আমাদের একটুখানি অসতর্কতায় অনেক ভোগান্তি হতে পারে
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
এখন আসছি মূল পোস্টে। আজ আমি যে বিষয়টি নিয়ে লিখছি সেটি আমার সঙ্গে কয়েকদিন আগে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার প্রেক্ষাপটে লেখা। আসলে আমরা আমাদের জীবনের ছোট ছোট বিভিন্ন বিষয়ে বেশ অসচেতন থাকি। যে ক্ষেত্রে আমাদের অনেক বেশি সচেতন হওয়ার প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও আমরা অসচেতন হয়ে পড়ি । যার কারণে আমাদের কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হয় । মূলত সেই বিষয়টি নিয়ে আজ আমি লিখব । আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমাদের একটুখানি অসতর্কতায় অনেক ভোগান্তি হতে পারে
মূলত বেশ কিছুদিন আগে আমার মায়ের শরীরটা ভীষণ খারাপ ছিল ।যার কারণে মাকে ডাক্তার দেখানোর দরকার ছিল। মা ডক্টরের কাছে একদমই যেতে চায় না ।তার উপর আবার বাড়িতে আমরা তিন বোনেরা ছিলাম। আমি তো আগেই ছিলাম। ঈদের পরে আরো দু বোন আসাতে বাড়িতে বেশ কিছু লোকজনের সমাগম ঘটে ।যার মধ্যে মা অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও বেশ ব্যস্ত সময় কাটিয়েছিলেন। সবার মাঝে এত আনন্দের মাঝে থেকেও যেন তার শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না। তারপর একদিন জোর করেই তাকে ডক্টরের কাছে নিয়ে গেলাম।
ডক্টর এর কাছে নিয়ে যাবার পর ডক্টর কিছু টেস্ট দিলেন। তারপর সেই টেস্টগুলো করা হলো। সেদিন রাত হয়ে যাবার কারণে সেদিন আর রিপোর্ট গুলো দেখানো হয়ে ওঠেনি। তারপরের দিন ছিল আবার ডাক্তারের চেম্বার বন্ধ অর্থাৎ শুক্রবার ছিল ।যার কারণে শনিবার রিপোর্টগুলো দেখাতে চেয়েছিলাম ।কিন্তু শনিবারে বোনরা চলে গেল ।যার কারণে মা শনিবারে ডক্টরের কাছে গেলেন না ।তার পরের দিন রবিবার রিপোর্ট নিয়ে আবার ডক্টরের কাছে গেলাম। রিপোর্ট খুব একটা খারাপ আসেনি আলহামদুলিল্লাহ। শুধু কোলেস্টেরলের সমস্যা ছিল । কোলেস্টেরল একটু বেড়ে গিয়েছিল। এছাড়াও পায়ের ব্যথা বেড়েছিল যার কারণে ওষুধ দিয়েছিল। এছাড়াও প্রেসারের ওষুধ পাল্টিয়ে দিয়েছিল, কাশির ঔষধ ,ঘুমের ঔষধ দিয়েছিল । অর্থাৎ বেশ কিছু ওষুধ লিখেছিল ।তারপর আমরা পাশের মেডিসিনের দোকান থেকে ঔষধগুলো নিয়ে একটু শপিং এর উদ্দেশ্যে গেলাম।
বেশ কিছু দোকানে আমরা গিয়েছিলাম। তারপর শপিং শেষ করে বাসায় ফিরলাম। রাতে যখন ঔষধ খাওয়াতে যাব তখন দেখি মায়ের ফাইল কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না । যদিও ফাইল আমি মায়ের কাছে দিয়েছিলাম ।যেহেতু আমার কাছে শপিং ব্যাগগুলো ছিল ।হাতে থেকে পড়ে যেতে পারে এই চিন্তায় আমি মায়ের কাছে দিয়েছিলাম। কিন্তু কেনাকাটার একটা পর্যায়ে মায়ের হাতেও কিছু ব্যাগ চলে আসে ।যার কারণে তার কাছ থেকে কখন ফাইলটি পড়ে গিয়েছিল সে বুঝতেও পারেনি। যখন রাতে দেখলাম ফাইলটি কোথাও নেই তখন কি আর করার বেশ ঝামেলায় পড়ে গিয়েছিলাম । কি করব তাৎক্ষণিকভাবে বুঝে উঠতে পারছিলাম না । যদিও ফার্মেসি থেকে ঔষধ নেওয়ার সময় কোন ঔষধ কখন খেতে হবে এটা আমি দেখেছিলাম। যেহেতু ঔষধ কেনা হয়েছিল যার কারণে খুব একটা ভোগান্তি হয়নি।
