ঐতিহ্যবাহী শাহ্ সুজা মসজিদ

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago

সবাই কে আমার নমস্কার /আদাব। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আমি ও ভালো আছি ও সুস্থ আছি।
আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমার ঘোরাঘুরির কিছু মুহুর্ত। আসলে ঘুরতে গিয়েছিলাম তবে যাওয়ার যে উপলক্ষ তা দুঃখ জনক।কারন আমার বন্ধু মান্না কিছুদিন আগে যার জন্মদিন পালন করলাম সে আগে থেকেই অসুস্থ ছিল যা এখন অনেক খারাপ অবস্থায় চলে গেছে।তাই এই মসজিদে মানত ছিল একটু সুস্থ হলে নামাজ পড়বে আর সবাই কে খাওয়াবে। ও ছাড়া ও অনেকে সেখান কার লোকজনদের খাওয়ালো। আপনারা সবাই আমার বন্ধুর জন্য দোয়া /আশীর্বাদ করবেন ও যেন তারাতারি সুস্থ হয়ে উঠে।সৃষ্টির সমস্ত কিছু যেন সুস্থ, সুন্দর স্বাভাবিক থাকে।
যাই হোক সাথে বন্ধু -বান্ধবী ছিল। তাই দুঃখ করার থেকে সবাই আনন্দই বেশি করছি। কারন মন ভালো থাকলেই শরীর ভালো।


গত শুক্রবার গিয়েছিলাম মসজিদ। এটা দিনাজপুর এর ঘোড়াঘাট উপজেলার ওসমানপুর এ অবস্থিত।


আমার বাড়ি থেকে এর দুরত্ব ২০-২২ কিলোমিটার। বন্ধুরা সবাই আগে গোবিন্দগঞ্জ এসেছিল। তারপর আমি ওদের সাথে যোগ দেই এবং সিএনজি করে একদম মসজিদ এ পৌঁছে যাই। আর মান্নার বাবা -মা ও আত্নীয় স্বজন হিলি থেকে এসেছিল।
নামতেই মান্না তার স্কুল এর বন্ধুর বাড়ি নিয়ে গেল। তার বাড়ি মসজিদ এর পাশেই। কিন্তু আমরা সব ঘুরে দেখব। কারন একটু পর নামাজ শুরু হবে তখন প্রচুর ভিড় হবে।
তাই এসে আগে ছবি তুললাম। মসজিদ টি অনেক সুন্দর। এর ইতিহাস ও অনেক পুরনো। এর নকশা গুলো দেখলে মন ভরে যায়। এর চারপাশ আর সুন্দর।


এখন আমাদের ছবি তোলা শুরু। আর ওদিকে আন্টিরা রান্নার জোগার করতেছিল।


এর পর সেই বাসায় গেলাম খাবার খাওয়ার জন্য। আমি শুধু সেমাই মুড়ি খেলাম। আর অন্যরা সেমাই, মুড়ি, আলুর ডাল, মুরগী ও গরুর মাংস, ছোট মাছ চচ্চড়ি দিয়ে খেল।

আর একটি সুন্দর জিনিস এই চুলা। আধুনিক চুলার থেকেও সুন্দর।


এখন সবাই নামাজ পড়তে গেল। এদিকে সকলের জন্য রান্না হচ্ছিল।বন্ধু আমার জন্য আলাদা করে খাবার রান্না করছিল। আসলে আমিই খাই নি


এরপর গেলাম বন্ধবীর বাসায়। আসার সময় বন্ধুর বাবা ও মা অনেক কান্না করল। ওর জন্য দোয়া চাইল।


বান্ধবীর বাসায় আবার এগুলো খেলাম।


তারপর আসলাম গোবিন্দগঞ্জ। সবাইকে জোর করে আমার বাসায় আনলাম।আপ্যায়নের জন্য একটু নুডলস রান্না করল মা।

এরপর ওদের কে বগুড়ার বাসে তুলে দিলাম। আর আমি এক আকাশ পরিমান ক্ষুদা নিয়ে খাবার খেয়ে শুয়ে পড়লাম।


চারপাশের প্রকৃতি দেখে অনেক ভালো লাগল।এখানে দালান নেই বললেই চলে। চারদিকে সূর্যের এত আলো বাতাস, লাল মাটি কত
যে সুন্দর মনোমুগ্ধকর পরিবেশ।
আজ আর নয়। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে আজকের পোস্ট টি। ভুল এুটি গুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সম্পুর্ন পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে। আর আমার বন্ধুর জন্য দোয়া/ আশীর্বাদ করবেন।ও যেন দ্রুত ভালো হয়ে যায়।

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 4 months ago 

শাহ্ সুজা মসজিদ গিয়ে বেশ সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন। এবং বান্ধবীর বাসায় গিয়ে সবাই মিলে দেখি জমিয়ে খেয়েছেন। এধরনের খাবার গুলো খেতে ভীষণ মজা লাগে। চমৎকার মহূর্ত গুলো আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 4 months ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া

Posted using SteemPro Mobile

 4 months ago (edited)

শাহ সুজা মসজিদে গিয়ে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন৷ সবাই মিলে এই মসজিদের চারপাশেরম অনেকগুলো সুন্দর সুন্দর স্থানের ফটোগ্রাফিও ফুটিয়ে তুলেছেন৷ একইসাথে আপনারা সবাই বন্ধুরা মিলে যখন একসাথে এখানে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করলেন তা দেখে আমাদের অনেকটা ভালো লাগলো৷ পরবর্তীতে বান্ধবীদের বাসায় গিয়ে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷

 4 months ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 57983.59
ETH 3132.93
USDT 1.00
SBD 2.44