নাটক রিভিউ:- সাদাকালো মন, পর্ব -২৪।
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন আমি @tuhin002 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৬ - ০৩ - ২০২৪)
আসলামু আলাইকুম,আমার স্ট্রিম বন্ধুগন। আশা করি আল্লাহুর রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি। আমি @tuhin002। আজকে আমি খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করতে ইচ্ছা পোষণ করেছি। আর তাই আজকে আমি যে নাটকটি শেয়ার করতে যাচ্ছি, সেই নাটকের নাম" সাদা কালো মন , পর্ব- ২৪" নিচে স্ক্রিনশটের মাধ্যমে ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো ....
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য। |
---|
নাটকের নাম | সাদা কালো মন, পর্ব -২৪। |
---|---|
পরিচালক ও রচনা | আলী ইমরান। । |
অভিনয় | জাহিদ হাসান, তুষার খান, চ্যালেঞ্জার,নাদিয়, রহমত আলী,আহসানুল হক মিনু, নাজমুল হুদা বাচ্চু ,নুপুর ও আরো অনেকে। |
দৈর্ঘ্য | ১৮ মিনিট ৩৫ সেকেন্ড |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ১৭ অক্টোবর ২০১৭ইং। |
নাটকের সারসংক্ষেপ |
---|
গত পর্বে উল্লেখ করেছিলাম চেয়ারম্যানের মেয়ের সাথে বসে জাহিদ হাসান কথা বলছিল। সে যাওয়ার পরে চেয়ারম্যানের মেয়ে তার বাড়িতে থাকা একজন তৃতীয় লিঙ্গের সাথে কথা বলছিল। তাকে বলছিল যে, আসলে মানুষের মন পরিবর্তনশীল। কখন কোন সময় মন পরিবর্তন হয়ে যায় সেটা বলা যায় না। অর্থাৎ চেয়ারম্যানের মেয়ে ভালোবাসতো একজনকে কিন্তু মনে মনে জাহিদ হাসানকে আবার পছন্দও করে। চেয়ারম্যানের মেয়ে তাকে বলেছিল আসলে মানুষটা অনেক ভালো। তার মনটাও অনেক ভালো। কেন যেন তার প্রতি আমার একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছে মনের ভিতর। একথা বলছিল আর সে মিটমিট করে হাসছিল।
পৃথিবীর ইতিহাসে খুব কম সৎ মা আছে যারা অন্যের সন্তানকে বুকে টেনে নিতে পারে। এই নাটকে ঠিক এমন একটা চরিত্র রয়েছে। যেখানে অভিনয় করছেন একজন মহিলা। তার মেয়েকে অন্য একটা জায়গায় বিয়ে দেয়ার জন্য কবিরাজ ধরেছিল। কিন্তু কোন কাজ হয়নি তাই তার কাছে পুনরায় এসেছে। এবং তার কাছে জিজ্ঞাসা করছে কেন এটা হল না? কেন সে তার সর্বনাশ করল? তখন সেই কবিরাজ বলছে, নিয়তির খেলা আমরা সবকিছু পারি কিন্তু বিধির বিধান কখনোই বদলাতে পারি না। তখন ঐ মহিলা বলছে তাহলে কি আমরা কখনো এটা করতে পারবো না। তখন ঐ কবিরাজ বলছিল আসলে এটা আমার পক্ষে সম্ভব না। তবে এতোটুকু একটা কথা বলতে পারি অবশ্যই তুই গিয়ে দেখ ওই ছেলের কোন বিপদ হয়েছে। তা না হলে এটা কখনো হওয়ার কথা ছিল না। তবে প্রকৃতির নিয়ম যেটা সেটা মেনে নিতেই হবে এতে কারো হাত নেই।
বর্তমান যুগে মোবাইল এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার কারণে ডাক যোগাযোগ অনেকটাই বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু এই নাটকে ডাক যোগাযোগে যে ব্যবস্থা সেটা তুলে ধরেছে। এখানে যে চাচা এই কাজে কর্মরত রয়েছে তিনি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় বসেছিল সেই ঢাকার নায়ক। সে তাকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে, চাচা আমি কি সত্যি রাজাকারের ছেলে। আমাদের গ্রামে যে পাগল আছে সে আমাকে দেখলেই রাজাকারের ছেলে বলে তাড়া দেয়। আজকেও আমাকে তাড়া দিয়েছিল। তুমি কি এই বিষয়ে কোন কিছু জানো চাচা? উনি তখন বলছিল আসলে বাবা কি বলবো আমি একটু ভীতু ছিলাম। যখন যুদ্ধ শুরু হয়েছিল তখন আমি পালিয়ে গিয়েছিলাম। সেই কাপুরুষতা আমাকে সারা জীবন খুঁড়ে খায়। বিবেকের কাছে আমি খুবই লজ্জিত। আসলে তুই এসব নিয়ে চিন্তা করিস না বাড়িতে চলে যা। তখন সে বাড়ির দিকে রওনা হয়।
সেই সকাল বেলায় জাহিদ হাসান গিয়েছিল গঞ্জে। তার বাবার হারানো জায়গা জমি গুলো ফিরে আনার জন্য। তার এক বন্ধু ভূমি অফিসে চাকরিরত রয়েছে। এদিকে বাড়িতে অনেক গুলো ঘটনা ঘটে গেছে এ বিষয়ে জাহিদ হাসান কিছুই জানে না। কিন্তু ঘটনায়ক্রমে জাহিদ হাসানগঞ্জে যেতে পারে নাই। কারণ এই দিন ভূমি অফিস বন্ধ থাকে। সে সারাদিন চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে আর গ্রামগঞ্জে ঘুরে বেড়িয়ে সময় কাটিয়েছে। নাদিয়া এটাও জানে না যে চেয়ারম্যানের মেয়ের সাথেও সেই গল্প গুজব করে এসেছে। সন্ধ্যা যখন বাড়ি ফিরল তখন নাদিয়া তাকে জিজ্ঞাসা করল আপনি এতক্ষণ পরে ফিরলেন। আপনি যেটা করছেন সেটা হয়তো বা সেটা আমার কপালে নেই। আমার সৎ মা আমাকে বিয়ে দেয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। জানিনা আমার কপালে কি আছে এই বলে নাদিয়া মন খারাপ করে চলে যায়। জাহিদ হাসান শুধু তার দিকে দৃষ্টিপাত করে থাকলো। এই কথা শোনার পরে তার মুখ দিয়ে কোন কিছু বের হলো না।
ডাক পিয়ন রাস্তার মধ্যে দিয়ে হেটে যাচ্ছিল এমন সময় হীরা পাগল তার সামনে পড়ে যায়। ডাক পিয়ন হীরা পাগল কে জিজ্ঞাসা করেছিল, তুমি সারাদিন রাজাকার মারবো রাজাকার মারবো করে বেড়াও এখন রাজাকার কোথায়? যুদ্ধ শেষ হয়েছে অনেক আগে। তারপরও তুমি এসব করে বেড়াও কেন? তখন হীরা পাগল বলছে, কোথায় রাজাকার শেষ হয়েছে? এখনো রাজাকার রয়েছে এই সব রাজাকারদের শেষ করতে হবে। এই বলে সে ঘাড়ের উপরে একটি লাঠি নিয়ে তার সামনে কথা বলতে থাকে। তার কথাগুলো শুনে ডাক পিয়ন বলে আসলে পাগলের বাচ্চা পাগল। এই পাগল সারাদিন গ্রামগঞ্জে মানুষকে এভাবে হয়রানি করে বেড়ায়। যদিও এই পাগল একটা সময় একটা স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। যুদ্ধের পরে তার এই অবস্থা হয়ে যায়।
হীরা পাগল রাজাকারের ছেলে বলে যাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াই সে বাড়িতে মন খারাপ করে বসে আছে। এমন সময় তার বাড়িতে কাজ করে একজন বয়স্ক লোক তাকে দুধ পান করার জন্য এক গ্লাস দুধ নিয়ে আসে। তখন সেই বয়স্ক লোকে বলে চাচা আমার বাবা কি সত্যিই রাজাকার ছিল? সেই ব্যক্তি কিছুক্ষণ থেমে থাকে, এর পরে তাকে বলে তুমি এসব কথা কেন বলছ? তখন সে বলে হীরা পাগল আমাকে রাজাকারের ছেলে বলে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়। তুমি সত্যি করে বলতো চাচা আমার বাবা কি রাজাকার ছিল? ওই ব্যক্তির মুখের দিকে তাকিয়ে মনে হয়েছিল আসলে তার বাবার রাজাকার ছিল। যদিও সেই কথাটি তার সামনে প্রকাশ করছিল না। তাকে বললো এসব কথা বাদ রেখে তুমি দুধপান করে নাও। তখন সেই গ্লাসটা হাতে নিয়ে দুধ পান করতে থাকে। আর এই নাটকটি এখানেই শেষ হয়ে যায়।
আজ এই পর্যন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
এই নাটকে ২৪ তম পর্ব চলছে। সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টির আগে সবকিছু লিখে রেখেছিল। যার যেভাবে লিখেছে ঠিক সেভাবেই ঘটবে এটাই নিয়তির খেলা। কেউ চাইলে সেটা পরিবর্তন করতে পারবে না। নাটকের এই পর্বে বিভিন্ন চরিত্রের ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করা হয়েছে। এবং ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রের চাওয়া পাওয়াটাকে এখানে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। যদিও এই চাওয়া পাওয়াটা পূর্ণ হবে যদি তার কপালে লেখা থাকে তার উপরে নির্ভর করবে। আজকে এই পর্যন্তই, ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন,ধন্যবাদ সকলকে।
ব্যক্তিগত রেটিং । |
---|
নাটকটিতে আমি আমার ব্যক্তিগত রেটিং পয়েন্ট ১০ এর মধ্যে ৯.০ দিবো।
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1768813358692831460?t=hOCttIdEQZGH07gmUmJFBw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সাদাকালো মন নাটকের ২৪ পর্ব আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাই। নাটকটি আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। আমি এই নাটকের সবগুলো পর্ব দেখিনি কিন্তু কয়েকটি পর্ব আমি দেখেছি। জাহিদ হাসানের নাটক আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। তাছাড়া অন্যদের অভিনয় আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এই নাটকটি প্রথমের দিক থেকেই আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আর এর কারণে আমি আজকের ২৪ তম পর্ব আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি। জাহিদ হাসানের নাটক আপনার ভালো লাগে এটা যেন বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সু স্বাগতম ভাই। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
আপনি অনেক সুন্দর করে সাদা কালো মন নাটকটার ২৪ তম পর্ব আজকে শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। এই নাটকের ২৪ তম পর্বটার রিভিউ পোস্ট পড়ে খুব ভালো লেগেছে। দেখতে দেখতে সাদা কালো মন নাটকটার ২৪টা পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। আর এই নাটকের বেশ কয়েকটা পর্বে রিভিউ আমি পড়েছি। অন্যগুলোর মত এই পর্বেও সবাই অনেক সুন্দর অভিনয় করেছে। নাটকের পুরো কাহিনীটা আশা করছি জেনে নিতে পারবো প্রত্যেকটা রিভিউ পোস্টের মাধ্যমে। ২৫ তম পর্ব পড়ার জন্য অপেক্ষায় আছি।
এই নাটকের কাহিনী গুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। প্রথমে কয়েকটি পর্ব শেয়ার করতে গিয়ে দেখলাম নাটকগুলো ভালো লাগছে। তাই একটা একটা করতে করতে আজকে ২৪ তম পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করে দিলাম আপু। আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
দেখতে দেখতে সাদা কালো মন নাটকটার ২৪ টা পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। আর এই নাটকের বেশিরভাগ পর্বের রিভিউ পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। এরকম ভাবে আশা করছি আপনি সাদা-কালো মন নাটকটার প্রত্যেকটা পর্ব শেয়ার করবেন আমাদের মাঝে। আর দেখছি ওই চাচাকে যখন সে জিজ্ঞেস করেছিল তার বাবা আসলেই কি রাজাকার ছিল কিনা কিন্তু উনি তো কিছু বললেন না। কথাটা অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি তাকে বলেছিল সে যেন দুধ পান করে। যাইহোক এর পরবর্তীতে কি হয় এটা জানারই অপেক্ষায় থাকলাম।
যদিও গ্রাম্য ভাবে নাটকটি তৈরি করেছে। তবে নাটকের অভিনয় গুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে প্রত্যেক জনের অভিনয় খুবই চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।