জেনারেল রাইটিং:- ভাগ্যে যদি সুখ না থাকে।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমার আলোচনার বিষয়টি হলো ভাগ্যে যদি সুখ না থাকে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীকে একদিনের সৃষ্টি করে নাই। এক একটা দিনে সৃষ্টি করেছেন। ১৮ হাজার মাখলুকাত, আর এই ১৮ হাজার মাখলুকাতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মাখলুকাত হলো মানুষ। যাকে আল্লাহ উত্তম ভাবে সৃষ্টি করেছেন। যার মধ্যে বিবেক বুদ্ধি ভালো-মন্দ খারাপ সবকিছু নির্ণয় করার শক্তি দিয়েছেন। যেমন সবকিছু সৃষ্টি রয়েছে। একদিন তার ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা পৃথিবীতে কখন এসেছি তা প্রত্যেকটা মানুষ জানি। কিন্তু এটা কেউ জানে না আমরা পৃথিবী ছেড়ে কখন চলে যাব। এজন্যই বলে আসার বয়স আছে কিন্তুু যাওয়ার কোন বয়স নেই। মানুষ জন্ম নেয়ার পর থেকে তার ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা থাকে। আর সেই ইচ্ছা গুলো পূরণ করার জন্য প্রতিনিয়ত মানুষ অনেক কিছুই করছে। এখন এর মধ্যে কারো ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে কারো অপূর্ণ রয়ে যাচ্ছে। কারো সামর্থ্য আছে আবার কারো সামর্থ্য নেই। অনেকে আছে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও তার ইচ্ছা গুলো পূরণ করতে পারছে না। আবার এমন আছে ইচ্ছা পূরণ করতে গিয়ে নিজের হায়াৎ শেষ হয়ে যাচ্ছে। মানুষের জীবন সত্যিই বড়ই বিচিত্র। প্রত্যেকটা মানুষের জীবন ভিন্ন। মানুষের চাওয়া পাওয়া এবং আকাঙ্ক্ষা শেষ নেই আর এই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করার জন্য মানুষ প্রতিনিয়ত ছুটে চলেছে।
প্রত্যেকটা মানুষ নিজস্ব ভাগ্য নিয়ে পৃথিবীতে আসে। আর ভাগ্যে যা থাকবে তা ঘটবে এতে কোন সন্দেহ নেই। কথায় বলে ভাগ্যে লিখন যায় না খন্ডানো। যার যতটুকু পাওনা সে পাবে আর যার যতটুকু দেয়ার সে দিবে। অনেক সময় অনেক কিছুর ইচ্ছা থাকে। আর এই ইচ্ছা গুলো যখন অপূর্ণ থাকে তখন নিজের কাছে অনেক খারাপ লাগে। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেই একটি মৃত্যুর সংবাদ শুনতে পাই। সংবাদ শুনে বেশ খারাপ লাগলো। কারণ যিনি মারা গেছেন তিনি আমার সমবয়সী বা আমার একটু বড়। তার হায়াৎ এতোটুকু ছিল তাই তিনি মারা গেছেন। এখন কথা হল কয়েকদিন আগে তিনি একটি নতুন গাড়ি ক্রয় করেছেন। গাড়ি কেনার পরে তার দুই সন্তানকে নিয়ে গতকালকে বেরিয়েছেন। ইচ্ছা ছিল আজকে সে তার বোনের বাড়িতে যাবে তার সন্তানদেরকে নিয়ে। কিন্তু বিধাতার লিখন তাকে সে পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার হায়াৎ দেয়নি। তিনি ব্যক্তিগত ভাবে পেশায় আলমশাদু গাড়ির চালক। প্রত্যেকদিন রাত আটটার সময় মাছ লোড নিয়ে দূরে দূরে জায়গাতে বিক্রি করে আসে। আজকেও তার ব্যতিক্রম ছিল না। কিন্তুু সে আজ জীবিত ফিরে আসতে পারলো না।
প্রতিদিন একজন মানুষ আঠারো ঘন্টা এভাবে ঘুম বাদ দিয়ে চলে তাহলে তার অবস্থা কেমন হতে পারে? নিশ্চয়ই আপনারা উপলব্ধি করতে পারছেন। গাড়িতে করে মাছ নিয়ে যাচ্ছিল হঠাৎ কখন ঘুমিয়ে গেছে সে নিজেও বুঝতে পারে নাই। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল ট্রাক। তার সাথে ধাক্কা দিতেই মৃত্যু। অথচ সে তার সন্তানকে আজকে তার বোনের বাড়িতে নতুন গাড়িতে করে নিয়ে যাবে। সে কি কখনো ভেবেছিল আজকে তার মৃত্যু হয়ে যাবে। তার ভাগ্যটাই এই পর্যন্ত লেখা ছিল। তার ইচ্ছা ছিল নিজের স্ত্রী সন্তান নিয়ে সে সুখে থাকবে। কিন্তু বিধাতার লিখায় তাকে সেই পর্যন্ত হায়াৎ দেওয়া হয়নি। পৃথিবীতে এমন বহু মানুষ রয়েছে যাদের অনেক চাওয়া পাওয়া অনেক ইচ্ছা গুলো অপরিপূর্ণ হয়ে আছে। আপনি যতই সুখের জন্য ছোটাছুটি করেন না কেন যদি সুখ লেখা না থাকে তাহলে কখনোই আপনি সুখী হতে পারবেন না। প্রত্যেকটা মানুষের উচিত নিজের ভাগ্যকে বিশ্বাস করা। আর এই ভাগ্যের উপরে নিজেকে ছেড়ে দেওয়া।
