ভিন্ন ধরনের কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি।
আমি @tuhin002
বাংলাদেশ থেকে।
৩০ ফাল্গুন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।
০৩ রমজান ১৪৪৫ হিজরি। ১৪ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।
আপনারা এখানে যে গাছটি দেখতে পারছেন এর নাম হলো বাগান বিলাস। এই গাছটি মানুষ অনেক শখ করে লাগিয়ে থাকে। বাড়ির গেটের সামনে কিংবা খুব সুন্দর একটা পরিবেশে এই গাছটি বেশি লাগিয়ে থাকে। নার্সারিতে অনেক গুলো গাছের মধ্যে এই গাছটির উপর আমার চোখ পড়লো। বাগান বিলাস গাছ দিয়ে লাভ তৈরি করেছে। দেখতে কিন্তু ভীষণ ভালো লাগছে। এ সৌন্দর্য আরো বাড়বে যখন এ ফুল ফুটবে। এখনো যদিও ফুল ফুটে নাই তারপরও দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগছে। আর এই সৌন্দর্য আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম আশা করি প্রত্যেকের এটা ভালো লাগবে।
এখানে আপনারা যে জিনিস গুলো দেখতে পারছেন এগুলো হল ছোট ছোট পাত্র। এই পাত্রের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্যাকটাস লাগিয়ে রেখেছে। যদি ওই ক্যাকটাস গুলো খুবই ছোট। পরিপূর্ণ একটা বয়সে এই ক্যাকটাস গুলো যাবে তখন বড় হবে এবং দেখতে ভীষণ ভালো লাগবে। সারিবদ্ধ ভাবে এগুলোকে রেখে দিয়েছে এই ফুলের নার্সারির মধ্যে। ওখানে একটা ভাই ছিল তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম তিনি বলেছিলেন এই সময়ে এর চাহিদা অনেক বেশি তাই বেশি বেশি করে উৎপাদন করছি।
এই ফুলটি সবাই চিনে থাকবেন। এটি হলো গোলাপ ফুল। বহু প্রজাতির গোলাপ ফুল রয়েছে এর মধ্যে সবথেকে বেশি সৌন্দর্য হলো লাল গোলাপ ফুল। প্রায় 100 প্রকারের গোলাপ ফুল রয়েছে তার মধ্যে আমাদের বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য চাষ হয় লাল সাদা গোলাপি ইত্যাদি রঙের গোলাপ ফুল গুলো বেশি চাষ হয়ে থাকে। নার্সারীর মধ্যে বেশ কিছু গোলাপ ফুল দেখেছিলাম তার মধ্যে লাল গোলাপ ফুল আমার বেশি ভালো লাগে তাই লাল গোলাপের একটি ফটোগ্রাফি করলাম। আর সে ফটোগ্রাফিটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম আশা করি গোলাপ ফুলটা আপনাদের ভালো লাগবে।
কিছুক্ষণ আগে আমি ক্যাকটাসের কিছু বর্ণনা দিয়েছি। সেখানে সব ক্যাকটাস গুলো খুব ছোট ছোট। কিন্তু তার পাশাপাশি অনেক বড় বড় ক্যাকটাস রয়েছে। তার মধ্যে আমি একটি ফটোগ্রাফি করেছি। যখন আমি ফটোগ্রাফি করেছিলাম তখন দেখে একটু অবাক হয়েছিলাম। এর গায়ে এত পরিমাণ কাটা। কিন্তু কাটার মাঝেও যে অনেক সৌন্দর্য থাকে তা এটাকে দেখলে বোঝা যায়। যখন এটাতে ফুল ধরবে তখন এই সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পাবে। এটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আর এগুলো কিন্তু বেশ চওড়া দামে বিক্রি করে থাকে তারা।
আপনারা এখানে যে ফটোগ্রাফিটা দেখতে পারছেন হয়তোবা অনেকেই মনে করছেন যে পানির উপরে শ্যাওলা ভেসে বেড়াচ্ছে। আসলে কিন্তু তা নয় শেওলা গুলো পানির নিচে জন্মিয়েছে। এর পাশে কিছু খরশালা মাছ ছিল। এই মাছগুলো এতটাই চাল ফটোগ্রাফি করার সময় পালিয়ে গিয়েছিল। গড়াই নদীতে পানি একেবারেই কমে গেছে নিচে বালি এবং বালির উপরে কিছু শেওলা জন্মেছে। সেই শেওলার ফটোগ্রাফি আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম আশা করি দেখে ভালো লেগেছে আপনাদের।
গড়াই নদীর তীর একসময় এত পরিমাণ পানি ছিল যে তার খরস্রত দেখলে মানুষ ভয় পেত। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে আজ সবকিছুই বিলুপ্তের পথে। নদীর মাঝে একটা ঘর দেখতে পাচ্ছেন আসলে এখানে ফেরির যেসব ডাইভার এবং কর্মীরা আছেন তারা এখানে থাকেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে নদীতে আর পানি নেই, তাই এখানে তেমন মানুষ থাকে না। এক কথায় বলা যায় এগুলো সব পরিত্যক্ত ভাবে পড়ে আছে। আমি লক্ষ্য করে দেখলাম এখানে পানি নেই বললেই চলে। খুবই অল্প পরিমাণ পানি এই গড়াই নদীতে রয়েছে। তবে আশা করছি এই বছরে যে তাপমাত্রা হওয়ার কথা রয়েছে সেই তাপমাত্রা যদি পড়ে তাহলে সেই পানিটুকু শুকিয়ে যাবে। চারদিকে শুধু ধু-ধু মরুভূমি বালি উড়বে এই গড়াই নদীতে।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ আজকের মতো শেষ করছি। |
---|
ডিভাইসের নাম | Poco |
---|---|
মডেল | M2 |
ফটোগ্রাফার | @tuhin002 |
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | https://w3w.co/caution.news.presenting |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1768200998479388965?t=i-KTaIMBT67-pho5QL0MPg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি নার্সারি এবং গড়াই নদীর তীর থেকে খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন। প্রথম ফটোগ্রাফির বাগান বিলাস গাছটি বেশ ভালো লাগছে দেখতে। বেশ কিছু ক্যাকটাসের চারা দেখতে পেলাম। ক্যাকটাস আমার ভীষণ পছন্দ। আমি আমার বাসার বারান্দায় বেশ কয়েক ধরনের ক্যাকটাস লাগিয়েছি। পানির নিচের ফটোগ্রাফি টিও দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
নার্সারিতে এবং গড়াই নদীর তীরে গিয়ে খুবই ভালো লেগেছিল আরো বেশি ভালো লেগেছিল নার্সারি ফুল গুলো দেখে। সব মিলে খুবই ভালো ছিল ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মাঝে মাঝে ফটোগ্রাফি করার জন্য আমি নিজেও বিভিন্ন নার্সারিতে যাই।আর খুব চমৎকার ফটোগ্রাফি করতে পারি সেখানে গেলে। কারণ বিভিন্ন রকম ফুল দেখতে পাওয়া যায়। যাই হোক চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন এবং ফটোগ্রাফি গুলো খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
দারুন কিছু ফটোগ্রাফি করলেন আপনি অনেক ভালো লেগেছে। এক সাথে যখন এতগুলো ফটোগ্রাফি দেখার সুযোগ হয় অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে গোলাপ ফুলের ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর হয়েছে। এছাড়া ও ফ্রেশ পানির উপরে জাহাজের ফটোগ্রাফিটা খুবই সুন্দর ছিল। ক্যাকটাসের ফটোগ্রাফি খুব সুন্দরভাবে নিলেন। অনেক ভালো লেগেছে প্রতিটি ফটোগ্রাফি ধন্যবাদ।
আসলে আপু গোলাপ ফুলের সৌন্দর্য প্রত্যেকটা মানুষকে বিমোহিত করে। ওখানে যে নার্সারি টা ছিল সেখানে প্রচুর পরিমাণে ক্যাকটাস ছিল। ফটোগ্রাফি গুলো আপনার বেশ ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
বেশ কয়েকটি সুন্দর সুন্দর রেনডম ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। তার প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আমার কাছে গাছ ও ফুলের ফটোগ্রাফি গুলা বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি মাঝে মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ফটোগ্রাফির করতে আমার বেশ ভালো লাগে। তাই চেষ্টা করেছি কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনার ফটোগ্রাফি বেশ অসাধারণ হয় ভাই। সু স্বাগতম
আপনি বেশকিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন আজ।আপনার আজকের রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনি সুন্দর বর্ননার মাধ্যমে ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করেছি আপু সুন্দর ফটোগ্রাফির পাশাপাশি সুন্দরভাবে বর্ণনা করে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি আজকে বেশ কিছু রেনডম ফটোগ্ৰাফি করেছেন। প্রতিটা ফটোগ্ৰাফি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে বাগান বিলাস ফুলের ফটোগ্রাফি এবং গড়াই নদীর তীরের ফটগ্ৰাফি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাগান বিলাস ফুল গুলো দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। যদিও এই ফটোগ্রাফতে বাগান বিলাস ফুল এখনো ফোটে নাই। তবে যখন ফুল ফুটবে তখন ভীষণ ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।