আমার তোলা এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু।

বাংলা ভাষায় ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ফাউন্ডার "এডমিন ও মডারেটর প্যানেল সহ সকল সদস্যদের জানাই অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি।

---

---

এই প্রাণীর নাম হলো বিড়াল। যার সম্পর্কে প্রত্যেকটা মানুষ অবগত আছেন। ওই ফুলের বাগানে যখন আমি ফুলের ফটোগ্রাফি করেছিলাম, তখন ঠিক পাশে একটি দেওয়ালের কোণে এই বিড়ালটি ঘুমিয়ে ছিল। ঘুমানো অবস্থায় বিড়ালটিকে খুব সুন্দর লাগছিল। ওই সময় যখন আমি ফটোগ্রাফি করতে যাব ঠিক সেই সময় সে জেগে ওঠে। বিড়ালটি জেগে ওঠার পরে আমার দিকে এমন ভাবে তাকাচ্ছিল দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল। আর ঠিক সেই সময় কাল বিলম্ব না করে বিড়ালের একটি ফটোগ্রাফি করলাম। সেই ফটোগ্রাফিটি আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের ভাল লেগেছে।

যখন আমি জবা ফুলের ফটোগ্রাফি করেছিলাম ঠিক তার পাশেই আরেকটি ফুল দেখতে পেয়েছিলাম। এই ফুলটি আমার কাছে খুবই পরিচিত এবং অনেক ছোট থেকে ফুলকে চিনে থাকি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল এই ফুলের নাম আমার জানা নেই। আজ পর্যন্ত কাউকে জিজ্ঞাসাও করে দেখি নাই যে, এই ফুলের নামটা কি? তবে আজকে যখন ফটোগ্রাফি করেছি আর এই ফুলের নাম আমার জানা নেই। তাই আজকে আপনাদের কাছ থেকে এই ফুলের নামটি জানতে চাচ্ছি। এই ফুলটি দেখতে বেশ চমৎকার এবং গাছেও প্রচুর পরিমাণে এই ফুল ধরে থাকে। আসলে ফুলের সৌন্দর্য সব সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দেয়।

গতকাল পবিত্র ঈদের দিন গেছে। সবাই যখন ঘোরাঘুরি নিয়ে ব্যস্ত, তখন আমি নিজেই ফটোগ্রাফি করা নিয়ে ব্যস্ত। আমাদের জুগীর গোফা প্রাইমারি স্কুলের সামনে অল্প পরিমাণ ফুলের গাছ রয়েছে। সেই সব ফুল গাছের মধ্যে জবা ফুল একটি। জবা ফুল সবার কাছেই বেশ পরিচিত একটি ফুল। আর এই ফুল সবাই পছন্দ করে। জবা ফুলের যেমন সৌন্দর্য রয়েছে তেমনি এর বেশ কিছু গুণ রয়েছে। জবা ফুল দিয়ে কিছু ওষুধ তৈরি করা হয়ে থাকে। আর এগুলো মানুষের জন্য খুবই উপকার। আমি শুনেছি যাদের চুল ওঠা এবং খুশির প্রবণতা রয়েছে তারা জবা ফুলের রস ব্যবহার করলে এটা থেকে মুক্তি লাভ করে কিছুটা। জবা ফুল বিভিন্ন রংয়ের হয়ে থাকে। এর মধ্যে লাল জবা ফুলটি দেখতে বেশি সুন্দর।

আজকে ঈদের দ্বিতীয় দিন। বেশ কয়েকদিন আগে একটি বিয়ের দাওয়াত পায়। আর এই বিয়েটা আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। অবশ্য বিয়ে বাড়িটা আমার বাড়ির পাশেই বলা যায়। কালকে রাত ৯ টার সময় যখন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন লক্ষ্য করলাম ওই বিয়ের বাড়িতে বেশ সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করলাম গেটের সামনে মিউজিক জ্বলছে। এবং মিউজিকের মধ্যে সুন্দর একটি ফুল দেখা যাচ্ছে এবং তার মধ্যে আল্লাহ লেখা। এটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। তাই একটি ফটোগ্রাফি করলাম এবং আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম আশা করি এটা আপনাদের ভালো লেগেছে।

আমাদের কাছে অতি পরিচিত ফুল হলো গোলাপ ফুল। গোলাপের যেমন সৌন্দর্য রয়েছে তেমনি রয়েছে ঘ্রাণ। গোলাপ ফুলের সৌন্দর্য এবং ঘ্রাণ অন্য যেকোনো ফুলের থেকেও আলাদা। আপনারা অনেকে হয়তোবা জানেন গোলাপ ফুলের নির্যাস থেকে গোলাপ জল তৈরি করা হয়ে থাকে। পৃথিবীতে বিভিন্ন প্রকারের গোলাপ ফুল রয়েছে। গোলাপ ফুল আমার ভীষণ প্রিয় একটি ফুল। যেহেতু শীতের শেষের দিকে এজন্যই ফুল গুলো একটু নির্জীব হয়ে পড়েছে। নির্জীব হয়ে পড়লেও এর সৌন্দর্যের কোন কমতি নেই। গোলাপ ফুলকে ফুলের রানী বলা হয়, শুধু তার অধিকতর সৌন্দর্যের কারণে।

আমাদের এই দেশ বাংলাদেশ। আমরা গর্ব করে বলতেই পারি সৌন্দর্যের অন্যতম দেশ বাংলাদেশ। যে সৌন্দর্য আমাদের আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। কয়দিন আগে বিকেল বেলায় সূর্য ডুবোডুবু অবস্থায়। কিছু গাছপালার উপর দিয়ে সূর্যটা নিচের দিকে ডুবে যাচ্ছে। যখন তাকে দেখছিলাম তখন অপূর্ব সৌন্দর্য লাগছিলো। সূর্য ডুবন্ত অবস্থার এই দৃশ্যটি আমার মন কেড়েছে। সাথে সাথে প্রকৃতির এই সৌন্দর্য ফটোগ্রাফি করলাম। আর আজকে এই সৌন্দর্য আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করি সূর্য অস্ত যাওয়ার এই মুহূর্তটা আপনাদের বেশ ভালো লাগবে। প্রকৃতির সৌন্দর্য সব সময় আমাদেরকে মুগ্ধ করে। আর এই প্রকৃতির সৌন্দর্যের কোন শেষ নেই।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।