চান্দা মাছের মোচমোচা ভাজি রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনার অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। প্রতিদিন আমরা সকলেই বিভিন্ন পোস্ট করে থাকি। আমি অনেকদিন যাবত আপনাদের মাঝে কোন রেসিপি শেয়ার করি না। তাই ভাবলাম আজ একটি রেসিপি শেয়ার করা যাক। আজকে আমি আপনাদের মাঝে খুব সহজে কিভাবে চান্দা মাছের ভাজি করা যায় সেই রেসিপিটি শেয়ার করতে যাচ্ছি। চলুন খুব সহজ পদ্ধতিতে কিভাবে চান্দা মাছের রেসিপি তৈরি করা যায়, সেটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।
আমরা সকলে বলে থাকি আমাদেরকে মাছে ভাতে বাঙালি বলা হয়। কারণ আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যায়। অসংখ্য নদী রয়েছে আমাদের দেশে। সেই সুবাদে নদীর মাছ আমরা খেয়ে থাকি। আর বাঙালিরা হচ্ছে ভাত এবং মাছ বেশি পছন্দ করে। অন্যান্য খাবার খেলে ও বাঙ্গালীদের ভাত না খেলে পেট ভরে না। আর ভাতের সাথে তো অবশ্যই মাছ থাকা আবশ্যক। চান্দা মাছের মুচমুচা ভাজা কিভাবে রান্না করতে হয় সেই ধাপগুলো আপনাদের মাঝে একে একে শেয়ার করছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ -
- নদীর দেশি চান্দা মাছ
- পেঁয়াজ কুচি
- কাচাঁ মরিচ কুচি
- রসুন বাটা
- জিরা গুড়ো
- ধনিয়ার গুড়ো
- মরিচের গুড়ো
- হলুদের গুড়ো
- লবন
- সয়াবিন তৈল
এ পর্যায়ে একে একে সম্পূর্ণ রন্ধন প্রণালীর ধাপ আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
প্রথম ধাপ-
প্রথমে আমি সবগুলো উপকরণ একসাথে মাখিয়ে নিলাম। যেহেতু আমি একটি ছোট বাটিতে মাছগুলো নিয়েছিলাম, সেই বাটিতে জায়গা হচ্ছিল না বলে, বড় বলের মধ্যে সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম। এখানে চান্দা মাছগুলোর সাথে হলুদ, মরিচ, ধনিয়া, রসুন বাটা, কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ কুচি সবগুলো উপকরণ একসাথে ভালোভাবে মেখে মেরিনেট করে রেখে দিয়েছি পাঁচ মিনিট।
দ্বিতীয় ধাপ-
মেরিনেট করা মাছগুলো একটি বাটিতে নিলাম। তারপর একটি কড়াইতে তেল দিয়ে গরম করে নিলাম। তেলটা ভালোভাবে গরম হওয়ার পর, এর মধ্যে মেরিনেট করা মাছগুলো ছেড়ে দিলাম।
তৃতীয় ধাপ-
এই পর্যায়ে মাছগুলোকে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম এবং চুলার আচ একটু বাড়িয়ে দিলাম। কারণ মাছগুলো দেওয়ার সাথে সাথে এর থেকে অনেক পানি উঠছে। পানিটা তাড়াতাড়ি শুকানোর জন্য এবং মাছগুলো সিদ্ধ হওয়ার জন্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ-
ঢাকনা উঠানোর পরে এইরকম একটি কালার আসবে। এই পর্যায়ে মাছ উল্টানি দিয়ে মাছগুলোকে ভালোভাবে নেরে চেড়ে দিতে হবে। মনে রাখতে হবে এর আগের ধাপগুলোতে কিন্তু মাছগুলোকে বারবার নাড়াচাড়া করা যাবে না। নয়তো মাছগুলো ভেঙ্গে যাবে। পানি শুকিয়ে একদম কড়াইয়ের মধ্যে মাছগুলো যখন লেগে যাবে তখন ঘন ঘন মাছগুলোকে নারতে হবে।
পঞ্চম ধাপ-
বন্ধুরা দেখতেই পারছেন কিভাবে আমার চান্দা মাছের ভাজি হয়ে যাচ্ছে। ঘন ঘন নাড়তে নাড়তে মাছগুলো এইরকম কালার ধারণ করবে। আর মাছগুলো ভাজা ভাজা হয়ে যাবে। ঘনঘন নাড়াচাড়া করলে মাছগুলো পুড়বে না। করাইয়ার মধ্যেও লেগে থাকবে না। এটি হচ্ছে আমার রন্ধন প্রণালীর শেষ ধাপ। আর কিছুক্ষণ ভালোভাবে নেড়ে আমি এই মাছগুলোকে নামিয়ে নিয়েছি।
