বাবা লোকনাথ এর পুজো।

সবাই কে আমার নমস্কার /আদাব। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন ও সুস্থ আছেন। আমি ও ভালো আছি ও সুস্থ আছি। গত রবিবার ০২/০৬/২০২৪ এ লোকনাথ বাবার তিরোধান দিবস ছিল।আর এই দিন এ বাবার পুজো করা হয়।লোকনাথ বাবা ১৭৩৫ খ্রিস্টাব্দে যশোর জেলা বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাত মহাকুমার অন্তর্গত চাকলা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাল্যবন্ধু ছিল বেণীমাধব। লোকনাথ বাবা শিবের অবতার ছিলেন। এ বছর আমি, মা ও বোন লোকনাথ বাবার পুজোতে উপাস ছিলাম।

রবিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি আগে স্নান করে বাড়ির ঠাকুর ঘরে প্রদীপ জ্বালিয়ে দেই।

তারপর আমার টিউশন ছিল, টিউশন পড়ে বারোটার সময় গেলাম ঠাকুর বাড়িতে গিয়ে দেখি বাল্য ভোগ দেওয়া হয়ে গেছে।আমি প্রনাম করে একজন কে বললাম যে এখন কি মিষ্টি ভোগ দেওয়া যাবে আর দুপুর এর ভোগের সময় অঞ্জলী দেওয়া যাবে কিনা।তিনি বলল দেওয়া যাবে আর পুজো শুরু হবে এক টায়। আমি আবার এক মিষ্টির দোকানে গেলাম আমাদের এখানে দু একটি এমন দোকন আছে, যেগুলো একবারে নিরামিষ। মিষ্টি কিনে মন্দির এ দিয়ে বাসায় আসলাম।

বাসায় এসে এত জল পিপাসা পেল কারন সেদিন প্রচুর গরম ছিল। মা, আমি ও বোন তৈরি হয়ে দেড়টার দিকে মন্দির এর দিকে রওনা দিলাম। সাথে নিয়ে গিয়েছিলাম ঠান্ডা জল।মন্দির গিয়ে অঞ্জলী দিয়ে চরনামৃত্ত খেয়ে প্রার্থনা করে ঠান্ডা জল পান করলাম। এবার সবাই কে প্রসাদ দিল আমরা তিন প্যাকেট প্রসাদ নিলাম আর আমার দেওয়া মিষ্টি থেকে কিছু মিষ্টি রেখে বাকি মিষ্টি বাসায় আনলাম। প্রসাদ এ ছিল পরমান্ন আর আলু পটল এর রসা। প্রসাদ মানেই স্বাদ লাগে আমার কাছে।

ছোট বেলা থেকে শুনি রণে বনে জলে জঙ্গলে যেখানেই বিপদে পরিবে লোকনাথ বাবা কে স্বরণ করিবে।
সৃষ্টি কর্তা যেন সকলের মনের আশা পুরণ করে।
আজ আর নয়। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে আজকের পোস্ট টি। ভুল এুটি গুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সম্পুর্ন পোস্ট টি পড়ে আপনার মতামত জানাবেন। সম্পুর্ন পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে।