অনেক দিন পর বোনের বাসায় যাওয়া,খাওয়া দাওয়া ও সুন্দর মুহূর্ত কাটানো
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
অনেক দিন পর বোনের বাসায় যাওয়া,খাওয়া দাওয়া ও সুন্দর মুহূর্ত কাটানো
![]() | ![]() |
---|
যেহেতু আমাদের ইচ্ছে ছিল সারাদিন ওর বাসায় থাকা। সেহেতু সকাল সকাল বেরোতে চেয়েও আসলে বের হওয়া হয়নি। আর ঢাকার রাস্তায় জ্যামের কারণে পৌঁছাতেও বেশ সময় লাগে। তারপরেও আমরা যখন পৌঁছালাম তখন সবাই মিলে বেশ একটা চমৎকার সময় কাটিয়েছিলাম। বাচ্চারা অনেকদিন পর সবাই একসঙ্গে হয়ে ভীষণ খুশি হয়েছিল। সবাই বিভিন্ন রকম খেলায় মেতে উঠছিল। বাচ্চাদের আনন্দ দেখে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগছিল। কেননা একেক জন একেক জায়গায় থাকে যার কারণে খুব একটা সবাই একসঙ্গে হওয়ার সময় সুযোগ খুব কমই হয়ে উঠে ।যার কারণে সবাই যখন একত্রিত হয় তখন আমরা বোনেরাও যেমন আনন্দ করে গল্প করি ,ওরাও তেমনি বেশ মজা পায়।
![]() | ![]() |
---|
আমরা ওর বাসায় মিষ্টি, দই নই নিয়ে গিয়েছিলাম। আবার ও দেখলাম চমৎকার পুডিং তৈরি করেছে । পুডিং টি দেখে বোঝা যাচ্ছিল খেতে ভীষণ মজার হবে। আর ঠান্ডা পুডিং খেতে সত্যি ভীষণ চমৎকার লেগেছিল। দারুন বানিয়েছিল। চেহারা যেমন সুন্দর ছিল খেতেও দারুণ হয়েছিল। এমনিতেই পুডিং বাচ্চারা ভীষণ পছন্দ করে। সবাই মিলে বেশ মজা করে ,গল্প করে খাওয়া হয়েছিল।
যেহেতু আমরা বেশি দেরি করে পৌঁছেছিলাম তাই আর খুব বেশি দেরি না করে সরাসরি হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে ডাইনিং টেবিলে বসে গিয়েছিলাম ।সবাই খাবার জন্য বসেছিলাম ।বাচ্চারা তো খেলায় ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ওরা সহজে খেতে আসছিল না ।তারপরও জোর করে সবাইকে খেতে বসানো হয়েছিল। দেখলাম তানিয়া একা একা বেশ কিছু খাবারের আয়োজন করেছিল এবং প্রতিটি খাবারই রান্না বেশ ভালো হয়েছিল। আমরা সবাই মিলে গল্প করে ভীষণ মজা করে খেয়েছিলাম। আসলে অনেকদিন পর সবাই মিলে একত্রিত হলে অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করে। সময়টা কখন যে শেষ হয়ে যায় বোঝা যায় না।
![]() | ![]() |
---|
ওর রান্না করা খাবার গুলো বেশ মজা হয়েছিল ।সামুদ্রিক মাছ ভেজেছিল যেটি খেতেও ভীষণ চমৎকার ছিল। এছাড়াও ছানা দিয়ে একটি রেসিপি করেছিল যেটি খেতে খুবই চমৎকার ।এটি কখনো এর আগে খাওয়া হয়ে ওঠেনি। প্রথম এই রেসিপিটি ও করেছিল আমাদের জন্য ।ও নিজেই ভয়ে প্রথমে খায়নি খেতে কেমন হবে ভেবে। কিন্তু আমরা খেয়ে যখন বললাম খুবই মজা হয়েছে তখন কিছুটা আশ্বস্ত হলো। ও মনে করেছিল খাবারটা খেতে একদমই ভালো হবে না। কিন্তু খাবারটা সত্যি ভীষণ মজার ছিল ।সবাই মিলে বেশ ভালোই খেয়েছিলাম মজা করে।
![]() | ![]() |
---|
দুপুরের খাওয়া দাওয়ার পর সবাই মিলে গল্পে মেতে উঠলাম ।কখন যে বিকেল হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না । তারপর আবার বিকেলের নাস্তা খেয়ে চা খেয়ে আবারো গল্প শুরু করে দিলাম। সেই গল্প শেষ হতে হতে রাত নটা বেজে গেল। তখন আমাদের তৌহিদা আপুর বাসার দিকে রওনা হবার কথা। কিন্তু ও আবারো না খেয়ে আসতে দিল না ।যার কারণে সাড়ে দশটা বেজে গেল। তারপর খাওয়া দাওয়া শেষ হলে আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। রাতের বেলায় রাস্তায় খুব একটা জ্যাম ছিল না ।