরে ফেলল। অবশেষে নদীর জলে রাগ সঞ্জীবনই ভাসিয়ে দিয়ে বেশ ভালো করলো। পুরো পর্বটা পড়ে অনেক গুলো রহস্যের উন্মোচন পেলাম।
আজকের পর্বটা বেশ সুন্দর এবং আকর্ষণীয় ছিল দাদা। বিশেষ করে এই পর্বের মাধ্যমে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। বিশেষ করে শেষ পর্যন্ত রাগ সঞ্জীবনী গেয়ে বিক্রম মৃত দমন নদীতে প্রাণ ফিরিয়ে আনলো। যখন জল বয়ে আসলো বিষয়টা ভীষণ ভালো লাগলো। তাছাড়াও বিক্রমের আসল মাকে এই বিষয়টাও জানতে পারলাম। আবার বিক্রমের বাবার সম্পর্কে জানতে পারলাম। রুদ্র ভৈরব এমন একটা লোক যার মৃত্যু সত্যি অবদারিত ছিল। নিজের কাজে তাকে মৃত্যুর দিকে টেনে নিল। অন্যদিকে নাদ তার নিজের কর্মের জন্য নিজের মাকে হারালাম এবং নিজেও যতগুলো মানুষকে বাঁশির সুরে মেরেছিল সেই বাঁশির সুরে নিজেও মারা গেল। এতগুলো রহস্য সম্পর্কে জানতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো। অবশেষে শেষ পর্যন্ত রাগ সঞ্জীবনীকে ভাসিয়ে দিল এটাই ভালো হয়েছে। এই পর্বটা পড়ে সবগুলো পর্বের মূল কাহিনী জানতে পারলাম।
"রুদ্রবীনার অভিশাপ" ওয়েব সিরিজে রিভিউটি পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। খুবই কাহিনী যুক্ত একটি ওয়েব সিরিজ। ওয়েব সিরিজের রিভিউটি পরে বিশেষ করে নাদ এর ভূমিকাটি আমার কাছে খুবই চমৎকার লেগেছে। কারন সে অনেক মানুষ খুন করে শেষ পর্যন্ত নিজের পাপের পাশ্চাত্য করতে চেয়েছে। দারুন একটি ওয়েব সিরিজ শেয়ার করার জন্য দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।