মায়ের সঙ্গে মাছ বাজারে যাবার অভিজ্ঞতা শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
মায়ের সঙ্গে মাছ বাজারে যাবার অভিজ্ঞতা শেষ পর্ব
যদিও আমরা গিয়েছিলাম ছোট মাছ কেনার জন্য ।তারপরও সব সময় যা ইচ্ছা করা হয় তা করা হয় না ।তার পরেও বেশ কিছু বড় মাছ কেনা হয়েছিল ছোট মাছের সঙ্গে । তবে মাছ বাজারগুলোতে দেখলাম দোকানদাররা দামের ক্ষেত্রে একদম কড়া করি ।নিজেরা যে দাম চেয়ে বসে থাকে সেখান থেকে একদমই কমাতে চায় না । মাছের বাজারে যেতে আমার কাছে যদিও খুব একটা ভালো লাগে না ,তারপরে আবার যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন কিছু সময় আগে বৃষ্টি হয়েছিল। যার কারণে পুরো মাছ বাজারে কাদা মাখামাখি অবস্থা । ওখানে যেয়ে বিরাট বিপদে পড়ে গিয়েছিলাম।
একে তো কাঁচা মাছের গন্ধ তার উপর আবার কাদা পানি সবকিছু মিলিয়ে একদম বাজে একটা অবস্থা হয়েছিল। মনে হয়েছিল যেন ফিরে আসি। কিন্তু যেহেতু চলে গিয়েছি সেহেতু মা বলছিল একবার এসে পড়েছি তাহলে কিনে নিয়েই যাই। তাই খুব কষ্ট করে কিছুটা ঘোরাঘুরি করে কিছু মাছ কিনেছিলাম। যদিও সঙ্গে মেয়ে ছিল সে খুব বিরক্ত করছিল, সে ওখানে একদমই যেতে চাইছিল না। তারপর আমরা দেখে শুনে কিছু বড় মাছ, কিছু ছোট মাছ কিনেছিলাম। এই ইলিশ গুলো খুব একটা বড় সাইজের ছিল না ।মোটামুটি সাইজ ছিল, কিন্তু দাম নিয়েছিল এক হাজার টাকা কেজি করে । কয়েকটা মাছ এখান থেকে কিনেছিলাম । তবে বাসায় নেওয়ার পর দেখলাম মাছগুলো একদমই নরম ।এরা বরফ দিয়ে এতটা টাটকা বানিয়ে রাখে যে দেখে বোঝার উপায় নেই যে মাছগুলো কতদিন আগেকার। কাটার সময় খুবই বিপদে পড়তে হয়েছিল, আর খুব রাগও হচ্ছিল এভাবে ঠকিয়েছে।
তারপর একটি ডালায় বেশ কিছু চিংড়ি ছিল। তারপর আমরা সেখান থেকে ওই চিংড়ির ডালাটি কিনে নিয়েছিলাম। মূলত ছোট ছোট চিংড়িগুলো বিভিন্ন শাক দিয়ে রান্না করে খাবার জন্য বেশ ভালো হয় ।তাছাড়া করোল্লা ভাজিতেও চিংড়ি দিলে খেতে বেশ মজার হয়ে থাকে ।যার কারণে এই ছোট ছোট চিংড়ি গুলো কেনা ।তবে এই ছোট চিংড়ি গুলো একটি ডালায় অল্প কিছু ছড়িয়ে রাখে দেখে মনে হয় অনেকগুলো। কিন্তু যখন নেওয়া হয় তখন দেখা যায় একেবারেই অল্প ।তবে এগুলোর দাম বারোশো টাকা কেজি হয়।
তারপর চচ্চড়ি খাবার জন্য কিছু বেলে মাছ কিনেছিলাম। বেলে মাছ আমার মা আবার ভীষণ পছন্দ করে ।তবে ছোট মাছের চচ্চড়ি গুলো খেতে মাঝেমধ্যে কিন্তু বেশ ভালই লাগে ।কেননা টানা মাছ মাংস খেলে মাঝে মাঝে চচ্চড়ি খেতে আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগে ।যার কারণে মূলত এই ছোট মাছগুলো কেনা।
