ফটোগ্রাফি // ভিন্ন ধরনের রেনডম কিছু ফটোগ্রাফি।
আমি @tuhin002
বাংলাদেশ থেকে।
১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।
১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরি। ২৮ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।
আপনারা হয়তোবা অনেকেই এই ফুলটিকে চিনে থাকবেন। আবার অনেকেই হয়তো বা মনে করছেন যে এই ফুলটি আবার কি ফুল? এই ফুলটি কিন্তুু আমাদের খুবই একটি পরিচিত ফুল। এটি হলো লজ্জাবতী গাছের ফুল। লজ্জাবতী গাছ আমাদের কিন্তুু একটা শিক্ষা দেয়। আপনি এই গাছের পাতাকে স্পর্শ করবেন সাথে সাথে জড়িয়ে যাবে। মনে হয় যেন তারা নিজেকে ঢেকে নিলো। ঠিক নারীদের এমন হওয়া উচিত। তাদেরও উচিত এই লজ্জাবতী গাছের মতো করে নিজেকে ঢেকে রাখা। প্রকৃতি অনেক সময় আমাদেরকে শিক্ষা দেয়, যেটা আমরা গভীরভাবে বুঝতে পারি না। যাইহোক এই ফুলটি আমার কাছে দারুন লেগেছে। যখন আমি এই ফুলের ফটোগ্রাফি করেছিলাম তখন এই গাছের একটু স্পর্শ করেছিলাম সাথে সাথে তার লাজুকতা দেখে খুব ভালো লাগছিল।
এই পৃথিবীটা রুপ লাবণ্য ভরা। অনেক সময় অনেক সৌন্দর্য আপনার চোখের সামনে থাকবে আপনি হয়তোবা সেটা বুঝতে পারেন না। গড়াই নদীর পাশে একটা পার্ক আছে। এই পার্কটি অনেকটা উচু ওখানে যখন আমি উঠছিলাম তখন ওখান থেকে এই নদীর দৃশ্যটা এতটাই সুন্দর লাগছিল না দেখলে বুঝতে পারতাম না। যদিও এখানে পানি ছিল অনেক কম কিন্তু এই সৌন্দর্যতার কোন ঘাটতি ছিল না। আমি স্বচক্ষে দেখতে পারছিলাম এই সৌন্দর্যটা। কিন্তু পরিমাপ করতে পারছিলাম না। যখন আমি ফটোগ্রাফি করলাম এরপরে ফটো দেখে মনে হল আসলে এই সৌন্দর্যটা কতটা সুন্দর। সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির এই সৌন্দর্য সব সময় আমাদেরকে মুগ্ধ করে।
আপনারা হয়তো অবগত আছেন এখানে একটা নার্সারীর কথা বলেছি আমি। এই নার্সারীর মধ্যে অনেক গুলো ফুল রয়েছে। আর তার মধ্যে আমি একটি ফুলের ফটোগ্রাফি করেছি। যদিও এই ফুলটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। তবে এই ফুলের নামটি আমার জানা নেই। তবে অনেকবার এই ফুলটা আমি দেখেছি। আমার বাড়ির পাশে একটি নার্সারি রয়েছে। সেই নার্সারিতেও এই ফুল দেখেছি কিন্তু কখনো জিজ্ঞাসা করা হয়নি এই ফুলের নাম কি। আপনাদের যদি এই ফুলের নামটি জানা থাকে অবশ্যই আমাকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আমি আশা করছি এতদিন যে ফুলের নাম জানতে পারি নাই সেই নামটি অবশ্যই জানতে পারবো।
এই ফটোগ্রাফিটা দেখে হয়তো বা অনেকেই অনেক কিছু মন্তব্য করছেন। অনেকে মনে করছেন বিশাল বড় ক্যানাল পানি বের হয়ে চলে আসছে। আবার অনেকেই মনে করছেন শ্যাওলা জমে রয়েছে পানির উপরে। আসলে এটা তেমন কিছুই না। গড়াই নদীর পাশে যেসব মানুষ গুলো বসবাস করছে তারা যে পানি ব্যবহার করে ওই পানি গুলো সেখান থেকে বের হয়ে নদীতে এসে মিশছে। সেখানে বেশকিছু কেনাল তৈরি হয়েছে ছোট ছোট চিকন করে। আমি সেখান থেকেই এই ফটোগ্রাফি করেছি। চোখে দেখতে যতটাই খারাপ লাগছিল, ফটোগ্রাফি করার পরে ততটাই ভালো লেগেছে আমার কাছে। আজকে এই ফটোগ্রাফিটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
নতুন করে এই ফুলটিকে চিনে দেওয়ার মত আর কোন সুযোগ নেই। কারণ আপনারা দেখে হয়তো সবাই চিনতে পেরেছেন এই ফুলটিকে। এটি হলো গোলাপ ফুল। যে ফুলকে সকল ফুলের রানী বলা হয়। গোলাপ ফুলের অনেক রকম প্রকার রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে সুপরিচিত রং হল এই লাল রঙের গোলাপ ফুল গুলো। এই ফুল গুলো দেখতে আসলে অনেক সুন্দর। আপনারা হয়তোবা অনেকেই জানেন গোলাপ ফুলের রশ দিয়ে গোলাপজল তৈরি করা হয়ে থাকে। পৃথিবীতে প্রায় একশো প্রজাতির উপরে গোলাপ ফুল রয়েছে। আর এর মধ্যে আমাদের দেশে সাধারণত সব জায়গায়তে দেখা যায় লাল সাদা গোলাপ কালো ইত্যাদি রঙের গোলাপ ফুল গুলো। সব ফুলের মধ্যে সবচেয়ে আমার প্রিয় ফুল হলো এই গোলাপ ফুল।
গড়াই নদীতে যখন প্রচুর পরিমাণে পানি ছিল, তখন এখানে বিভিন্ন ধরনের জাহাজ চলাচল করতে নৌকা চলাচল করত। যেসব জাহাজ গুলো চলাচল করতো এসব জাহাজ চালানোর জন্য মাস্টার এবং আরও ভিন্ন ধরনের কিছু মানুষ থাকতো। অবশ্য তাদের থাকার জন্য একটা জায়গা দরকার ছিল। প্রত্যেকটা কাজের একটা নির্দিষ্ট জায়গা থাকে। ঠিক তেমনি জাহাজ গুলো সারা নদীতে পারাপার করার পরে তাদেরও একটা নির্দিষ্ট জায়গা থাকে। এবং তারা সেই জায়গাতে দাঁড়িয়ে আছে যেহেতু পানি শুকিয়ে গেছে তাই এখনো জাহাজ গুলো চলতে পারে না বলা যেতেই পারে। পরিত্যাক্ত ভাবে এই জাহাজ গুলো পড়ে আছে এখানে।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ আজকের মতো শেষ করছি। |
