সকলের ঈদের জার্নি নিরাপদ হোক
|| আজ ৮ এপ্রিল,২০২৪ || রোজ: সোমবার ||
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে পরিবারসহ বেশ ভালোই আছি।
আজ আবারো আপনাদের সামনে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি আপনাদের সাথে সমসাময়িক একটি বিষয়ে নিজের কিছু চিন্তা ভাবনা প্রকাশ করবো। আশা করবো আজকের পোষ্ট টি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
দেখতে দেখতে পবিত্র রমজান মাস প্রায় শেষের পথেই চলে এসেছে। সম্ভবত আর দুই দিন পরেই ঈদ। আজ থেকেই দেশের প্রায় সকল প্রতিষ্ঠান ঈদের ছুটি শুরু হয়ে গেছে। অনেক প্রতিষ্ঠান যারা আজকে ছুটি দেয় নি, তারাও আগামী কাল ঈদের ছুটি দিয়ে দিবে৷ রাজধানী ঢাকা এবং আশেপাশে জেলাগুলো যেমন গাজীপুর, টংগী, নারায়ণগঞ্জ এসব স্থানে বিরাট একটা জনবল কাজ করে থাকেন। এছাড়াও যারা কর্মের তাগিদে ঢাকা বা আশেপাশের জেলাগুলোতে থাকেন, তারা মূলত দুই ঈদের ছুটির জন্য মুখিয়ে থাকেন বাড়িতে যাওয়ার জন্য। কারণ বেশিরভাগ কর্মজীবীরা আসলে ঈদের সময় ছাড়া টানা বেশিদিনের ছুটি পায় না। কর্মের কাছে তারা বাঁধা।
ঈদ কে কেন্দ্র করে বাড়ি ফেরার জন্য আসলে বেশিরভাগ মানুষেরই মন আকুপাকু করে। কিন্তু ওদিকে মানুষের চাপের তুলনায় যানবাহনের সং্খ্যা অপ্রতুল। তাই অনেক সময় দেখা যায় অনেকে টিকিট না পেয়ে বিভিন্ন ভাবে ভেঙে ভেঙে বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এতে ভোগান্তিও কিছুটা বেশি হয়। তবে খুশীর দিনে পরিবারের সাথে থাকতে পারার আনন্দের কাছে এই ভোগান্তি তেমন পাত্তা পায় না।
কিন্তু ঈদের সময়ে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া বিভিন্ন রকমের ভিডিওতে সরগম হয়ে উঠে। তাতে দেখা যায় বাড়িতে ফেরার জন্য উৎসুক মানুষের অদ্ভুত সব কর্মকান্ড! অনেকেই বাড়ি ফেরার জন্য অতিরিক্ত রিস্ক নিয়ে ফেলেন। অনেকেই বিপদজনক ভাবে ট্রেনের ছাদে বসে যাওয়ার চেষ্টা করেন। যেটা ভীষণ রিক্সি একটা জার্নি। যে কোন সময়ে যে কোন অঘটন ঘটে যেতে পারে এভাবে জার্নিতে। সেই ট্রেনে উঠার সময়ও অনেকে বিভিন্ন রিক্স নিয়ে উঠার চেষ্টা করে থাকেন। অনেকে আবার লঞ্চে ঠেলাঠেলি করে উঠে পড়েন। ফলে লঞ্চ অতিরিক্ত ওজন এ ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠে। কিন্তু মানুষ যেন বুঝেও বোঝে না!! সকলে এমন রিস্ক নিয়েই বাড়িতে ফিরতে মরিয়া। এতে যে কোন দুর্ঘটনার স্বীকার হয়ে মহামূল্যবান জীবনটাই চলে যেতে পারে, এই ভাবনাও যেন তাদের ভাবায় না।
আমার বাংলা ব্লগের অনেক সদস্যই ঈদে বাড়ি ফিরবেন। তবে সকলের কাছে অনুরোধ থাকবে,
বাড়ি ফেরার আবেগে আমরা যেন ভুলভাল কোন উপায়ে বাড়ি ফেরার চেষ্টা না করি। বাড়ি ফেরার তাড়ায় যেন নিজ ইচ্ছায় জীবনের বাজি না ধরি। যদিও জানি এবং মানি যে আমাদের সকলের ই একদিন মৃত্যুর স্বাদ নিতেই হবে।এবং কে কতদিন বাঁচবো, সেটাও নির্ধারিত। তবে, সেই জীবন যেন নিজের অবহেলায়, নিজের বোকামীর কারণে রিস্কে না পরে যায়। প্রয়োজনে একবার ঈদ এর পরেই বাড়ি ফেরা ভালো, একেবারে লাশ হয়ে বাড়িতে ফেরার চেয়ে। পরিশেষে, এটাই চাওয়া, সকলের ঈদের জার্নি যেন নিরাপদ হয়। যারা ঈদে বাড়ি যাবেন,সকলে সুস্থভাবে বাড়িতে পোঁছান সেই শুভকামনা। সকলের ঈদ ভালো কাটুক, হাসি-খুশিতে কাটুক। এই পোস্ট আসলে আমি বাস কাউন্টারে বসে বসেই লিখছি। একটু পরেই আমাদের বাড়ি ফেরার বাস।সকলে আমাদের জন্যও দোয়া করবেন আমরাও যেন সুস্থভাবে ভোগান্তি ছাড়া নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পারি।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে আমিও অনেক ভিডিওতে দেখেছি যে বাংলাদেশে ঈদের সময় বাড়ি যাতায়াতের জন্য বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। এর ফলে প্রতিবছর ঈদে বাংলাদেশের প্রচুর লোক এই যাতায়াতের সময় মারা যায়। আসলে বাংলাদেশের যাতায়াত ব্যবস্থা তেমন একটা ভালো নয়। যাইহোক এবারের ঈদটা যেন সবাই মিলে নিরাপদে বাড়ি গিয়ে ভালোভাবে তাদের পরিবারের সঙ্গে কাটাতে সেজন্য আমার প্রার্থনা রইলো।
যাতায়াত ব্যবস্থা আগের থেকে বেশ ভালোই হয়েছে৷ তবে যে পরিমাণ মানুষের চাপ সৃষ্টি হয় ঈদের সময়, সে পরিমাণ যানবাহন এর ব্যবস্থা নেই ভাই। তাই অনেকে মাল বোঝাই করা ট্রাকে করে বাড়ি যায়, অনেকেই ট্রেনের ছাঁদে বা লঞ্চে ঠেলাঠেলি করে যেতে বাধ্য হয়।
দারুন একটি সতর্ক মূলক পোস্ট লিখেছেন দিদি। অনেকেরই হয়তো উপকারে আসবে এই পোস্টটি। আসলেই তাড়াহুড়োর কারণে বা বিভিন্নভাবে রিক্স নিয়ে বাড়ি ফেরার কারণে অনেকেই দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়, তবে এরকম বিপদকে সবসময় এড়িয়ে চলাই ভালো। আপনিও নিশ্চয়ই সুস্থভাবে ভোগান্তি ছাড়া নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পেরেছেন এটাই আশা করি।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য। আমাদের বাড়ি ফিরতে যদিও অনেক বেশি সময় লেগেছে স্বাভাবিকের চেয়ে, তবুও নিরাপদে ফিরতে পেরেছি।
একেবারে ঠিক বলেছেন আপু একেবারে না ফেরার চেয়ে দেরিতে ফেরা অনেক ভালো। গতকাল স্যোসাল মিডিয়ায় কিছু ভিডিও দেখলাম ট্রেনের ছাদে এতো পরিমাণ লোক উঠেছে যেটা অভাবনীয়। কিন্তু কিছু করার নেই। সবাই পরিবারের সাথে ঈদ করতে চাই সেজন্যই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। প্রতিবছর ঈদ যাএায় অনেক মানুষ দূর্ঘটনার স্বীকার হয়ে পথেই মারা যায়।
সেটাই ভাই। ওমন ভিডিও দেখে দেখে ভীষণ খারাপ ই লাগে। প্রতি বছর এমন দুর্ঘটনা তো অনেক ই হয়। তবুও মানুষ এভাবে জীবনের রিস্ক নেয়।
এই ঈদের সময়টাতে একটু যানবাহনের চাপ বেশি হবে, এটাই তো স্বাভাবিক দিদি। এজন্যই আসলে এই সময়টাতে মানুষের অনেক বেশি ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়। তবে ট্রেনের ছাদে বসে বাড়ি যাওয়ার এই ব্যাপারটা আমার কাছে অনেক বেশি রিস্ক মনে হয়। তাছাড়া মানুষ লঞ্চেও অনেক তাড়াহুড়ো করে উঠে , এর কারণেও বড় বিপত্তি হতে পারে। তবে আপনার মত আমারও একটাই দাবি , সবাই যেনো সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারে এবং তাদের পরিবারের সাথে ঈদ আনন্দ কাটাতে পারে।
সেটাই ভাই। সকলের ই এইটাই চাওয়া যে সকলে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেন!