জেনারেল রাইটিং:- পথশিশুদের ঈদ উৎসব নাকি কান্না?
হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা ,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন বন্ধুরা? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। সদা-সর্বদায় সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করি। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। যাইহোক আমি আজকে আপনাদের মাঝে একটা বাস্তবিক পোস্ট শেয়ার করবো। আমি নিয়মিত লেখালেখি করতে চেষ্টা করি। যখনই সময় সুযোগ হয়ে ওঠে ঠিক তখনই বই পড়া কিংবা লেখালেখিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। তবে আমি বাস্তবসম্মত লেখা লিখতে চেষ্টা করি । তো বন্ধুরা আজকে আপনাদের সাথে তেমনি বাস্তবসম্মত একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। ঈদের উৎসবকে ঘিরে থাকে কত পরিকল্পনা আর আয়োজন। এই ঈদে আমি কি কি কেনাকাটা করবো, কোথায় কোথায় ঘুরতে যাবো, বন্ধুদের সাথে আড্ডা আরো কত কি! নিজের অজান্তেই এমন শত স্বপ্ন ভেসে উঠে চোখের সামনে। ঠিক এই স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার দরকার তাই আমরা নিয়ে থাকি। যদি আমরা আমাদের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে না পারি, তখন বাবা মায়ের অবাধ্য হয়ে তাদের সাথে রাগারাগি করে হলেও আমরা আমাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাই। দামি জামা-কাপড় না পড়লে ঈদ হবে না, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে না গেলে ঈদ জমবে না, বন্ধুদের সাথে কষিয়ে আড্ডা দিতে না পারলে-তো ঈদের মজাই নেই। এমন নানান বাহানা ধরে আমরা আমাদের স্বার্থ উদ্ধার করি।
আচ্ছা, আমরা কি একবার ভেবে দেখেছি? আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা হাজারো পথ শিশুদের ঈদ কিভাবে কাটবে? তারাও তো মানুষ, তাদেরও তো আবেগ অনুভূতি আছে, তাদেরও তো চাওয়া পাওয়া থাকতে পারে, কিন্তু তারা ছাইবে কার কাছে? কেইবা পূরণ করবে তাদের সেই চাহিদাগুলো? তাদের চাহিদা তো সীমিত। আমাদের মত এত বড় না। তাদের চাওয়া তো একটু ভালো পোশাক পরিধান করা, ঈদের দিনে একটু ভালো খাবার খাওয়া। চারপাশের মানুষের একটুও ভালোবাসা পাওয়া। এটাই তো তাদের চাওয়া, এর বাহিরে তো আর কোন চাহিদা থাকে না তাদের। আমরা সেই পথ শিশুদের চোখের চাউনির ভাষা বুঝি না। তাদের হৃদয়ের আর্তনাদগুলো শুনি না। নিরবে বসে কান্নার শব্দ আমাদের কানে বেজে ওঠেনা।
তাদের হৃদয়ের আর্তনাদে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। পিতৃ-মাতৃ পরিচয়হীন কত শিশু রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে। তারা এই ঈদে কাউকে বাবা ডাকার সুযোগ পায় না, মায়ের আদর-স্নেহ পাওয়ার সুযোগ পায় না। তারা কাউকে জড়িয়ে ধরে তাদের মনের আবেগ খুলে কান্নাকাটি করবে তারও সুযোগ পায় না। ওই পথ শিশুরা যখন আমাদের কাছে আসে কোন সাহায্যের জন্য, আমরা তাদের দুরদূর করে তাড়িয়ে দিই, ধমক কিংবা গায়ে হাতও তুলি।
একটু চিন্তা করুন তো, সে যদি আমার ভাই হতো, কিংবা আমার আত্মীয় কেউ হত, আমি কি পারতাম এমন আচরণ করতে তার সাথে? না কখনোই পারতাম না। কারন আমার আত্মীয়-স্বজন মানেই তো মানুষ। তাহলে পথ শিশুদের পরিচয়টা কি? তারা কি মানুষ নয়? তারা যদি মানুষ হয় তাহলে মানুষের সাথে মানুষ তো এমন পশুর আচরণ করতে পারে না। মানুষ তো মানুষেরই জন্য, জীবনতো জীবনের জন্য। তারা তো একটু সহানুভূতি চায়।
আমরা চাইলে তাদের ঈদও সুন্দর কাটবে, আত্মীয়তার দুঃখ-কষ্ট ভুলে থাকবে। আমরা মানবিক মানুষ হই, মানুষের সাথে থাকি, মানুষের পাশে দাঁড়াই, তখনই একটি সুন্দর সমাজ, একটি সুন্দর দেশ, একটি সুন্দর দুনিয়া গঠিত হবে। যেখানে হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা, মজলুমের প্রতি অবিচার থাকবে না। একটা মানবতার দুনিয়ায়, একটা সাম্যের দুনিয়ায় গঠন করতে পারবো। আমরা যদি আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে পথ শিশুদের একটু খোঁজ-খবর রাখি, তাদের পাশে দাঁড়াই তাহলে দেখবেন তাদের ঈদ সুন্দর কাটবে। অশ্রু ভরা হৃদয় তাদের ঈদ কাটাতে হবে না। আসুন আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই আমাদের চারপাশের পথ শিশুদের খোঁজখবর আমরা রাখবো। সুন্দর একটি দুনিয়ায় গাড়বো।