---|
ডিভাইসের নাম | Poco |
---|---|
মডেল | M2 |
ফটোগ্রাফার | @tuhin002 |
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | https://w3w.co/caution.news.presenting |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1773151830110859638?t=N2iFApUTteZJZLjEfg2Iyw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
লজ্জাবতী ফুল আজকে আমিও শেয়ার করেছি ভাই। আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে দেখতে পেয়ে ভীষণ খুশি হলাম। বেশ কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। ক্রিম কালারের ফুলটি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। নদীর পাড়ের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ফুটে উঠেছে। আপনি কিন্তু দারুণ ফটোগ্রাফি করেন বলতে হবে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
অনেক ভালো লাগলো ভাই, আজকে আমার মত আপনিও লজ্জাবতী ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন এটা জেনে। চেষ্টা করেছি সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ফটোগ্রাফ গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। বিশেষ করে নদীর ফটোগ্রাফ টা বেশ লেগেছে।আর আপনি যে ফুলটির কথা বলছেন ওটা সম্ভবত কোন ছোট জাতের ডালিয়া হবে।আমি পুরোপুরি নিশ্চিত না। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর ফটোগ্রাফ গুলো শেয়ার করার জন্য।
আপনার সাথে আমিও একমত, আমারও মনে হয় ছোট জাতের ডালিয়া ফুল হবে। কারণ দেখতে অনেকটা ডালিয়া ফুলের মতোই। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
নদীর দৃশ্যটা আসলেই মুগ্ধ হওয়ার মতো। চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। প্রতিটা ফটোগ্রাফি সুন্দর হয়েছে। লজ্জাবতী ফুলের ফটোগ্রাফি টাও দারুন হয়েছে। জাহাজ এর ফটোগ্রাফি টাও ভালো লাগলো দেখে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য। সব সময় চেষ্টা করি ভালো কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
অনেকদিন পর লজ্জাপতি ফুলের ফটোগ্রাফি দেখলাম। আর এই ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আর নদীর পাড়ে ভ্রমণের মুহূর্ত এবং নদীর পারে ফটোগ্রাফি গুলো দারুন ছিল মসত্যি অসাধারণ কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছেন মআর শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার মত আমিও অনেক দিন পরে লজ্জাবতী ফুল দেখলাম। আমার কাছেও ভীষণ ভালো লেগেছে। ভাই কমেন্টের দুই জায়গায় ছোট ছোট দুইটা ভুল রয়েছে আশা করি ঠিক করে নিবেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার ফটোগ্রাফিটা চমৎকার হয়েছে। আসলে ভাইয়া আপনি ঠিক বলেছেন প্রকৃতি আমাদের সত্যি শিক্ষা দেয়। আমরা প্রকৃতির কাছ থেকে প্রতি নিয়ত শিক্ষা গ্রহণ করে থাকি।আর নদীর দৃশ্যটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভাল লেগেছে এটা জেনে আমার ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনি আজকে অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। লজ্জাবতী ফুলের ফটোগ্রাফি দেখে ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেলো। ছোট বেলায় এই লজ্জাবতী গাছ দিয়ে অনেক খেলা করতাম। এই গাছের পাতা গুলো টাচ করার সাথে সাথে পাতা গুলো জোরা লেগে যেতো এই দৃশ্যটা ভীষণ ভালো লাগতো। তাছাড়া নদীর ফটোগ্রাফি এবং সবগুলো ফটোগ্ৰাফি দেখার মতো ছিলো। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
লজ্জাবতী গাছে হাত লাগালে এই গাছ যে লজ্জায় লাল হয়ে যায় এই বিষয়টি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আমার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভালো লেগেছে এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বেশ চমৎকার কিছু গাছ,ফল এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাই। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগছে। আমার কাছে লজ্জাবতি গাছের ফটোগ্রাফিটা বেশি ভালো লেগেছে। ফটোগ্রাফির পাশাপাশি সংক্ষিপ্ত বর্ননা দিয়েছেন। যার ফলে ফটোগ্রাফি সম্পর্কে বেশ কিছু ধারনা পেলাম।
চেষ্টা করেছি আমার ফটোগ্রাফির মধ্য দিয়ে কিছু সৌন্দর্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। লজ্জাবতী গাছের ফটোগ্রাফিটা আপনার ভালো লেগেছে সেটা জেনে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
সু স্বাগতম ভাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।