কিন্তু একটা বিষয় চিন্তা করে দেখেন যদি ঔষধ গুলো কেনা না হতো এবং কোন ঔষধ কখন খেতে হবে এটা দেখা না হতো তাহলে কি প্রবলেম এ পড়ে যেতাম। নতুন করে আবার সবগুলো টেস্ট করতে হতো ।আবার নতুন করে ডক্টর দেখাতে হতো। বিশাল একটা ঝামেলার মধ্যে যেতে হতো। যদিও ফাইল না থাকার কারণে ডাক্তার দেখাতে পরবর্তীতে একটু সমস্যা হবে ।তারপরেও বড় ভোগান্তি থেকে বেঁচে গিয়েছিলাম। আমরা যদি একটু সচেতন হয়ে ফাইলটি যত্ন সহকারে রাখতাম তাহলে এই ঘটনা টি আমাদের সঙ্গে হতো না ।যাইহোক পরের দিন আমি আবার মার্কেটে গিয়েছিলাম ।যে জায়গাটায় ফাইলটা পড়তে পারে সেই সম্ভাব্য জায়গাগুলোতে গিয়েছিলাম।দোকানদারদের কাছে জিজ্ঞাসা করেও কোন লাভ হয়নি। তারা কোন ফাইল পায়নি । হয়তো রাস্তায় কোথাও পড়ে গিয়েছে।
যাইহোক এই ঘটনাটির পরে আমরা একটি শিক্ষা পেলাম যে পরবর্তীতে ডক্টরের ফাইল বিশেষ সর্তকতার সঙ্গে রাখতে হবে। যাতে এ ধরনের সমস্যায় দ্বিতীয়বার পড়তে না হয়। যদিও এ ধরনের ঘটনা আমার লাইফে এই প্রথম । তারপরেও ভুল থেকে অনেক বড় একটি শিক্ষা পেলাম ।সেদিন । আশা করছি আপনারা আমার পোস্টটি পড়ে এসব ব্যাপারে একটু খেয়াল রাখবেন।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা আফরোজ সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সত্যিই আপু দাদার বাবার মৃত্যুর খবর শুনে মনটা খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আপু আপনার মায়ের অসুস্থতার কথা শুনে খারাপ লাগছে। এরকম পরিস্থিতিতে আমিও একবার পড়েছিলাম আপু। আমার ফাইল রেখেছিলাম শোকেজের উপরে। অথচ পুরো ঘর সহ খুঁজতে খুঁজতে জীবন শেষ হয়ে গিয়েছিল। তবে আপু এটা ঠিক মার্কেটে গেলে অনেক সময় হাতে অনেক ব্যাগ চলে আসে। আর ভুল করে তখন কোন কিছু ফেলেই আমরা চলে আসি। গত দুদিন আগেও তো আমার এরকম হয়েছে। যেহেতু কয়েকটা ব্যাগ ছিল তাই ভুল করে আমার শখের কিছু গাছ রিক্সায় ফেলে চলে এসেছি।
আপু আপনার শখের গাছগুলো রিক্সায় ফেলে এসেছিলেন ।সেগুলো কি পরে ফেরত পেয়েছিলেন ?অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @wahidasuma,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
জীবনের সকল ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য একটু অসতর্কতা অনেক বড় বিপদের কারণ হয়ে যেতে পারে, তাই সর্বাস্থায় আমাদের সতর্ক ও সচেতন থাকা উচিত।
হ্যাঁ ভাইয়া একদম ঠিকই বলেছেন সামান্য অসতর্কতা জীবনে বিরাট বড় বিপদ নিয়ে আসতে পারে। যার কারণে জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে সতর্ক ও সচেতন থাকার চেষ্টা করাটা অনেক বেশি জরুরী ।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দরভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করার জন্য।
পোস্টটি পড়ে খুব খারাপ লাগলো আপু।প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো হাত ছাড়া হয়ে গেলে খুব খারাপ লাগারই কথা।ভাইয়া ও বেশ অনেক দিন আগে চোখের ডাক্তার দেখিয়ে ফাইল ফেলে এসেছিল।তবে ভাগ্য ভালো পেয়েও গিয়েছিল।আপনি সব সময় একটি কাজ করবেন আপু ডাক্তার দেখানো হলে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন করার পর আপনি মোবাইলে তার ছবি তুলে রাখবেন।এটা স্বল্প সময়ের একটি উপকারী টিপস।বিশেষ কাজে বিশেষ সর্তকতা আমাদের দরকার।ভালো থাকবেন,ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু হারিয়ে ফেলার পর আমিও চিন্তা করেছিলাম একটি ছবি তুলে রাখলে বেশ ভালো হতো। অসম্ভব ধন্যবাদ আপনাকে ভালো একটি পরামর্শ দেওয়ার জন্য।
ভাগ্য ভালো সেদিন ঔষুধগুলো কেনা হয়েছিলো এবং কোন ঔষুধ কখন খেতে হবে দেখে নিয়েছিলেন। তা না হলে আবার টেস্ট, ডাক্তার দেখানো বেশ ঝামেলা হয়ে যেত। আম্মাকে ডাক্তার এর কাছে নেয়া যে কষ্ট। যেতেই চায় না। এইসব ব্যাপারে আরো বেশি সতর্ক হওয়া উচিৎ। আর একবার কোনো জিনিস হারিয়ে গেলে তা কি আর পাওয়া যায়?
কোন জিনিস হারিয়ে গেলে তা ফিরে পাওয়া যায় না ঠিকই তারপরেও খুঁজে দেখতে দোষ কি? তবে আমাদের আরো বেশি সচেতন হওয়ার দরকার ছিল ।ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে অনেক সময় আমাদেরকে এরকম সমস্যায় পড়তে হয়। কিছু কিছু ভুল থেকে আমরা অনেক বড় শিক্ষা নিতে পারি। আপনারা যেহেতু ওষুধ কিনে নিয়েছেন তাই তত বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। আসলে এই ধরনের জিনিসপত্র গুলো একটু সাবধানে রাখা উচিত আমাদের। যদি কোনো দোকানে ফেলে আসতেন তাতেও পাওয়া যেতো। কিন্তু এটা হয়তো রাস্তায় পড়ে গিয়েছে তাই আর পাননি। এবার থেকে চেষ্টা করবেন এই বিষয়গুলোর প্রতি আরো বেশি সচেতন হওয়ার জন্য।
হ্যাঁ আপু কাগজগুলো দোকানে ফেলে আসলে ঠিকই পেতাম। হয়তো রাস্তায় পড়েছে যার জন্য পেলাম না ।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
কেনাকাটায় এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন যে প্রয়োজনের জিনিসটাই হারিয়ে ফেললেন । ওষুধগুলো আগে কেনা না হলে তো আবার ডাক্তার এর কাছে যেতে হতো আর আম্মা যে মানুষ সহজে ডাক্তারের কাছে যেতও না । গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস যে আপনারা কিভাবে হারালেন । আর একটা জিনিস হারিয়ে গেলে কি আর খুঁজে পাওয়া যায় নাকি ।
আমাদের অসতর্কতার কারণে কাগজগুলো হারিয়ে ফেলেছিলাম ।আর যেহেতু প্রেস্ক্রিপশন ছিল তাই খুঁজতে গিয়েছিলাম যদি পাওয়া যায় ।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।