লাইফ স্টাইল :- ঐতিহ্যবাহী মেলাতে ঘোরাঘুরি এবং জিনিস ক্রয়।

বর্তমানে যে কোন মেলাতে দেখার মত জিনিস অনেক কিছুই আসে। যতটা না দেখার মতো জিনিস আছে তার থেকে বেশি আসে কেনার মত জিনিস। আর এসব জিনিস গুলো দেখতে এবং কিনতে বেশ ভালো লাগে। যার বাড়িতে ছেলে বা ছোট বাচ্চা থাকে তাদের একটা উদ্দেশ্য থাকে সন্তানের জন্য কিছু ক্রয় করা। অর্থাৎ খেলনা কোন জাতীয় জিনিস গুলো। সেখানে গেলাম গিয়ে দেখে একটি স্টলে বেশ অনেক গুলো পুতুল সহ বিভিন্ন ধরনের খেলনা জিনিস রয়েছে। আমরা সেখানে গেলাম এবং সেখানে জিনিস গুলো দেখলাম। জিনিস গুলো দেখতে বেশ ভালো লাগলো কিন্তু একটা বিষয় এইসব জিনিস গুলোর দাম অনেক বেশি। আসলে এরা অল্প কয়েক দিনের জন্য এখানে জিনিস গুলো বিক্রি করতে আসে। আর এর জন্যই আমার মনে হয় এ জিনিস গুলোর দাম অনেক বেশি। গ্রামের মানুষ গুলো যখন এসব মেলাতে যায় তখন তারা কোন না কোন জিনিস কিনে আনার জন্যই যায়। আর এজন্যই এইসব জিনিস গুলোর দামও একটু বেশি হয়ে থাকে।

এই সমস্ত জায়গায় বেশ বিভিন্ন ধরনের মেয়েদের জিনিস পাওয়া যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছে হাতের চুড়ি, গলার হার নাকের নোলক ইত্যাদি। আমরা সেখানে একটি নোলক নেয়ার জন্য কয়েকটা দোকান ঘুরলাম পর্যন্ত একটা দোকানে নোলক পেলাম। এছাড়াও খুব সুন্দর হাতের ব্রেসলেট ছিল। মেয়েদের মাথায় চুল বাধার জন্য যে ক্লিক থাকে সেগুলো ছিল। আমরা আমাদের প্রয়োজন মতো যতটুকু এবং যেগুলো নেয়ার দরকার ঠিক সেগুলো আমরা এখান থেকে করাই করলাম। যতগুলো জিনিস এসেছিল ইচ্ছাতে করছিল সবগুলোই ক্রয় করিনি কিন্তু এগুলো ক্রয় করে বাড়িতে রেখে দিয়ে তো কোন কাজ নেই। তাই আমাদের যেটা পছন্দ হয়েছিল এবং যেটা কেনার মতো ছিল এবং যেটা দেখতে সুন্দর ছিল ঠিক তেমনি কিছু জিনিস আমরা ক্রয় করেছিলাম এখান থেকে। তবে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন বেশ সুন্দর সুন্দর কিন্তু জিনিস এর মধ্যে দেখা যাচ্ছে। অনেক মানুষ কিন্তু এগুলো ক্রয় করে নিয়েও যাচ্ছে।

সাধারণত হাতের নখ কাটার জন্য নেল কাটার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মেলাতে এসে একটা দোকানে দেখলাম বেশ অনেকগুলো নীলকাটা রয়েছে। তার পাশাপাশি বেশ বিভিন্ন ধরনের জিনিসগুলো রয়েছে। হঠাৎ করে মনে হয়ে গেল নিজেদের জন্য একটা নেল কাটার কিনে নিয়ে যায়। তবে সেখানে একটা জিনিস দেখতে পেলাম তা হল গ্যাস লাইট। যারা সিগারেট খেতে ভালোবাসে তারা কিন্তু খুব সুন্দর সুন্দর গ্যাস লাইট কিনে থাকেন। আর এখানে যে বিক্রেতা গ্যাসলাইট বিক্রি করছে আমার মনে হয় ওই সমস্ত মানুষের জন্যই কিন্তু এই গ্যাস লাইট গুলো তারা বিক্রি করছে। গ্যাস লাইট এর দামগুলো বেশি কিন্তু দেখতে ভীষণ সুন্দর। এখানে যেটা যার যেমন ইচ্ছা আছে সে তেমন ভাবে কিনে নিয়ে চলে যাচ্ছে এই জিনিসগুলো। এই মেলাতে জায়গা গুলো এতটাই বড় ছিল ঘুরতে ঘুরতে বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম।

বর্তমান সময়ে একটা ব্যাপার নিয়ে আপনারা আমার সাথে একমত হবেন সেটা হল যেকোনো দোকান বা যেকোনো শপিংমল বলেন বা যে কোন মেলাতেই বলেন না কেন পুরুষ মানুষের থেকে মেয়েদের আনাগোনাটাই বেশি। সেখানে আমি হিসাব করে দেখেছিলাম যা মানুষ উপস্থিত ছিল তার অধিকাংশ ছিল মহিলা মানুষ। প্রতিটা দোকানে উপচে পড়া ভিড়। তারা জিনিস ক্রয়ের পাশাপাশি তারা এক দোকান থেকে অন্য দোকানে বেড়ানো এটা তারা বেশি পছন্দ করে এবং তারা জিনিস ক্রয় কেনার পাশাপাশি তারা একে অপরের সাথে হাসি ঠাট্টা তামাশার ইত্যাদি করতেও তারা বেশ ভালোবাসে। সামান্য এই দোকানের একটু লক্ষ্য করে দেখেন এখানে একটা পুরুষ মানুষ আছে সবগুলো মহিলা মানুষ। বর্তমান সময়ে মেয়েদের প্রাধান্যটাই যেন বেশি। প্রত্যেকটা ইনস্টল গুলোতে তারা ভরপুর। একজন দোকানের সাথে কথা বলেছিলাম তিনি বলেছিলেন ভাই মেয়েদের কাছে জিনিস বিক্রি করা খুবই কঠিন এরা দামাদর করে খুব বেশি। যতটা জিনিস ক্রয় করে তার থেকেও বেশি আমাদের কথা বলতে তাদের সাথে। কি করব ব্যবসার জন্য তো করতেও হয়। এটা ঠিকই বলেছে মেয়েরা একটু দামোদর বেশি করে থাকে।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।