উপস্থাপনা
বন্ধুরা এই হলো আমার আজকের রেসিপি। রেসিপিটি খুবই টেষ্ট হয়েছে। দেশি চান্দা মাছের রেসিপি খুব সহজেই তৈরি হয়ে গেল। দেশি চান্দা মাছ দিয়ে এইভাবে আপনারও রান্না করে খেয়ে দেখতে পারেন। আশা করছি রেসিপিটি আপনাদের কাছেও অনেক ভালো লেগেছে। আবার আপনাদের সাথে নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো ইনশাআল্লাহ । সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | চান্দা মাছের মোচমোচা বাজি রেসিপি ।।।। |
স্থান | নিজ বাসা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২৪-১২-২০২৩ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
চান্দা মাছের মোচমোচা ভাজির দারুন রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের মাছের রেসিপি শেয়ার করেছেন। এই মাছের নাম এর আগে আমি কোন সময়ই শুনেছিলাম না।
জানিনা ভাইয়া কতটুকু ভিন্ন ধরনের হয়েছে। তবে এই ভিন্নভাবে রান্না করলে সবাই এইভাবে মাছটা সহজে রান্না করে খেতে পারবে। হা হা ভাইয়া আগে কখনোই চান্দা মাছের নাম শুনেন নাই এই প্রথম শুনলেন তাই অনেক হাসি পেল। যাই হোক আমার পোস্টের মাধ্যমে এই মাছের নাম জানতে পারলেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
চাঁদা মাছের মুচমুচে ভাজা অসাধারণ লাগে খেতে।আপনার সুন্দর ভাজা গুলো দেখে খেতে মন চাচ্ছে। খুব লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি।ধাপ গুলো খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন সব মিলিয়ে অসাধারণ সুন্দর রেসিপি।ধন্যবাদ সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
নদীর মাছ খেতে আমি খুব পছন্দ করি। কিন্তু এই চান্দা মাছ কাঁটার জন্য খেতে চাই না। তবে এভাবে মচমচা করে ভাজি করলে গরম ভাতের সাথে খেতে ভালোই লাগে। আপনার রেসিপি দেখে খিদা লেগে গিয়েছে। রেসিপির ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জ্বী আপু, সবাই নদীর মাছ খেতে পছন্দ করে। আর চান্দা মাছ কাটার জন্য সবাই খেতে চায় না। এইভাবে মচমচা করে ভাজি করলে গরম ভাতের সাথে খেলে ভালো লাগে।তাই এভাবে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আপনাকেও ধন্যবাদ আপু
যে কোন মাছ ভাজি করে খেতে আমার খুবই ভালো লাগে।
বিশেষ করে একটু ঝাল বেশি হলে খেতে সেটি আরো বেশি সুস্বাদু হয়।
চাঁদা মাছের সুস্বাদু রেসিপি প্রস্তুত করে শেয়ার করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু করেছিল।
জ্বী ভাইয়া মাছের যেকোনো ভাজি খেতে সুস্বাদু হয়। আর এই ভাজি যদি ঝাল ঝাল হয় তাহলে তো কথাই নেই। ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। রেসিপিটা দেখে লোভ সামলানো যাচ্ছে না। আপনি অনেক সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আপু চেষ্টা করেছি সুন্দরভাবে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে। আসলে এই কমিউনিটিতে সবাই সুন্দর সুন্দর পোস্ট তৈরি করে। রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেন। সবার মত এত সুন্দর করে আমিও গোছাতে পারিনা। তবে চেষ্টা করি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি কমেন্টস করার জন্য।
চান্দা মাছ কাটার জন্য খুব একটা খাওয়া হয় না। এই মাছে আমার কাছে কাটা খুব বেশি লাগে। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে। কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। রেসিপি তৈরি করার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জ্বী আপু আপনি ঠিকই বলেছেন এই মাছে অনেক কাটা থাকে। যার জন্য সকলে এই মাছ পছন্দ করে না। আমিও একটা সময় এই মাছ পছন্দ করতাম না। তবে এভাবে রান্না করার ফলে আমি একবার খেয়ে এর স্বাদ বুঝতে পেরেছিলাম, তাই সব সময় এভাবে রান্না করে খাই।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আজকে আপনারা রেসিপির মধ্যে ছিল চান্দা মাছ ভাজা মাছের রেসিপি দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে এবং খুব সুন্দর ভাবে আপনি ধাপে ধাপে পোস্টটি শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে এই ভাজা চান্দা মাছ খেতে খুবই স্বাদ হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
জ্বি ভাইয়া, চান্দা মাছের এই রেসিপিটি অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। চেষ্টা করেছি ভাইয়া প্রত্যেকটি ধাপের সুন্দরভাবে বর্ণনা দেওয়ার। যাতে করে সবাই এভাবে সহজে রান্না করতে পারে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই চান্দা মাছ গুলো অনেক দিন পর দেখলাম।এই চান্দা মাছ আগে অনেক খেয়েছি।এই মাছগুলোতে কাঁটা থাকায় আম্মু সব সময় মুচমুচে করে ভেজে দিতো।খেতে ভীষণ মজার হতো।আপনি চমৎকার ভাবে রেসিপিটি শেয়ার করলেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু এই মাছগুলো সচরাচর সব সময় পাওয়া যায় না।আর এই মাছগুলো মায়েরা মুচমুচে ভেজেই সন্তানদের খাওয়ায়। যেমনটি আপনার মা ও করতো। আপনার মা তো এই মাছগুলো ভেজে খাওয়া তো আপনার কাছে ভালো লাগতো। আমার কাছেও এ মাছগুলো এভাবে ভেজে খেতে ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু।
চান্দা মাছ এভাবে কখনো মুচমুচে করে ভেজে খাওয়া হয়নি, আপনি দারুন একটি রেসিপি দেখালেন ।দেখেই তো লোভ লেগে গেল।এই মাছে যেহেতু অনেক কাটা থেকে এভাবে ভেজে খেলে খেতে বেশ ভালোই লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি যেহেতু এভাবে কখনো রান্না করে খাননি,একটা সময় চান্দা মাছ এইভাবে রান্না করে দেখবেন অনেক ভালো লাগবে। কারণ এই মাছগুলো শক্ত এবং অনেক কাটাযুক্ত। এইগুলো এভাবে বেজে খেলে কাঁটাগুলো একদম তেলে ভেজে যায়। ছিবলে ফিনিশিং হয়ে যায়। যার জন্য গলায় কাটা আটকানোর কোন সম্ভাবনা থাকে না। খেলে অবশ্যই ভালো লাগবে ধন্যবাদ আপু।
বেশ মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ৷ আসলেই আমরা মাছে ভাতে বাঙালি , মাছ আমাদের অনেক প্রিয় একটি খাবার ৷ আপনি চান্দা মাছের বেশ মোচমোচে ভাজি রেসিপি করেছেন ৷ আপনার রেসিপি দেখতে অনেক সুন্দর এবং লোভনীয় হয়েছে ৷ আসলে মাছের ঝোলের থেকে মাছের মোচমোচে ভাজি আমার অনেক বেশি পছন্দ পছন্দের ৷ আপনার রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ৷
জি ভাইয়া এটা আর বলা চলে, আমরা তো মাছে ভাতে বাঙালি। মাছ আমরা বাঙ্গালীদের সবারই প্রিয় একটি খাবার। যেমন এই রেসিপিটি লোভনীয় দেখাচ্ছে খেতেও কিন্তু অনেক দারুন হয়েছে। এটা আপনি ঠিকই বলেছেন ঝোল থেকে মাছেরে মুচমুচে ভাজি অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।