রেনডম কিছু ভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি।
আমি @tuhin002
বাংলাদেশ থেকে।
০৭ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।
১০ রমজান ১৪৪৫ হিজরি। ২১ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।
এখানে ফুলের যে নার্সারির কথা আপনাদের এর আগে আমি বলেছি। বিভিন্ন ফুলগুলো যেমন মাটিতে লাগানো রয়েছে তেমনি কিছু ফুল টবে ঝোলানো রয়েছে। তবে অনেকগুলো ফুল লাগানো হয়েছে এই ফুলগুলো দেখতেও কিন্তু ভীষণ সুন্দর। বিভিন্ন প্রজাতির ফুল গুলোর নাম আমার জানা নেই কিন্তু ফুল গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল। তবে হ্যাঁ এর মধ্যে একটি গাছে নাও আমি জানি যে গাছটার নাম হলো ঘাসফুল। নার্সারিতে যেমন তবে ফুল গাছ লাগানো আছে ঠিক এমন দৃশ্যগুলো দেখা যায় শহর অঞ্চলে। সর অঞ্চলে খুব বেশি দেখা যায় তবে ফুল গাছ লাগানোর দৃশ্যগুলো আর এগুলো দেখতেও ভীষণ ভালো লাগে।
গড়াই নদী, দেখে মনে হচ্ছে মরুভূমি। নদীর যে খরস্রুত পানি ছিল সেই পানি আর কোন ছিটা ফোটা নেই বললেই চলে। নদীর চারদিকে শুধু তাকালে বালি আর বালি। সেখানে উপস্থিত হওয়ার পরে আমি বেশ অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আপনারা হয়তোবা অনেকেই জানেন চলতি বছরের খরার প্রবণতা বেশি হবে। সে হিসাবে এই জায়গার অবস্থা কেমন হবে তা নিশ্চয়ই আপনারা ধারণা পাচ্ছেন। একটা সময় যে নদীতে পানি ছিল ভরপুর আসে নদী শুখিয়ে বালিতে পরিণত হয়েছে। পারাপার করার জন্য যে ব্রিজ তৈরি করা হয়েছিল আজ মনে হচ্ছে এই ব্রিজ তৈরি না করলেও পারতো। এভাবে একদিন পৃথিবীর সব কিছু শুকিয়ে যাবে। সত্যি ভাবা যায় গড়াই নদীর আজ শুকিয়ে মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে।
এখানে যে গাছটি দেখতে পারছেন হয়তোবা আপনাদের জানা থাকতে পারেন নাম কিন্তু আমার এই গাছে নাম জানা নেই। এই গাছটা দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে বিশেষ করে গাছের পাতার কিছু কিছু অংশে লাল আভা রয়েছে। এই গাছটি আমি আমাদের গ্রামের একটি বাগানেও আমি এই গাছ দেখেছি কিন্তু কখনোই নাম কি সেটা আমার জানা হয়নি। যদি আপনাদের মধ্যে কারোর এই গাছে নাম জানা থাকে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন। কারণ যে গাছটি দেখতে এত সুন্দর তার নাম জানা তো দরকার রয়েছে।
যখন আমি গড়াই নদীর ভিতরে হাঁটছিলাম তখন একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখলাম এই নদীর পাড়ে অনেক মানুষের বসবাস রয়েছে। যারা নিতান্তই হতো দারিদ্র। গড়াই নদীতে পানি তো সবই শুকিয়ে গেছে। পাশ দিয়ে অল্প কিছু পরিমাণ পানি রয়েছে আর এই পানির মধ্যে এইসব মানুষগুলো নিজেদের জিনিসগুলো ধোঁয়া কাচা করছে। একটা বিষয় অবাক লাগলো আপনার হয়তো বা ফটোগ্রাফির মধ্যে দেখতে পারছেন একজন মহিলা মানুষ তিনি এই পানি দিয়ে কুলি করছে এবং মুখমন্ডল ধৌত করছে। তার সামনে কয়েকটা কুকুর ও পানির মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবতে লাগলো মানুষের জীবন কতটা অসহায়। আজ তারা দারিদ্র বলে এই নোংরা পানিতে মুখমন্ডল ধৌত করছে।
আপনার এই টপে যে ফুলটি দেখতে পারছেন যতটুকু আমি জানি এই ফুলের নাম ঘাসফুল। হয়তোবা ঘাসফুলের ভিন্নতা রয়েছে কারণ আমি যে ঘাসফুল গুলো অনেক আগে আমাদের বাড়ির আঙিনা লাগিয়েছিলাম সেই ঘাসফুলগুলো রং হলো অনেকটা বেগুনি কালার আবার গোলাপী কালার। কিন্তু এই ফুলের রং হলো লাল। তবে কালারে ভিন্নতা থাকুক বা না থাকুক দেখতে কিন্তু ভীষণ সুন্দর লাগছে। এসব ফুলগুলো তবে সত্যি অনেক ভালো লাগে যখন ঘাসফুল গোলা আরেকটু বড় হয়ে যাবে এবং নিচের দিকে ঝুলে যাবে তখন ফুলগুলো ফুটলে আরো সুন্দর লাগবে দেখতে।
আপনারা এখানে যে গাছটি দেখতে পারছেন হয়তোবা অনেকেই চিনতে পারছেন কেউবা পারছেন না। এই গাছের ফটোগ্রাফি তুলেছিলাম আমার বাড়ির পাশে। এই গাছটির নাম হল গাব গাছ। এই গাব মানুষ খেয়ে থাকে আবার এই গাব কিন্তু গ্রামের মানুষ মাছধরা যে জাল থাকে এই গাবের কস দিয়ে জাল রং করে। অর্থাৎ এই গাপ দিলে জাল নাকি বেশি টেকসই হয়। ফাল্গুন মাস শেষ গাছের পাতাগুলো সব ঝরে গেছে। চৈত্র মাসের আজ সাত দিন হতে চলেছে। গাছের পাতা গুলো কেবল সদ্য বের হয়েছে। আর এত সুন্দর লাগছে দেখতে খুব ভালো লাগলো। এ জন্য একটি ফটোগ্রাফি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম আশা করি আপনাদের ও ভালো লাগবে।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ আজকের মতো শেষ করছি। |
---|
ডিভাইসের নাম | Poco |
---|---|
মডেল | M2 |
ফটোগ্রাফার | @tuhin002 |