বর্তমান সমাজে আরেকটা বিষয় আপনারা লক্ষ্য করবেন পিতা-মাতা তার মেয়েদেরকে বিয়ে দেয়। এরপরে স্বামীর ঘরে কোন কারনে যদি অশান্তি বাদে তাহলে তাদেরকে ডিভোর্স নেই। তাদের ধারণা যদি তার মেয়েকে অন্য কোথাও বিয়ে দেয় তাহলে সুখী হবে। আসলে এই কথাটা কতটুকু যৌক্তিকতা আছে বলে মনে করেন। আপনার কপালে যদি সুখ না থাকে তাহলে আপনি রাজার ঘরে বিয়ে হলেও আপনার সুখ আসবে না। আর এই কারণে বর্তমানে বাংলাদেশে অহরহ মেয়ের ডিভোর্স হয়ে বাপের বাড়িতে পড়ে আছে। আসলে প্রত্যেকটা মানুষ তার নিজের পজিশনে সুখী নয়। সবাই মনে করে আমি অসুখি। সবাইকে দেখলে সুখী মনে হয় কিন্তু বাস্তবতার জায়গায় গেলে মনে হয় যে সবাই অসুখী। কারণ কোন না কোন মানুষের কোন না কোন দিক দিয়ে অশান্তি রয়েছে। আর যা ঘটছে তা অবশ্যই আমাদের নিজের কারণেই। একটা পরিবার সমাজ রাষ্ট্র যখন বিপথগামী হবে তখন আমাদের ওপরে এ ধরনের বিপর্যয় নেমে আসবে।
সুখ হল সৃষ্টিকর্তার রহমত। আর আপনি যখন যেভাবে যেকোন অবস্থায় থাকবেন না কেন আপনি শুকরিয়া আদায় করবেন। আপনার তকদিরকে বিশ্বাস করবেন। তকদিরে যেটা আছে সেটা মেনে নিবেন। তাহলে হয়তোবা এখন আপনি অসুখী কিন্তু একদিন আপনি সুখী হতে পারেন। যদি আপনার ভাগ্যে লেখা থাকে। কখনো নিরাশ হবে না এবং নিজের ভাগ্যকে কখনো গালিগালাজ করবেন না। অনেক সময় আমরা নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ করি। কিন্তু একটা বিষয় মনে রাখবেন, যেটা আপনার কপালে লেখা আছে সেটা অবশ্যই আপনার জন্য ভালো। কারণ সৃষ্টিকর্তা কখনোই তার বান্দাদের খারাপ চায়না। চলার পথে যা ঘটবে ভাববেন আপনার ভাগ্যে সেটা ছিল। আর এটাকে হাসি মুখে মেনে নিবেন এবং সামনের দিকে চলবেন। দেখবেন একদিন আপনার ভাগ্য আপনার দিকে কথা বলবে।
ভূল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | মেহেরপুর |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://twitter.com/ABashar45/status/1797890805094592981?t=tp6cmLZOXhcj9vTcSinHPA&s=19
মানুষ ভাগ্যে বিশ্বাস করেন না।কিন্তু ভাগ্য বলে একটা ব্যাপার আছে।মানুষ সেটাই করে যেটা তার ভাগ্য ঠেলে দেয় সেদিকে।আমি অনেকবার প্রমাণ পেয়েছি ভাগ্য বলতে বিষয়টার।তাই এখন সব ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়েছি।আর পারতপক্ষে যেটা হয় দেখেছি ভালোর জন্যই হয়।ভালো লাগলো আপনার লেখাটি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
সত্যি ভাগ্যে না থাকলে কোন কিছু পাওয়া সম্ভব নয়।সেটা হতে পারে যেকোনো কিছু।সুখ জিনিসটাই থাকে না। আমরা যতই যা কিছুর কাছেই ছুটে বেড়াই না কেন ভাগ্য আমাদের আছে বলেই এমনটা হচ্ছে।তাই তো আমাদের কিছু হলে বলতে হয় আল্লাহ যা করেন মঙ্গলের জন্য করেন।আপনি সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লিখলেন।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