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। প্রথমেই সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। আমি তাহেরুল ইসলাম, আমার স্টিমিট ইউজার আইডি হল - @ti-taher। আমি ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেছি। বর্তমানে ফেনী শহরে অবস্থান করছি। আমি ফেনীতে পড়াশোনা করেছি এবং বড় হয়েছি। আমি একজন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ, আমি ভ্রমণ করতে এবং ছবি তুলতে ভালোবাসি। নতুন জায়গায় ঘুরতে আগ্রহী, নতুন জায়গায় ঘুরতে এবং নতুন কিছু আবিষ্কার করতে ভালোবাসি। আমি বই পড়তেও ভালোবাসি, অনেকে আমাকে বই পোকাও বলে থাকে। আমি কবিতা, গল্প, উপন্যাস এবং বৈজ্ঞানিক বই সহ সব ধরনের বই পড়তে পছন্দ করি। আমার প্রিয় কবি "কাজী নজরুল ইসলাম"। প্রিয় কবিতা "বিদ্রোহী"।(ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পথশিশুদের সব সময় অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে পার করতে হয়। এই পবিত্র মাহে রমজান মাসে ঈদের যে আনন্দটা সেটা হয়তো তাদের কাছে চেয়ে থাকা মানুষের কাছ থেকে একটু সুখের আকাঙ্ক্ষা। সেটাই তারা প্রত্যাশা করে হয়তো কখনো পায় আবার কখনো পায় না। আপনি সেই বিষয়টি আজকে পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরলেন খুবই ভালো লাগলো পড়ে।
ধন্যবাদ আপনাকে, আমার পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মন্তব্য উপস্থাপন করার জন্য । দেশজুড়ে হাজারো সুবিধা বঞ্চিত পথশিশু রয়েছে। ওদের পাশে যদি আমরা দাঁড়াই তাহলে ওদের কষ্টগুলো অনেকটাই কমবে এবং সুন্দর একটি সমাজ গঠিত হবে।
পথ শিশুদের জীবন যাত্রার মান খুবই নিম্ন ধরনের হয়ে থাকে। আমরা অনেক কিছু কেনাকাটা করতে পারি কিন্তু তাদের কেনাকাটা সামর্থ্য নাই। আমাদের উচিত তাদের সাহায্য করা। আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা টপিক্স নিয়ে আজকে পোস্ট করেছেন পড়ে ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
শুকরিয়া ভাইয়া, আমার পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মন্তব্য দেয়ার জন্য। আমি চেষ্টা করেছি বাস্তবতার সাথে মিল রেখেই আর্টিকেলটা লেখার জন্য। যদি আমরা পথ শিশুদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিই তাহলে তাদের দুঃখ কষ্ট অনেকটাই কমবে।
https://twitter.com/titaherul/status/1776339515558510878?t=6cvsj9q-5pKVgkKC3UTaVQ&s=19
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পথশিশুদের জন্য ঈদ মানে কষ্ট আর বেদনা। তারা আসলে এই দিনে নূন্যতম ভালো খাবার পর্যন্ত পায় না, আর আনন্দ তো দূরের কথা। আসলে এদের দেখার মতো কেউ নেই, সোনার বাংলাদেশে।
যাইহোক আপনার লিখনীটির মাঝে আমার বেশ কিছু চিন্তা চেতনার মিল পেলাম। যাইহোক যদি সম্ভব হয় অন্তত একজন পথশিশুকে খাবার কিনে দেবেন। ধন্যবাদ ভাই অসাধারণ পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে, পোস্টের আলোকে পরামর্শমূলক মন্তব্য প্রদান করার জন্য। আমরা চাইলেই ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারি। তবে সেরকম মানসিকতা কজনের আছে? আমি মনে করি, আমরা স্বস্ব স্থান থেকে এগিয়ে আসলে সবই করা সম্ভব।
আপনার পোস্ট পড়ে বেশ ভালো লেগেছে ভাই, আসলেই পথ শিশুদের কথা চিন্তা করলে মনে হয় আমরা কত ভালো আছি। ঈদের দিনে তারা তাদের আবেগ কারো কাছে প্রকাশ করতে পারেনা মনের অপূর্ণ ইচ্ছাগুলো কারো কাছে বলবে সেই সুযোগটা পায় না। তাই দিন শেষে আমরা যদি তাদের পাশে দাঁড়াই মনে হয় তারা প্রশান্তির ছায়া পাবে।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট লিখে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে ভাই সত্যি বলতে পথ শিশুদেরও ইচ্ছে করে অন্যান্য মানুষের মতো ঈদের দিন আনন্দ উপভোগ করতে। কিন্তু আর্থিক অনটন তাদের এই সুন্দর ইচ্ছাকে পূর্ণ হতে দেয় না। আমাদের সমাজের সকল বিত্তবানদের উচিত পথ শিশুদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। যাতে তারা অন্তত ঈদের দিনটা অন্যান্য সাধারণ মানুষের মতো উদযাপন করতে পারে।
আসলেই অনেকেরই বাজের কতকত হাজার টাকা ঈদের জন্য,কিন্তু পথশিশুদের কোন বাজেট নেই, তারা নতুন জামা পরবে তো দূরের কথা তাদের ঘরে কোন খাবার নেই। ঈদের দিনও তারা খাবার পায় না।ধনীরা যদি একটু ওদের দিকে তাকাই তাহলে হয়তো ওদের ঈদের দিনটা বেশ ভালো কাটতো।ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে।ধন্যবাদ
খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। আসলে এই ঈদের আনন্দ সকলের উপভোগ করতে চায়৷ তবে সকলের জন্য সে আনন্দ থাকে না৷ পথ শিশু তাদের মধ্যে অন্যতম৷ তাদের কেউ থাকেনা এবং তাদেরকে ঈদের শপিং করে দেওয়ার কেউ থাকে না৷ ঈদের সময় যে আনন্দ করা সেই আনন্দ তাদের মধ্যে থাকে না৷ তারা নিজেদের খাবারও ঠিকভাবে খেতে পারে না৷ আর আনন্দের কথা তো বাদই দিলাম। ধন্যবাদ এরকম একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