নাটক রিভিউ :- ভবঘুরে পর্ব -১২।

আসলামু আলাইকুম,আমার স্টিম বন্ধুগন। আশা করি আল্লাহুর রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি। আমি @tuhin002। আজকে আমি নতুন করে খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করার ইচ্ছা পোষণ করেছি। আর তাই আজকে আমি যে নাটকটি শেয়ার করতে যাচ্ছি, সেই নাটকের নাম "ভবঘুরে" , পর্ব- ১২"। আমি বরাবরই পুরনো নাটক গুলো দেখতে ভীষণ ভালোবাসি। এই নাটক গুলোর মধ্যে শিক্ষনীয় বিষয় গুলো বেশি থাকে। এই নাটকটির প্রথম পর্ব নিচে স্ক্রিনশটের মাধ্যমে ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো ....

গত পর্বতেই বলেছিলাম একজন গান গেয়েছিল। সেই গান শুনে রুম থেকে বেরিয়ে এসেছিল এক রমণী। অনেকক্ষণ ধরে তার সাথে কথাবার্তা বলতেই তার বোন ঘুম থেকে জেগে উঠে। জেগে তাকিয়ে দেখে তার বোন ঘরে নেই। এরপরে সে বাইরে খোঁজাখুঁজি করে। হঠাৎ দেখে পাশের রাস্তা দিয়ে উঠে চলে আসছে। তাদের পাশের রুমে থাকে একজন ভদ্রলোক। তিনি বললেন এই জায়গাটা খুব একটা ভালো না। তাই এভাবে চলাফেরা করাটা উচিত হবে না। অবশ্য তাকে কয়েকটা প্রশ্ন করা হয়েছিল। সে কোন প্রশ্নের জবাব দিল না। বরং সে মিথ্যা কথা বলল সেখানে। এর পরে তার বড় বোন তাকে বললো, এরপর থেকে যদি বাহিরে যাও তাহলে অবশ্যই আমাকে বলে যাবে। তখন সে বলল আসলে ঘুম পাচ্ছিল না তাই একটু বাহিরে হাটাহাটি করছিলাম।

এদিকে নাটকের নায়িকা হওয়া নিয়ে খুবই আগ্রহ দেখাচ্ছে নাদিয়া। তার মা এবং চাচীর সাথে এই বিষয়ে কথা বলছে। হঠাৎ মোবাইলে ফোন আসছে সে কল ধরছে। ধরার পরে সে সাথে সাথে বলছে কে ডাইরেক্টর সাহেব? আপনি ভালো আছেন আসলে আমি খুব একটা ভালো নায়িকা হতে পারব কি জানিনা তবে চেষ্টা করব। এইভাবে সে তা নিজের কথা বলেই চলেছে। পরবর্তীতে যে ব্যক্তির কাছে ফোন দিয়েছিল সে বলছে আসলে আমি তো ডাইরেক্টর না। আমার একটু দরকার ছিল তখন সে উল্টো তাকে ঝাড়ি দিয়ে বলে আপনি আগে বলবেন না। এই কথা শোনার পরে তার চাচী বলল তুই নায়িকা না হতে পারলেও সাইড নায়িকা হবে এই গুন তোর আছে।

এদিকে আর একজনও নায়িকা হওয়ার চান্স নিচ্ছে। আসলে এ তার মাকে বলতে পারছে না তাই একটা নাটকের কিছু কাহিনী তার সামনে ধরল। বললো মা ওই যে ওখানে যে মেয়েটা অভিনয় করছে আমি অভিনয় করতে পারবো না। আর সে কি দেখতে খুবই সুন্দর তখন তার মা বলল কাকে তুই কি বলছিস সে হলো ময়দার বস্তা তুই আমার কত সুন্দর মেয়ে তখন সে বলছে তাহলে তো আমি নাটক অভিনয় করতে পারব এই কথা শুনতে তার মা একটু রেগে গেল এবং সেখান থেকে সরে চলে গেল।

অবশেষে তাদের সেই কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি যিনি সিনেমার পরিচালক অর্থাৎ ডাইরেক্টর তিনি মাইক্রোবাসের চড়ে গ্রামের মধ্যে চলে এসেছেন। এবং তাদের সাথে দেখা করছে। তাদের আসতে দেখে আখম হাসান আরেফিন এরা তো ভীষণ খুশি। শুধু সেই আছে তা নয় তারপর আর টিম তাদের সাথে রয়েছে। যে ব্যক্তির সাথে কথা হয়েছিল সে ছিল না বলে বেশ রাগ করছিল। পরে তাদের কথাবার্তা বলে হাত ধরে পায়ে ধরে তাদেরকে নিয়ে আসা হয়। আসলে আপনার জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছাগলে গোশত রান্না করা হয়েছে অনেক কিছু আয়োজন করা হয়েছে। আর আপনি চলে যাবেন তা তো হয় না। এই বলে তাকে ধরে পাকড়িয়ে নিয়ে আসা হয়। আসলে এখানে অনেকে অনেকভাবে চান্স নিচ্ছে। কেউ নিজের জায়গায় সঠিক না সবাই ধান্দাবাজ। শেষ পর্যন্ত নাটকটি কোন দিকে যাবে সেটাই দেখার বিষয়।

অভিনয়ের মধ্যে ব্যতিক্রম একজন অভিনয় করছেন ইনি। ঐদিন ম্যানেজারের সাথে গন্ডগোল হয়েছে তাই তিনি টেনশনে রয়েছেন তার চাকরিটা চলে যাবে কিনা। অনেকটা দুশ্চিন্তায় বসে আছেন। পাশ দিয়ে চলে আসছিল সেই সিঙ্গার। তাকে দেখে তার পাশে এসে বলল কি ব্যাপার টেনসনে আছেন? তখন সে বলছে হয়তোবা আমার চাকরিটা চলে যেতে পারে। তখন উনি বলছেন যদি তোমার চাকরিটা চলে যায় তাহলে আমার সাথে গান গাইবে হাসিখুশিতে চলবে। এভাবে তোমার চাকরি কি পারবেন এই কথা শুনে সে বলল আপনি আমার সাথে হাসি মশকরা করছেন। তখন উনি হাঁস হেসে বলল না আপনার সাথে আমি কোন কিছুই করছি না। যেটা সঠিক সেটাই বলছি। আর এখানে নাটকটি শেষ হয়ে যায় আগামী পর্ব দেখার আমন্ত্রণ রইল।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।