Hakka Dhaka তে একদিন

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

হ্যাল্লো বন্ধুরা

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও পরিবারসহ বেশ ভালোই আছি। আজ আপনাদের সাথে একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করবো আজকের পোষ্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে।


ঢাকা শহরে এক ঘেয়ে জীবন। কিছুটা একঘেয়েমি কাটাতে কোথাও ঘুরে আসা যায়। তবে সেই ডিসিশন নিতেও ভয় লাগে! যেদিকেই যাওয়া হোক না কেন, জ্যাম থেকে রেহাই তো নেই। রিফ্রেশমেন্ট এর জন্য কোথাও যাবেন, যেতে-আসতেই পথে এমন জ্যামে পরবেন, সেই রিফ্রেশমেন্ট আর থাকবে না। জ্যাম ছুটতে ছুটতেই ক্লান্তি চেপে ধরে এমন অবস্থা!! যাই হোক, এভাবেই মেনে নিতে হয়, এভাবেই চলতে হয় দৈনন্দিন জীবন। কিছুটা রিফ্রেশমেন্ট এর জন্য সবসময় তো আবার দূরে কোথাও যাওয়াও সম্ভব হয়ে উঠে না বিভিন্ন কারণে! তো, সেদিন গিয়েছিলাম ধানমন্ডি তে, লাঞ্চ ডেইট এ! অবশ্যই, আমার লাইফ পার্টনারের সাথেই!


আসলে উইকএন্ড এর অলস সকাল, সাধারণের থেকে বেশ দেরিতেই ভাঙে ঘুম । তারপর ই রেডি হয়ে বের হয়েছিলাম কিছু কেনাকাটার জন্য। কেনাকাটা করতে গিয়েই লাঞ্চের সময় পার হয়ে যাচ্ছে! দুজনেরই ভীষণ ভীষণ খিদে পেয়ে গিয়েছিলো। পরে ঢুকে পড়ি ধানমণ্ডির ইউনিমার্ট বিল্ডিং এর উপরের তলার ফুডকোর্টে। মূলত সেখানে অনেক গুলো খাবার দোকান ই ছিলো। তবে আমরা দেখে শুনে হাক্কা ঢাকা (Hakka Dhaka) থেকে খাবো বলে ঠিক করি। এদের একটি সেট মেন্যু আবার আমাদের দুজনের ই বেশ পছন্দের। তো সেটাই অর্ডার দিলাম। সাথে কোল্ড ড্রিংস হিসেবে পেপসি! পেপসির এই এডিশনটা দেখে আমার তো ভীষণ হাসি পেয়েছে! (কারণ উনি আবার ব্রাজিল ফ্যান। কিন্তু পেপসির ক্যান এ মেসির ছবি দেয়া ছিলো!) 😂😂😂



তো যাই হোক, একে তো পেটে ভীষণ খুদা, তার উপর খাবার অর্ডার দেয়ার পর তো যেন অপেক্ষার পালা শেষ ই হয় না! রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে আমার সাথে এমনটাই হয়! খাবার অর্ডার দেয়ার পর অপেক্ষা করতে একটুও ভালো লাগে না!ওরা খাবার সার্ভ করতে প্রায় ১৫ - ২০ মিনিট অপেক্ষা করিয়েছে! প্লেট সামনে আসার পর একবার তো মনে হলো এত কম পরিমাণ যে একাই দুই প্লেট ই সাবার করে দিতে পারবো! তবে খেতে গিয়ে টের পেয়েছি, দেখতে কম মনে হলেও আসলে এক জনের জন্য এনাফ খাবার ছিলো! হয়তো বাটির আকৃতির কারণে কিংবা অতিরিক্ত ক্ষুধার কারণে চোখে কম মনে হয়েছে শুরুতে! 🤭 তবে স্বাদ ছিলো বেশ ভালো।মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় অনেক তৃপ্তি নিয়ে খেয়েছি প্রতিটি আইটেম ই! একদম ১০ এ ১০! 😋😋

এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে
🌼 ধন্যবাদ 🌼

VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR
@rme as your proxy
witness_vote.png

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20211205_182705.jpg

আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।



Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 months ago 

দিদি আজকের পোস্টটা দেখে ভীষণ খুশি হলাম। দাদাকে কখনো দেখা হয়নি। দাদা এবং দিদিকে এক সাথে দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো। আসলে ঢাকা শহরের যে অবস্থা টাইম মতো কোথায় পৌঁছানো মুশকিল জ্যাম আর জ্যাম লেগেই থাকে। কেনাকাটা শেষ করে দুপুরে লাঞ্চ করার জন্য হাক্কা ঢাকতে গিয়ে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। পেপসির গায়ে মেসির ছবি আর দাদা ব্রাজিলের ফ্যান দাদা তো ভিতরে ভিতরে জলে গিয়েছিলো মনে হচ্ছে। তবে দিদি আমি আবার মেসির ফ্যান। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনাদের জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকবেন সবসময় এই কামনাই করি।

 2 months ago 

আপনার শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ ভাই। দোয়া করবেন আমাদের জন্য। ❤️

 2 months ago 

সব ঠিক ছিল তবে একজন ব্রাজিলের ফ্যান হয়ে পেপসিতে মেসির লোগো মেনে নেওয়া খুব কষ্ট আমি হলে তো পেপসি খেতাম না হা হা 😆

 2 months ago 

হা হা হা! 😂😂😂 বেচারার মুখ দেখার মতো ছিলো! 🤭

 2 months ago 

আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনার লাইফ পার্টনারকে নিয়ে হাক্কা ঢাকতে গিয়ে আনন্দময় সময় কাটালেন। অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি অনুভূতির মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। তবে খাওয়ার গুলো সত্যিই লোভনীয়। 😎

 2 months ago 

খাবার গুলো আসলেই বেশ মজার ছিলো। সব দিক থেকেই পারফেক্ট। আর আমাদের জন্য দোয়া করবেন ভাই৷ আপনাকে ধন্যবাদ।

 2 months ago 

আসলে খাওয়ার অর্ডার করে বসে থাকতে একদম খারাপ লাগে। আপনি দেখতেছি আপনার লাইফ পার্টনারের সাথে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতেছেন। রেস্টুরেন্ট খাওয়া-দাওয়া করতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব মজা করে খাওয়া দাওয়া করেছেন। সুন্দর করে পোস্টটি করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 months ago 

আমারো খুব অসহ্য লাগ্র অর্ডার দেয়ার পরের সময়টুকু্! আমাদের জন্য দোয়া করবেন আপু। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ। ❤️

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 58004.44
ETH 2579.54
USDT 1.00
SBD 2.40