বন্ধুরা আজ আবারও আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি মূলত ফুড ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি ।বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে আমাদের যেমন ভালো লাগে তেমনি বিভিন্ন ধরনের খাবারের ফটোগ্রাফি দেখতেও কিন্তু বেশ ভালো লাগে ।আজ আমি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট থেকে তোলা কিছু ফুড ফটোগ্রাফি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদেরও ভালো লাগবে। বাইরের খাবার খেতে আমরা ভীষণ পছন্দ করি। তাইতো মাঝে মাঝেই রেস্টুরেন্ট গুলোতে যাওয়া হয় বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে। মাঝে মাঝে দেখা যায় কিছু খাবার খেতে বেশ ভালই লাগে ।আবার কিছু কিছু খাবার কেমন একটা টেস্টি হয় না শুধু বাইরের শোভা। তখন পরবর্তীতে সেই খাবারগুলো এড়িয়ে চলি। আজ আমি মূলত রেস্টুরেন্টের কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

---

ফুড ফটোগ্রাফি

---

প্রথমে যেই ফটোগ্রাফিটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এটি হচ্ছে চিকেন নাচোস। এটি আমাদের শহরের একটি নতুন রেস্টুরেন্ট থেকে খেয়েছিলাম ।যেটি মূলত সপ্তাহ খানেক আগে ওপেন করা হয়েছিল ।একদমই ছোট ছিল রেস্টুরেন্ট টি। ভাবলাম নতুন রেস্টুরেন্ট সেখানে যেয়ে কিছু খেয়ে আসি। দেখা যাক তাদের খাবার কেমন ? তবে তাদের কিছু কিছু খাবার বেশ মজার হলেও এই চিকেন নাচোস খেতে একদমই মজা ছিল না । নাচোসের চিপস গুলো কেমন যেন নরম ছিল। এগুলো নরম হলে খেতে একদমই ভালো লাগে না।

---

আর এটি হচ্ছে চিকেন চীজ বার্গার। এটি মূলত ঢাকার আলিফ বার্গার থেকে খেয়ে। মেয়ে বার্গার খেতে ভীষণ পছন্দ করে ,সে বায়না ধরেছিল বার্গার খেতে যাবে। তাই তাকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম ।এই রেস্টুরেন্ট টি বেশ নাম করা ছিল। এদের বার্গার ভীষণ মজা হয়ে থাকে ।যার কারণে আমরা ওখানে গিয়েছিলাম ।আর তাই অর্ডার করেছিলাম ।খেতে কিন্তু বেশ মজার ছিল।

---

এটি হচ্ছে চিকেন চাওমিন। চাওমিন এমনিতে খেতে আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগে না ।তবে রেস্টুরেন্টের চাওমিন গুলো খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে ।যত বারই খেয়েছি ততবার ভীষণ ভালো লেগেছে ।চাওমিন টা খেয়ে দেখলাম খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। চিকেনের পরিমাণ বেশি থাকলে চাউমিন খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়ে থাকে ।বেশ মজা করে চাওমিন খেয়েছিলাম সবাই মিলে। যদিও ওই রেস্টুরেন্টে যাওয়ার ইচ্ছা আমার মেয়ের ছিল।

---

এটি হচ্ছে ক্রিস্পি উইংস ফ্রাই। এই উইংস ফ্রাই টিও ঢাকার আলিফ বার্গার থেকে খেয়েছিলাম। এই উইংস ফ্রাই খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল। এমনিতে আমরা চিকেন ফ্রাই খেয়ে থাকি। কিন্তু আমি কখনোই উইংস ফ্রাই খাইনি। সে বারই প্রথম খেয়েছিলাম ।এর আগে হট উইংস খেয়েছি কিন্তু এটি খাওয়া হয়নি। তবে এই উইংস ফ্রাই খুবই ক্রিসপি ছিল। খেতে অন্য রকমের সুস্বাদু লেগেছিল।

---

আর এটি আমাদের সবারই পছন্দের ফেন্স ফ্রাই ।যদিও রেস্টুরেন্ট থেকে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাওয়ার পক্ষপাতী আমি একদমই না ।কিন্তু তারপরেও কিছু করার নেই ।রেস্টুরেন্টে গিয়ে ফ্রেন্স ফ্রাই অর্ডার করতেই হবে ।কেননা মেয়ের ভীষণ পছন্দের যে ।তবে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এর প্রাইস টা আমার কাছে একটু বেশি লাগে ।সবাই অতিরিক্ত দাম রাখে। তবে এই রেস্টুরেন্টের ফ্রেঞ্চ ফ্রাই টা যেমন মজার ছিল, তেমন মজার ছিল এদের সস। খেতে খুবই সুস্বাদু লেগেছিল।

---

সবশেষে আপনাদের জন্য পরিবেশন করলাম মিষ্টি ।এত খাবার খাওয়ার পর মিষ্টিমুখ না করলে কি হয় ।তাই তো মিষ্টি পরিবেশন করলাম। মিষ্টির ভেতর এই কালো জাম আমার ভীষণ পছন্দের । তাছাড়া আর কোন মিষ্টি আমার কাছে অতটা ভালো লাগেনা। হাজার রকমের মিষ্টি থাকলেও প্রথমে আমি এই কালো জামটিকে বেছে নেই ।এটি কেন জানি আমার কাছে খুবই মজা লাগে। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার আজকের ফুড ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লেগেছে।

---

---

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ফটোগ্রাফার:	@wahidasuma
ডিভাইস:	OPPO Reno8 T

🔚ধন্যবাদ🔚

@wahidasuma

আমি ওয়াহিদা আফরোজ সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।

VOTE@bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy