গ্রামীণ পরিবেশে কিছু মূহুর্ত
|| আজ ১০ এপ্রিল,২০২৪ || রোজ: বুধবার ||
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। এমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে পরিবারসহ বেশ ভালোই আছি। আজ আবারো আপনাদের সামনে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করবো আজকের পোষ্ট টি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
আমি এর আগের পোস্ট এ আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি যে ঈদের ছুটিতে আমরা গ্রামে শ্বশুড়বাড়ি তে এসেছি। আমার শ্বশুড়বাড়ি টা একেবারে গ্রামের ভেতরে। তাই এখানে এলে পুরোপুরি গ্রামীণ পরিবেশ এ কয়েকটা দিন কাটানো যায়। আমার কাছে বেশ ভালোই লাগে। আজ এই গ্রামীণ পরিবেশ নিয়েই কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আসলে গ্রামীণ পরিবেশ আর শহুরে পরিবেশ এর মাঝে অনেক অনেক তফাৎ। জীবীকার তাগিদে আমরা টোনাটুনি ঢাকা শহরে থাকি। বিয়ের আগেও অবশ্য আমার বাবার চাকরিসূত্রে ঢাকাতেই থাকা হয়েছে। তখন অবশ্য এ কোন প্রয়োজনে বাবা একাই গ্রামে যেতেন বেশি। তবুও বছরে নূন্যতম তিনবার করে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হতো। তাও হাতেগোণা কয়েকদিনের জন্যই। এখন যখন ঢাকা শহরে বাবা-মা বা কাছের আত্নীয় পরিজন তেমন কেউই থাকে না, এখন বুঝি আত্নীয় পরিজন ছাড়া ঢাকা শহর কেমন স্বার্থপর ও আত্ন-কেন্দ্রিক। অবশ্য সত্যি কথা বলতে আমি নিজেও অপরিচিত মানুষের সামনে নিজেকে গুটিয়ে রাখতেই পছন্দ করি। তাই আশেপাশের মানুষ গুলোর সাথে আমার তেমন কোন চেনা-পরিচয় নেই। অবশ্য কারোর তেমন সময় ও নেই, এটাও সমান বাস্তব!
গ্রামীণ সবুজে ঘেরা প্রকৃতিগত সৌন্দর্য তো সকলের ই নজর জুড়াতে জুড়ি মেলা ভার! শহুরে দালান কোঠা আর ধুলোবালির বদলে এমন সবুজের সমারোহ তে এসে যেন প্রাণ খুলে একটু নিঃশ্বাস নেয়া যায়। এছাড়াও গ্রামীণ মানুষের জীবনযাপন ও আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আমার শ্বশুড়বাড়িতে গ্রামের অনেকেরই যাতায়াত। সকালে আমার হাসবেন্ড গিয়ে মোগোলহাট নদী থেকে মাছ কিনে এনেছে অনেকগুলো। খবর দিতেই পাশের বাড়ি থেকে এক পিসি এবং এক বৌদি এসে হাজির। হাতে হাতে সেগুলো বেছে দিলেন। দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিকেলের দিকে মামনির মাথা ব্যাথা, উঠোনের এক পাশে কয়েকজন মিলে বসে মাথা টিপে দেয়াও চললো, সাথে বিভিন্ন আলাপ কথাবার্তা হাসি- তামাশাও চললো অনেকক্ষণ ধরে। ঠিক পাশেই আরেকজন পাশাপাশি চাল ঝেড়ে দিচ্ছিলেন!! একসাথে সবকিছুই চলছে! অথবা কাজের শেষে উঠোন ঝেড়ে বাতাসের আশায় ক্লান্ত শরীর মেঝেতে শুয়েও অনেক সময়ে হাসি ঠাট্টা চলতেই থাকে! কয়েকদিন গ্রামে এমন পরিবেশে থাকার পর শহুরে গেলে এই পরিবেশের জন্য কেমন যেন মন পুড়ে! তাই টাটকা কিছু স্মৃতি রেখে দিলাম ব্লকচেইন এর দুনিয়াতে।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সত্যি কথা বলতে কি আপু গ্রাম মানে মানসিক প্রশান্তি। কারণ গ্রামে গেলে মনে একটা শান্তি খুঁজে পাওয়া যায় আর খুঁজে পাওয়া যায় গ্রাম বাংলার মা-বোনদের বিভিন্ন কাজকর্ম। বেশি ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই অনুভূতি পড়ে। শহর মানে স্বার্থপর স্থান যেখানে বিপদে পাশে আসার কেউ থাকেনা কিন্তু গ্রাম এমন একটা জায়গা ভালো মন্দ সকল শ্রেণীর মানুষ আছে তবে বিপদে ভালো মানুষের সংখ্যা কম থাকে না।
আপনি সঠিক বলেছেন ভাই৷ ভালো মন্দ সব জায়গাতেই আছে। তবে গ্রামের ব্যাপারটা সব মিলিয়েই আলাদা। অন্য রকম ভালো লাগার। বিশেষত আমরা যারা শহরে থাকি, আমাদের জন্য তো আরও বেশি ভালোলাগার।