দাদার বিয়ের কিছু ফটোগ্রাফি
|| আজ ১৭ মে, ২০২৪||রোজ: শুক্রবার ||
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি। আজ আপনাদের সাথে একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। ইতিমধ্যে টাইটেল দেখেই বুঝতে পারছেন আজ আমার করা কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন, ঈদের পরে আমার বড় ভাই এর বিয়ের অনুষ্ঠান ছিলো। সেই বিয়েরই কিছু ফটোগ্রাফি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিবো। আশা করছি আপনারা আপনাদের মূল্যবান মতামত শেয়ার করবেন। তো চলুন মূল পোস্টে চলে যাই---
এই ছবিটা মাটির ঘটের। সনাতন নিয়মে বিয়েতে বেশ কয়েকটি মাটির ঘট প্রয়োজন হয়। সাধারণত এই ঘট গুলো যখন বাজার থেকে কেনা হয়, এমন রঙ করা থাকে না। মানা হয় যে যেহেতু শুভকাজে ব্যবহার করা হবে, তাই এর মাঝে বিভিন্ন ভাবে রঙিন করে এঁকে ব্যবহার করা ভালো। এই ঘট আমার কাকাতো বোন নিজের হাতে রং-তুলির সাহায্যে রাঙিয়ে তুলেছে। আর নিয়ম মানার সময় আমি এই ছবিটি তুলেছি।
এই ছবিটাতে দেখা যাচ্ছে বেশ কয়েকজন মহিলা মিলে কিছু নিয়ম পালন করছে। আগের ছবির সেই মাটির ঘটে পুকুর থেকে গঙ্গা দেবীর আশীর্বাদ নিয়ে জল দ্বারা পূর্ণ করে, সেই ঘট পান, সুপারি দিয়ে বরণ করা হয়। এরপর সেই ঘটের জল পূজোয় ব্যবহার করা হয়। এই নিয়ম যখন করা হচ্ছিলো, সময় তখন একদম ভরদুপুর! পুকুরঘাটে যারা এই নিয়ম করছিলেন, সকলেরই অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে গিয়েছিলো প্রচন্ড রোদের জন্য। তবুও নিয়ম মানতে তারা সকলেই অনেক কষ্ট করেছেন।
নিচের ছবিতে বরকে নাপিত ছোঁয়ানোর নিয়ম পালন করতে দেখা যাচ্ছে। এটাও একটা নিয়ম। এখনে নাপিত দ্বারা বরের নখ, চুল কাটানো হয়। এরপর বরকে স্নান করানো হয়।
নিচের ছবিগুলো বরকে স্নান করানোর সময়ে তোলা ছবি। এসময় বরের বৌদিরা মিলে বেশ মজা করেছে বরের সাথে! দুই বালতি জল দিয়ে বরকে পিড়িতেই স্নান করতে হয়েছে। বিয়ের এসব নিয়মের সময় ভীষণ মজা হয়
এই ছবিটা বরকে স্নান করানোর পরের ছবি। বরকে ভালো করে স্নান করানোর পর বরের জামাইবাবু ( আমাদের সকলের প্রিয় বৃষ্টি চাকীর হাজবেন্ড) এবং বৌদি মিলে কোলে করে ঘরে নিয়ে যাচ্ছে! এখানে বলে রাখি বরের ওজন কিছু সত্তর কেজিরও বেশি বই কম নয় 🤭🤭। এবং স্নান করানোর জায়গা থেকে ঘরও খুব কাছে নয়! ওদিকে বরের মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে বর কেমন স্পেশাল স্পেশাল ভাবে আছে! 😅
আজকের পোষ্ট এ পর্যন্তই থাকলো।সামনে হয়তো আবারো হাজির হবো বিয়ের এমন আরো কিছু মুহূর্ত নিয়ে। আপনাদের কেমন লেগেছে, জানাবেন কিন্তু। সবাই সাবধানে থাকবেন। সবার সুস্থতা কামনা করি।
পোষ্টের ধরন : ফটোগ্রাফি
ক্যামেরা: Realme 5G SE
এডিট/নন- এডিট : নন -এডিটেড
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
একটি ঘটনা খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছেন। বিয়ে জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা আর নিজস্ব কিছু রীতিনীতির দৃশ্যায়নটাও চমকপ্রদ।
আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। অন্তত কিছু সংস্কৃতি যা আগে কখনো দেখিনি।
সর্বোপরি, দারুণ পরিবেশনা ।
বিয়ে আসলেই জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সারাজীবন স্মৃতি রয়ে যায় এইসব ছবির মাধ্যমে। আর বিয়েতে অনেক নিয়মের প্রকারভেদ থাকায় অনেক রীতিনীতি অনেকের কাছেই নতুন মনে হতে পারে৷ তাই চেষ্টা করেছি ছবির পাশাপাশি কিছুটা বর্ণণা করে দেয়ার। আপনাকে ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বিয়ে মানেই হলো অন্য রকমের এক আমেজ। বাঙালির বিয়েতেই থাকে ১৪ আনা আনন্দ।খুবই মজা করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে।সুন্দর সৃতি আমাদের মাঝে গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যা ভাই! গ্রামের বিয়ে মানেই ১৪ আনা আনন্দ! ভীষণ মজা হয়েছে আসলেই। অসংখ্য ধন্যবাদ।
সত্যি দারুন কিছু ফোটোগ্রাফি করলেন আপু , বিয়ের বাড়ীর ফোটোগ্রাফি দেখতে আমার সত্যি দারুন লাগে । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর ফোটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আপনার মন্তব্য পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো।
বরকে কোলে তোলা সত্যিই অনেক কঠিন ব্যাপার ছিল। মনে হচ্ছে বর বেশ লজ্জা পেয়েছে। কি আর করার আপু বিয়ের নিয়ম কানুনগুলো তো মানতেই হবে। বিভিন্ন রকমের নিয়ম কানুন পালন করা হয়েছে দেখে ভালো লাগলো। আপনার দাদার বিয়ের সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখে খুবই ভালো লেগেছে।
বিয়েতে আসলে অনেক রকমের নিয়ম ও মানা হয়। আবার কিছু কিছু কাজ মজার জন্যও করা হয়! বরকে কোলে তুলে নিয়ে ঘর পর্যন্ত নিয়ে যেতে আসলেই বেশ কষ্ট হয়েছে ওদের।
আপনার দাদার বিয়েতে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আসলে বিয়ের অনুষ্ঠানের আনন্দটাই অন্যরকম হয়ে থাকে। বিয়ে মানে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া গল্প গুজব আর আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়া। আপনার দাদার বিয়ের কিছু ফটোগ্রাফি দেখে খুব ভালো লাগলো। গোসলের মুহূর্ত গুলো বেশ দারুন ছিলো নিশ্চয়। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে বিয়ের ফটোগ্রাফি গুলো ভাগ করে নেয়ার জন্য।
বিয়েতে আসলেই সব মিলিয়ে দারুণ মজা হয়েছে! তারই কিছু ফটোগ্রাফি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আপনার কমেন্ট পরে ভালো লাগলো ভাই।
বিয়ে মানে আনন্দ আয়োজন, খাওয়া-দাওয়া আর হৈ হুল্লোড়। আপনার দাদার বিয়ের বেশ কিছু চমৎকার ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। সত্যি বলতে ছবিগুলো আমার কাছে বেশ দারুন লেগেছে। বিশেষ করে বিয়ের বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান এবং সামাজিকতা স্পষ্ট ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। তাছাড়াও বরকে বেশ হাসিখুশি দেখাচ্ছে, এটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
বিয়ে আসলে জীবনের ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা। এর স্মৃতি গুলো আজীবন সংরক্ষণ করার মতোই বটে! তাই চেষ্টা করেছি কিছু স্মৃতি ধরে রাখতে এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। ধন্যবাদ ভাই।
বাহ আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে আপনার দাদার বিয়ের ফটোগ্রাফি বেশ দারুন ভাবে শেয়ার করেছেন। আসলে এর আগে এমন বিয়ের অনুষ্ঠান দেখিনি, সত্যি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর সুন্দর মুহূর্তের ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ কিবরিয়া ভাই। কিছুদিন আগে বোধ হয় আপনার বোনের বিয়ের ছবির পোস্ট দেখেছিলাম। সেখান থেকেই আমিও ভাবলাম আমার দাদার বিয়ের ছবিও শেয়ার করি। আনন্দের মুহূর্ত দেখলে আসলে ভালোই লাগে।
ফটোগ্রাফি গুলো দেখে কিন্তু বেশ ভালো লাগলো আপু। সবাইকে খুব হাসিখুশি দেখাচ্ছে। বিশেষ করে মাটির ঘট এর ফটোগ্রাফি টা খুবই ভালো লাগলো। রং তুলির সাহায্যে দারুন ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এটাকে। ছোটবেলায় মাঝেমধ্যে দেখতাম , সনাতন নিয়মে বিয়ের সময় সবাই একসাথে পুকুর থেকে পানি আনতো। এটা দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। তবে এখন তেমন চোখে পড়ে না।
এখন তো আপু কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ে হয়। সেখানে আর পুকুর কই পাবে যে পুকুর থেকে এভাবে ঘটে করে জল আনবে। এভাবেই তো সময়ের সাথে সাথে অনেক নিয়ম পরিবর্তন হয়, অনেক নিয়ম হারিয়ে যায়। ধন্যবাদ আপু ।