প্রকৃতির মাঝ থেকে তোলা রেনডম ফটোগ্রাফি।
আমি @tuhin002
বাংলাদেশ থেকে।
০৩ শ্রাবণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।
১০ মহররম ১৪৪৫ হিজরি। ১৮ জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।
বেশ কিছুদিন ধরে প্রকৃতির মাঝে এই সৌন্দর্যটা আমি লক্ষ্য করছি। এটা বলার অর্থ হল আমি পুকুরে মাছের খাবার দিতে গিয়ে প্রত্যেকদিন এই সৌন্দর্যটা দেখি। আজকে ভাবলাম মোবাইলটা সাথে করে নিয়ে যাব এই সৌন্দর্যটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। প্রকৃতির এই সৌন্দর্যের অপরূপ দৃশ্য চোখ জোড়ানোর দৃশ্য। এই দৃশ্যটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে আশা করি আপনাদের কাছেও ভাল লাগবে। ফটোগ্রাফিটি আমি করেছিলাম ঠিক সূর্য ডুবন্ত অবস্থায়। প্রকৃতির মাঝে থেকে ডুবে যাওয়ার মুহূর্তে।
দিনের একেবারে শেষ প্রান্তে, একদিকে সূর্য ডুবে যাচ্ছে অন্যদিকে চাঁদ উঠেছে। যদিও একত্রে দুইটা ফটোগ্রাফি পড়া অসম্ভব। তারপরও এমন একটা লগ্নে একটি ফটোগ্রাফি করেছি। গাছের মাঝখান দিয়ে দেখা যাচ্ছিল চাঁদ। এই চাঁদটি উঠেছে অনেক আগেই। ঠিক তার এক পাশ দিয়ে তাকালে দেখা যাচ্ছিল সূর্যটা। যদি সূর্যটা ফটোগ্রাফি করা কখনোই সম্ভব নয়। কারো এই মুহূর্তে সূর্য পশ্চিম দিকে ডুবে যাচ্ছে আর পূর্ব থেকে চাঁদ উদিত হয়েছে। এটা দেখার পরে নিজের ভিতর অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করলো। একদিকে সূর্য ডুবে যাচ্ছে অন্য দিক থেকে চাঁদও দিতে হচ্ছে অপরূপ সৌন্দর্যের একটা মুহূর্ত ওই মুহূর্তটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।
আপনারা যে ফুলগুলো দেখতে পারছেন এই ফুলগুলো নাম আমার জানা নেই। এই ফটোগ্রাফি কতটা ভালো লেগেছে আমি জানিনা তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো আমি সকালবেলায় এই ফুল গুলো দেখে একটু অবাক হয়েছি। কারণ ওই দিনের আগে বিকেল বেলায় আমি কোন ফুল দেখেছিলাম নাই কাছে কিন্তু সকালে ঘুম থেকে এসে দেখি এক ঝাঁক ফুল ফুটেছে এই গাছটাই। রীতিমতো অবাক হয়ে গেলাম রাতের মধ্যে এতগুলো ফুল ফুটেছে কত সুন্দর লাগছে ফুলগুলো। ফুলের এই সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে।
এটি পুকুরপাড়ের একটি দৃশ্য। আমি প্রথমেই বলেছিলাম আমি ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম শেষ বিকেলের দিকে। পশ্চিমে সূর্য ডুবে যাচ্ছে ডুবে যাওয়ার সময় আলো লেগেছে পুকুর পাড়ে। আলোর কিছু অংশ পানিতে পড়েছে এবং কিছু অংশ পুকুর পাড়ে পড়েছে সব মিলিয়ে অপরূপ একটা সৌন্দর্য তৈরি হয়েছে এখানে। সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টির সৌন্দর্যের শেষ নেই। প্রকৃতির সৌন্দর্যের সাথে অন্য কোন সৌন্দর্য তুলনা হয় না। পুকুরের মধ্যে কিছু শ্যাওলা পড়ে আছে ভাসমান অবস্থায় সবকিছু মিলিয়ে অপরূপ সৌন্দর্য সৃষ্টি হয়েছে।
আপনার এই ফটোগ্রাফির মধ্য দিয়ে বিশাল একটি মাঠ দেখতে পাচ্ছেন। আপনারা এটা দেখে মনে করছেন ধান গাছ। এই বিশাল মাঠের মধ্যে দেখা যায় অপরুপ চিত্র। ধরনীর বুক সৌন্দর্যের কোন শেষ নেই এই সৌন্দর্য আমাদেরকে সব সময় মুগ্ধ করে। ফসলের মাঠ যেন চারিদিকে সবুজ হয়ে উঠেছে। এটাই হলো আমাদের দেশ বাংলাদেশ যার সৌন্দর্যের কোন শেষ নেই।
রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে চলেছিলাম হঠাৎ দেখে গাছের মাঝখান দিয়ে সূর্যের আলোটা আমার চোখে পড়ল। মনের মধ্যে একটু কৌতুহল সৃষ্টি হল এটা যদি আমি ফটোগ্রাফি করি তাহলে কেমন লাগবে। নিশ্চয় সুন্দর লাগবে সবচেয়ে বেশি সুন্দর লাগবে সূর্যের আলোর ছাটা। এই গাছটি হলো নিমগাছ গাছ গাছের মাঝখান দিয়ে ফটোগ্রাফিটা করছিলাম। সত্যি বলতে যখন ফটোগ্রাফি করার পরে আমি দেখলাম নিজের কল্পনার থেকেও সুন্দর লাগছিল। আমার বিশ্বাস এই ফটোগ্রাফি টা আপনাদের ও ভালো লাগবে।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ আজকের মতো শেষ করছি। |
---|
ডিভাইসের নাম | Poco |
---|---|
মডেল | M2 |
ফটোগ্রাফার | @tuhin002 |
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | https://w3w.co/surer.animators.twinning |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রকৃতি সব সময় অনেক সুন্দর। প্রকৃতি একেক সময় একেক রূপ ধারণ করে। বিশেষ করে বর্ষাকালে প্রকৃতির সৌন্দর্য আরো বেড়ে যায়। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য ও দৃশ্যগুলো আপনি ক্যামেরাবন্দি করেছেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া।