আজকে আমি আবার আপনাদের সামনের নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে একটি বাস্তব জীবনের ঘটনা তুলে ধরবো । আসলে বাস্তব জীবনের ঘটনাগুলো তুলে ধরতে সব সময় খুব ভালো লাগে । আর এরকম ঘটনা যদি সুন্দরভাবে তুলে দেয়া যায় তাহলে সুন্দর একটি গল্প হয় সেটি পড়তেও কিন্তু খুব ভালো লাগে । বানিয়ে গল্প লিখতে গেলে সেটা আসলে এলোমেলো গল্প হয়ে যায় এবং নিজের মন মনগড়া কমন একটি কাহিনী হয়ে যায় ।আশেপাশে আমাদের কত মানুষজনই না বসবাস করে এবং তাদের সাথে চলাফেরা করতে গেলে বিভিন্ন ধরনের ঘটনায় তো আমাদের চোখে পড়ে । এমন অনেক ঘটনা আছে যে আমরা সব সময় দেখি এবং কিছু কিছু ঘটনা আছে যা আমাদের মনকে একেবারে নাড়া দিয়ে যায় সেরকম একটা গল্প আমি আপনাদের সাথে তুলে ধরার চেষ্টা করছি ।

রিতা নামের একটা মেয়ে । তারা ছয় ভাই বোন ছিল । পাঁচজন ছিল বোন আর একটা মাত্র ছিল ভাই এবং বড় দুই বোন ছিল আগের ঘরের এবং অন্য ভাই বোনরা ছিল আর এক ঘরের ।মানে ওদের বাবা প্রথমে একটা বিয়ে করেছিল সেই ঘরে দুটো মেয়ে হয়েছিল তারপর তার মা মারা যাওয়ার পরে বাবা আবার দ্বিতীয় বিয়ে করে এবং সে ঘরে আরো চারটা ছেলেমেয়ে হয় ।সবাই মিলে তাদের ভালো একটা ফ্যামিলি ছিল । গ্রামের মধ্যবিত্ত একটা পরিবার এবং রিতা ছিল পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । অনেকগুলো ভাইবোন থাকার কারণে ঠিকমতো পড়ালেখা শিখতে পারেনি । গ্রামের ছেলেমেয়েরা এমনিতেও পড়ালেখায় ভালো না হলে বেশি দূর পর্যন্ত তাদেরকে আর পড়াশোনা করানো হয় না । আর রিতা দেখতে শুনতেও অনেক সুন্দরী ছিল যার কারণে বিভিন্ন জায়গা থেকে রিতার বিয়ের প্রস্তাব আসে এবং রিতার বাবা দেখে শুনে একটা ভালো ফ্যামিলিতে রিতার বিয়ে ঠিক করে । যেহেতু তারপরে আরো চারটা বোন রয়েছে সে কারণে একটু অল্প বয়সে রিতার বাবা রিতার বিয়েটা ঠিক করেছিল ।

যার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছিল তারাও গ্রামের ভিতরে ভালো একটি সচ্ছল পরিবার ছিল । বেশ কিছু জমি জমা ছিল এবং সেটা দেখে শুনে তারা থাকতো । রিতার যার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছিল তারা ১ ভাই এক বোন ছিল । রিতার বাবা খুব ধুমধাম করে রিতার বিয়ে দিয়ে দিল । মোটামুটি যতটুকু পেরেছে সব আত্মীয়-স্বজন ডেকে রিতার বিয়েটা দিয়ে দিয়েছিল । সবাই খুব আনন্দ ফুর্তি করে বিয়েটা উপভোগ করেছিল । বিশেষ করে গ্রামের বিয়ে গুলো অনেক মজার হয়ে থাকে । এভাবে করে রিতার বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়ে যায় এবং রিতা খুব সুখেই তার হাজবেন্ডের সাথে থাকতে থাকে । এই তার হাজবেন্ডের একটিমাত্র বোন ছিল সেটিরও বিয়ে হয়ে গিয়েছে । শুধুমাত্র শাশুড়ি ছিল তার শ্বশুর অনেক আগেই মারা গিয়েছিল যার কারণে সংসারে তেমন কোন ঝামেলায় ছিল না খুব সুন্দর ভাবে রিতা সংসারে করতে থাকে । দেখতে দেখতে রিতার একটি মেয়ে হয় এবং সেই মেয়েটাও আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে ।

এদিকে রিতার আরো দুই বোনের বিয়ে হয়ে যায় এবং দুই বোনের বিয়ে হওয়ার পরে রিতার বাবা কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ে যার কারণে তাদের সংসারে টানা পড়েন শুরু হয় এবং রিতার ছোট ভাইকে বাধ্য হয়ে বিদেশ পাঠাতে হয়। এর ভিতরে রিতার আরও একটি মেয়ে হয় এভাবে করে দেখতে দেখতে রিতা মোট চারটা মেয়ের জন্ম দেয় । একটা ছেলের আশায় মোট চারটা মেয়ে হয় । তারপরও রিতার হাজব্যান্ড এবং রিতা মনে মনে একটা ছেলের আশা করেই যেতে থাকে । যেহেতু রিতার হাজবেন্ড একাই ফ্যামিলির ছেলে সন্তান সে কারণে একটা ছেলের আশা তাদের সবসময়ই রয়ে যায় । তারা হাল ছাড়ে না । চারটা মেয়ে সন্তান হওয়ার কারণে রিতার হাজবেন্ড রিতার উপরে কোন রকম কোন মনঃক্ষুণ্ণ হয় না । তাদের সংসার ভালোই চলছিল এমনকি তার শাশুড়ি তেমন কোন খারাপ আচরণ করত না বিশেষ করে রিতার হাজবেন্ড ভালো হওয়ার কারণে । এরই ভিতরে হঠাৎ করে রিতার তার হাসবেন্ড অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তাকে বিভিন্নভাবে চিকিৎসা করা হয় এবং সে কিছুতেই ভালো হচ্ছিল না ।