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | https://w3w.co/caution.news.presenting |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1770702470714458536?t=zIUyIssa8nCQMWXykBnAog&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ফুল টপে ঝোলানো আছে এগুলো বেশ দারুন লাগে আমার।বারান্দার আঙ্গিনায় যদি টাঙ্গানো হয়, সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। বেশ চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। ঘাসফুল গুলো বেশ চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। গড়াই নদীর সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন। আপনার মাধ্যমে দেখতে পাইলাম। নদীর পাড়ের সাধারণ মানুষের জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরেছেন। প্রতিটা ফটোগ্রাফির জন্য প্রশংসার দাবিদার। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
গড়াই নদীর অবস্থাতে এতটাই বেহাল দশা ভাই চোখে না দেখলে বোঝা যায় না। আর সেখানে যেসব মানুষ গুলো বসবাস করে সত্যি তাদের জীবন অনেক কষ্টের। তাদের জীবনযাত্রা আমাকে ব্যতীত করেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলা দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। ঘাস ফুলের ফটোগ্রাফিটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ফটোগ্রাফির পাশাপাশি সব গুলা ফটোগ্রাফির সুন্দর ভাবে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়েছেন। ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ঘাসফুল দেখতে আমারও ভীষণ ভালো লাগে। ছোটবেলায় অনেক ঘাসফুল বাড়ির আঙিনায় লাগিয়ে রাখতাম। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
সু স্বাগতম ভাই।
গাব গাছ আমি এর আগে কখনো দেখিনি। আপনার আজকের ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে দেখতে পেলাম। গাছটি আসলেই খুব সুন্দর। বাকি ফটোগ্রাফি গুলোও দারুন হয়েছে। চমৎকারভাবে ক্যাপচার করেছেন প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি। নার্সারিতে টবে ঝোলানো গাছগুলোও খুব সুন্দর লাগছে দেখতে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
এই গাছটি কিন্তু খুবই সুপরিচিত গাছ আপু আমাদের গ্রাম অঞ্চলের জন্য। এই গাছের ফল একদিকে যেমন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে অন্যদিকে এই ফল আমরা খেয়েও থাকি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো আসলেই অনেক চমৎকার ছিল। আপনার পোস্টের মাধ্যমে আজকে গড়াই নদীর দেখতে পেলাম । আপুদের বাসায় গেলে এখানে আমিও ঘুরতে যাব ভেবেছি ।ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেনডম ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপুর বাসায় বেড়াতে গেলে অবশ্যই এখানে ঘুরতে যাবেন। অনেক সুন্দর একটা জায়গা, যদিও গড়াই নদীতে তেমন পানি নেই এখন। তারপরও আমাকে মুগ্ধ করেছে তার সমস্ত প্রকৃতি গুলো। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আজকে আপনি অনেক সুন্দর রেনডম ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। তবে ঘাস ফুলের ফটোগ্রাফি ও গাব গাছের ফটোগ্রাফি অসাধারণ লাগলো। তবে এত বড় গাব গাছ আমি সামনে থেকে দেখি নাই। তবে আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি সুন্দর বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভালো লেগেছে এটা যেন বেশ ভালো লাগলো। আরও বেশি ভালো লাগলো যে আপনি আমার ফটোগ্রাফির মধ্য দিয়ে গাব গাছ দেখতে পেলেন ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন আপনি। প্রথম ফটোগ্রাফি টা দেখেই মনে হচ্ছে নার্সারি টা খুবই বড় আকারের। যেহেতু টবের মধ্যে রাখা ফুলের সারি অনেক লম্বা। আর গড়াই নদী তো দেখছি একদম শুকিয়ে গেছে। এই মৌসুমে পানি একদম পাওয়া যাবে না। যখন পানি থাকে তখন একদম ভরে যায়। আবার যখন থাকে না একদম শুকিয়ে যাই এই হচ্ছে প্রকৃতির নিয়ম। সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন ভালো লাগলো দেখে।
খুবই সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন৷ সবগুলো ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে এবং এই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার মাধ্যমে আপনি আপনার ফটোগ্রাফির দক্ষতাকে খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ একইসাথে আপনি নদীর পাড়ে হাটার সময় নদীর পাড়ের মানুষের বসবাসের যে চিত্রটি ফুটিয়ে তুলছেন তাও একেবারে অসাধারণ হয়েছে৷
এই জায়গাটাতে গিয়ে খুব চমৎকার সময় পার করেছিলাম ভাই। জায়গাটা দেখতে ভীষণ সুন্দর ছিল ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।