বিগত সময় কয়েকটা ম্যাচ দেখেছি প্রত্যেকটা ম্যাচের একই অবস্থা। খেলার প্রথমের দিকে ইন্টারমিয়ামি প্রথমেই গোল খেয়ে বসে থাকে। এই বিষয়টা আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। কারণ তারা কোনভাবেই প্রথমে বিপরীত দলের সাথে সেভাবে পেরে ওঠে না। এক কথায় বলতে হয় তারা যেভাবেই হোক প্রথমে একটা গোল খাবেই। আজকের এই ম্যাচে ঠিক তার ভিন্ন কিছু নয়। আজকেও তারা ২৯ মিনিটের পর একটি গোল হজম করে। তবে বলতেই হয় প্রথমের দিকে গোল খেলেও তারা দলের ব্যালেন্স ঠিক রাখে।

এরপরে প্রথম হাফে আর কোন গোল হয় না। হাফ টাইমের পরে ঠিক দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যেই রোজাস এর গোলে তারা সমতা ফেরায়। এখানে যে গোলটি হয়েছে সত্যিই দৃষ্টিনন্দন একটি গোল। অনেক দূর থেকে একটি সট নেয় এবং গোলটি হয়। গোলরক্ষককে দেখা ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না। অনেক চমৎকার একটি গোল। আর এই গোলটির এসিস্ট করে লিওনেল মেসি।

এরপর দ্বিতীয় গোলের অপেক্ষা বেশিক্ষণ করতে হয়নি তাদের। লুইস সুয়ারেজের পাস দিয়ে বল পাই মেসি এবং সে বলটি গোল করতে একটুও ভুল করেনি। এই গোলটিও খুব সুন্দর একটি গোল হয়েছে। কিছু সময়ের মধ্যেই তারা এক গোলে এগিয়ে যায়। বলতেই হয় এই দলের মধ্যে দারুন একটি কম্বিনেশন রয়েছে। যেটা দলকে মানসিকভাবে সর্বসময় এগিয়ে নিয়ে যায়।

এরপরে লুইস সুয়ারেজের চমক। মাঝ মাঠ থেকে বল পায় মেসি, সেই বল একাই টেনে নিয়ে এসে ডি বক্সের মধ্যে বল ফেলে দেয় সুয়ারেজ এর কাছে। সুয়ারেজ চমৎকার ভাবে সে গোল করে। আর এই গোলের মধ্য দিয়ে তারা তিন এক গোলে এগিয়ে যায়। যে দলটি প্রথম দিকে একটি গোল খেয়ে বসে সেই দলটি পুনরায় কাম ব্যাক করা এত সহজ নয়। সত্যি দারুন খেলছে তারা।

এরপরে আবারো গোল। মেসির কম্বিনেশনের চমক। আবারো বল মেসির পাস থেকে গোল। হাফ টাইমে পরে খেলাটা যেন সব কিছুই উল্টো হয়ে গেল। আসলে এরপর থেকে এমন ভাবে গোল হতে লাগলো মনে হয়েছিল হাইলাইটস দেখছি। তারা খুবই আক্রমণাত্মক খেলছিল এবং সেই খেলার জন্য তারা বেশ বারবার ফল পেয়েছিল। দলের জন্য এটি ৪ নম্বর গোল এবং মেসির জন্য এটি ৪ নম্বরে এসিস্ট। অর্থাৎ চারটা গোলেরে তার অবদান রয়েছে। এ বয়সে এমন খেলাটা সত্যিই অনেক দারুন ব্যাপার।

এভাবে চলতে থাকে তাদের গোলের মিছিল। এরপরে আরো দুটি গোল হয়। যে দুটি গোল করেন লুইস সুয়ারেজ এবং এই গোলের এসিস্ট ছিলেন লিওনেল মেসি। এই ম্যাচে একটা বিশ্ব রেকর্ড করেছেন তিনি। মোট গোল হয়েছে ৬টি আর এই ছয়টি গোলের সাথেই তার সম্পৃক্ত। অর্থাৎ গোল করেছেন একটি আর পাঁচটি গোলের আসিস্ট তিনি। এর আগে বিশ্ব দেখেছে একাই পাঁচ গোল কি করে করতে হয় এবার আবারো দেখল কিভাবে একাই পাঁচটায় আসিস্ট করা যায়। আর এগুলো কিংবদন্তি ছাড়া কারোর দ্বারা সম্ভব হয় না। খেলা এক্সট্রা টাইমের শেষের দিকে রেড বুলস একটা প্লানটি পায়। আর এই প্লানটি থেকে তারা তাদের দ্বিতীয়তম গোলটি পায়।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।