লাইফ স্টাইল :- বিভিন্ন প্রকারের খাবার খাওয়ার অনুভূতি।

in আমার বাংলা ব্লগ5 months ago
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। গত কয়েকদিন আগেএকটা গ্রামে মেলা বসছিল সেই মেলায় গিয়েছিলাম। প্রতিবছরে সেখানে মেলা বসে কিন্তু আমি কখনো সেখানে যাই নাই। হঠাৎ করে একটা কাজের জন্য গিয়েছিলাম। সেখানে কাজটাও করা হলো আবার মেলাও দেখা হলো। মেলাতে বিভিন্ন রকমের জিনিস বেচাকেনা হয়েছিল। সেখানে অনেক জায়গায় ঘুরেছি খেয়েছি। তার মধ্য থেকে আজকে আমি আচার বারগার পেটুক বাড়ির ঝাল ফ্রাই ইত্যাদি খেয়েছি। আর আজ সেই বিষয়টি আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...


এত সপ্তাহে আমি আপনাদের মাঝে কয়েকটি খাবার খাওয়ার মুহূর্তটা শেয়ার করেছিলাম। আজকেও আরো কিছু ভিন্ন ধরনের খাবার খেয়েছিলাম সেগুলো আবারো আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে যাচ্ছি। আজকে যে খাবারগুলো খেয়েছিলাম তার মধ্যে অন্যতম ছিল হচ্ছে বার্গার। আসলে গ্রাম অঞ্চলে মেলাগুলোতে যে বার্গার তৈরি করছে এটা আমার কাছে একটু অবাক লেগেছিল। আমরা সেখানে গেলাম যিনি তৈরি করছিল ওই সময় উনি টাকা গুনছিল। ওনার টাকা গুনা দেখে বুঝতে পারলাম বেশ ভালো বেচাকেনা করছে। তিনি কয়েকটি খাবার তিনি বিক্রি করছেন এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছে বার্গার, চিংড়ির চপ ও ডিম পাউরুটি। আমার সাথে জেনে ছিলেন আমি তাকে বলেছিলাম যে খাওয়ার কথা কিন্তু বার্গার তার ভালো লাগেনা। বার্গার খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। তবে এরা যে বার্গার টি তৈরি করেছে এর মধ্যে যেসব উপকরণ দেওয়া হয়ে থাকে সেগুলো দেখলাম না। আর এরা এখানে সাধারণ সস ব্যবহার করেছে। বার্গার খাওয়ার জন্য যে আসল সস দরকার অর্থাৎ যেটা বার্গারের বাড়িয়ে দেবে সেই সসগুলো এখানে ব্যবহার করা হয়নি। তাই আমরা সেখান থেকে একটু পাশের দিকে চলে আসি।


আপনারা দেখতে পারছেন বিভিন্ন রকমের প্লে কার্ডের উপর কিছু লেখা রয়েছে। হয়তোবা আপনারা বুঝতেই পেরেছেন লেখা দেখে এগুলো কি? জি, হা এগুলো হলো ভিন্ন ভিন্ন ধরনের আচার। এই আচার গুলো দেখে আমার অনেক দিন আগে ঢাকায় আচার খেয়েছিলাম সেগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। বরাবরই আমি আচার খেতে ভীষণ পছন্দ করি। বিশেষ করে তেতুলের আচার তো আমার খুবই প্রিয়। একটা মজার কথা মনে পড়ে গেল, একবার আমার এক গার্লফ্রেন্ডের মা তেতুলের আচার বানিয়ে ফ্রিজে রেখেছিল। তাদের বাসায় গিয়ে সেটা দেখে তো অর্ধেক আমি খেয়ে ফেলেছিলাম। আমার খাওয়া দেখে আমার গার্লফ্রেন্ড তো রীতিমত অবাক। যাইহোক এখানে ভিন্ন পদের আচারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, তেতুলের আচার, জলপাই আচার, চেরি ফলের আচার, বরুই আচার, কামরাঙ্গা আচার, পাঁচমিশালী আচার, গাজরের আচার, মরিচের আচার, এবং সর্বশেষে চালতার আচার। এত পদের আচার দেখে তো মনে হয়েছিল কোনটা রেখে কোনটা খাবো। প্রথমে আমি সবগুলোকে একটু পর্যবেক্ষণ করে দেখলাম। আচারের আইটেম গুলো অনেক বেশি হলেও এর স্বাদ গুলো খুব একটা ভালো ছিল না। তবে যেহেতু তেতুলের আচার বেশি পছন্দ করি, তাই তেতুলের আচার এবং চালতার আচার নিলাম। দামটাও দেশ চওড়া চারশত টাকা কেজি। তো আমরা এখান থেকেই দুই প্রকারের আচার নিয়ে চলে আসলাম।


