হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সকলকে আমার আদাব/ নমষ্কার 🙏🙏। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সুস্থ আছি। আজ আপনাদের সাথে আবারো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের পোষ্ট টি আপনারা টাইটেল দেখেই বুঝতে পেরেছেন ইতিমধ্যে, নাটক রিভিউ পোস্ট। আশা করবো আপনাদের সকলের ভালো লাগবে। তো চলুন সবার আগে নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখে নেই এক নজরে.....
এক নজরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :
নাম: | সুতো |
ডিরেকশন: | ইমরুল রাফাত |
প্রোডিউসার : | আকবর হায়দার মুন্না |
অভিনয়ে: | ইরেশ জাকের , সাবিলা নূর, রাজিন্না রাই, পার্থ সাইখ ও আরো অনেকে |
প্রকাশ মাধ্যম : | ইউটিউব |
দৈর্ঘ্য : | ৪৫: ৩০ মিনিট |
ভাষা: | বাংলা |
নাটকের শুরুতে দেখবো তিথি ও অর্ণবের সুন্দর গোছানো ভালোবাসার সংসার -যেখানে দুজন দুজনকে ভালোবাসে। তিথির ফোনে একটা ফোন আসে, যেখানে ওপাশ থেকে কেউ বলে যে আগামীকাল তারা আসছে। পরের দিন দেখা যায় অর্ণব তিথিতে একটা বাড়ির সামনে নামিয়ে দেয়। তিথি অর্ণবকে জিজ্ঞেস করে এই যে তিথি এবাসায় যাচ্ছে, অর্ণবের খারাপ লাগছে কিনা বা আপত্তি আছে কিনা। অর্ণব সুন্দর করে বুঝিয়ে বলে যে তার কোন আপত্তি নেই বলেই তো সে নিজে নামিয়ে দিচ্ছে।
ওদিকে সেই বাসায় ঢুকে প্রথমেই তিথিকে একজন বলেন সে কেন তার সাথে যোগাযোগ রাখে না, তার সাথে তো তিথির কিছু হয় নি। সেই মুহুর্তেই দেখা যায় একটা ছোট মেয়ে ঘরে আসে। সে আসলে তিথির মেয়ে,রাহিদা । অর্থাৎ তিথির ১ম পক্ষের বিয়ের মেয়ে, তারা দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে। রাহিদা তার বাবার সাথে নিউইয়র্কে থাকে। একমাসের জন্য তারা দেশে বেড়াতে এসেছে। তাই মেয়ের সাথে দেখা করার জন্য তিথি প্রতিদিন ও বাড়িতে আসে৷
এভাবেই যত দিন যেতে থাকে, তিথির আগের পক্ষের হাজবেন্ড তার আগের ভুল বুঝে অনুতপ্ত হতে থাকে। তখন বোঝা যায় যে তিথি অনেক চেষ্টা করেছিলো সেসময় সম্পর্ক টা টেকানোর জন্য। কিন্তু টেকে নি। ওদিকে রাহিদা চায় তার মাকেও তার সাথে নিয়ে যেতে। আবার এসবের মাঝে তিথির বর্তমান হাজবেন্ড এর সাথেও তিথির একটা দূরত্ব তৈরি হতে থাকে। এরপর গল্প কোনদিকে মোড় নেয়, তা জানতে হলে দেখে নিতে হবে সুতো নাটক টি।
ব্যক্তিগত মতামত:
নাটকটি আমার কাছে মোটামুটি ভালোই লেগেছে। বর্তমানে নানা কারণে ডিভোর্স হয়ে যাওয়া দম্পত্তির সংখ্যা টা বেশ বেড়ে গিয়েছে। জীবন তো থেমে থাকে না কারোরই, তবে মাঝখানে বেশি ভোগে বাচ্চারা। কারণ তারা তো বাবা মা দুজনকেই চায়। আবার, অনেক দিন পরে গিয়ে নিজেদের ডিসিশন এর উপর আফসোস ও করেন অনেকে। কিন্তু ততদিনে অনেক দেরি হয়ে যায়!
