বাড়ি ফেরা
|| আজ ৯ এপ্রিল,২০২৪ || রোজ: মঙ্গলবার ||
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে পরিবারসহ বেশ ভালোই আছি। আজ আবারো আপনাদের সামনে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করবো আজকের পোষ্ট টি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
দেখতে দেখতে পবিত্র রমজান মাস প্রায় শেষের পথেই চলে এসেছে। সম্ভবত আর দুই দিন পরেই ঈদ। সাধারণত এই দুই ঈদকে কেন্দ্র করেই আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান গুলো ছুটি ঘোষণা করে থাকে। এবং চাকরির তাগিদে দূরে থাকা মানুষ গুলো চেষ্টা করে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে৷ আমরাও এর ব্যতিক্রম নই। তাই ঈদের সময়ের কয়টা দিনের ছুটি আমরাও চেষ্টা করি গ্রামে এসে পরিবারের সাথে কাটাতে।
ঈদ কে কেন্দ্র করে বাড়ি ফেরার জন্য আসলে বেশিরভাগ মানুষেরই মন আকুপাকু করে। কিন্তু ওদিকে মানুষের চাপের তুলনায় যানবাহনের সং্খ্যা বেশ অপ্রতুল। তাই অনেকে মিলে লোকাল পরিবহনের বাস গুলো ভাড়া করে রওনা দেয়। আবার অনেকে তো মালামাল পরিবহন এর ট্রাকে করেও বাড়িতে ফিরে। এতে রাস্তার উপর যথেষ্ট বাড়তি চাপ পরে। ফলাফলে রাস্তায় সৃষ্টি হয় অনিয়ন্ত্রিত জ্যাম এর!
আমাদের বাস ছিলো রাত ৯:৩০ এ। রাস্তার কথা তো আর বলা যায় না, তাই বাসা থেকে যথেষ্ট সময় নিয়েই বের হয়েছিলাম। এক ঘন্টা আগেই বাস কাউন্টারে এসে বসে থাকি। বাস যথাসময়েই ছাড়ে। গাবতলি থেকে সাভার পর্যন্ত তেমন কোন জ্যাম ছাড়াই চলে আসি। কিন্তু সাভারের পর থেকেই বিপত্তি শুরু... বাস যেন আর আগায় ই না! জ্যাম ঠেলে ঠেলে নবীনগর আসার পর বাস চন্দ্রা দিয়ে না যেয়ে কালামপুর দিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কারণ চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইল এর রাস্তা পুরোটাই জ্যাম দেখাচ্ছিলো গুগোল ম্যাপ এ। কিন্তু কালামপুর এর রাস্তা ধরে এগিয়েও জ্যাম পিছু ছাড়লো না।
ঢাকা থেকে যে সময়ে রওনা দিয়েছি সেখান থেকে যাত্রা বিরতি তে বগুড়া শেরপুরের ফুড ভিলেজ হোটেলটিতে পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় চার থেকে সাড়ে চার ঘন্টা। অর্থাৎ ফুড ভিলেজে যাত্রা বিরতি হওয়ার কথা রাত ২ টায় দিকে। সেই ফুড ভিলেজে আমাদের বাস পোঁছেছে ভোর ৫ টা বাজে। অর্থাৎ সহযাত্রী অনেক মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা সেহেরি তে কিছু না খেয়েই রোজা রাখতে বাধ্য হয়েছেন। আবার অনেকেই রোজা রাখতে পারেন নি। ফুড ভিলেজে যখন নামলাম তখন প্রায় আলো ফোটা শুরু হয়েছে মাত্র।
এরপরে ফুড ভিলেজ থেকে পুনরায় যখন যাত্রা শুরু হলো তারপর থেকে অবশ্য তুলনামূলক জ্যাম কমই পেয়েছি। ফলে ১০ টার দিকে বাস থেকে নামতে পেরেছি। আট ঘন্টার পথ আসতে সময় লেগেছে প্রায় তের ঘন্টা। বাড়ি থেকে বের হওয়া থেকে শশুড়বাড়িতে ঢোকা হিসেব গণনা করলে আরো দুই-আড়াই ঘন্টা যোগ হবে। তবুও যে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পেরেছি, এটাই অনেক।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দিদি নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পেরেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। তবে জ্যামের কারণে ১৩ ঘন্টা জার্নি করতে হয়েছে কথাটি শুনে খুবই খারাপ লাগলো। কেননা একটানা ১৩ ঘন্টা জার্নি করা সত্যিই খুব কষ্টের বিষয়। যাইহোক এত কষ্ট করে অবশেষে বাড়িতে ফিরতে পেরেছেন এবং বাড়িতে ফিরে সুন্দর সময় কাটাবেন এই প্রত্যাশা করছি।
অন্যান্য বারে আরোও বেশি সময় লাগে ভাই৷ সেই তুলনায় ভোগান্তি কম ই হয়েছে বলা যায়। তবে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পেরেছি এটাই অনেক। দোয়া করবেন ভাই।
যেহেতু ঈদ ঘনিয়ে এসেছে, তার জন্য সবারই ঘরে ফেরার তাড়া। এজন্য হয়তো রাস্তাঘাটে এতটা ভিড় দিদি। তবে একটা ব্যাপার জেনে খারাপ লাগলো যে, কিছু কিছু মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা সেহেরি তে কিছু না খেয়েই রোজা রাখতে বাধ্য হয়েছে গাড়ি লেটে আসার কারণে। তাছাড়া অনেকে তো আবার রোজাও রাখতে পারিনি। যাইহোক, আপনি যে শেষ পর্যন্ত সুস্থভাবে বাড়ি আসতে পেরেছেন, এটা জেনে ভালো লাগলো দিদি।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সম্পূর্ণ পোস্ট টি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।