আর এই ডালায় কয়েকটি বাইম মাছ দেখা যাচ্ছে। অল্প কয়েকটা মাছ দোকানদার আমাদের কাছে পনেরশো টাকা চাইল। এত দাম শুনে আমরা আর দামাদামি করলাম না। কম হবে নাকি জানতে চাইলে বলল কম হবে না ।আমরা কিছু কম দিতে চাইলেও দোকানদার দেখলাম রাজি হল না। তারপর এক লোক এসে পুরো ডালা ১৫০০ টাকা বলল ।তারপর দামাদামির এক পর্যায়ে দোকানদার লোকটিকে পনেরশো টাকা দিয়ে পুরো ডালা দিয়ে দিল। দেখে কিন্তু ভারি মেজাজ খারাপ হলো। লোকটা আমাদের কাছে কত টাকা চাইলো আর ওই লোকের কাছে দামাদামি করে কত কমে বাইম মাছ ও ছোট মাছ সহ দিয়ে দিল ।আসলে আমরা মাছ বাজারে যাই না যার কারণে আমাদের অভিজ্ঞতা কম। এই কারণেই এরকমটা হয়েছে। যে কোন জায়গায় অসংখ্যবার গেলে সেখানে একটা অভিজ্ঞতা হয়। যেহেতু আমরা নতুন নতুন গিয়েছি তাই এই ব্যাপারে আমাদের অভিজ্ঞতা খুবই কম ।যাইহোক বিভিন্ন রকমের মাছ কিনতে পেরে বেশ ভালই লেগেছিল ।তারপর কেনাকাটা শেষ করে আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা আফরোজ সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। যেখানে বিভিন্ন প্রকার মাছ সম্পর্কে ধারণা পেলাম এবং আপনাদের কেনাকাটার মুহূর্ত দেখতে পারলাম। বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন কেনাকাটার মুহূর্তের। তবে চিংড়ি মাছের দাম এত বেশি জেনে অবাক হলাম।
ভাইয়া আপনার কাছে আমার পোস্ট পড়ে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আজকে আপনি মায়ের সঙ্গে মাছ বাজারে যাওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আমিও প্রায় সময় বাজারে মাছ কিনতে যাই। মাছ বাজারে কাদা মাখামাখি অবস্থা সব সময় থাকে। তবে এতো ছোট ইলিশ মাছ এক হাজার টাকা কেজি, আমার কাছে অনেক বেশি মনে হয়েছে। যাইহোক আপনার তোলা প্রতিদিন ফটোগ্রাফি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে, ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
ভাইয়া ইলিশ মাছের দাম তো এখন আকাশছোঁয়া ।এদের ধারের কাছে যাওয়াই মুশকিল ।যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপু প্রথম পর্ব যদিও আমার পড়া হয়নি তবে এই পর্ব পড়ে বুঝলাম মাকে নিয়ে গেলেন মাছ বাজারে মাছ কিনতে ছোট মাছের পাশাপাশি বড় মাছ ও কেনা হলো।আসলে অভিজ্ঞতা না থাকলে কিছুটা ঠকে যেতে হয়।তবে মাছের দাম সম্বন্ধে ধারনা থাকলে দরদাম করা যায়। আমি তো মাছ চাল-ডাল থেকে মাঝে মাঝে অর্ডার করি।খারাপ হলে ফোন দিলে আবার ফেরত নিয়ে চেঞ্জ করেও দেয়।ইলিশ মাছ নরম দিলো অথচ দামটা বেশীই নিয়ে নিলো।তারপরেও বেশ কিছু মাছ কিনলেন অভিজ্ঞতা হলো। অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু কোন জায়গায় নিয়মিত গেলে আসলেই অভিজ্ঞতা অর্জন হয় ।যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু ওই সময় নেটের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। এখন যদিও ঠিক হয়েছে কিন্তু মাঝেমধ্যে ডিস্টার্ব দিচ্ছে। যাই হোক আম্মার সঙ্গে বাজারে যাওয়ার প্রথম পর্বটি আমি দেখেছিলাম। এই পর্বতেও খুব সুন্দর কিছু মাছের ফটোগ্রাফি এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের মাছ কিনতে পেরেছেন দেখে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ দেখে শুনে বিভিন্ন ধরনের মাছ কেনার মধ্যে একটা অন্যরকম আনন্দ আছে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।