মজার মজার কিছু খাবারের ছবি
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে মজাদার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করব । মজার মজার খাবার খেতে ভালো লাগে আর তার সাথে মজার খাবারের ফটোগ্রাফি করতে তো আরো ভালো লাগে । আগে তো এসব খাবার দেখলে শুধু খেতেই বসে যেতাম । এখন খাবার খাওয়ার আগে সবচেয়ে প্রথমে যে কাজটা করতে হয় সেটা হল ছবি তোলা । ছবি না তুললে যেন পরিপূর্ণতা পায় না তাই যেখানেই যায় খাবার দেখলে ঝটপট ছবি তুলতে হয় । আর মজার মজার খাবারের ছবিগুলো তুলেছিলাম ঈদের খাবার থেকে । এর আগে বেশ কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম ঈদের খাবারের । ঈদে এবার অনেক বেশি খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল সব ছবি তো আর একদিনে শেয়ার করা হয়নি কিছু ছবি বাকি রয়ে গিয়েছিল যেগুলো ছিল সেগুলো নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হলাম ।
প্রথমে যে ছবিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম সেটি হল জর্দা সেমাই এর ফটোগ্রাফি। এই সেমাইটা নারকেল দিয়ে এবং শুকনা শুকনা করে বিভিন্নভাবে রান্না করা যায় । এই সেমাই এর ভিতরে নারকেল দেওয়া হয়নি বেশি করে পাউডার মিল্ক দিয়ে খুব মজা করে রান্না করা হয়েছিল এটা খেতে খুবই মজাদার হয়েছিল । আমার কাছে দুধ সেমাই এর পাশাপাশি এই সেমাইটা খেতেও খুব ভালো লাগে । আর ঈদের প্রধান আকর্ষণ হলো সেমাই । আর নিচে রয়েছে ডিমের পুডিং । ডিমের পুডিং টা খেতে মোটামুটি লাগে আমি খুব একটা তৈরি করি না আমার বাচ্চাও খেতে তেমন একটা পছন্দ করে না । এটি পাশের বাসার ভাবি তৈরি করেছিল তবে এই ডিমের পুডিং টা খাওয়া কিন্তু উপকারী । কেউ যদি দুধ খেতে না পারে তখন এটা তৈরি করে খেলেও অনেক পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় ।
এখানে রয়েছে রুই মাছ ফ্রাই । রুই মাছ এরকম করে ফ্রাই করলে খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে । বিশেষ করে পোলাও এর সাথে এই মাছটা গরম গরম ফ্রাই করে খাওয়া সত্যি অনেক মজাদার । আমিতো ঈদের সময় সবসময় এই রুই মাছ ফ্রাই করে থাকি । এটি গরম গরমই পোলাও এর সাথে সার্ভ করতে হয় । তা না হলে খেতে তেমন একটা টেস্ট লাগে না । পোলাও দিয়ে খাওয়ার আগে এমনি এমনি এই মাছটা খেয়ে ফেলা যায় আমার কাছে খুবই মজা লাগে । আর নিচে রয়েছে খাসির কলিজা ভুনা । খাসির কলিজা ভুনা ঈদের দিনে করেছিলাম সত্যি অনেক বেশি টেস্টি হয়েছিল । একেবারে কালা ভুনা স্টাইলে করেছিলাম খেতে সত্যি অন্যরকম মজা হয়েছিল ।
এখানে রয়েছে কোড়াল মাছের ফিশ ফিঙ্গার । এটা খেতে সত্যিই অনেক বেশি মজাদার ছিল । বিশেষ করে আমরা পোলাও দিয়ে খাওয়ার আগে এমনি এমনি তিনটা খেয়ে ফেলেছিলাম । খেতে সত্যিই অনেক বেশি টেস্টি হয়েছিল । দেখেই বোঝা যাচ্ছে খাবারটা কতটা মজাদার ছিল । আর নিচে রয়েছে সবার অতি পছন্দের পোলাও । পোলাওয়ের সাথে এই মজাদার খাবারগুলোর আয়োজন করা হয়েছিল । এ মজাদার খাবারগুলো থাকবে পোলাও থাকবে না তা কি হয় নাকি । এটা অবশ্য আমি রান্না করিনি পাশের বাসার ভাবী রান্না করেছিল একটু অন্যরকম হয় ওনাদের পোলাওটা খেতে ।
এখন রয়েছে চিংড়ি মাছ ভুনা ,মুরগির রোস্ট, খাসির মাংসের ভুনা এসবগুলো খাবারই সেদিন পোলাওয়ের সাথে পরিবেশন করা হয়েছিল । চিংড়ি মাছ পোলাওয়ের সাথে খেতে সব সময় ভালো লাগে । আমরা পোলাও রান্না করলে সব সময় এই চিংড়ি মাছের ভুনাটা পরিবেশন করে থাকি । এটা ছোট বড় সবাই খেতে পছন্দ করে । আর রোস্ট ছাড়া তো পোলাওয়ের কথা কল্পনাই করা যায় না । মুরগির রোস্ট এক একজন এক এক রকম ভাবে রান্না করে থাকে তবে আমি যে রোস্টটা রান্না করি আমার কাছে সেটা খেতে ভালো লাগে এবং সেটা সবাই বেশি পছন্দ করে । এই রোস্ট পাশের বাসার ভাবি করেছিল ওনারা বেশি করে ঘি দিয়ে রান্না করেছিল। সাথে ছিল খাসির মাংসের ভুনা। ঈদের দিনে সব রকমের মাংসের আইটেম আমরা খেয়েছিলাম সব মিলিয়ে খাওয়াটা আসলে অনেক দুর্দান্ত হয়েছিল ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
