নটে শাক ভাজি রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আপনাদের সাথে একটি ভাজি রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি একটা অন্যধরণের শাক ভাজি রেসিপি তৈরি করেছি। এই শাকগুলোকে নটে শাক বলে। নামটা শুনে একটু আশ্চর্য বা অদ্ভুত মনে হচ্ছে জানি, আসলে আমার কাছেও অদ্ভুত বলে মনে হয়েছিল শোনার পরে । এই শাকগুলো অনেক কম দামে বিক্রি হয় বাজারে আর এই শাকগুলো অনেক উপকারীও বটে। নটে শাক কিন্তু আবার কয়েক ধরণের হয়ে থাকে যার মধ্যে সবুজ নটে যেটা আমি তৈরি করেছি। আবার লাল কালারেরও আছে, তারপর কাঁটাযুক্ত নটে শাক আছে। এই শাকের পাতা এবং আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় কাজে লাগানো হয়, ফলে এই শাক আমাদের শরীরের জন্য ভীষণভাবে উপকারী। এই শাক ভাজি করে বিশেষ করে চিংড়ি দিয়ে খেতে অসাধারণ লাগে। এই শাকের কচি কচি অংশগুলোও অসাধারণ টেস্টি লাগে। যাইহোক এখন আমি এই সবজি রেসিপিটির উপকরণগুলোর দিকে চলে যাবো।
প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:
❣এখন ভাজি রেসিপিটি যেভাবে তৈরি করলাম--
✠প্রস্তুত প্রণালী:✠
➤সব চিংড়িগুলোকে প্রথমে ভালো করে কেটে নিতে হবে এবং পরে জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর আমি নটে শাকগুলো বেছে নিয়ে পাতা আর ডাঁটা আলাদা করে কেটে নিয়েছিলাম এবং জলের বুড়িয়ে ধুয়ে তুলেছিলাম।
➤পেঁয়াজ এবং রসুনের খোসা ছাড়িয়ে নেওয়ার পরে পেঁয়াজ কুচি করেছিলাম আর সাথে রসুনের কোয়াগুলো আলাদা করে নিয়েছিলাম। এরপর লঙ্কাগুলো কাটার পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
➤কেটে রাখা চিংড়িগুলোতে ১ চামচ করে লবন আর হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম এবং গায়ে ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।
➤চিংড়ি সব ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম এবং পরে কড়াইতে তেল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤জিরা দেওয়ার পরে তাতে কেটে রাখা পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম।
➤পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে তাতে নটে শাক সব দিয়ে দিয়েছিলাম এবং সাথে ভাজা চিংড়ি, কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে ১ চামচ করে আরেকটু লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤লবন আর হলুদ শাকের সাথে আস্তে আস্তে উল্টেপাল্টে মিশিয়ে নিয়েছিলাম। এরপর সেদ্ধ হয়ে আসার জন্য কিছুক্ষন ঢেকে রেখেছিলাম। সেদ্ধ হয়ে গেলে ঢাকনা তুলে দিয়েছিলাম এবং একটু জল জল বেরিয়েছিল।
➤সেদ্ধ হয়ে আসলে যে জল মতো বেরিয়েছিল ওটা আরো কিছুক্ষন তাপ দিয়ে পুরোপুরি শুকনো শুকনো মতো করে নিয়েছিলাম আর সেই সাথে ভাজা মতো হয়ে এসেছিলো। খেতে দুর্দান্ত লেগেছিলো, আপনারাও বাড়িতে এই শাক ভাজা করে খাবেন, অনেক উপকারী একটি শাক। যাইহোক এই সুস্বাদু ভাজি রেসিপিটা এখন পরিবেশন করার জন্য প্রস্তুত আছে।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সত্যি দাদা, নটে শাক নামটা আজই প্রথম শুনলাম। তবে আপনার কাছে এই শাক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো।জেনে খুব ভালো লাগলো। আসলে গ্রামে এই শাক আগে দেখেছি তবে নাম জানতাম না। আজকে নাম জানা হলো। আমি কাটা যুক্ত নটে শাক দেখেছি তবে লাল নটে শাক এখনো দেখা হয় নাই। তবে এই শাকের গুনাগুন সম্পর্কে অনেকই ভালোভাবে জানে না।
দাদা আপনি চিংড়ি মাছ দিয়ে নটে শাক ভাজি রেসিপি করেছেন। আপনার রেসিপি দেখে আমি তো পুরো লোভে পড়ে গেছি। চিংড়ি মাছ আমার প্রিয় একটি মাছ। শাকের সাথে চিংড়ি মাছের কম্বিনেশন দারুন লাগছে। পরিবেশন করা ছবি দেখে জাস্ট মুগ্ধ হয়ে গেলাম দাদা। দেখেই বুঝা যাচ্ছে রেসিপিটা দারুণ মজা হয়েছে।
দাদা, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আমি মনে করি আপনার এই রেসিপির মাধ্যমে অনেকেই এই শাক৷ সম্পর্কে প্রথম জানতে পারলো। শুভকামনা রইলো দাদা। ❣️❣️❣️
ভাইয়া আপনার পোস্টগুলো পড়তে আমার খুবই ভাললাগে কারণ আপনার পোস্ট থেকে আমরা অনেক অজানা তথ্য জানতে পারি। তেমনি আজকে আপনার রেসিপি পোস্ট এর মধ্যে নটে শাক সম্বন্ধে অনেক রকম তথ্য জানতে পেরেছি। যেহেতু নটে শাকের অনেক গুনাগুন রয়েছে তাহলে এই শাক খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য সত্যিই খুব উপকারী আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া। আমি অনেকবারই শাক ভাজি খেয়েছি তবে চিংড়ি মাছ দিয়ে কখনও খাওয়া হয়নি। ভাইয়া আপনার চিংড়ি মাছ দিয়ে নটে শাক ভাজির রেসিপি খুবই লোভনীয় হয়েছে। দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে ভাইয়া। আপনার রান্না প্রক্রিয়াটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমি অবশ্যই এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখব। আপনি প্রতিনিয়তই খুব সুন্দর সুন্দর পোস্ট আমাদের আমাদের সাথে শেয়ার করেন। আজকে এত মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
চিংড়ি মাছ দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে শাক রান্নার রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দাদা। তবে নটে শাক এই নামটি আজকে প্রথম শুনলাম। এই শাকের মাঝে যেহেতু অনেক গুন আছে তাই এই শাক খাওয়া নিশ্চয়ই আমাদের জন্য অনেক উপকারী। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে চিংড়ি মাছ দিয়ে নটে শাকের রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে। এছাড়া শাক দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে শাক ও চিংড়ি মাছের এই মজার রেসিপি তৈরি করে সকলের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা। 💗💗
দাদা আপনি প্রতিবারই মজার মজার রেসিপি নিয়ে হাজির হন। আজকে আপনি নটে শাক ভাজি রেসিপি নিয়ে এসেছেন। আসলে নামটা শুনে অনেক আশ্চর্য মনে হল, কারণ এই নাম আমি আগে কখনো শুনিনি, তবে আপনার কাছে আশ্চর্য মনে হয়েছে জেনেও আমায় একটু স্বস্তি পেলাম। তবে এই দুই ধরনের নটে শাক হয় জেনে ভালো লাগলো। আসলেই আপনি খুবই সুন্দর ভাবে চিংড়ি মাছ দিয়ে ভাজি করেছেন। আসলে দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজা হবে, তবে আপনার রেসিপির উপস্থাপন এবং পরিবেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে। তাই রেসিপি একবার খেয়ে দেখতে খুব ইচ্ছা করছে। যদি খেতে পারতাম তাহলে খুবই ভালো হতো। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য, এরকম নতুন একটা রেসিপি আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে নোটে শাক ভাজি রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা। আপনার এই শাক ভাজি রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে রেসিপিটি শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। শাক আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী মাঝে মাঝে শাক ভাজি খেতে বেশ ভালোই লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে এত মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এই শাক গুলো সাধারনত শহরে পাওয়া যায় না ।আমার পছন্দের একটি শাক। গ্রামে এই শাক গুলো পাওয়া যায়। আপনি খুব সুন্দর ভাবে চিংড়ি মাছ দিয়ে নটে শাকের রেসিপি করেছেন। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
দাদা মনে হচ্ছে মাছ খেতে খুব ভালবাসেন। আপনার প্রতিটি রেসিপি তে মাছের দেখা পাই। আমার কাছেও খুবি ভাল লাগে যদি শাকে কিছু পরিমান চিংড়ি দেয়া যায়। শাক মানেই শরীরের জন্য উপাকরী। আমাদের এদিকে সর্বত্র কাঁটা নটে দেখা যায় বেশী।নটে শাক সাধারণত বাজারে দু ধরনের পাওয়া যায় সবুজ নটে ও রাঙা নটে। আর এক ধরনের হলো কাঁটা নটে। এই শাকের শিকড় ও পাতা নানা রোগে ওষুধ হিসেবেও খাওয়া হয়। সবুজ নটের শাকে থেকে লাল শাক বেশি উপকারী।চোখের ক্ষেত্রে দারুন ভূমিকা পালন করে। গ্রাম অঞ্চলে একটি বিষয় প্রচলিত আছে যে কাঁটা নটে শাক গাছের মূল এবং গোলমরিচ, এ দুটোকে সামান্য পানি দিয়ে বেটে কপালে প্রলেপ দিলে মাধা ধরা সেরে যাবে। এর ঔষধী গুন দারুন। এই শাকে ভিটামিন রয়েছে । বড়ো ডাঁটা সমেত নটে শাক গাছ আলু পেঁয়াজ কুচি করা হলুদ গুড়ো লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে রান্না করলে দারুন লাগে খেতে। মা মাঝে মাঝে ভ্যানে নিয়ে আসা সবজীওয়ালার কাছ থেকে শাক রাখে । তরকারী টি দারুন হয়েছে রান্না। সাথে চিংড়ি গুলো মনে হল আমার দিকে তাকিয়ে আছে। হাহা । ভাল থাকবেন দাদা। শুভেচ্ছা ও ভালবাসা নেবেন।
একদম ঠিক কথা বলেছেন দাদা এই শাক খেতে খুবই সুস্বাদু এবং অনেক প্রকারের হয়ে থাকে কালার গোলা।
গ্রামে থাকতে অনেকবারই খেয়েছি কিন্তু এখন শহরে তেমন একটা দেখা মেলে না আপনার রেসিপি দেখে সেই পুরনো স্মৃতি মনে উঠে গেল।
রেসিপিটি জাস্ট অসাধারণ হয়েছে দেখেই জিভে জল চলে আসলো খেতে নিশ্চয়ই ভারি মজা হয়েছিল।।
দাদা আজ আপনার মাধ্যমে খুব ইউনিক একটি রেসিপি দেখতে পেলাম। কেননা নটে শাক এর সাথে চিংড়ি মাছ দিয়ে রেসিপি তৈরি করা যায় তা আগে কখনো জানতাম না। শুধুমাত্র আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখতে পেলাম চিংড়ি মাছ দিয়ে নটে শাকের সুস্বাদু ভাজি রেসিপি। তবে দাদা আপনি যে শাকটিকে নটে শাক হিসেবে আমাদের কাছে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। আমাদের এখানে তার নাম ভিন্ন। নাম ভিন্ন হলে কি হবে স্বাদ ও পুষ্টিগুণ একই। আপনার তৈরি নটে শাক ভাজি রেসিপি দেখে খুবই সুস্বাদু ও মজাদার মনে হচ্ছে। আপনার রন্ধনপ্রণালীটা অত্যন্ত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এই নটে শাক টা চেনা চেনা লাগছে। আমাদের দিকে মাঠে পাওয়া যায়। এই নটে শাক ভাজিও খেয়েছি বেশ ভালো খেতে। তবে এটার এতো উপকারিতা আছে সেটা জানা ছিল না। এবং এই শাকগুলো কিনতে গেলেও বেশ কম দামে পাওয়া যায় আমাদের দিকে।
নটে শাক ভাজি কখনো চিংড়ি দিয়ে খাইনি। চিংড়ি দিলে আবার এই শাকগুলোর স্বাদ বেড়ে যায়। চিংড়ি টা দেওয়াই আপনার রেসিপি টা আমার কাছে আরও ভালো লেগেছে। দারুণ তৈরি করেছেন রেসিপি টা দাদা। অনেক সুন্দর ছিল উপস্থাপনা টাও।