যার কারণে খুব তাড়াতাড়ি আমরা বাসায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। আসলে অনেকদিন পর বোনরা একত্রিত হলে সে আনন্দ একেবারে অন্যরকম। যাদের বোন আছেন তারা বুঝতে পারবেন এটি কতটা মজার এবং আনন্দের হয়ে থাকে। আমরা তিনজন মিলে আসলেই বেশ আনন্দ করি। কিন্তু তানজিরা আপু বাইরে থাকায় ও এ বিষয়টা অনেক মিস করে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আজ আপনি অনেকদিন পর বোনের বাসায় গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন। আপু আপনি আপনার বোনের বাসায় অনেক কিছু খেয়েছেন এবং সেগুলোর ফটোগ্রাফি দেখে জিভে জল চলে এলো। খাওয়ার পর আড্ডা দিতে গিয়ে কখন যে সময় চলে গেছে তা বুঝতেই পারেননি। আসলে ভালো সময় গুলো খুব দ্রুত চলে যায়। ধন্যবাদ আপু বোনের বাসায় কাটানো খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু ভালো লাগার মুহূর্তগুলোতে দ্রুত কেটে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
বোনরা একসাথে হলে যে কি আনন্দ তা আমি বুঝি।আমার যদিও এক বোন তবে দুই ভাবীকে নিয়ে চারজন জমিয়ে আড্ডা দেই।কখন যে রাত ভোর হয়ে যায় বোঝা মুস্কিল।আপু তো দেখছি দারুন দারুন রেসিপি করেছিল আপনাদের জন্য। গল্প,আনন্দ,হাসিতে সময়টা স্মরণীয় হয়ে থাক আপনাদের মনে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
বাহ আপু আপনার বোন এবং ভাবীরা মিলে বেশ আনন্দ করে গল্প করেন জেনে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো ।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
তানিয়া আপুর বাসায় খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। এত কাছাকাছি এসেও বাসায় না গেলে রাগ করারই কথা। যাইহোক তানিয়া আপুর বাসায় গিয়ে বেশ ইনজয় করেছেন সব বোনেরা মিলে। অনেক রকম খাবারের আয়োজন ছিল দেখছি। লোভনীয় খাবার গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু খাবার গুলো বেশ মজার ছিল এবং সবাই মিলে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি ।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপনার বোনের বাসায় দেখছি জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছেন আপনি।বাচ্চাদের খুনশুটিও ডাইনিং টেবিলে মজাদার সব খাবার দেখে তো ভীষণ ভালো লাগছে।সব গুলো খাবারই অনেক টেষ্টি তা ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার সুন্দর পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
হ্যাঁ আপু সবাই মিলে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছি, আবার বেশ আনন্দ করেছি। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আসলে সেদিন সবাই মিলে সময়টা কিন্তু অনেক ভালই কেটেছিল । ঢাকা শহরে জ্যাম থাকার কারণে ইচ্ছা করলেও আপনি খুব তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে পারবেন না । তারপরও তো আমরা অল্প সময়ে চলে যেতে পেরেছিলাম । বাচ্চারা সেদিন অনেক মজা করেছিল আর খাবারগুলো সত্যি অনেক লোভনিয় ছিল। সময়টাও অনেক ভালো কেটেছিল ।
হ্যাঁ আপু সময়টা বেশ ভালই কেটেছিল ।ভালো সময় গুলো খুব দ্রুত চলে যায় ।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
অনেক দিন পর বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। অনেক কিছু ছিলো দেখছি খাবারের মেনুতে।তবে বাচ্চাদের আনন্দ দেখে বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু বোনের বাসায় কাটানো সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু বাচ্চারা বেশ ভালো আনন্দ করেছে ।দেখে আমাদেরও ভালো লেগেছে ।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।