লাইফ স্টাইল :- আবারো কুষ্টিয়া সনোটাওয়ারে।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। বর্তমান সময়ে যে আবহাওয়া চলছে তাতে মানুষের অসুখ হবে এটাই স্বাভাবিক। এটা তার কমন ব্যাপার গেল। এছাড়াও অন্য কোন কারণে নিজের পরিবার প্রায় অনেকদিন ধরে অসুস্থ। সকাল বিকাল দুপুর নেই যে কোন সময় হাসপাতাল বা ক্লিনিকে যেতেই আছি। দুইদিন আগে কুষ্টিয়া সনো টাওয়ার গিয়েছিলাম। ডাক্তার বাড়িতে যাওয়া নিয়ে আমার আজকের ব্লগ ...।
বেশ কিছু দিন বললেও ভুল হবে প্রায় এক মাস ধরেই বলা যায় যথেষ্ট ভোগান্তির মধ্যে চলল। পরিবারে কেউ অসুস্থ থাকলে মনে হয় যেন সব কিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। আপনি কোন কাজ করবেন আপনার কাজে মন বসবে না। আপনি যাই করেন না কেন মনে শান্তিটা কখন আসবে না। সকাল দশটার দিকে গিয়েছিলাম গাংনি সেখান থেকে ডাক্তারকে দেখালাম। ডাক্তার দেখানোর পরে তার সমস্যা এতটাই বেশি বেড়ে গিয়েছিল ডাক্তারের সাথে সাথে রিফান্ড করে বলেএখনি কুষ্টিয়া চলে যান। এরপরে আবার বাড়িতে এসে দ্রুত যেগুলো নেয়ার দরকার নিয়ে কুষ্টিয়ার পথে রওনা হলাম। সেখানে থেকে পৌঁছাতে দুই ঘন্টা লেগে গেল। অবশ্য সেখানে প্রধান কাজ ছিল একটা রিপোর্ট তৈরি করে এই রিপোর্টে ঠিক আছে সেটা জানার জন্য ডাক্তার আমাকে দ্রুত পাঠিয়েছিল।
আমি যখন কুষ্টিয়াতে পৌঁছায় তখন বাজে সাড়ে তিনটা। পৌঁছানোর পরে আমি সনোতে চলে যাই সেখানে পৌঁছানোর পরে রিসিপশনে আমি আমার ফাইলটা দেয়। ফাইল দেওয়ার পরে তারা আমাকে জানাই পনেরশো টাকা নেবে। কথা না বাড়িয়ে টাকা বের করে দেয়। এরপরে আমি ডাক্তারের সম্পর্কে কিছু কথা জিজ্ঞাসা করি। কারণ সেখানে দুইজন আলট্রাসনো করে একজন খুবই খুবই ভালো এবং তিনি সেই এই বিষয়ে পারদর্শী বেশি কিন্তু উনি বৃহস্পতিবারে দেখেন এবং সোমবারে। দিনটা বৃহস্পতিবার ছিল কিন্তু দেখলো না। পরবর্তীতে সুমনা ম্যাডামের কাছে দেখানোর সিদ্ধান্ত নিলাম।
এরপর নিচতলা থেকে আমাকে পাঠানো হলো সাত তলায়। রোগীর সাথে করে গিয়েছিলাম, তার হেঁটে সাত তলায় ওঠা সম্ভব না। তাই আমরা লিফট ব্যবহার করেছিলাম। আধুনিক যুগ মানুষের কত সহজ জীবন যাত্রা। কোন রোগীর সম্ভাব না সাত তলা পর্যন্ত ওঠাব এবং নামা করা। কিন্তু লিফটের কারণে খুব সহজে তারা উঠানামা করতে পারছে এবং রোগীদের জন্য এটা খুবই ভালো একটা বিষয়। সেখানে গিয়ে দেখি অনেক রুগী ছিল। এরপর রুমের মধ্যে থেকে একজন মহিলা আসলো এবং কাগজগুলো নিল সিরিয়ালে দেওয়ার জন্য। প্রায় এক ঘন্টা দাঁড়িয়ে ছিলাম। এরপরে আমার রোগীকে ডাকা হল। সে ভিতরে গেল প্রায়ই আধা পনেরো মিনিট ধরে তাকে নিয়ে আলোচনা করেছিল। তার দেরি করা দেখে বাইরে আসার পর আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম এত দেরি হল কেন? আমাকপ বলছিলো ডাক্তার আমাকে দেখে বলছিল এমন রোগী তো খুব কম দেখা যায়। এমন সমস্যা এর আগে আমি কোন রোগীকে দেখি নাই।
এখানে যে আল্ট্রাসোন করেছিলেন তার নাম সুমনা। গতবছর আমি কয়েকবার এই ডাক্তারকে দিয়েই আল্ট্রাসোন করেছিলাম। তিনি কিন্তু বেশ দক্ষ এবং রোগীদের সাথে বেশ যথেষ্ট সময় দিয়ে কথা বলেন। আলট্রাসোন করার পরে অনেকক্ষণ পরে রিপোর্ট আসলো। রিপোর্ট আসার পরে ওখানে যে মহিলাটা ছিল আমি ওনাকে বলেছিলাম ডাক্তারের সাথে আমি কিছু কথা বলব। এরপরে তিনি ডাক্তারকে বলার পরে ডাক্তার অনুমতি দিয়েছেন এবং আমি ভিতরে গিয়েছিলাম। আমি বিস্তারিত যখন আলোচনা করতে লাগলাম তখন ডাক্তার অবাক হয়ে আমার কথা শুনছিল। তিনি বলেই ফেললেন অনেক ক্রিটিকালি সব ব্যাপার। আসলে এ বিষয়গুলো আমি এভাবে বুঝতে পারব না। কারণ আমি একজন সোনোলজিস্ট । আপনি যে ডাক্তারকে দেখাচ্ছেন উনাকে দেখান উনি সব কিছু বলতে পারবে। এরপর আমরা সেখান থেকে বিদায় নিলাম। আসার সময় একটা রেস্টুরেন্ট ঢুকেছিলাম। বেশ মজার মজার কিছু খাবারও খেয়েছিলাম। এরপরে বাড়ি ফিরতে আমাদের প্রায় নয়টা বেজে যায় রাত। ভীষণ গরম সব মিলে খুবই খারাপ একটা অবস্থা। এর মধ্য থেকে সব থেকে স্বস্তির বিষয় হলো যে রিপোর্ট এসেছিল রিপোর্টটা ভাল এসেছিল। আজকে প্রায় বিশ পঁচিশ দিন যে কষ্ট করছিলাম তার মধ্যে এটাই ছিল স্বস্তির একটা বিষয়।
ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | https://w3w.co/undress.bucks.sang |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1800112903405830187?t=mcynLl6CaxBrnaRfq1RzkA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
রিপোর্ট দেখাতে গিয়ে বেশ কিছু জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছে। হাসপাতাল গুলোতে অনেক রুগী থাকে এজন্য অনেক সময় লাগে। যাক অবশেষে আল্লাহর রহমতে রিপোর্ট ভালো এসেছে এটা জেনে ভালো লাগলো। দোয়া করি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন ইনশাআল্লাহ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপুকে নিয়ে কুষ্টিয়াতে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন। আপু কে খুবই ভালো এবং দক্ষ একজন ডাক্তার দেখাচ্ছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। তবে এটা শুনে আরও বেশি ভালো লাগলো যে ২৫ দিন কষ্ট করার পরে একটি স্বস্তির রিপোর্ট পেয়েছেন হাতে। দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা যেন মা ও সন্তানকে সুস্থ রাখে।
মাঝখানে খুব ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে সময় গুলো পার করছিলাম। আসলে বাড়ির মানুষ অসুস্থ থাকলে তো ভালো লাগেনা। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভাইয়া আপনি তো দেখছি অনেক ভোগান্তির মধ্যে ছিলেন। হসপিটালে দৌড়াদৌড়ি আল্টাসনোগ্রাম করা সবকিছু মিলে অনেক ঝামেলার মধ্যে ছিলেন। আসলে পরিবারের কেউ অসুস্থ থাকলে ভোগান্তি অনেক বেশি হয়। ফেরার পথে মজার মজার খাবার খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।
দীর্ঘ সময় ধরে এই ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে পার করলাম আপু। বর্তমান সময়ের প্রত্যেকটা বাড়িতে রোগের ভোগান্তি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কুষ্টিয়ার সোনোটাওয়ার বেশ বিখ্যাত ।এখানকার চিকিৎসা পরীক্ষা মেশিনগুলো ভালো হয়।হাসপাতালে গেলেই ভোগান্তি এটা মানতেই হবে ভাইয়া।তারপরেও রিপোর্ট ভালো এসেছে এটাই শান্তি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
নিজেদের মধ্যে রোগী থাকা মানে কষ্ট। আর হাসপাতালে যাওয়া মানে ভোগান্তির শেষ নেই। জি আপু শেষ পর্যন্ত রিপোর্টটা ভাল পেয়েছিলাম এটাই স্বস্তির বিষয় ছিল।
ফেমিলি বা পরিবারের কোন সদস্য অসুস্থ থাকলে কিছু ভালো লাগে না। সেটা আমরা বুঝি ভাইয়া। কারন সবারই ফেমিলি আছে। যায়হোক অবশেষে রিপোর্ট যে ভালো এসেছে, এটা জেনে ভালো লাগলো। আশা করি খুব তারাতরি সবকিছু সমাধান হয়ে যাবে। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।