ভারতের আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে। এরপরে শুরু হয়েছে প্রথম ওডিআই ম্যাচ। বলা যেতেই পারে দুই দলই নিজেদের পুরো শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে। শ্রীলংকা প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথমে দেখি উইকেট না হারালেও তারা অনেকটা স্লো খেলেছে। রানের সংখ্যা কম হলেও তাদের প্রথমেকের পড়তে লেগেছে প্রায় তের ওভার। তবে ইন্ডিয়ায় মোঃ সিরাজ সহ অনেকেই অনেক ভালো বল করেছে। অবশ্য শ্রীলঙ্কা প্রথম উইকেট পেয়েছে মোহাম্মদ সিরাজ। তার আউটস ইন এ বেশ পরাস্ত হয়েছে তারা। এছাড়া ইন্ডিয়া স্পিন বোলিং গুলো বেশ আক্রমণ করবে। খুব বেশি রান করা সম্ভব হবে না এই পিচে।

শ্রীলংকা এবং ভারতের মধ্যকার খেলার একটা বিষয় লক্ষ্য করে যে সব সময় শ্রীলঙ্কা যেন একটা চাপে পড়েই থাকে। তারা যদিও স্যার থেকে বাইর হওয়ার জন্য চেষ্টা করে কিন্তু ভারতের বোলিংয়ের চাপে তারা কখনোই ভালো স্কোর তৈরি করতে পারে না। আজকেও তারা খুবই দ্রুত অনেকগুলো উইকেট হারিয়ে ফেলে যার জন্য তারা চাপে পড়ে যায়। মাঝখানে যে পরিস্থিতি ছিল তাতে মনে হয়েছিল তারা ২০০ রান করতে পারবে না। শ্রীলংকা ব্যাটিংয়ের এই ব্যর্থতার জন্য কিন্তু শ্রীলঙ্কা নিজের দায়ী কিন্তু প্রশংসা করতে ভারতের বোলিংদের। অসাধারণ লাইন এবং লাইন মজার কথাটা বল করে যাচ্ছে।

ভারতে বোলিংয়ের তোপের মুখে শেষ পর্যন্ত শ্রীলংকা মাত্র ২৩০ রান করতে সক্ষম হয়। যদিও আমি আশা করেছিলাম এই গানটাও তাদের হবে না কিন্তু শেষের কয়েকটা ব্যাটিং খুব ভালো খেলেছে। আর এই কারণেই তাদের রান শেষ পর্যন্ত ২৩০ রানের শেষ হয়। তবে ভারতে যে ব্যাটিং নাই তাতে এই রান তাদেরকে কিছুই না। আশা করা যায় তারা খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই রান পূর্ণ করবে এবং তারা প্রথমে ম্যাচ জিতে নেবে।

আমি প্রথমেই বলেছি ভারতের ব্যাটিং লাইন খুবই স্ট্রং। অতদিন ছুটিতে হিটম্যান রোহিত শর্মা এবং গিল আসেন। গিল তিনি শ্লো খেললেও রয়েছারমা খেলে সেন্ট টি-টোয়েন্টি ভূমিকায়। সব সময় শ্রীলংকার পক্ষে রোহিত শর্মার অসাধারণ পারফরম্যান্স করে থাকে। শ্রীলঙ্কাকে দেখলে যেন রোহিত শর্মা তার সর্বোচ্চ ফর্মে ফিরে যায়। ভারতের রান সংখ্যা যখন ৭৫ তখন প্রথমে কে হারায় তাও আবার সেটা গিল। তবে রয়েছে ভাবে খেলছে মনে হচ্ছে খুব সহজে তারা এরাম টপকে যাবে।

প্রথম অর্ধেক রান করতে তাদের সম্পর্কে পড়েছে একটা পরের অর্ধেক রান করতে যে উইকেট হারিয়েছে চারটা। বিরাট কোহলি যদিও বেশ ডিফেন্সিভ খেলে গিয়েছিল কিন্তু তারপরও শ্রীলঙ্কা অতি মানবীয় বোলিংয়ে চাকরি উইকেট পতন হয়ে যায়। যদিও আড়ানের সঙ্গে খুবই কম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং লাইন বেশ লম্বা। তাই আশা করা যায় তারা এই ম্যাচটা বের করে নিয়ে যাবে। কারণ এখন হচ্ছে এখনো ভালো ভালো ব্যাটসম্যান রয়েছেন। আর এদের মধ্যে একজন টিকে গেলে খুব সহজেই এ রান তুলে নেবে।

খেলাটা একেবারেই একতরফা হয়ে গেছে। বল ছাড়া রানের সংখ্যা অনেক কম। তাই বলা যায় যে খুব সহজেই ভারত জিতে নেবে। কিন্তু শেষের দিকে শ্রীলঙ্কা বোলিং যেন আগুন হয়ে উঠল। তাদের এই আগুনে ভারতের ব্যাটিং জ্বলে পুড়ে গেল। অল্প রানের মাথায় উইকেট হারায় যারা। তাদেরে যাওয়া আসার মধ্যে খেলাটা অনেক কঠিন হয়ে পরলো। তারপরও এই ম্যাচটি ভারতে জিতবে এটা আমি আশা করেছিলাম।

কিন্তু নাটক তো শুরু হয়ে গেল ৪৭ তম ওভারে। তখনো ব্যাটিংয়ে রয়েছেন ডুবে। আশা করায় যাই অবশ্যই তারা জিতবে। হাতে আছে দুই উইকেট রান লাগবে একটা। ঠিক তখনই তিন নম্বর বলে এল ভি ডব্লিউ তে আউট হয়ে যাই ডুবে। শেষ উইকেট এজন্যই বলে ক্রিকেট খেলা হল ভাগ্যের খেলা। শেষ উইকেটে আবারো এল ভি ডব্লিউ এর ফাঁদে পড়েন। এবার আম পায়ে সরাসরি আউট দিয়ে দেয়। নাটকীয় খেলায় ড্র হয় শেষ পর্যন্ত। যে খেলায় খুব সহজে জিতে যাবে ভারত সেই খেলা শেষ পর্যন্ত ড্র তেই শেষ হয়।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।