মানুষ জন্মের আগে তা তকদিরে সবকিছু লেখা থাকে। আজ জন্ম নেয়ার পরে সেগুলো সংঘটিত হয়। মাঝখানে আমরা শুধু একটু নাটক করি। এই হচ্ছে মানব জীবন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলে এখন মানুষের মৃত্যুর বিষয়টা বোঝাই যায় না, যারা অল্প বয়সী তারাই এখন মারা যায়। মানুষের হায়াত এখন কখন যে শেষ হয়ে যায় এটা কেউই জানে না। আপনাদের এলাকার ওই লোকটার কথা শুনে সত্যি অনেক বেশি খারাপ লেগেছে। আসলে এরকম অনেক মানুষই রয়েছে যারা কিনা নিজের জীবনে সুখী হতে পারেনা। এই মানুষগুলো নিজের ভাগ্যকেও মেনে নিতে পারে না। আমরা হয়তো অন্যদেরকে দেখলে ভাবি, তারা অনেক সুখী। কিন্তু মানুষের ভেতরটা আমরা কখনোই বুঝতে পারি না, তার সাথে মেলামেশা করা ছাড়া। কে কতটা সুখী এটা তো আমরা তার সাথে মেলামেশা করলেই বুঝতে পারবো।
কোন মানুষ তার নিজের জীবনটাকে পরিপূর্ণ ভাবে বুঝতে পারে না।। সৃষ্টিকর্তার যাকে যেভাবে পরিচালনা করে সে, সে এভাবেই চলে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
প্রত্যেকটা মানুষের ভাগ্য সৃষ্টিকতা নির্ধারণ করে রাখেন। তবে কিছু কিছু পরিশ্রম পারে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে। আবার কিছু জিনিস আছে মানুষ শত চেষ্টা করলেও ভাগ্য কখনো পাল্টায় না। কিছু মানুষের ভাগ্যে সুখ লিখে থাকে। আবার কিছু মানুষের ভাগ্যে কষ্ট লেখা থাকে। আমরা যখন সবকিছু চেষ্টা করার পরেও কষ্ট কিংবা সুখ থাকে সেগুলোকে আমাদেরকে মেনে নিতে হবে। আপনি খুব সুন্দর লেখা লিখলেন অনেক ভালো লাগলো পড়ে।
মানুষ সৃষ্টির আগেই তার ভাগ্য লেখা হয়ে গেছে। আর ভাগ্যে যেটা আছে সেটা মেনে বুদ্ধিমানির কাজ। কারণ আপনি চাইলেও সেটা পরিবর্তন করতে পারবেন না। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
অফিস থেকে ফিরে যখন আমি বাসায় আসলাম তানহা আমাকে বলল আমাদের গ্রামের আশাদুল নামে একজন মারা গেছে। কেন জানি মনের ভিতরে তার কথাটাই বলে উঠলো। পরে ফেসবুকে দেখলাম অনেকেই স্টোরি দিয়েছে। সংবাদটি শুনে খুবই খারাপ লাগলো। মানুষের মৃত্যু হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে অস্বাভাবিক মৃত্যুটা মেনে নেওয়াটা অনেক কঠিন। চাইলেই তো আর সুখী হওয়া যায় না যদি সুখ কপালে না থাকে।
যার যতটুকু হায়াৎ আছে সে ততটুকুই বাঁচবে। তার সময় এ পর্যন্ত এসেই ফুরিয়ে যাবে এটা বিধাতা লিখন। অনেক ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
জ্বি ভাই আমাদের সবাইকে মৃত্যুবরণ করতে হবে একটু আগে বা একটু পরে।
আমাদের সকলের উচিৎ ভাগ্যের উপর বিশ্বাস করা৷ কারণ সৃষ্টিকর্তাই ভাগ্যের কথা বলে দিয়েছেন৷ তিনি আমাদের ভাগ্যে যা কিছু লিখেছেন তার থেকে আমরা একটু বেশিও করতে পারবো না এবং তার থেকে একটু কমও আমরা ভোগ করতে পারবো না৷ আমাদের জন্য যা নির্দিষ্ট করা রয়েছে তাই আমরা ভোগ করতে পারবো৷ কিছু কিছু মানুষের ভাগ্যে অনেক ভালো কিছু লেখা থাকে এবং সে সেগুলো গ্রহণ করতে পারে৷ আবার কিছু মানুষের ভাগ্যে কোন কিছু লেখা থাকে না৷ সেই যতই পরিশ্রম করুক না কেন তার সাফল্য কোন মতে আসে না৷ তাই আমাদেরকে সবসময়ই আমাদের ভাগ্যের উপর বিশ্বাস রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত৷ খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি৷ ধন্যবাদ৷
জি ভাই আপনি সঠিক বলেছেন ভাগ্যে যা লেখা থাকবে সেটাই সংগঠিত হবে। তবে এক এক জনের ভাগ্য এক এক রকম। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।