জেনারেল রাইটিং:- অসুস্থ না হলে বুঝা যায়না সুস্থতা স্রষ্টার কত বড় নিয়ামত।
হ্যালো বন্ধুরা ,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। সদা-সর্বদায় সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করি। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। যাইহোক আমি আজকে আপনাদের মাঝে একটা বাস্তবিক পোস্ট শেয়ার করবো। আমি নিয়মিত লেখালেখি করতে চেষ্টা করি। যখনই সময় সুযোগ হয়ে ওঠে ঠিক তখনই বই পড়া কিংবা লেখালেখিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। তবে আমি বাস্তবসম্মত লেখা লিখতে চেষ্টা করি । তো বন্ধুরা আজকে আপনাদের সাথে তেমনি বাস্তবসম্মত একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।
আমাদের জীবনগুলো খুবই ছোট। এই ছোট জীবনে রয়েছে কতনা আবেগ-অনুভূতি, ভালোলাগা-মন্দলাগা, সুস্থতা-অসুস্থতা, আরো কত কি! এ ছোট জীবনে সবার সময় একভাবে কাটেনা। কেউ সাময়িক সুস্থতার ধান্বিকতা নিয়ে চলে। আবার একসময় শক্তি ফুরিয়ে গেলে দুর্বলের মত নত হয়ে পড়ে। তবে যখন আমাদের শরীরের শক্তি থাকে তখন আমরা আমাদের মৃত্যুর কথা পর্যন্ত ভুলে যাই। দুনিয়াকে আমরা চিরস্থায়ী মনে করি, এবং মজলুমের উপর অন্যায়, অবিচার, জুলুম, শোষন শুরু করি। কোন মানুষকে মানুষই মনে করি না। তখন আমাদের চিন্তা-চেতনা হিংস্র জানোয়ারের ন্যায় হয়ে থাকে। আচরণ হয় পশুর মত।
দুনিয়ার জীবন খুবই ক্ষণস্থায়ী জীবন। দুনিয়ার জীবনে আমরা সবাই মুসাফির। এ মুসাফিরি জিন্দেগীতে আমরা সবাই অতিথি পাখির মতোই আচরণ করা উচিত। সারা পৃথিবীতে সবাই মিলেমিশে বসবাস করা উচিত। কোন ভেদাভেদ, হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না। একে অন্যকে সাহায্য, সহযোগিতা করে এগিয়ে যাওয়া উচিত। সাম্যের একটা দুনিয়া গঠন করা উচিত।
যেমন ধরুন, বনের মধ্যে সিংহ এবং বাঘ রাজত্ব করে চলে যখন তাদের গায়ে শক্তি থাকে। তাদের হুংকারে পুরো বন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। নিরীহ প্রাণীদের ঘুম হারাম হয়ে যায়। এতটাই ভয়ানক হয় তাদের চলাফেরা, হুংকার। কিন্তু মানুষ চাইলে তাদের মত করে চলাফেরা করতে পারে না।
কারণ, দয়াময় স্রষ্টা মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। আমরা সবাই জানি আশরাফুল মাখলুকাত মানেই সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষের আকল বা বিবেক দিয়ে দয়াময় স্রষ্টা সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। তাই আমরা ইচ্ছে করলেই কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করতে পারি না, কাউকে আঘাত দিতে পারি না। কোন নিরপরাধ মানুষকে কষ্ট দিতে পারি না। লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ, অহংকার এগুলো কোন প্রকৃত মানুষের থাকতে পারেনা। প্রকৃত মানুষ মানেই মাটির মানুষ।
মূল পয়েন্টে আসা যাক, শক্তি থাকা অবস্থা বাঘ, সিংহ যেমন বনে রাজত্ব করে, নিরীহ প্রাণীদের ধরে খায়। যখন তাদের শক্তি ফুরিয়ে যায়, তখন তারা তাদের বিপদে কোন প্রাণীকে খুঁজে পায় না। ঠিক তেমনি মানুষের মধ্যে যারা অমানুষ রয়েছে, তাদেরও শক্তি একসময় ফুরিয়ে যাবে কিন্তু তারা বিপদে কাউকে পাশে পাবেনা। তাই যৌবনের নমনীয় হয়ে থাকা। সব মানুষের সাথে সুন্দর আচরণ করা। এটাই একটা মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত।
যাইহোক, আমরা সুস্থ আছি মানেই সব সময় দয়াময় স্রষ্টার দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করা উচিত। কারণ অসুস্থ হলে বুঝা যায় সুস্থতা দয়াময় স্রষ্টার কত বড় নেয়ামত। আজ বেশ কয়েকদিন যাবত খুব অসুস্থ, এরই মাঝে অসংখ্যবার মনে পড়লো অতীত কথা, কতইনা নেয়ামতের মধ্যে ডুবে ছিলাম কিন্তু একবার কি শুকরিয়া জ্ঞাপন করলাম! আহ আফসোস!
