নাটক রিভিউ:- সাদাকালো মন, পর্ব -২৮

আসলামু আলাইকুম,আমার স্টিম বন্ধুগন। আশা করি আল্লাহুর রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি। আমি @tuhin002। আজকে আমি খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করতে ইচ্ছা পোষণ করেছি। আর তাই আজকে আমি যে নাটকটি শেয়ার করতে যাচ্ছি, সেই নাটকের নাম" সাদা কালো মন , পর্ব- ২৮" নিচে স্ক্রিনশটের মাধ্যমে ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো ....

অনেকদিন পর আবারও দেখা গেছে সেই পীর বাবার সঙ্গী। যে সব সময় পীর বাবার সাথে চলাচল করতো। পীর বাবা অনেকদিন নিখোঁজ তাই তার সঙ্গী একটু পেরেশানে ছিল। কবে তার পীর আসবে। এমন সময় শয়তানে তার ছদ্মবেশে একজন তার সামনে আসে। সে বলে তুই কেন তোর সবকিছু সত্য কথাগুলো মানুষের মধ্যে বলে দিবি। মানুষ এখন বিশ্বাস করবে না। তুই এই সুযোগটা নিয়ে মানুষের মধ্যে যা বলবি তাই তারা বিশ্বাস করবে। এই বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে তুই তাদের কাছে বেশ ভালো একটা সুযোগ পাবি। এই সুযোগ নিয়ে তুই অনেক কিছু করতে পারবি। তখন সে মনে মনে ভাবে এটাতো বেশ ভালো একটা কথা বলেছে। সেই কথামতো সে নিজেকে ধাপিত করার জন্য মনস্থির করে।

এর আগের পর্বে জাহিদ হাসান নাদিম খানকে ডেকেছিল। সেই হিসাবে নাদিম খান জাহিদ হাসানের পাশে বসে দুজন কথাবার্তা বলছিল। জাহিদ হাসান নাদিম খান কে বলেছিল ছোট ভাই আমি তোমাকে ভুল বুঝেছিলাম। আমি ভেবেছিলাম তুমি একটা খারাপ ছেলে। কিন্তু আসলে তুমি অনেক ভালো ছেলে। নাদিম খান তার কথার প্রেক্ষিতে বলেছিল ভাই আমি যখনই মানুষের ভালো করতে যাই তখনই খারাপ হয়ে যায়। তখন জাহিদ হাসান বলছিল আসলে দুনিয়ার বুকে মানুষ যারা মানুষের ভালো করতে যায় তখন মানুষ একেক জন একেক ভাবে নেয়। সুতরাং ভালো কাজ করতে গেলে খারাপ হলেও সমস্যা নেই। কারণ ভালো মানুষ কখনো শেষ হয়ে যায় না।

এদিকে নাদিয়া তার সৎ মা সেই একই ভাবে তাকে ক্ষতি করার জন্য কিছু লেগেই আছে। একদিকে তন্ত্র মন্ত্র কাছে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের বান মারার জন্য যা যা করার দরকার সবকিছুই করছে। এই সমস্ত বিষয়টা বেশ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছে নাদিয়া তার জন্য তার মাকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে, তুমি মজনুকে বিয়ে করে এই সয় সম্পত্তি গুলো একা ভোগ করবে আর রানী হয়ে থাকবে আমি সেটা সহ্য করতে পারবো না যেভাবেই হোক আমি এখান থেকে তোমাকে তাড়াবো। আসলে সৎ মা কখনো আপন না হতে পারে না এটা এই নাটকে খুব সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে। সৎ মা সব সময় খারাপ চোখে দেখে এবং ক্ষতি করার জন্য কিছু নাই এটা খুব পরিষ্কার এই নাটকে।

জাহিদ হাসান এবং নাদিম খান যেখানে বসে কথা বলছিল, সেখানে নাদিম খান জাহিদ হাসানকে বলেছিল বড় ভাই আমি চেয়ারম্যানের মেয়েকে খুব বড্ড ভালোবাসি। তখন জাহিদ হাসান তাকে নিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে এসেছিল। অবশ্য বিয়ের কথা বলছিল না। চেয়ারম্যান জাহিদ হাসানকে বলেছিল বাবাজি আমি তোমার জমিগুলো বের করে দেব। নাদিম খান চেয়ারম্যান কে বলে চাচা আমার বাবার জন্য আমি লজ্জিত। আমি বাবার হয়ে আপনার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। তখন চেয়ারম্যান বলে তোমার বাবার জন্য এসব কিছু হচ্ছে। চেয়ারম্যান জাহিদ হাসানকে আশ্বস্ত করে তার বাবার জমিগুলো সে যেভাবেই হোক বের করে দিবে। প্রয়োজনে সে প্রশাসনের সাহায্য নিতে প্রস্তুত।

এদিকে ছোট হুজুর গ্রামের মধ্যে ঢুকেছে এবং মানুষের সাথে কথা বলছে। মানুষ তাদেরকে অন্তর থেকে বিশ্বাস করে। তাই সে যা বলে তাই তারা মেনে নিচ্ছে। এমন সময় সে রাস্তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। তার মুখে মধু পড়ে। সে দেখে মধুর ঢাল থেকে মধু পড়ছে। তখন সে সেটা হা করে খেতে থাকে। এমন সময় ওই গ্রামে যে পাগল ছিল সে পাগল দেখে ফেলে এবং তার গায়ে ঢিল ছুড়ে মারে। আর এটা দেখে এসে দৌড়ে পালায় এবং পালানোর সময় একটা সময় সে পুকুরের মধ্যে নেমে পড়ে। যখন নামতে যায় তখন একটা বুড়ি বলে এই তুমি পুকুরের মধ্যে নামছো কেন? তখন সে বলে পাগল আমাকে তাড়া দিয়েছে।

যখন কোন মানুষ অন্য কোন মানুষকে ক্ষতি করার জন্য কিছু লেগে থাকে, তখন ওই মানুষটা সব সময় ভয়ে থাকে। দিনে রাতে ঘুমানোর সময় সব সময় সে এই আতঙ্কের মধ্যে তার জীবন কাটে। এমন একটা অবস্থা হয়েছে নাদিয়ার। নাদিয়া রাতে ঘুমিয়ে আছে, ঘুমের মধ্যে সে স্বপ্ন দেখছে তার সৎ মাতাকে ক্ষতি করার জন্য মোমবাতি জ্বালিয়ে কিছু একটা যেন করছে। সামনে এসে দেখে তাকে বান মারার জন্য সব কার্যক্রম গুলো আরম্ভ করে দিয়েছে। এটা দেখে নাদিয়ার বাবা, বাবা করে চিৎকার করে ওঠে। তখন পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখে তার বাবা দাঁড়িয়ে আছে। তার বাবাকে বলে বাবা, মা আমাকে ক্ষতি করার জন্য বান মারছে। তখন তার বাবা বলে, তোর মা এত ভালো চাই। আর তুই তোর মাকে কেন বারবার ভুল বুঝিস। তখন নাদিয়া বলে কেন আমি তোমাকে বারবার বোঝাতে পারছিনা এই বলেছে ঘুম থেকে জেগে ওঠে।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।