ক্রিয়েটিভ রাইটিং:- তাহলে কি পৃথিবীর সময় শেষ?
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি আলোচনা করবো একটি গল্প , আর এই গল্পের নাম তাহলে কি পৃথিবীর সময় শেষ?আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
পৃথিবীতে কোন কিছুই চিরস্থায়ী নয়। সৃষ্টিকর্তা যা সৃষ্টি করেছেন তা অবশ্যই একদিন ধ্বংস হবে। অর্থাৎ যিনি সৃষ্টি করেছেন সবাই একদিন তার দিকেই ফিরে যাবে। হাজার হাজার বছর আগে এই পৃথিবী সৃষ্টির হয়েছে। পৃথিবীর কোন কিছুই যেমন একদিনে সৃষ্টি হয়নি, ঠিক তেমনি সবকিছু এক দিনেই ফুরিয়ে যাবে না। প্রত্যেকটা জিনিসের ক্ষয় রয়েছে আর এই ক্ষয়ের মধ্য দিয়ে আস্তে আস্তে কোন জিনিস শেষ হয়ে যায়। প্রতিটা জিনিসের একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা বা বয়স হয়েছে। ঠিক তেমনি পৃথিবীর ও একটার বয়স হয়েছে। বর্তমানে আমরা এমন একটা সময়ে বসবাস করছি যে সময়ে পরিবেশ পরিস্থিতি সবমিলিয়ে বিবেচনা করলে বোঝা যায় পৃথিবীটা তার বয়সের শেষের দিকে। পৃথিবীর পারিপার্শ্বিক অবস্থা কোরআন হাদিসের ব্যাখ্যা অনুযায়ী যেটা বোঝা যাচ্ছে, তাতে কি সত্যিই পৃথিবীর বয়স শেষের দিকে? আজকে আমি এই বিষয়ে কিছু কথা আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। যার মধ্য দিয়ে আমরা নিশ্চিত হতে পারি পৃথিবীর বয়স শেষ।
বর্তমান সময়ে আমরা এমন একটা যুগে বসবাস করছি যে সময়ের মানুষগণ ঊশৃংখল জীবন যাপনে ব্যস্ত। মানুষের নেই কোন দিক বিদিক। বহমান নদীর ধারা যেমন চলে মানুষের জীবন ঠিক সেভাবেই চলছে। আর এভাবেই চলতে চলতে একদিন থমকে যাবে। মানুষ বুঝতেই পারবে না কখন যেন কি হয়ে যাচ্ছে। চলমান এই রমজান মাসে হয়তোবা আপনারা আগেই জেনেছেন রমজান মাসের শুরুতে চন্দ্রগ্রহণ হয়েছে। আর আজকে হতে যাচ্ছে সূর্য গ্রহণ। আর এই সূর্য গ্রহণের উৎপত্তিস্থল হচ্ছে কানাডা। অর্থাৎ আজকের দিনটা রাতের মতই অন্ধকার থাকবে কিছু সময়। বর্তমান সময়ে বিজ্ঞানীরা নানা বিশ্লেষণ করে তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে পৃথিবীর বয়স শেষের দিকে। পৃথিবীতে সাতটি মহাদেশ। একটি মহাদেশ হলো বরফে আচ্ছন্ন। আর সেই মহাদেশের নাম হলো এন্টার্টিকা। আমরা সবাই অবগত আছি ওই মহাদেশে প্রচুর পরিমাণ বরফে ঢাকা। কিন্তু বর্তমান সময়ে বিজ্ঞানীরা বলছে তাপমাত্রা এতটাই বেড়ে গেছে পাহাড়ের মতই বরফগুলো গলে গলে পড়ে যাচ্ছে। যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে মানব জীবন হুমকির মধ্যে পড়ে যাবে।
বর্তমান সময়ে পৃথিবীর বনজ সম্পদ কমে গেছে। আর এজন্য অবশ্যই তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। যখন আমরা ছোট ছিলাম তখন টিভিতে আবহাওয়া শুনতাম সৌদি আরবে ৩৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা পরছে। তখন আমরা বলতাম এত তাপমাত্রায় ওখানে মানুষ কিভাবে বসবাস করে। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশের স্বাভাবিকভাবেই এই তাপমাত্রা পড়ছে। এমনকি কোন কোন সময় এই তাপমাত্রা এর থেকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার জন্য বেশ কিছু আলামত রয়েছে যে আলামত গুলো অনেক আগেই প্রকাশিত হয়ে গেছে। একটা বিষয়ের লক্ষ্য করে দেখেন মানুষের মধ্যে কোন মনুষ্যত্ববোধ আছে কিনা। মানুষ মানুষকে মানুষ ভাবে কিনা? যখন এই সমস্ত বিষয় গুলো চরম পর্যায় পৌঁছে যায়। তখন বুঝে নিতে হবে নিশ্চয়ই আমাদের কোথাও বিপর্যয় মুখ লুকিয়ে রয়েছে। বর্তমান সময় পৃথিবীতে যেকোনো সময় এমন রোগে সৃষ্টি আছে যাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাচ্ছে। যারা জ্ঞান বিশারদ যারা প্রতিনিয়ত এই পৃথিবীকে নিয়ে বিশ্লেষণ করে যাচ্ছে তারা বর্তমান সময়ে এসে নিজেই প্রকাশ করছে পৃথিবী ধ্বংসের অনেকটা কাছাকাছি।