পরিশেষে বলবো, সবকিছুর জন্যই দয়াময় স্রষ্টার দরবারে সদা-সর্বদা শুকরিয়া জ্ঞাপন করবো।
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। প্রথমেই সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। আমি তাহেরুল ইসলাম, আমার স্টিমিট ইউজার আইডি হল - @ti-taher। আমি ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেছি। বর্তমানে ফেনী শহরে অবস্থান করছি। আমি ফেনীতে পড়াশোনা করেছি এবং বড় হয়েছি। আমি একজন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ, আমি ভ্রমণ করতে এবং ছবি তুলতে ভালোবাসি। নতুন জায়গায় ঘুরতে আগ্রহী, নতুন জায়গায় ঘুরতে এবং নতুন কিছু আবিষ্কার করতে ভালোবাসি। আমি বই পড়তেও ভালোবাসি, অনেকে আমাকে বই পোকাও বলে থাকে। আমি কবিতা, গল্প, উপন্যাস এবং বৈজ্ঞানিক বইসহ সব ধরনের বই পড়তে পছন্দ করি। আমার প্রিয় কবি "কাজী নজরুল ইসলাম"। প্রিয় কবিতা "বিদ্রোহী"।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://twitter.com/titaherul/status/1783857586003230814?t=v8upSIugK7Aq-p6NBOk0Xg&s=19
আপনি বিশেষ করে শেষের দিকের লেখায় আপনার চিন্তাভাবনা গুলো দারুণ ভাবে তুলে ধরেছেন। আসলেই এই ছোট্ট জীবনে তো বেশির ভাগ সময়েই আমরা সুস্থই থাকি। কিন্তু যখন সুস্থ থাকি, তখন সৃষ্টিকর্তার প্রতি শুকরিয়া কি আমরা প্রকাশ করি? বেশিরভাগ মানুষ ই সেসময়ে ভুলে যাই শুকরিয়া আদায় করতে। অথচ অসুস্থ হলে বোঝা যায় অন্যান্য সময় কী দারুণ নিয়ামতের মাঝে আমরা থাকি!
ধন্যবাদ প্রিয় বোন, আমার পোস্টি পড়ে আপনার মহামূল্যবান মন্তব্য উপস্থাপন করার জন্য। আমরা সবাই সুস্থ থাকা অবস্থা স্রষ্টার অশেষ নেয়ামতের শুকরিয়া জ্ঞাপন করিনা। তাই আমাদের উচিত সদাসর্বদা ভালো থাকার শুকরিয়া করা।
অনেক সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আজকে আপনি আমাদের মাঝে পোস্ট করেছেন ভাইয়া। আমরা যতক্ষণ একটা জিনিস হারিয়ে ফেলবো না ততক্ষণ তার মর্যাদা বুঝতে পারি না। যখন কোন জিনিসের আমাদের খুবই প্রয়োজন কিন্তু জিনিসটা আমরা পাচ্ছি না তখনই বোঝা যায় তার মর্যাদা কত টাকা নেই। ঠিক এমনই এখন বৃষ্টি হচ্ছে না কিন্তু বৃষ্টির খুবই প্রয়োজন এখন আমরা বুঝতে পারছি বৃষ্টির মর্যাদা কতখানি। সুস্থ ও অসুস্থ নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন ভাইয়া ধন্যবাদ।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু উদাহরণ উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে। বৃষ্টির শূন্যতা এখন দৃশ্যমান। এই গরমে বৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা মানুষ টের পাচ্ছে। যাইহোক, আমরা অসুস্থ হলেই প্রকৃতপক্ষে সুস্থতার মর্ম বুঝতে পারি ।
বর্তমানে আমাদের শরীরের শক্তি সামর্থ্য আছে তাই যা ইচ্ছা তা করতে পারছি। কিন্তু আসলে টের পাওয়া যায় তখনই যখন অসুস্থ হয়ে পড়ি।আর অসুস্থতায় ভুগলে তখনই বোঝা যায় যে সুস্থতা বিধাতার কত বড় নেয়ামত। যাইহোক বেশ ভালো একটি বিষয় ছিল।আর খুব সুন্দরভাবে আলোচনা করেছ ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ প্রিয় ভাই, আপনার মহামূল্যবান মন্তব্য উপস্থাপন করার জন্য। আমরা যদি স্রষ্টার নেয়ামতের কথা স্বীকার করি তাহলে অন্যায়, অবিচার, জুলুম, শোষণ, অহংকার ভুলে সব মানুষ একাকার হয়ে বসবাস করবো।
আসলে সুস্থ থাকাটা সৃষ্টিকর্তার সবচেয়ে বড় নেয়ামত। সুস্থ থাকলে পৃথিবীর সকল কিছুই ভালো লাগে আর অসুস্থ থাকলে তার অনুভূতি কেমন হয় তার ভাষায় বলে প্রকাশ করা যায় না। আপনি ঠিক বলেছেন ভাই, অসুস্থ না হলে বুঝা যায়না সুস্থতা স্রষ্টার কত বড় নিয়ামত । আপনার পোষ্ট টি পড়ে খুব ভালো লাগলো। বেশ চমৎকার বিষয় উপস্থাপন করেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আমাদের এই ক্ষুদ্র জীবনে আমরা হয়তো বিভিন্ন সময় অসুস্থ থাকি। আর অসুস্থতার সময়গুলোতেই সুস্থ থাকার মূল্যটা বুঝতে পারি। ভাইয়া আপনি দারুন লিখেছেন। আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো।