সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ || চারপাওয়াল জন্তুর চেয়েও নিকৃষ্ট মানুষ
হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা ,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। সদা-সর্বদায় সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করি। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। যাইহোক আমি আজকে আপনাদের মাঝে একটা বাস্তবিক পোস্ট শেয়ার করবো। আমি নিয়মিত লেখালেখি করতে চেষ্টা করি। যখনই সময় সুযোগ হয়ে ওঠে ঠিক তখনই বই পড়া কিংবা লেখালেখিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। তবে আমি বাস্তবসম্মত লেখা লিখতে চেষ্টা করি । তো বন্ধুরা আজকে আপনাদের সাথে তেমনি বাস্তবসম্মত একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।
এডিট snapseed
আজকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আজকের বিষয়টি খুবই বাস্তবসম্মত একটি বিষয়। আমরা সবাই নিজেকে মানুষ মনে করি, কিন্তু হাত-পা থাকলেই কি শুধু মানুষ হয়? মানুষ হতে হলে প্রয়োজন মনুষত্বের। আজকে মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ব নেই, নেই কোন বিবেক। আজকে মানুষ বিবেক হারিয়ে হিংস্র জন্তুতে পরিণত হয়েছে। একটা সময় মানুষ মানুষকে সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে আসতো। একে অন্যের বিপদ-আপদে ঝাঁপিয়ে পড়তো। যে কোন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতো। কিন্তু বর্তমানে হিতে বিপরীত কিছুই দৃশ্যমান।
মানুষকে দয়াময় স্রষ্টা আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। আশরাফুল মাখলুকাত মানে হচ্ছে সৃষ্টির সেরা জীব। এমনি সেরা যার সাথে কোন কিছুর তুলনা হয় না। মানুষকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে সৃষ্টি করেছেন দয়াময় স্রষ্টা বিবেক দিয়ে। যার মধ্যে বিবেক নেই, সে কখনো মানুষ হতে পারে না। মানুষকে যেমন আশরাফুল মাখলুকাত বলা হয়েছে ঠিক তেমনি এ মানুষগুলোকেই চারপাওয়ালার জানোয়ারের চেয়েও নিকৃষ্ট বলা হয়েছে। তাহলে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে মানুষকে আশরাফুল মাখলুক যেমন বলা হয়েছে ঠিক তেমনি এদেরকে চারপাওয়ালা জন্তুর চেয়ে নিকৃষ্টও বলা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনার অবস্থান কোথায়?
আশরাফুল মাখলুকাত কারা? আশরাফুল মাখলুকাত হচ্ছে সৃষ্টির সেরা জীব যারা তারা। যাদের কাছে প্রতিটা মানুষের আমানত অক্ষুন্ন থাকে। যাদের কাছে প্রতিটা মানুষের জান-মাল, ইজ্জতের নিরাপত্তা থাকে। যারা কোন ব্যক্তির ক্ষতি করে না সব মানুষের উপকার করে থাকে। যাদের চিন্তা চেতনার সব সময় ন্যায়ের পথে থাকে। যারা সর্বদাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকে। যারা কখনো অন্যায়কে মাথা পেতে নেয় না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সব সময় লড়াকু মানসিকতা থাকে। অন্যের উপকারের জন্য নিজের জীবন দিতেও চুল পরিমাণ চিন্তা করে না। এক কথা যাদের মধ্যে সর্বদিক থেকে মানবিক গুণাবলী রয়েছে তারাই আশরাফুল মাখলুকাত।
এন্টি আশরাফুল মাখলুকাত কারা? যাদেরকে দেখতে মানুষের মতো মনে হলেও যাদের আচার-আচরণ অমানুষের মত। হৃদয়ে যার মধ্যে দয়া মায়া নেই। মানুষের অনিষ্ট করাই যাদের মূল লক্ষ্য। মানুষকে ধ্বংস করে হলেও নিজেরা বেঁচে থাকার পন্থা অবলম্বন করা। মানুষের হক নষ্ট করা, মানুষকে বিপদে ফেলে আনন্দিত হওয়া। কারো বিপদে আপদে এগিয়ে না আসা। বর্তমানে আমরা এমনই দেখি অমানুষের সংখ্যায় বেশি। রাষ্ট্রপ্রধান যারা রয়েছে, দেশে দেশে যুদ্ধ বিদ্রোহ লাগিয়ে রাখে। মানুষকে হত্যা করে তারা অনেক বেশি আনন্দ পায়। যেমন ফিলিস্তিনের মধ্যে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করতেছে বিনা অপরাধে। যারা নীরব ভূমিকা পালন করতেছে, তারাও মানুষের কাতারে পড়ে না।
অমানুষের দুনিয়াতে মানুষ বসবাস করাটাই অনেক কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অমানুষ যারা রয়েছে তারা সবাই ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করে। তাদের এক ডাকে সবাই একসাথ হয়ে এগিয়ে আসে। অথচ ভালো মানুষেরা ডাকলে কেউই তাদের ডাকে সাড়া দেয় না। তাই সারা পৃথিবীব্যাপী অন্যায় অপরাধ লেগেই আছে। আমরা সবাই জানি অন্যায় যে করে অন্যায় যে সহে উভয় সমান অপরাধী। পৃথিবী ব্যাপী ভালো মানুষের সংখ্যা বেশি তবে তাদের মধ্যে ঐক্যতা নেই। খারাপ মানুষ সংখ্যা কম হলেও তাদের মধ্যে রয়েছে ঐক্যতা। তাদের কারো উপর আক্রমণ আসলে সকল খারাপ মানুষ একসাথে প্রতি উত্তর করে। আর ভালো মানুষ রাস্তা মরলেও অন্য ভালো মানুষগুলো এগিয়ে আসে না। তারমানে তাদেরকে ভালো মানুষ বলা যায় না।
আমরা নিজে থেকে মানুষ হিসেবে পরিচয় দিয়ে মনুষ্যত্ব জাগ্রত করতে হবে। একটা মানুষের দুনিয়ায় গড়ে তুলতে হবে। যদি আমরা মানুষের দুনিয়ায় গড়ে তুলতে পারি। তাহলে সারা পৃথিবী থেকে অন্যায় অবিচার জুলুম শোষণ উৎখাত করা যাবে। আর যদি নীরব দর্শকের মত তাকিয়ে থাকি তাহলে কখনোই পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে না। আমরা সর্ব জায়গা থেকে সচেতন হই মানুষের উপকারে এগিয়ে আসি, মানুষের অভাব অনটনে একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিই, তাহলেই সম্ভব মানুষের দুনিয়া গড়া। প্রথমত নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে, তারপর সমাজ, রাষ্ট্র, বিশ্বব্যবস্থা পরিবর্তন হবে।
আজকের লেখাটি আমি বাস্তবতাকে সামনে রেখে লেখার চেষ্টা করেছি। আমি তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি বাস্তবতা। আমার কথাগুলো অবশ্যই বাস্তবতার সাথে মিলিয়ে নিবেন। যদি কোন ধরনের অবাস্তব কথা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা মূল্যবান মন্তব্য জানাবেন।
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। প্রথমেই সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। আমি তাহেরুল ইসলাম, আমার স্টিমিট ইউজার আইডি হল - @ti-taher। আমি ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেছি। বর্তমানে ফেনী শহরে অবস্থান করছি। আমি ফেনীতে পড়াশোনা করেছি এবং বড় হয়েছি। আমি একজন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ, আমি ভ্রমণ করতে এবং ছবি তুলতে ভালোবাসি। নতুন জায়গায় ঘুরতে আগ্রহী, নতুন জায়গায় ঘুরতে এবং নতুন কিছু আবিষ্কার করতে ভালোবাসি। আমি বই পড়তেও ভালোবাসি, অনেকে আমাকে বই পোকাও বলে থাকে। আমি কবিতা, গল্প, উপন্যাস এবং বৈজ্ঞানিক বই সহ সব ধরনের বই পড়তে পছন্দ করি। আমার প্রিয় কবি "কাজী নজরুল ইসলাম"। প্রিয় কবিতা "বিদ্রোহী"।(ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/titaherul/status/1809617450289557757?t=3ANvY5CdWwBjFiSqW3pA1Q&s=19
মানুষকে আমরা যতই সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব বলি না কেন মানুষের কর্মকান্ড গুলো দেখলে খুবই ঘৃণা হয়। কেননা দিনদিন মানুষ পশুতে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। মানুষ কোন কাজটা করবে কোন কাজটা করবে না সে বিবেক টুকু এখন হারিয়ে ফেলছে। এতই নিকৃষ্ট মানের কাজ করে মনে হয় যে বনের পশুর থেকেও নিকৃষ্ট। এগুলো আসলে বর্ণনা করার মত নয়। অনেক ভালো লাগলো আপনার লেখাগুলো পড়ে।
দয়াময় স্রষ্টা মানুষকে যেমন সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ঠিক তেমনি চারপাওয়ালা জন্তুর চেয়েও নিকৃষ্ট বলেছেন। তাই বর্তমান অধিকাংশ মানুষই, মানুষরূপী জানোয়ার।
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব হয়েও তাদের কিছু কর্মের কারনে তারা নিকৃষ্ট প্রাণীতে পরিনত হয়। সব মানুষ তাদের শ্রেষ্টত্ব ধরে রাখতে পারে না। মানুষ ভুলে যায়,তাকে সৃষ্টির সেরা জীবন বানানো হয়েছে। যায়হোক ব্লগটি পড়ে ভালোই লাগলো। ধন্যবাদ।
আমার পোষ্টের আলোকে আপনার মন্তব্য উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ। মানুষ তার মর্যাদা হারিয়ে ফেলেছে। তারা মানুষের আচরণ ভুলে হিংস্র জানোয়ারের আচরণ ধরেছে।