ব্যস্ততম শহরে জীবন এখন সাদাকালো। (লাইফস্টাইল)
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। আজকে আমি আরেকটা নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম।
https://w3w.co/groomed.pounce.stated
প্রিয় বন্ধুরা, টাইটেল দেখে হয়তো বুঝতে পেরেছেন আমি কোন বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি। আমাদের জীবন গুলো প্রতিনিয়ত কোন না কোন ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জীবনের চাকা সব সময় চলমান, এই চাকা যেন থামছে না। চলছে প্রবাহমান নদী ন্যায়। কর্মময় এ জীবনে প্রতিনিয়ত মুখোমুখি হতে হচ্ছে কোন না কোন সমস্যার। আমাদের জীবনের সকল সমস্যা যেখানে হার মানে, তা হচ্ছে এই ব্যস্তময় শহরের যানজট। আমাকে প্রতিনিয়ত পোহাতে হয় এই সমস্যার। বলতে পারেন এই সমস্যা আমি অতিষ্ঠ হয়ে আছি। চারপাশে গাড়ির আওয়াজ, গাড়ির হর্ন, এগুলো যেন আমাদের জীবনকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। এ সমস্যাগুলো আমার কাছে প্রতিনিয়তই বিরক্তের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে, হালকা নাস্তা করে বের হয়ে যেতে হয় অফিসের পথে। নির্দিষ্ট সময় অফিসে যেতে হবে এই চিন্তায় খুবই চিন্তিত থাকি। আমার বাসায় থেকে অফিসের দূরত্ব প্রায় ১৮ কিলোমিটার। প্রথমেই আমি বাসে করে যেতে হয় মহিপাল। মহিপাল নামার পরেই শুরু হয় যানজট, এত বেশি যানজট থাকে যে, মানুষ চলাফেরা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচ থেকে শুরু করে ফেনী শহর পর্যন্ত থাকে প্রচুর যানজট। ১৬ কিলোমিটারের রাস্তা পার হতে যত সময় ব্যয় হয় না, তারচেয়ে বেশি সময় লাগে দুই কিলোমিটার রাস্তা পার হতে। এটাই চরম বাস্তবতা। এত বেশি গাড়ির হর্ণ যা অসহ্যনীয় ব্যথার কারণ। আরো সর্বোচ্চ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা, যা জীবনকে করে তুলেছে অনেকে বেশি কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং।
আজকে গাড়ি থেকে নামার পর সিদ্ধান্ত নিলাম বিষয়টা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তাই কিছু ছবি তুলে নিয়েছি, নিজ হস্তে নিজ মোবাইলে। এতসব কঠিন পরিস্থিতি ফেস করে প্রতিনিয়ত যেতে হচ্ছে অফিসের পথে। যেতে হচ্ছে নির্দিষ্ট সময়ে, যানজটের সমস্যা জানা সত্বেও প্রতিনিয়ত জবাব দিতে হচ্ছে অফিস কর্মকর্তাকে। আজকে অফিসে যেতে যেতে কিছু জীবন যোদ্ধাদের ছবি তুলেছি আমি। এই ছবিগুলো বাস্তবমুখী, তাদের জীবন গুলোর দিকে তাকিয়ে আমার কষ্টকে খুব তুচ্ছ মনে হয়েছে। প্রখর রোদের মধ্যে তারা জীবিকার জন্য হকারি করতেছে। অবশেষে অফিসে গেলাম, ঘন্টাখানেক অফিস করার পর বের হয়ে গেলাম। হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম লাল দীঘির পাড়ে, সেখানে গিয়ে কিছুক্ষণ একা বসলাম।
দিঘির পাড়ে বসে দারুণ একটি অভিজ্ঞতার সঞ্চয় করলাম। ফেনীর লাল দীঘিটি খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে সবসময়ই। এর কারণ খুঁজে পেলাম আজকে, দেখলাম একটি ছোট নৌকা নিয়ে একটি ছেলে এবং একটি বয়স্ক লোক দিঘির চারপাশে ঘুরে ঘুরে আবর্জনাগুলো নৌকা তুলতেছে। এ পরিছন্নতা নাকি প্রতিদিনই চলে। তাই লালদীঘিতে কোন ধরনের আবর্জনা পাওয়া যায় না। যাইহোক দিঘির চারদিক ঘুরে দেখলাম। একটু পর যখন খুব ক্লান্ত হয়ে পড়লাম, তৃষ্ণা গলা শুকিয়ে গেল, তখন খেলাম দিঘীরপাড় থেকে এক গ্লাস ফলের শরবত।
শরবতটি খেতে খুব ভালো লাগলো আমার, তৃষ্ণা নিবরন হল এবং শরীরের ক্লান্তি দূর হলো।
অবশেষে, ঘুরাঘুরি শেষ করে আবার রওনা হলাম ফেনীর খেজুর চত্বরে দিকে। সেখান থেকে সিএনজিতে উঠলাম ব্যস্তময় এ যান্ত্রিক শহরে। রওনা হলাম মহিপাল ফ্লাইওভারের দিকে। প্রতিদিনের মতোই যানজট মোকাবেলা করে পৌঁছলাম সেখানে। সেখান থেকে বাসে উঠে রওনা হলাম বাড়ির পথে। অবশেষে বাড়িতে পৌঁছলাম। এভাবে প্রতিনিয়ত হাজারো সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। যানজটের কারণে অফিসে জবাবদিহিতা করতে করতে হাজারো বোকা শুনতে হয় বসের। যাইহোক আজকে এ পর্যন্তই। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই শেষ করছি।
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। প্রথমেই সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। আমি তাহেরুল ইসলাম, আমার স্টিমিট ইউজার আইডি হল - @ti-taher। আমি ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেছি। বর্তমানে ফেনী শহরে অবস্থান করছি। আমি ফেনীতে পড়াশোনা করেছি এবং বড় হয়েছি। আমি একজন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ, আমি ভ্রমণ করতে এবং ছবি তুলতে ভালোবাসি। নতুন জায়গায় ঘুরতে আগ্রহী, নতুন জায়গায় ঘুরতে এবং নতুন কিছু আবিষ্কার করতে ভালোবাসি। আমি বই পড়তেও ভালোবাসি, অনেকে আমাকে বই পোকাও বলে থাকে। আমি কবিতা, গল্প, উপন্যাস এবং বৈজ্ঞানিক বই সহ সব ধরনের বই পড়তে পছন্দ করি। আমার প্রিয় কবি "কাজী নজরুল ইসলাম"। প্রিয় কবিতা "বিদ্রোহী"।( ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
https://twitter.com/titaherul/status/1793330844582793294?t=62RFklccyZ9gViUDPj29Hg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি ঠিক বলেছেন সাধারণ মানুষ গুলো অনেক বেশি পরিশ্রম করে থাকে। বর্তমানে অনেক বেশি রোদ পড়তেছে আবার। তাপমাত্রা আবার অনেক গুন বেড়ে গিয়েছে। এতে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে গিয়েছে। আপনার লেখা বরাবরই অনেক বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। কারণ লেখাগুলো অনেক গুছিয়ে লেখেন আপনি।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আমার লিখাটি পড়ে আপনি আপনার মহামূলক মন্তব্য উপস্থাপন করার জন্য। আমার লিখনির সাথে আপনার মতামত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।