রেনডম ফটোগ্রাফি :- আমার তোলা কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি।

in আমার বাংলা ব্লগ5 days ago

আমি @tuhin002
বাংলাদেশ থেকে।
২৬ আষাঢ় ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।

০৩ মহররম ১৪৪৫ হিজরি। ৪১১ জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।


আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু


বাংলা ভাষায় ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ফাউন্ডার "এডমিন ও মডারেটর প্যানেল সহ সকল সদস্যদের জানাই অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভাল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি।





১ নং ফটোগ্রাফি।


গ্রাম অঞ্চলে মানুষ বলে কাংলাশ মারা নাকি ভালো কাজ। কথাটা কতটুকু সত্য আমি জানিনা। তবে এই প্রজাতির প্রাণী গুলো দেখতে অনেক কম পাওয়া যায়। এদের আকার অনেকটা টিকটিকির মতো। কিন্তু টিকটিকি থেকে লম্বা এবং লেজ গুলো অনেক অনেক লম্বা হয়ে থাকে। রাস্তার পাশ দিয়ে হেটে আসছিলাম। হঠাৎ করে দেখি গাছের উপরে একটি কাংলাশের ছোট বাচ্চা। চোখ পড়তেই ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করলাম। প্রথমবার ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয়বার ঠিকই আমি ফটোগ্রাফিটি করতে পেরেছি। কাংলাশের ছোট হলেও তার লেজটা দেখছেন কত বড় লম্বা। তবে এ প্রজাতের প্রাণীগুলো অনেক কম দেখা যায়।


২নং ফটোগ্রাফি।


অনেকদিন ধরে প্রখর রৌদ্র চলছিল। চারিদিকে শুকিয়ে গিয়েছিল তাই গাছপালার সবকিছুর নির্জীব হয়ে পড়েছিল। হঠাৎ বৃষ্টি হতে চারিদিকে সবুজে সমরহ। বৃষ্টি কত বড় নেয়ামত সেটা সবাই বোঝেন। বৃষ্টি শুরু হওয়ার সাথে সাথে গাছগুলোর নানান ধরনের ফুল ফুটেছে। রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দেখতে পেলাম একটি সুন্দর ফুল। যদিও ফুলটি নাম আমার জানা নেই কিন্তু ফুলটি দেখে বেশ ভালো লাগলো। হাতেই মোবাইল ছিল সাথে সাথে ফুলটি মোবাইলে ক্যাপচার করে নিলাম। আপনাদের যদি জানা থাকে ফুলটির নাম তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্টে জানাবেন। তবে সবুজের মধ্যে ফুলটি সত্যি অনেক দারুন লাগছে।


৩ নং ফটোগ্রাফি।


বর্ষাকালে রাস্তার দুই পাশে সবুজ জঙ্গল। সবুজে সমরহ মাঝখান দিয়ে চলে গেছে শুরু রাস্তা। রাস্তাটি যদিও বেশি চওড়া নয় কিন্তু দেখতে বেশ সুন্দর চারপাশের গাছপালা। ক্যামেরাটি যখন আর রাস্তার মাঝখানে ধরেছিলাম তাকিয়ে দেখলাম খুবই ভালো লাগছিল। প্রকৃতির তার সৌন্দর্য যেন সবকিছু রূপ ঢেলে দিয়েছে এখানে। দেখে মনে হলো শুধু আমি একাই দেখব আপনাদের সাথে একটু শেয়ার করি। বিশেষ করে যারা শহর অঞ্চলে থাকেন তারা এমন রূপ খুব কমই দেখেন। তাই প্রাক প্রকৃতির এই বিশেষ রূপ কিছুটা হলেও আপনারা আমার ফটোগ্রাফির মধ্য থেকে উপলব্ধি করতে পারবেন।


৪ নং ফটোগ্রাফি।


কোন একটা কবিতায় পড়েছিলাম বর্ষায় সবকিছু নতুন যৌবন ফিরে পায়। আসলে কথাটি অনেক সত্য। এইতো কিছুদিন আগেই মাঠের দিকে তাকালে মনে হতো সবকিছু পুড়ে একাকার। তাকালেই চোখ জ্বলে যেতো সবুজের কোন ছায়া ছিল না। বেশ কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হল। বৃষ্টিতে সবাই যেন নতুনভাবে জীবন ফিরে পেয়েছে। সবুজের নতুন যৌবন এসেছে। যেটা চারদিকে রূপের সজ্জিত করেছে। আপনারা এই ফটোগ্রাফি দেখলে বুঝতে পারছেন। সবুজে সংগ্রহ কতটা আকর্ষণীয় গড়ে তুলেছে চারিদিকের প্রকৃতি। যেদিকে তাকাই সেদিকে সবুজ আর সবুজ।


