জেনারেল রাইটিং:- সত্য ও মানবতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পালিত হোক সকল ঈদ।
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা ,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। সদা-সর্বদায় সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করি। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। যাইহোক আজকে আপনাদের মাঝে একটা ঈদ স্পেশাল পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আমি নিয়মিত লেখালেখি করতে চেষ্টা করি। যখনই সময় সুযোগ হয়ে ওঠে ঠিক তখনই বই পড়া কিংবা লেখালেখিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। তবে আমি বাস্তবসম্মত লেখা লিখতে চেষ্টা করি । তো বন্ধুরা আজকে আপনাদের সাথে তেমনি বাস্তবসম্মত একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।
ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝে। বছর ঘুরে মুসলমানদের কাছে ঈদ ফিরে আসে দু'বার। মুসলমানদের এই ঈদ উৎসবে ধনী-গরিব ভেদাভেদ ভুলে সবাই ফিরে আসে এক কাতারে। কোন ধরনের বৈষম্য থাকেনা তাদের মাঝে। পবিত্র ঈদের দিন সকালে গোছল করে পবিত্র সুগন্ধি মেখে নতুন জামা-কাপড় পরিধান করে মসজিদের দিকে ফিরে আসে। ধনী-গরীব বৈষম্য ভুলে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শরিক হয় এক কাতারে। আদায় করে পবিত্র ঈদের নামাজ। নামাজের পরে ইমাম সাহেব খুৎবা দেয়, খুতবার শেষে প্রাণাধিক প্রিয়নবীর উপর দুরূদ সালামের মধ্য দিয়ে মোনাজাত পরিবেশন কর। এরপরে যেন মহা আনন্দের এক বন্যা বয়ে যায়, যেন অফুরন্ত এক মিলন মেলায় মুসাফা-কোলাকুলি করছে সবাই। হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা, ধনী-গরিবের বৈষম্য যেন অচিরেই বিদায় নিল ওই দিনটিতে। এমন দৃশ্য সত্যিই বিরল।
যাই হোক মূল কথা ফিরে আসা যাক, আমাদের বৈষম্যহীন চিন্তা চেতনা কি একদিনের জন্যই সীমাবদ্ধ নাকি চিরজীবনের জন্য হবে? ঈদের দিন ধনী-গরীবের ভেদাভেদহীন এক জীবন আর ঈদ গেলে ফিরে আসে বৈষম্যতা। এমন শিক্ষা কোন ধর্মেই নেই।
আমরা যদি আমাদের জীবন থেকে সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সব মানুষকে মানুষ ভেবে এক কাতারে আসতাম তাহলে এতো বৈষম্য থাকতনা আমাদের মাঝে। থাকবেনা হাহাকার, রাহাজানি, অভাব-অনটন, থাকতে হতো না দারিদ্র সীমার নিচে কাউকে ।
আসুন আমরা স্রষ্টার সৃষ্টিকে ভালবাসি, নিজের জীবন থেকে চিরদিনের জন্য বৈষম্যতাকে দূর করি। তখনই ফিরে আসবে প্রকৃত ঈদ। চিরজীবনের জন্য সবার মুখে আনন্দ ফোটাতে পারলে সেটাই হবে ঈদের আনন্দ, সে দিনই উদযাপন করবো ঈদ। আসুন ঈদের প্রকৃত শিক্ষা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে আমরা সবাই এগিয়ে যাই। গরিব, অসহায়, অবহেলিত আত্মীয়স্বজন, সমাজ ও পথ শিশুদের নিয়ে আমরা একটা সুন্দর সমাজ গড়ে তুলি। তাদের মুখে হাসি ফুটাই তখনই সেটাই হবে আমাদের জন্য প্রকৃত ঈদ।