ব্যাক্তিগত রেটিং : ৮/১০
নাটকের লিংক :
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
VOTE @bangla.witness as witness OR @rme as your proxy
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Posted using SteemPro Mobile
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন একটি নাটকের রিভিউ করে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা সুতো নাটকটির রিভিউ দেখে আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। আসলে বাংলাদেশে কয়েক দিনের নেটওয়ার্ক না থাকার কারণে অনেক নাটক দেখা হয়েছে কিন্তু এই সুতো নাটকটি এখনো দেখা হয়নি। চেষ্টা করব খুব দ্রুত দেখার জন্য। আপনার রেটিং পয়েন্ট দেওয়া দেখে মনে হচ্ছে নাটকটি দেখতে বেশ ভালো ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
নেটওয়ার্ক না থাকার পরেও কিভাবে নাটক দেখেছেন ভাই? টেলিভিশন এর পর্দায়? হ্যা, সুতো নাটকটি আমার কাছে ভালোই লেগেছে। গতানুগতিক গল্পের বাহিরে কিছু করার চেষ্টা করেছেন গল্পকার।
বেশ কিছু নাটক ইউটিউবে ডাউনলোড করে রাখা ছিল পরবর্তীতে সেগুলোর নেট না থাকলেও ইউটিউবে থেকে দেখা যায়।
সুতো নাটক টা প্রথম দেখলাম এই নাটক আগে দেখিনি।মনে হচ্ছে খুবই চমৎকার একটি গল্প দিয়ে করা রিভিউ পরে যতোদূর বুঝলাম।ধন্যবাদ আপনাকে গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য।
জি ভাই। তথাকথিত রোমান্টিক ধারার বাহিরে বাস্তব বিষয় নিয়ে গল্পটা। গল্পটা বেশ ভিন্নই।
সম্পর্কে যখন একজন সেটা টিকিয়ে রাখতে চাই এবং অন্যজন চাই ভাঙতে ব্যাপার টা খুবই বাজে হয় খুবই বাজে। শেষ পযর্ন্ত হয়তো টেকে না। তবে এখানে তাদের মেয়ের ব্যাপার টা ভালো ছিল। বতর্মান সময়ে তো ডিভোর্স এর সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে। দারুণ রিভিউ করেছেন নাটক টার আপু। বেশ ভালো লাগল রিভিউ টা পড়ে।
জি ভাই। একজনের ইফোর্টে সম্পর্ক টিকে না আর টিকলেও সেই সম্পর্কে প্রাণ থাকে না কোন। এই নাটকের গল্পটা বর্তমানের বাস্তব সময়ের সাথে মিলে যায় -এজন্যই ভালো লেগেছে।
নাটক সেরকম ভাবে দেখা হয় না আপু। তবে এই নাটকটির ব্যানার দেখে দেখবো ভেবেছিলাম। যাক আজ আপনার নাটকের রিভিউ পড়ে নাটকটি পুরোটা জানতে পারলাম। আসলে আপু বর্তমান সমাজে নানা কারণে ডিভোর্স হয়ে যাওয়া দম্পত্তির সংখ্যাটা অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে। আর যার প্রভাব পড়ছে ছোট ছোট শিশুদের উপর। কারণ সকল শিশুর জন্য বাবা-মা উভয়কেই প্রয়োজন।আপনি খুব সুন্দর করে নাটকটি রিভিউ তুলে ধরেছেন। এটাও কিন্তু একটি আর্ট।
আপনার এমন সুন্দর একটি মন্তব্য পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ।
প্রত্যেকটা বাবা-মায়ের ডিভোর্সের আগে সর্বপ্রথম এটা বোঝা উচিত যে, তাদের জন্য তাদের সন্তানের কত বড় ক্ষতি হতে পারে। বাবা-মায়ের উচিত সন্তানের কথা ভেবে হলেও নিজেদের মধ্যে সম্পর্কটা রাখা। তাদের সম্পর্ক ভাঙার জন্য সন্তানের প্রতি এটার বেশি প্রভাব পড়ে। শেষ পর্যন্ত গল্পের মোড় কোথায় গিয়েছে, এটা জানার জন্য অবশ্যই আমি নাটকটা দেখবো। আপনি শেষটা কেন যে শেয়ার করলেন না। এখন তো নাটকটা দেখার জন্য অনেক বেশি আগ্রহ জেগেছে।
ভালো গল্পগুলোর শেষ টা বলে দিতে ইচ্ছে করে না আপু। আর আসলেই বাচ্চাদের উপর ই বেশি নেগেটিভ প্রভাব পরে ডিভোর্স এর পর। তাই বহু বহুবার চিন্তা ভাবনা করেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।
একটা সম্পর্কের মধ্যে যত কিছুই আসুক না কেন, আমি মনে করি এরকম ভাবে ভেঙে ফেলা একেবারেই উচিত না। কারণ একটা সম্পর্ক ভেঙে গেলে সবকিছুর প্রভাব সন্তানের উপরেই পড়ে। একে অপরকে ডিভোর্স দিলে হয়তো তারা দুজন প্রথমে ভালো থাকবে, কিন্তু একদিন না একদিন পস্তাবে। ডিভোর্স দেওয়ার পরে ভুল বুঝলে আর কি হবে। এই নাটকের শেষটা তো জানতেই পারলাম না। আপনি তো শেষের অংশটা রেখেই দিলেন। তবে নাটকটা দেখার চেষ্টা করবো আমি।
আপনি আসলেই সঠিক কথা বলেছেন ভাই। পরে হাজার আফসোস করলেও লাভ হয় না। এজন্যই গুণীরা বলেন ভেবে চিন্তে কাজ করার জন্য।
বেশ কিছুদিন ধরে এই নতুন নায়কের নাটক গুলো ইউটিউবে দেখা যাচ্ছে।আপনার শেয়ার করার সুতো নাটকটি এখনো দেখা হয়নি। তবে নাটকের রিভিউটা পড়ে নাটক টি দেখার আগ্রহ বেড়ে গেলো।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি ও শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে ধন্যবাদ আপনার মতামত শেয়ার করার জন্য। আশা করছি আপনার ভালো লাগবে নাটকটি দেখলে।
খুব সুন্দর হয়েছে বলে মনে হয় এই নাটকটি। যেভাবে আপনি এই নাটক এর রিভিউ শেয়ার করছেন তা পড়ে এই নাটকটি সম্পর্কে অনেক ধারণা পেয়ে গেলাম৷ এই নাটকটি আমি এখনো দেখে নিতে পারিনি৷ তবে অবশ্যই সময় করে এই নাটকটি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করব৷ ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।