এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে চলে এসেছি । প্রচন্ড রকমের মাথা ব্যাথা নিয়ে শুয়ে আছি আর ভাবছি কি পোস্ট দেয়া যায় পোস্ট দেয়ার মত কিছুই খুঁজে পাচ্ছিলাম না । ভেবেছিলাম কিছু একটা তৈরি করব কিন্তু মাথাটা এত পরিমানে ব্যথা যে বিছানা থেকে উঠতেই পারছি না । তারপরও কাজ তো করতে হবে । এর ভিতর ফোন ঘাটতে ঘাটতে কিছু ছবি খুঁজতে লাগলাম । ভাবলাম যে পুরনো কিছু ছবি খুঁজে পেলে সেখান থেকে কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ।তবে অনেকদিন হলো এই গরমের কারণে বাইরে যাওয়া হচ্ছে না ছবিও খুব একটা তোলা হয় না। আর এই গরমে আশেপাশে প্রকৃতি দেখতেও ভালো লাগে না । বিশেষ করে ঘর থেকে বের হতে ইচ্ছা করে না । তারপরও ছেলেকে নিয়ে স্কুলেতে যেতেই হয় । স্কুলে যাওয়া আর আসা এটুকুই এর ভিতরে ছবি তোলা তো দূরের কথা তাই ছবিও খুব একটা নাই । ফোনের ভিতরে অল্প কিছু ছবি যা পেয়েছি সেটি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি ।
উপরের ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন কয়েকটি রাস্তার ছবি এই ছবিটি আমি অনেকদিন আগে রমনা পার্কে গিয়ে তুলেছিলাম । রমনা পার্কের ভিতর দিয়ে হাঁটতে আমার কাছে সবসময় ভালো লাগে । তবে গরমের কারণে রমনা পার্কে অনেকদিন যাওয়া হয়নি । এই ছবিটা শীতের সময় রাতের বেলা রমনা পার্কে অনেক সময় ঘুরাঘুরি করেছি তখন তুলেছি । রাতের অন্ধকারের ঘুরতে কিন্তু ভালো লাগে । রমনা পার্কে হালকা হালকা লাইট জ্বালানো থাকে গাছের ফাঁকা দিয়ে সেই লাইটের আলো গুলো রাস্তার উপর পড়ে সেটা দেখতে সত্যিই ভালো লাগে । শুধু আমরা নয় রাতের বেলায় পার্কে দেখি অনেক মানুষজন আসতে পছন্দ করে । বিশেষ করে কাপলরা রাতের বেলা অনেক নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য সুন্দর একটা পরিবেশ আসে ।আমার কাছে রমনা পার্ক অনেক ভালো লাগে । ঢাকা শহরের ভিতরে এরকম একটা পার্ক থাকা আসলেই আমাদের জন্য ভালো ।
এখানে যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এখানে সুন্দর একটি ফুল গাছের ছবি । এই ফুল গাছের ছবিটা বেশ কিছুদিন আগে রাস্তায় হাঁটতে বের হয়েছিলাম । এটাও মনে হয় শীতের সময়ের তোলা । আমি আমার হাজবেন্ডের সাথে অনেকদূর পর্যন্ত হাঁটতে যেতাম শীতের দিনে এখন তো গরমের কারণে হাটাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে । হাঁটতে হাঁটতে দেখলাম যে একটা রেস্টুরেন্টের সামনে এই গাছটি । দুই রঙের ফুল ফুটে রয়েছে দেখতে কিন্তু অসম্ভব সুন্দর লাগছিল । রাতের বেলা তোলা ছবি তারপরও দেখুন ছবিটি কত সুন্দর হয়েছে । আর নিচের ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন আমার ছেলে ও আমার বোনের মেয়ে দুজনে কত সুন্দর মজা করে রমনা পার্কে রাস্তা দিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে । বাচ্চাদেরকে রমনা পার্কে নিয়ে গেলে ভালোই লাগে ওরা খোলামেলা পরিবেশ পায় অনেক দৌড়াদৌড়ি হাঁটাহাঁটি করে অনেক মজা করে । তবে হাঁটতে হাঁটতে কিন্তু ক্লান্ত হয়ে পড়ে কারণ পার্ক এর ভেতরটা হেঁটে শেষ করা যায় না । এই প্রান্ত থেকেও প্রান্ত হাঁটতে শুরু করলে একেবারে ঘাম ছুটে যায় ।
নিচে যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এই ছবিটিও রমনা পার্ক থেকে তোলা । এই গাছটি আমার কাছে অনেক সুন্দর লাগে যতবারই গিয়েছি ততবারই একটি ছবি তুলে নিয়েছি । এক এক সময় এই গাছের চেহারা একেক রকম হয় । চিকন ডালপালা নিয়ে গাছটি দাঁড়িয়ে থাকে ঝিরি ঝিরি চিকন চিকন পাতা এবং পাতার কালার দেখছেন কত সুন্দর হলুদ হলুদ দেখতে কিন্তু ভালো লাগে ।
এখানে লাউ গাছ ও মিষ্টি কুমড়া গাছের দুটি ছবি শেয়ার করেছি । অনেকদিন আগে কিশোরগঞ্জ নিকলিতে ঘুরতে গিয়েছিলাম । নিকলীতে আমরা একটি রাত ছিলাম এবং রাস্তা দিয়ে খুব ভোরবেলা হেঁটে বেরিয়েছি । অত ভোরে নরমালি আমি কখনো ঘুম থেকে উঠি না তবে ওখানে গিয়ে ভোরবেলা উঠতে হয়েছিল । ভোরের আবহাওয়াটা আসলে অন্যরকম সুন্দর থাকে । বিশাল লেকের ধারে দাঁড়িয়ে সূর্য ওঠা দেখতে সত্যি অনেক ভালো লাগে । তখন রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে দেখলাম যে রাস্তার ধারে এরকম লাউ গাছ এবং কুমড়া গাছ লাগিয়ে রেখেছে এবং গাছে ছোট ছোট ফুল আসতে শুরু করেছে দেখতে ভালই লাগছিল তখন ছবি দুটো তুলে নিয়েছিলাম ।
