ক্রিয়েটিভ রাইটিং :- আদিকালের সাহসী মানুষ।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আর তাই আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি তা হল আদিকালের সাহসী মানুষ। বর্তমান সময়ে মানুষের থেকে আদিকালের মানুষের সাহস এবং শক্তি ছিল বেশি। সেই সময় হয়তোবা আধুনিক যন্ত্রপাতি ছিল না কিন্তু তাদের বুদ্ধি এবং শক্তি দ্বারা অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। সেই অসম্ভব কাজের মধ্যে একটি কাজ যেটা আমি এক দাদার মুখ থেকে শুনেছিলাম সেটা আজকে আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। তাহলে শুরু করা যাক আমার আজকের ব্লগ......।
অনেকদিন আগের কথা, এখন জনবসতি বেশি তাই ঝড় জঙ্গল অনেক কম। আর এখনকার মানুষ অনেক কিছু বিশ্বাস করে অনেক কিছু বিশ্বাস করে না। আর বিশ্বাস করবে বা কি করে অনেক কিছু পৃথিবী থেকে বিলিন হয়ে গেছে। একটা সময় মানুষ অনেক ভীতু ছিল এবং তারা যা দেখতো বা শুনতো সেটাকে অনেক বড় মনে করতো। আর একটা বিষয় হল সেই সময় বেশ ভিন্ন ধরনের ভৌতপূর্বক কোনো ঘটনাও ঘটতো। আর সেই সময় কোন ঘটনা ঘটলে ওই ঘটনাগুলো ছিল খুব মারাত্মক। বিশেষ করে মানুষ সে সময়কার মানুষ বেশি ভয় পেত ভুতের পশু পাখি হিংস্র জীবজন্তু। কারণ তখন বনভূমি ছিল বেশি অর্থাৎ বন জঙ্গল ছিল বেশি আর এই কারণে এইসব জিনিসের উৎপাত ছিল বেশি। ঠিক সেই সময়কার একটি ঘটনা নিয়ে আজকে আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তবে ঘটনাটি সত্য ঘটনা।
আপনারা হয়তোবা একটা বিষয় আমার সাথে একমত হবেন সেটা হল এখনকার যুগের মানুষের থেকেও আগের যুগের মানুষের শক্তি ছিল বেশি। সে সময় মানুষ যে কোন জীবজন্তুর সাথে লড়াই করতো। লড়াই করতো বলতে তাদের লড়াই করে বেঁচে থাকতে হতো। সেই সময় মানুষ গবাদি পশু মুরগি হাঁস পালন করত। আর এইসব জিনিসকে হিংস্র জীবজন্তুর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তারা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতো। এই ঘটনাটি আমার দাদার মুখ থেকে শুনেছিলাম। সে সময় জনবসতি ছিল কম আর এই কারণে ঝড় জঙ্গল বেশি ছিল যার কারণে মানুষজন হিংস্র জিনিসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তারা নিজেদেরকে বেশ শক্তপোক্তভাবে সেভ জুনে রাখত। একদিন কাল অন্ধকার রাত হঠাৎ করে বাঘের গর্জন। ওই সময় বাড়ির মানুষজন সবাই জেগে ওঠে। তখন তো এমন লাইক বা আলোর ব্যবস্থা ছিল না তখনকার মানুষ হারিকেন অথবা হ্যাচান দিয়ে আলো জ্বালিয়ে রাখতে। একটু দূরে জিনিস দেখতেও পারত না। বাড়ির কয়েকজন পুরুষ মানুষ এগিয়ে গেল। কিন্তু সেখানে তারা কোন কিছুই দেখতে পেল না।
কয়েকদিন পর আবারো এমন একটা গর্জন শুনলো। এবার আমার দাদা এবং কয়েকজন মানুষ বেশ ভালোভাবে খুঁজতে লাগলো। হঠাৎ দেখতে পেল একটা মেছো বাঘ। এ বাঘটি ঘোরাফেরা করেছিল গোয়ালের আশেপাশে। আর ঘোরাফেরা করার কারণ ছিল কিছুদিন আগে একটা গরুর বাছুর হয়েছিল। আর সেটাকে খাওয়ার জন্য এসেছিল। ঐদিন তাকে যদি বা তাড়া দেয় এবং সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এভাবে বেশ কয়েকদিন জ্বালাতন শুরু করে। এভাবে আর কয়দিন তাকে ঠকিয়ে রাখবে তাই তার একটা হাত তৈরি করল। কাঠ দিয়ে তৈরি এই ফাঁদ দ্বারা গোয়ালের মুখে দিয়ে রাখত। এভাবে কয়দিন যেতে যেতে হঠাৎ একদিন সে দূরে গোয়ালের মধ্যে প্রবেশ করতে যায় আর অমনিতে এসে ফাঁদে সে পা দেয়। বাঘটি আটকে যাই এবং তাকে ধরে মেরে ফেলা হয়। বর্তমান সময়ে কিন্তু মানুষ এমন সাহস সহজে দেখাতে পারবে না। আসলে সাহস দেখাবে কি এখন তো সময় হিংস্র জীবজন্তু গুলো সেভাবে গ্রাম-গঞ্জে আসেনা। বলতেই হয় এগুলো অনেকটা বিলুপ্ত।
সেই সময়ের মানুষগুলো বাঘ দেখে ভীষণ ভয় পেত তবে একটা জিনিস আপনারা মনে রাখবেন হয়তোবা বাঘের কথা বলছি কিন্তু সে সময় অনেক বাদ গ্রাম অঞ্চলে ঘোরাফেরা করতো। এই বিষয়টা অবশ্য দাদা আমাকে বলেছিল। তাদের মুখে অনেক গল্প শুনেছি অনেক গল্প রয়েছে যেসব গল্পগুলো সত্যিই অনেক ভয়ও লাগে এবং মনে হয় যেন যে এই সমস্ত জিনিসগুলো তখন হতো। আসলে আমরা এখন সভ্য সমাজে বসবাস করছি তাই সব জিনিসগুলো এখন তেমন দেখা যায়না গ্রাম অঞ্চলে যদিও দেখা যায় তাও সেগুলো চিড়িয়াখানায়। তাই সেই সময় গল্পগুলো শুনলে নিজেদের কাছে বেশ আজব লাগে।
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | মেহেরপুর |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1827334965803282879?t=5492MpFwOcZP0dPFAB5fyQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.