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। প্রথমেই সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। আমি তাহেরুল ইসলাম, আমার স্টিমিট ইউজার আইডি হল - @ti-taher। আমি ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেছি। বর্তমানে ফেনী শহরে অবস্থান করছি। আমি ফেনীতে পড়াশোনা করেছি এবং বড় হয়েছি। আমি একজন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ, আমি ভ্রমণ করতে এবং ছবি তুলতে ভালোবাসি। নতুন জায়গায় ঘুরতে আগ্রহী, নতুন জায়গায় ঘুরতে এবং নতুন কিছু আবিষ্কার করতে ভালোবাসি। আমি বই পড়তেও ভালোবাসি, অনেকে আমাকে বই পোকাও বলে থাকে। আমি কবিতা, গল্প, উপন্যাস এবং বৈজ্ঞানিক বই সহ সব ধরনের বই পড়তে পছন্দ করি। আমার প্রিয় কবি "কাজী নজরুল ইসলাম"। প্রিয় কবিতা "বিদ্রোহী"।(ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://twitter.com/titaherul/status/1779061877362110913?t=G5Hdjqvsgk3hWWWaqsYiQA&s=19
বেশ ভালো কিছু কথা লিখেছেন। আসলেই শুধু ঈদের দিন নয় বরং সারা বছরই আমাদের উচিত বৈষম্যতাকে দূরে রাখা। তাহলেই আমাদের এই সমাজ সুন্দর হবে। ধনী গরিব সবাই মিলে সবার আনন্দ দুঃখ ভাগাভাগি করে নেওয়া উচিত। সব রকম ভেদাভেদ ভুলে আমাদের উচিত মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আপনার বাস্তবসম্মত কথাগুলো আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মহামূল্যবান মন্তব্য উপস্থাপন করার জন্য। আমরা সবাই যদি একটু চেষ্টা করি এবং এগিয়ে আসি তাহলে মানবতার একটি সমাজ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা আমাদের ধারা সম্ভব। ধনী-গরিবের বৈষম্য ভুলে আজীবনের জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে পারাটাই ঈদের প্রকৃত আনন্দ।
ঈদকে কেন্দ্র করে খুব সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি পড়ে। ধর্মের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা প্রদান করা প্রয়োজন। যতটা জানি ধর্ম মানুষকে খারাপ শিক্ষা দেয় না। বরঞ্চ মানুষের সঠিক পথ দেখায়। তাই আমাদের সবাই সেই বিশ্বাস রেখে চলতে হবে এবং সবার সাথে সুন্দর আচরণ এর মধ্য দিয়ে জীবন গড়তে হবে।
প্রতিটা ধর্মের মূল শিক্ষাই মানবতা প্রতিষ্ঠা। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সকলে মানুষ হিসেবে আমাদের পরিচয় দিতে হবে। তখনই একটি মানবতার দুনিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হবে, বৈষম্যহীন দুনিয়া প্রতিষ্ঠিত হবে।
খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। আসলে এখন ঈদের সময় যেরকম সকলে একসাথে অবস্থান করে এসব আনন্দ উপভোগ করছি এরকম যদি সারা বছর করা যায় তাহলে তা সুন্দর হবেই৷ সকলে মিলে যখন একসাথে তাদের জীবনকে পরিচালনা করবে এবং তাদের সমাজ চালনা করবে তখনই সবকিছুই সুন্দর হবে৷ কোন ক্ষেত্রেই বৈষম্যতা থাকবে না৷ ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
বাহ্! দারুণ লিখেছেন তো। পোস্টটি পড়ে আসলেই খুব ভালো লাগলো। আসলে সারা মাস আমরা রোজা রাখার পর ঈদুল ফিতর পালন করে থাকি। রমজান মাস আমাদের মাঝে আসে আমাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য। আমরা যাতে রমজান মাসের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে, সারাবছর একজন সত্যিকারের মুসলমান হিসেবে বাঁচতে পারি এবং একে অপরকে সাহায্য করতে পারি। কিন্তু রমজান মাস এবং ঈদের দিন অতিবাহিত হওয়ার পর আমরা সবকিছুই ভুলে যাই। এটা আমাদের মোটেই উচিত নয়। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।