এখান থেকে আসার সময় লক্ষ্য করে দেখলাম একজন ফল বিক্রেতা ফল বিক্রি করছে। আসলে এই মেলাটি এতই বড় আর এত মানুষের সমাগম। বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন প্রকারের জিনিস বিক্রি করার জন্য চলে এসেছে। এই মেলার পুরা জায়গা জুড়ে যদি আপনাদেরকে দেখাতে পারতাম তাহলে আপনারা বুঝতে পারতেন এই মেলাটি আসলে কত বড়। যেহেতু ফল স্বাভাবিকভাবে আমরা যেকোনো জায়গায় পেয়ে থাকি তাই এর প্রতি আমাদের খুব একটা আকর্ষণও ছিল না। আমরা সব সময় ভিন্ন ধরনের কোন খাবার আছে কিনা সেগুলো খুঁজে ব বেরিয়েছি এবং খেয়েছি। কারন আমরা এতোটুকু বুঝতে পেরেছিলাম এত বড় মেলাতে নিশ্চয়ই ভিন্ন ভিন্ন ধরনের খাবার আসবে। যেগুলো আমরা সচরাচর খেতে পারিনা। ফল বিক্রেতার পাশ দিয়ে গিয়েছিলাম তাই একটি ফটোগ্রাফি করেছিলাম। তিনি কিন্তু বিভিন্ন ধরনের ফল বিক্রি করছেন এখানে। আর ফলের মধ্যে সব সময় উল্লেখযোগ্য আঙ্গুর লেবু আপেল ইত্যাদি ফলগুলো তিনি বিক্রি করছেন এখানে।


এখান থেকে চলে আসার পরে ঠিক একটু সামনে এসে দেখলাম পেটুক বাড়ির ঝাল ফ্রাই একটি পোস্টারে বড় করে লেখা রয়েছে। লেখাটি দেখে প্রথমে আমি হেসে পড়েছিলাম। আসলে যে কোন ব্যবসায়ের বিজ্ঞাপন একটা বড় জিনিস। বিজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে নিজের বিক্রি বাড়িয়ে নেওয়া যায়। প্রথমে পোস্টারের এই লেখা দেখে ভেবেছিলাম বিভিন্ন ধরনের খাবার এখানে পাওয়া যাবে বেশ মজা করে খাওয়া হবে। তাদের পোস্টারে কিন্তু বিভিন্ন প্রকারের খাবারের নাম লেখা ছিল। কিন্তু যখন তাদের খাবারের ঘরের সামনে গেলাম গিয়ে দেখলাম পিয়াজও, আলুর চপ, ধনিয়া পাতা চপ, বেগুনের চপ, চিংড়ির চপ, এই খাবার গুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাদের খাবার গুলো দেখে আমার মনে হয়ে গেল যত গর্জে তত বর্ষে না তেমন একটা বিষয়। ভেবেছিলাম বিভিন্ন খাবার থাকবে একটু মজা করে খেতে পারবা নি কিন্তু দেখলাম যে খাবার গুলো এগুলো তো আমি এর আগেই খেয়ে আসলাম। তাই সেখান থেকে আর খাওয়ার কোন পরিস্থিতি ছিল না। ভিন্ন ধরনের খাবার গুলো যদি থাকে তাহলে খেতে ভালো লাগে। সব থেকে বড় কথা গ্রাম্য মেলা আর এখানে মানুষ কতটুকুই ভালো কিছু আনবে। আর শহরের অঞ্চলে যেসব খাবার গুলো তৈরি হয় এই খাবার গুলো গ্রামের মানুষ খেতে পারে না। হয়তোবা এই কথার সাথে আপনারা একমত হবেন।


ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।


আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ডিভাইস poco M2
লোকেশন https://w3w.co/scorched.plants.jagged


👨‍🦰আমার নিজের পরিচয়👨‍🦰


1666192548913_1666192548801_1666192548599_1666192548416_1666192548270_1666192548091_1666192547839_1666192547665_1666192022150.jpg

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।


Logo.png

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )


4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzLdXDsNijBKWNGJn5ogmozSiA7cyReMsKwomyC79dv8nHgZj3RKbXhPtULzHviAUBY9Vc8ousmvcnNywqK...hMHPzmtXdqcE25kuBukgtAciNVXSHonSRqmAmfHf9YgyuYwwZo1Nd9dUCogeVvSsKh3MRCxw1Khi2NyeZh4Rt4J9n7wTsZvJ1tiUMafwrMjZ5AQz2ERchsjjJv.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPxFqYAEtmnwbJrshP4Tdaov4BmxkXJqLhx2USjht6Vy2soth7e34k1TKBQ2RZ2vXNJBF8X9uKH9aLNKFV...xU6W1ggWaLoBhkXz82k34bfNqfnFypapZe2oHzEHELJzLj6msr2RorLQSivfSXJaPiBZmUdQYzewFKsaGxDCyC6yRhEDYu8mNwzeEnkjmmjmpLrQEyQZKZnCTp.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 5 months ago 

আসলে শহরের দিকে মেলাগুলোতে যেসব খাবার তৈরি হয় ওই জাতীয় খাবার গুলো গ্রামের লোকেরা খেতে পারেনা এটা ঠিক আছে তার কারণ হলো সে খাবার গুলোর দাম অত্যন্ত চলা পরিমাণের হয়। যাইহোক আপনি মেলাতে খুবই সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আপনার গার্লফ্রেন্ডের বাসায় গিয়ে আপনি এতগুলো আচার খেয়ে ফেলেছেন এটা পড়ে তো আমি রীতিমতো হেসে ফেলেছিলাম। আমার মনে হচ্ছে আপনি তো আসলে আনসারের আচ্ছা খাদক ভাইয়া 😁। আর মেলাতে তেতুল এবং চালতার আচার খেয়েছিলেন এগুলো দামও তো মোটামুটি দেখছি চড়া মাপের ছিল ৪০০ টাকা কেজি। গ্রামীণ মেলার বেশ কিছু সুন্দর মুহূর্ত আমাদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন তার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 5 months ago 

শহরে খাবার গুলো গ্রামের মানুষ খেতে পারে না এর অন্যতম কারণ কিন্তু দাম এবং এসব খাবার গুলো একটু ভিন্নভাবে তৈরি হয় যা গ্রামের মানুষেরা খেতে মোটে অভ্যস্ত না। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

জায়গাটি চেনা চেনা লাগতেছে। জায়গাটি মনে হচ্ছে আমাদের এলাকার বাওটের। এই মেলাটি ঐতিহ্যবাহী মেলা ২০০ বছর ধরে প্রচলিত। তেতুলের আচার আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগে। গ্রাম অঞ্চলে বার্গার সত্যিই বেশ অবাক করার মত কিন্তু খুব একটা ভালো লাগে না। এই বার্গার গুলি খেতে। এই মেলায় হরেক রকমের আইটেম পাওয়া যায়। আমিও গিয়েছিলাম বেশ কদিন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

এই বিষয়টি বেশ ভালো লাগলো খুব কম সময়ের মধ্যে নিজের এলাকাকে চিনতে পেরেছেন। আমি তেঁতুল খেতে ভীষণ পছন্দ করি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

আমিও যে কোন মেলাতে গেলে বিভিন্ন খাবার আইটেম গুলো টেষ্ট করি। আপানার পেটুক বাড়ির ঝাল ফ্রাই দেখে হাঁসি পাচ্ছে। নামটা দিয়েছে দারুন। মেলায় ঘুরে অনেক কিছু খেয়েছেন। অনুভূতি দারুন ছিল। ধন্যবাদ।

 5 months ago 

প্রথমে আমিও নামটি দেখে ভীষণ এসেছিলাম। কিন্তু পরে সেখানে গিয়ে দেখলাম তেমন কোন খাবার নেই। শুধু নামের দিকেই ষোল আনা খাবারের দিকে জিরো।

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

খুবই সুন্দর একটি অনুভূতি শেয়ার করেছেন আপনি৷ আসলে ভিন্ন ভিন্ন খাবার খেতে আমাদের সকলেরই ভালো লাগে৷ আজকে যেভাবে আপনি কিছু খাবার একসাথে খাবার অনুভুতি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন তা একেবারে অসাধারণ হয়েছে৷ এখানে খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিও আপনি ফুটিয়ে তুলছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷

 5 months ago 

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.15
JST 0.031
BTC 61123.62
ETH 2642.27
USDT 1.00
SBD 2.59