আর এখন যে ছবিটি শেয়ার করছি সেটি হচ্ছে রাস্তার ধারে মানুষজন দেখুন এভাবে খাবার দিচ্ছে ভিক্ষুকদেরকে । গরিব অসহায় লোকজনরা ইফতারির সময় এভাবে রাস্তার পাশে বসে রয়েছে । কোন এক দয়াবান লোক মনে হয় তাদেরকে ইফতার করাচ্ছে এবং কত সুন্দর ভাবে ইফতারির জন্য অপেক্ষা করছে দেখতে কিন্তু ভালো লেগেছিল ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আপনার মতো আমারও একই অবস্থা গরমের জন্য এখন আর বাহিরে ঘুরতে যাওয়া হয় না। যারজন্য তেমন কোনো ছবিও তুলা হয়না। যাই হোক আপনি আজ গ্যালারি খুঁজে খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। রমনা পার্কের ফটোগ্রাফি বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অনেকদিন হলো বাইরে খুব একটা যাওয়া হয়না দেখে তেমন একটা ছবিও পাওয়া যায় না । ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
গরমে কোথাও না যেতে পেরে মোবাইলে গ্যালারি থেকে বেশ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন আপু। আপনার এলোমেল ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।আমি আপনার মত গ্যালারিতে থাকা ছবি খুঁজে খুঁজে বের করি। আর আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আজ কিন্তু আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে রমনা পার্কের রাতের রাস্তার দৃশ্যটির ফটোগ্রাফিটা আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
এখনতো ফোনের গ্যালারি ছাড়া উপায় নাই খুঁজে খুঁজে যা পাওয়া যায় সেটাই দেওয়ার চেষ্টা করি।
মাঝে মাঝে ফোনের গ্যালারিতে পড়ে থাকা পুরাতন ফটোগ্রাফি গুলো কাজে লাগে কিন্তু। যেমন আপনার লেগে গেল। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার করেছেন আপু। রমনা পার্কে যাওয়া হয়নি। কিন্তু আপনার পোস্টে দেখেছি কয়েকবার এর ফটোগ্রাফি গুলো। পাশাপাশি অন্য ফটোগ্রাফি গুলো ভালো ছিল। সবমিলিয়ে দারুণ করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
আমি রমনা পার্কে প্রায়ই যাই তবে ইদানিং যাওয়া হয় না রমনা পার্কে ঘুরতে আমার কাছে ভালো লাগে ।
আজ আপনি আমাদের মাঝে বেশ কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আসলে গ্যালারিতে মাঝেমধ্যে ছবি তুলা থাকলে মন্দ হয় না। অনেক সময় আমরা বাহিরে যাওয়ার সময় পাইনা। গ্যালারিতে তখন কিছু ছবি তোলা থাকলে পোস্ট করতে অনেক সুবিধা হয়। আজ আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
গ্যালারিতে অনেক আগের কিছু ছবি আছে সেগুলোই মাঝে মাঝে দেওয়ার চেষ্টা করি ।
আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি করা এক ধরনের শিল্প। তবে আপনার রমনা পার্কের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অসাধারণ লাগলো বিশেষ করে রাস্তার ফটোগ্রাফিটি। আর রমজানের রাস্তার পাশে এভাবে ইফতার রাখলে আসলে গরীবদের জন্য ভালো হয়। অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আমাদের মাঝে।
আমার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ বেশ চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন তো আপনি। আসলে কিছু কিছু ফটোগ্রাফি আছে বারবার দেখতে মন চায়। তবে রমনা পার্কের প্রথম রাস্তার ফটোগ্রাফিটি আমি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এবং ফুল গাছের ফটোগ্রাফি টি অসাধারণ হয়েছে। চমৎকার ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। তাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
রমনা পার্কের ভিতরের রাস্তাগুলো দেখতে আসলেই অনেক ভালো লাগে । ধন্যবাদ ভাই আপনাকে মন্তব্য করার জন্য ।