৫ নং ফটোগ্রাফি।


আসলে আজকে আমি যে ফটোগ্রাফি গুলো করেছি সবই রাস্তার পাশ থেকে আসার সময় বাড়িতে। আমি একটা কাজের জন্য মোবাইলটি বের করেছিলাম হঠাৎ ক্যামেরা অন করতে যা দেখলাম সেগুলোই এতটাই ভাল লাগছিল বলে বোঝাতে পারবো না। পাশেই ছিল আরেকটি ফুল গাছ। দেখবেন গ্রাম অঞ্চলে রাস্তার পাশ দিয়ে নতুন ধরনের কিছু ফুল ফুটে থাকে। যদিও ফুল গুলো মানুষ কতটা আকর্ষণ করতে পারে না তবে যারা একটু পরোক্ষ করে দেখে তারা নিশ্চয়ই আকর্ষিত হয়। এই ফলের নাম আমার জানা নেই তবে ফুলটি বেশ সুন্দর দেখতে। সচরাচর এই ফুল গুলো রাস্তার দুই পাশে দেখা যায় বেশি।


৬ নং ফটোগ্রাফি।


বাগানের পেঁপে গাছ। গাছটিতে কেবল ফুল ফুটেছে। এইতো কিছুদিন আগেই গাছটি যেন নির্জীব হয়ে গিয়েছিল পানের জন্য। মনে হয়নি এই গাছটি বেঁচে যাবে কিংবা ফুল ফুটবে বা ওই ফুল থেকে ফলে পরিণত হবে। কিন্তু দেখেন বৃষ্টি পেতেই সে নতুনভাবে বেঁচে উঠেছে। সবুজের সমরো আমাকে মুগ্ধ করেছে। এটা দেখেই একটি ফটোগ্রাফি করে নিলাম। নিশ্চয়ই এই ফটোগ্রাফি আপনাদের ও ভালো লেগেছে। তবে ফটোগ্রাফি টা করার সময় আমার একটু সমস্যা হয়েছিল সেটা বেড়া ছিলো বেড়ার বাইরে থেকে তোলা থেকে খুব সুন্দরভাবে তুলতে আমি ব্যর্থ হয়েছি। তারপরও আমি চেষ্টা করেছি সুন্দরভাবে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।


সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ আজকের মতো শেষ করছি।


ডিভাইসের নামPoco
মডেলM2
ফটোগ্রাফার@tuhin002
ক্যাটাগরিফটোগ্রাফি
লোকেশনhttps://w3w.co/surer.animators.twinning


👨‍🦰আমার নিজের পরিচয়👨‍🦰


1666192548913_1666192548801_1666192548599_1666192548416_1666192548270_1666192548091_1666192547839_1666192547665_1666192022150.jpg

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।


Logo.png

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )


4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzLdXDsNijBKWNGJn5ogmozSiA7cyReMsKwomyC79dv8nHgZj3RKbXhPtULzHviAUBY9Vc8ousmvcnNywqK...hMHPzmtXdqcE25kuBukgtAciNVXSHonSRqmAmfHf9YgyuYwwZo1Nd9dUCogeVvSsKh3MRCxw1Khi2NyeZh4Rt4J9n7wTsZvJ1tiUMafwrMjZ5AQz2ERchsjjJv.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPxFqYAEtmnwbJrshP4Tdaov4BmxkXJqLhx2USjht6Vy2soth7e34k1TKBQ2RZ2vXNJBF8X9uKH9aLNKFV...xU6W1ggWaLoBhkXz82k34bfNqfnFypapZe2oHzEHELJzLj6msr2RorLQSivfSXJaPiBZmUdQYzewFKsaGxDCyC6yRhEDYu8mNwzeEnkjmmjmpLrQEyQZKZnCTp.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 5 days ago 

ফটোগ্রাফি দেখতে সব সময় আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আসলেই অনেক ভালো লাগছে, তবে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি হবে তিন নাম্বার ফটোগ্রাফিটি।

 4 days ago 

ফটোগ্রাফি গুলা আপনার ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ।

 5 days ago 

প্রকৃতির মাঝে থেকে ধারণ করা অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি ধারণ করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এ ধরনের পরিবেশে সময় অতিবাহিত করতে পারলে আসলেই মনের মধ্যে অন্য রকমের একটা ভালো লাগা কাজ করে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর পরিবেশে সময় অতিবাহিত করে সেগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 4 days ago 

সত্যিই যখন আমি এই পরিবেশে গিয়েছিলাম এতটাই ভাল লেগেছিল ফটোগ্রাফি না করে পারছিলাম না। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 5 days ago 

আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া আপনি ঠিক বলেছেন বৃষ্টিতে গাছগাছালির যৌবন ফিরে পায়। সত্যি আমারো পেঁপে গাছ গুলো বৃষ্টি পেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ছিল।আর প্রতিটি ফটোগ্রাফি এর পাশাপাশি সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

 4 days ago 

বৃষ্টির সময় প্রকৃতি এমনিতে অনেক সুন্দর লাগে আর গাছগুলো বেশ সজিব হয়ে ওঠে। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 5 days ago 

হ্যাঁ ভাই এখন বর্ষাকাল হাওয়ায় রাস্তার যেদিকে তাকাই বিভিন্ন আগাছা জন্ম নিয়েছে, তবে কিন্তু আমাদের মাতৃভূমি যে এতটাই উর্বরশীল এর জন্য আমার খুবই ভালো লাগে। যাইহোক আজকে আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে আরো ভালো লাগলো। যেখানে সবুজের সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে বেশি।

 4 days ago 

বর্ষার সময় প্রকৃতি ভিন্ন রূপে রূপান্তরিত হয়। চারিদিকে সজীব হয়ে ওঠে পরিবেশটা অনেকটা মধুময় হয়ে ওঠে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 5 days ago 

আজকে আপনি খুব অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে চমৎকার রেনডম ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। তবে আপনার প্রথম ফটোগ্রাফি টি আমার কাছে বেশি ভালো লাগলো।কাংলাশ গুলোকে আমরা আমাদের এদিকে কালিশ বলে থাকি। এবং পেঁপে গাছের ফটোগ্রাফি অনেক ভালো লাগলো। সবগুলো ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর করে বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

 4 days ago 

শুধু প্রাণী নয় অনেক জিনিসের নাম স্থানভেদে ভিন্ন রয়েছে। তবে এই প্রাণীটা অনেকদিন পর আমি দেখলাম। ফটোগ্রাফিকুল আপনার ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ।

 5 days ago 

বেশ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রতিটা ছবিই সুন্দর হয়েছে। তবে ওই সাদাফুলটা বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। যাই হোক , আপনার জন্য শুভকামনা।

 4 days ago 

ফুলটি আপনার ভালো লেগেছে যেন ভীষণ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু।

 4 days ago 

আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল ভাইয়া বিশেষ করে প্রতিটা ফটোগ্রাফি স্বচ্ছ ভাব উপস্থাপন করেছেন যার কারণে বেশি ভালো লেগেছে। যাই হোক শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 4 days ago 

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 4 days ago 

প্রথম ছবিটা দেখে তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এই কালাংস আগে অনেক দেখা যেত। এটার নাম অবশ্য মনে ছিল না। যাই হোক বাকি ফটোগ্রাফিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে। ৫ নাম্বার ফটোগ্রাফিটা খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।

 4 days ago 

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 18 hours ago 

আমি তো কাংলাশ কে টিকটিকে মনে করে ভুল করেছি। কাংলাশ নামে কোন প্রাণী আছে,আজকে জানলাম। তবে প্রাণীটা খুব দ্রুত চলে বুঝা যায়। আপনি সঠিক সময়ে ক্লিক করতে পেরেছেন বলেই দ্বিতীয়বার চেষ্টায় সফল হয়েছেন। ধন্যবাদ।

 13 hours ago 

ভাই টিকটিকি এবং এই কাংলাশের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে। টিকটিকে একটু ছোট হয়। কাংলাশ অনেক বড় এবং লেজ গুলো অনেক লম্বা হয়ে থাকে।