কাঁঠালের বিচি, ঝিঙে ও পটল দিয়ে ভাজির রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
কাঁঠালের বিচি, ঝিঙে ও পটল দিয়ে ভাজির রেসিপি
- কাঁঠালের বিচি
- ঝিঙে
- পটল
- পেঁয়াজ কুচি
- কাঁচা মরিচ
- হলুদের গুঁড়া
- লবণ
- তেল
প্রুস্তুতপ্রণালী
প্রথমে কাঁঠালের বিচি গুলো থেকে খোসা ছাড়িয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নেই ।তারপর ঝিঙে ও পটল খোসা ছাড়িয়ে কেটে নেই। তারপর সবগুলো কাটা হলে পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নেই ।তারপর একটি কড়াইয়ে তেল দিয়ে দেই। তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দেই । পেঁয়াজ কুচি একটু নেড়েচেড়ে কেটে রাখা সবজিগুলো দিয়ে দেই।
তারপর ঐ সবজিগুলোর মধ্যে লবণ ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে দেই ।তারপর কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে নেই।
কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে নেওয়ার পর কাঁচামরিচ দিয়ে আবারো নেড়েচেড়ে দেই।
তারপর সামান্য পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কিছুক্ষণ রান্না করি। এই ঝিঙে থেকে এমনিতেই পানি বের হয়। এর জন্য অল্প পানি দিতে হবে যাতে প্রথমে লেগে না যায়।
তারপর পানি শুকিয়ে এলে ব্যাস তৈরি হয়ে গেল আমার কাঁঠালের বিচি, ঝিঙে ও পটল দিয়ে মজার ভাজি রেসিপি। এখন একটি বাটিতে বেড়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
কাঁঠালের বিচি দিয়ে যে কোন ধরনের তরকারি রান্না করলে অনেক বেশি ভালো লাগে আমার কাছে।তবে, আপনি দেখছি আজকে কাঁঠালের বিচি, ঝিঙে ও পটল দিয়ে ভাজির রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি টি অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনি কাঁঠালের বিচির সাথে বেশ কয়েকটি উপকরণ সংমিশ্রণ করেছেন বলেই রেসিপি অনেক দারুন হয়েছিল।
হ্যাঁ ভাইয়া কাঁঠালের বিচির সঙ্গে আরো দুটি সবজি দিয়েছিলাম ।খেতে বেশ ভালো লেগেছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একদম ঠিক বলেছেন আপু রান্না করে ঢুকে রেসিপি করার মতো অবস্থা নেই গরমের কারণে। আপনি আজ চমৎকার সুন্দর করে মজাদার ভাজি রেসিপি করেছে। ভীষণ লোভনীয় হ'য়েছে আপনার রেসিপিটি। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আপু আপনার কাছে আমার রেসিপিটি লোভনীয় লেগেছে জেনে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো ।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
কাঁঠালের বিচি আমরা রান্না করে খাই আবার পুড়িয়ে খাই । কিন্তু কখনো এভাবে ভাজি করে খাওয়া হয়নি আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপিটা সম্পূর্ণ করেছেন আপু। প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপু। এই রেসিপিটা দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।
আপু আপনি যেহেতু কাঁঠালের বিচি এভাবে কখনো ভাঁজিতে খাননি ।তাহলে অবশ্যই কোন এক ভাজিতে দিয়ে দেখবেন। খেতে কিন্তু বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
কাঁঠালের বিচি খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। কাঁঠালের বিচির ভর্তা খেতেও খুবই মজাদার হয়। আজ আপনি ভিন্ন ধরনের একটি ভাজির রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।কাঁঠালের বিচি, ঝিঙে পটল দিয়ে দারুন একটি ভাজি তৈরি করেছেন। এই ভাজি টি গরম ভাত কিংবা পরোটার সাথে খেতে ভীষণ ভালো লাগবে। আজকে আপনি লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু এই ভাজিটি গরম ভাতের সঙ্গে খেতে বেশ ভালো লেগেছিল। আর কাঁঠালের বিচি ভর্তা আমার কখনো খাওয়া হয়ে ওঠেনি ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
কাঁঠালের বিচি, ঝিঙে ও পটল দিয়ে ভাজির রেসিপি দেখে অনেক মজাদার মনে হচ্ছে। আপনার রেসিপির পরিবেশ আমার খুবই ভালো লেগেছে। ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাই আমার রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আজকে আপনি শেয়ার করেছেন কাঁঠালের বিচি ঝিঙে ও পটল দিয়ে বেশ মজার একটি রেসিপি। এমনিতেও ঝিঙেও পটল ভাজি করলে খেতে খুবই স্বাদ লাগে। তবে আপনি স্বাদটা আরও বৃদ্ধি করার জন্য কাঁঠালের বিচি দিয়েছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ এতো লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া কাঁঠালের বিচি দেওয়াতে এই ভাজির স্বাদ আরো বেড়ে গিয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
কাঁঠালের বিচি দিয়ে যে কোন রেসিপি তৈরি করলে কিন্তু আমার কাছে ভালোই লাগে। এ বছর এখনো এই ধরনের কোন রেসিপি তৈরি করা হয়নি। আপনার রেসিপি টা দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। গরম ভাতের সাথে আসলে এই ভাজি গুলো ভালো লাগে খেতে। ধন্যবাদ আপু লোভনীয় একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু গরম ভাতের সঙ্গে খেতে বেশ ভালো হয়েছিল। আপনিও এভাবে তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
কাঁঠালের বিচি, ঝিঙে ও পটল দিয়ে ভাজির চমৎকার একটি রেসিপি উপহার দিলেন। কাঁঠালের বিচি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনি রান্নার প্রতিটি ধাপ সমূহ সুন্দর করে গুছিয়ে উপস্থাপনা করছেন। আমি খুব সহজেই শিখে নিলাম। আশাকরি পরিবারের সবাই মিলে জমিয়ে খেয়েছেন।
ভাইয়া আপনি আমার রেসিপিটি দেখে শিখে নিয়েছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
এটা একদম ঠিক বলেছেন আপু এই গরমে রান্নাঘরে গিয়ে রান্না করাটা অনেকটা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর রেসিপি তৈরি করতে গেলে তো অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়। আমি কয়েকদিন থেকে তো রেসিপি তৈরি করার ধারে কাছেও যাচ্ছি না। কাঁঠালের বিচি আমার খুবই পছন্দের। তবে এভাবে ঝিঙে এবং পটল দিয়ে ভাজি করে খাওয়া হয়নি কখনো। নতুন একটি রেসিপি শিখতে পারলাম আপু।
হ্যাঁ আপু এই গরমে রান্না করে রেসিপি তৈরি করা খুবই কঠিন। যাই হোক আপনি যেহেতু এভাবে কখনো খেয়ে দেখেননি একবার অবশ্যই খেয়ে দেখবেন। বেশ ভালো লাগবে ধন্যবাদ আপনাকে।