ঈদ বা যে কোন উৎসব মানেই আনলিমিটেড খাওয়া দাওয়া! আর ঈদের প্রধান আকর্ষণ তো সবসময়ই সেমাই! এই জর্দা সেমাই আমারো ভীষণ পছন্দের খাবার আপু! দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। টেক্সটার দেকগে মনে হচ্ছিলো নারকেল ই দিয়েছেন, পরে জানলাম বেশি করে গুড়া দুধ ব্যবহার করে এমন টেক্সার এনেছেন! খেতে যে অসাধারণ হয়েছে তা ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আর বাকি খাবারগুলোও বেশ লোভনীয়! বিশেষ করে ফিশ ফিঙ্গার গুলো দেখে বেশ লোভ লেগে গেলো আপু! 😋
দেখলে নারিকেল দেওয়াই হয়েছে মনে হয় তবে দুধ দিয়ে তৈরি করেছিলাম খেতে খুবই মজাদার হয়েছিল ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু রাতের বেলাতে এতো মজার মজার খাবার দেখে লোভ লেগে গেলো। ঈদ মানে আনন্দ।আর সেই আনন্দকে আরো বেশী রঙিন করে তুলতে আমরা নানা রকমের খাবারের আয়োজন করে থাকি।এখানকার প্রতিটি খাবার ভীষণ মজার।আপনি আর পাশের বাসার ভাবী মিলে চমৎকার কিছু খাবারের আয়োজন করেছেন ঈদের দিন।দেখে ভীষন ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু দারুন কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
মজার মজার খাবার দেখলে আমারও লোভ লাগে এইজন্য আপনাদেরকে একটু লোভ দিলাম ।
মজার মজার লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি।অসম্ভব সুন্দর হয়েছে আপনার করা ফোটোগ্রাফি গুলো।ধাপ গুলো অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো।
আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে সুন্দর লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।
এই ধরনের খাবারের ফটোগ্রাফি পর্ব দেখতে বেশি কষ্ট লাগে কারণ সামনে এতগুলো লোভনীয় খাবার থাকে আর একটা খাবারও খেতে পারি না 🤦 আপু এই পুডিং টা আমার জন্য একটু পাঠিয়ে দেন হা হা হা।
আপনাকে লোভ লাগালাম আপনি খেতে পারলেন না জেনে খুশি হলাম ।
আপনি তো দেখছি বেশ লোভনীয় এবং সুস্বাদু কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যেগুলো দেখে আমি তো লোভ সামলাতে পারছি না। দেখেই বুঝতে পারছি এগুলো কতটা মজাদার হয়েছিল। এখানে থাকা সবগুলো খাবার আমার খুব ফেভারিট। যার কারণে একটু বেশি ভালো লেগেছে দেখে। কেন যে এতসব মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি দেখিয়ে সবাইকে লোভ লাগিয়ে দিলেন। যে দেখবে তার ইচ্ছে করবে খেয়ে নিতে। দুপুরবেলায় এগুলো কিন্তু জমিয়ে খাওয়া যাবে।
এই খাবারগুলো দেখলে আসলে লোভ লাগে । প্রত্যেকটা খাবারই অনেক মজাদার হয়েছিল আপু ।
ইস্ আপু এত এত খাবার দেখে তো নিজেকে আর সামলাতে পারছি না। আপনার করা প্রতিটি ফটোগ্রাফিই কিন্তু আমার কাছে দারুন লেগেছে। মনে হচ্ছে বসে বসে খাই। আসলে ঈদ আসবে আর এমন খাবার রান্না করে খাওয়া হবে না সেটা কি হয়। এমন সুন্দর সুন্দর খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করে লোভ লাগানোর জন্য ধন্যবাদ।
এত রাতে যাতে লোভ সামলাতে না পারেন সেই জন্যই ছবিগুলো শেয়ার করেছি ।
এই দুপুরবেলায় এতসব মজার মজার খাবার দেখে তো লোভ সামলানো যাচ্ছে না। এমনিতেই মজাদার রেসিপিগুলো দেখলে জিভে জল চলে আসে। আর দুপুরবেলায় দেখলে একটু বেশি লোভ লাগে। ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন ভালো কথা, কিন্তু এখানে থাকা সবগুলো আমার পছন্দের খাবার। আপনার পাশের বাসার ভাবি তো দেখছি বেশ ভালোই আয়োজন করেছিল খাবারের। নিশ্চয়ই খাবার গুলো অনেক সুস্বাদু ছিল।
দুপুর বেলায় তো খাবারগুলো পরিবেশন করতে হয় এজন্য আমিও করে দিলাম আপনার সামনে ।
বেশ কয়েকটি লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি দিয়ে একটি অ্যালবাম সাজিয়েছেন। আপনার তোলা প্রতিটি খাবারের ফটোগ্ৰাফি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে লোভ লেগে গেল আপু। বিশেষ করে আমার কাছে আপনার তোলা চিংড়ি মাছ ভুনা ,মুরগির রোস্ট এ দুটি রেসিপির ফটোগ্রাফী বেশ দারুন লেগেছে।
খাবারগুলো যেমন লোভনীয় খেতে তেমনি সুস্বাদু ছিল ।