পৃথিবী যখন সৃষ্টি হয়েছে তখন অবশ্যই তার ধ্বংস রয়েছে। বর্তমান সময় পৃথিবীতে তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। আমরা এমন একটা সময় বসবাস করছি যে সময়ে হঠাৎ যে কোন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। পৃথিবীতে সব সৃষ্টির কোন কিছুই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নেই। সবকিছু যেন বিপরীতমুখী চলছে। শুধু পৃথিবীর বুকে নয় গ্রহের বুকেও গ্রহে গ্রহগুলো একটার উপরে আর একটা চড়ে বসেছে। না জানি কখন একটা আর একটা সংঘর্ষ হয়ে পৃথিবীর বুকে ধ্বসে পড়তে পারে। জানা গেছে এসব গ্রহ গুলো এতটাই বড় পৃথিবীর কোন একাংশে পড়লে সে অংশ পুরোটাই ধুর মতো উড়ে যাবে। বায়ুমণ্ডলের স্তরগুলো পাতলা হয়ে গেছে এর জন্য সূর্যের তাপের রশ্নি সরাসরি পৃথিবীর বুকে পড়ছে। যার ফলে পৃথিবীর কোন একটা দিক পুড়ে যাবে। আবার এর বিপরীতমুখে পানির ফলে কোন একটা এলাকা ডুবে যাবে। এই যে বলতেছি পৃথিবী যেন ভিন্ন এক রূপে আবির্ভাব হয়েছে। যেকোনো সময় এর ধ্বংস নীলা শুরু হয়ে যেতে পারে।
আমরা জানি যার জীবন আছে তার মরন রয়েছে। সৃষ্টিকর্তা তার নিপুন হাতে এই পৃথিবীতে একদিন সৃষ্টি করেছেন। আবার সেই সৃষ্টিকর্তায় এই পৃথিবী কে ধ্বংস করে দিবেন। তবে কোনো বাবা চায় না তার সন্তানকে ঘরছাড়া করতে। যতক্ষণ না ওই সন্তান চরম পর্যায়ে খারাপে উপনীত না হয়। ঠিক তেমনি সৃষ্টিকর্তা চাইবে না সহজেই পৃথিবীকে ধ্বংস করতে, যতক্ষণ না তার বান্দারা চরম পর্যায়ে নাফরমানীর মধ্যে আবদ্ধ না হবে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি এমন একটা জায়গায় পৌঁছেছে আমাদেরকে সতর্ক থাকা উচিত। আর একটা পৃথিবীর জন্য যেখানে আমরা অনন্তকাল থাকবো।
ভূল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | মেহেরপুর |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1777127344064639091?t=6TPTJgnILJacX1bCZnd0GQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আজ থেকে কয়েক শ বছর আগের পৃথিবী এবং বতর্মান পৃথিবীর মাঝে রয়েছে অনেক পার্থক্য। পৃথিবীর তাপমাত্রা যেমন বাড়ছে খনিজ সম্পদ ফুরিয়ে আসছে। বৃক্ষ গাছপালা কমছে। এছাড়া প্রকৃতির যে একটা ভারসাম্য সেটা তো প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ঝড়, বন্যা ভূমিকম্প এসব দূর্যোগ লেগেই আছে। সুতরাং এটা অনুমান করাই যায় পৃথিবীর সময় ফুরিয়ে আসছে। এভাবে আর কতদিন। বাকি হাদিস কোরআন এগুলো তো বাদই দিলাম।
হাদিস এবং কোরআন বাদ দিলে তো হবে না ভাই। যেগুলো হচ্ছে এগুলো সবই এই হাদিসের কোরআনের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করা রয়েছে। যদি এগুলো এখানে লেখা না থাকতো তাহলে কখনোই এগুলো ঘটতো না। কারণ এগুলো হলো আল্লাহর আদেশ এবং বিধান। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলে দিন দিন আমাদের পৃথিবীতে এমন অদ্ভুত কিছু ঘটনা ঘটছে বা পরবর্তীতে ঘটবে যেটা দেখা বা শোনার পর আসলেই মনে হচ্ছে পৃথিবী ধ্বংসের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতির আচার-আচরণ অনেকটাই বদলে গেছে। কখন কি হচ্ছে বোঝা বড় কঠিন। আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই শুধু পৃথিবী না উপগ্রহ গুলো যেন কেমন অন্যরকম আচরণ করেছে। আপনি অনেক সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে আলোচনা করেছেন। আপনার আলোচ্য বিষয়টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ধন্যবাদ ভাই।
পৃথিবীটা বর্তমান সময়ে এমন একটা জায়গায় পৌঁছে গেছে ইচ্ছা করলেও আর এই ধ্বংসত্বের মুখ থেকে কেউ রেহাই পাবে না। কারণ যার জীবন আছে তার মৃত্যুবরণ করতে হবে।
হ্যা ভাই আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন।
পৃথিবী যেহেতু সৃষ্টি হয়েছে কোটি কোটি বছর ধরে, সুতরাং এটা ধ্বংস হতেও সেরকম সময় লাগবে। আপনি আসলে এখানে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন, যেগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তার মধ্যে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া এবং এন্টার্টিকা মহাদেশের বরফ গলে যাওয়া অন্যতম ছিল। আমরা আসলে নিজেদের স্বার্থের জন্য বনভূমি কেটে ফেলে পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছি দিনের পর দিন। বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন ভাই।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।