সত্য একটি ঘটনা: মৃত্যুর কাছ থেকে ফিরে আসা (১ম পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগ19 days ago

আসসালামু আলাইকুম



আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।



Picsart_24-08-05_01-51-19-419.png


আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে একটি বাস্তব জীবনের ঘটে যাওয়া গল্প শেয়ার করবো । আর এই গল্পটি আমার নিজের লোকজনের ভিতরেই ঘটেছিল । মানুষের বিপদ আসতে সময় লাগে না আর এ বিপদ কখন কার উপর নেমে আসবে সেটা কেউ বলতে পারে না । এই বিপদ থেকে একমাত্র আল্লাহই মানুষকে উদ্ধার করতে পারে । একেবারে মৃত্যুর মুখ থেকে আমার দেবরের ছেলেটা ফিরে আসে । এখন অনেক বড় হয়ে গিয়েছে ওকে দেখলে মাঝে মাঝে আমার ওই ঘটনার কথা মনে পড়ে যায় । অনেকদিন আগে ঘটনার সাক্ষী ছিলাম আমি । একেবারে সামনে উপস্থিত থেকে দেখেছি । সেদিন আমাদের অবস্থাটা কেমন হয়েছিল সেটা আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না । বিশেষ করে বাচ্চাটার বাবা-মা ওর মামা চাচা খালা ফুফুদের অবস্থা খুবই মর্মান্তিক হয়ে গিয়েছিল চোখের সামনে ওরকম একটা ঘটনা দেখে । তারপরও আল্লাহ যে নিজের হাতে ছেলেটাকে একেবারে বাঁচিয়ে দিয়ে গিয়েছে সেটার জন্য আল্লাহর কাছে হাজার হাজার শুকরিয়া ।


বেশ কিছুদিন আগের ঘটনা আমার দেবরের ছেলেটা হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে । দু-তিন দিন ধরে ও জ্বর নিয়ে ভুগছিল কথা নাই বাতরা হঠাৎ করে তার জ্বর আসে । নরমাল জ্বর হিসেবে ওরা ধরে নেয় । ওদের বাসায় ওরা ফ্যামিলিতে পাঁচজন মেম্বার । নরমালি সিজনাল জ্বর একজনের আসলে সবারই জ্বর চলে আসে । সেবার আর অন্য কারো সেরকম করে জ্বর আসেনি । ছোট ছেলেটার জ্বর এসেছে কিন্তু তেমন জ্বর ছিল না । ওরা প্রথমদিকে তেমন একটা গুরুত্ব দেয়নি ভেবেছিল অল্প জ্বর এসেছে কিছুদিন যেতেই সেরে যাবে । নাপা সিরাপ খাওয়ানো হচ্ছিল । কিন্তু কোন ভাবে ওর জ্বরটা ঠিক হচ্ছিল না এর ভিতরে হঠাৎ করে ছেলেটার পেটের সমস্যা হয়ে যায় এবং অনেক বেশি বাথরুম হয় । ছেলেটা আরো বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে বিছানা থেকে একেবারে উঠতে পারে না ।


আর এমনই অবস্থা মানুষজন যখন অসুস্থ হয় বেশিরভাগ সময় রাতের বেলা হয়ে থাকে । যখন কোন কিছুই করার থাকে না । ওর বেলায় ঠিক সেরকমই হয়েছিল রাতের দিকে ছেলেটা অনেক অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে । এদিকে বাসায় আমার বয়স্ক শশুর রয়েছেন তিনিও অসুস্থ । আর আমরাও ঢাকাতে থাকি যার কারণে তার দেখাশোনা ওদেরকেই করতে হয় । ছোট ছেলেটা অসুস্থ হওয়ার সারারাত ওরা টেনশনে পড়ে যায় এবং সকালবেলা উঠে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় । ছেলেটা সকাল সকাল আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে । বিছানা থেকে উঠতেও পারে না চোখ খুলতে পারে না ।এর ভিতরে ওদের বাসার উপর তলায় এক নার্স ভাড়া থাকে উনি নিচে এসে দেখে । ছেলেটা যখন প্রসাপ করে তখন ওই নার্স খেয়াল করে যে ছেলেটার ইউরিন স্বাভাবিকভাবে যাচ্ছে না । সে সেটা পরীক্ষা করে দেখে যে সেটার সাথে ব্লাড যাচ্ছে ।সেটা দেখে সবাই ভয় পেয়ে যায় এবং সাথে সাথে হসপিটালে নিয়ে যায় ।


যদিও ওরা প্রাথমিকভাবে ডাক্তার দেখিয়েছিল কিন্তু আবার ওই দিনে হসপিটালের নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছিল । এর ভিতরে নার্স ভাবিটা দেখে আরো দ্রুত হসপিটালে নিতে বলে । ওরা ওকে হসপিটালে নেওয়ার পরে সাথে সাথে ডাক্তার ওকে ভর্তি করিয়ে দেয় । তখন ওর সারা শরীরে কেমন যেন হয়ে আসছিল । মানে ওর শরীরের উপর দিয়ে বোঝা যাচ্ছে রক্তটা কেমন যেন জমাট বেঁধে আসছে এবং শরীরটা কেমন যেন ফ্যাকাশে হতে শুরু করে । একেবারে সাদা হয়ে যাচ্ছিল । এরপর ওরা সবাইকে ফোন দিয়ে জানায় আমাদের কেউ ফোন দেয় । প্রথম দিকে আমরাও জ্বর শুনে ততটা গুরুত্ব দেইনি এবং বুঝতে পারেনি ওর সমস্যাটা । তারপর ঐদিন সারাদিন হসপিটালে ভর্তি থাকে এবং ডাক্তাররা বিভিন্নভাবে ট্রিটমেন্ট করতে থাকে ইনজেকশন দিতে থাকে স্যালাইন দিতে থাকে কোন ভাবে শরীর ঠিক হচ্ছিল না এবং ইউরিন এর সাথে রক্ত বের হয়ে যাচ্ছিল আস্তে আস্তে শরীরটা সাদা হয়ে আসছিল ।তখন ডাক্তাররা নিরুপায় হয়ে বলে যে আমরা এখানে কিছুই করতে পারছি না আপনারা দ্রুত ওকে ঢাকা নিয়ে যান ।

চলবে.........

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ডিভাইস| samsung Galaxy s8 plus

ধন্যবাদ

@tauhida

আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।

logo.gif

@tauhida

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png *** VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 19 days ago 

বিপদ কাউকে কখনো বলে আসেনা। আপনার দেবরের ছেলের অসুস্থতার কথা শুনে অনেক বেশি খারাপ লেগেছে। ঘটনাটা অনেক আগেই ঘটেছে, আর ওই ছেলেটা এখন বড় হয়েছে এবং ভালো আছে এটা শুনে অনেক ভালো লাগলো। তবে ছেলেটার কি অসুখ হয়েছিল আর কিভাবে সে ভালো হলো এগুলো জানার জন্য অনেক বেশি আগ্রহ জন্মেছে। আপনি আশা করছি পরবর্তী পর্বটা আমাদের মাঝে অনেক তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন। অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্বের জন্য।

 19 days ago 

আপু বিপদ আসতে বলে আসে না তারপরও আমরা সবাই আল্লাহর উপর ভরসা রাখি। আপনার দেবরের ছেলেটি অসুস্থ হয়েছে। হয়তো ফ্যামিলির সবাই নরমালি জ্বর সর্দি বা এরকম অসুখ মনে করলেন। তবে অসুখ যখন ভালো না হয় তখন তাড়াতাড়ি বড় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া ভালো। তবে মনে হয় ছেলেটির অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ার সময় ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল। আর অনেক ডাক্তার আছে যখন রোগীর অবস্থা ভালো না তখন তারা ঢাকা বা অন্য জায়গা নিয়ে যেতে বলে। যাই হোক পরে পর্বে জানতে পারবো ছেলেটির কি হয়েছে।

 19 days ago 

বাচ্চাদের অসুস্থতাকে যদি শুরুতে গুরুত্ব না দেয়া হয় তখন অনেক ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। এরকম অনেক দেখেছি যারা অল্প কিছুতে গুরুত্ব না দিয়ে পরবর্তীতে দেখা যায় অনেক বড় বিপদে পড়ে। তবে সাধারণ জ্বরের পর এমন অবস্থা হয়ে গিয়েছে এটা বেশ চিন্তার বিষয়। আর সর্বোপরি তাকে ডাক্তাররা দেখে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছে নিশ্চয়ই কোন বড় সমস্যা হয়েছে। কথাগুলো পড়ে আসলে গা শিউরে উঠেছে আপু। পরবর্তী পর্বে অপেক্ষায় রইলাম।

 11 days ago 

আপনার দেবেরে ছেলের অসুস্থতার পোস্ট টি পড়ে খারাপ লাগলো।আসলে কম জ্বর থাকলে সাধারনত আমরা নাপা সিরাপ খাওয়াই বাচ্চাদের আর জ্বর নেমে যায়
আপনার দেবেরে ছেলের তো দেখছি গুরুত্ব অসুস্থতা। একদম ঠিক বলেছেন আপনি এরকম সমস্যা রাত্রিকালে বেশি হয় তখন কিছু করার থাকে না।ভাগ্যিস উপরতলার ভারাটিয়া নার্স ছিলো এবং বুঝতে পেরেছে সমস্যা জটিল এবং হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.033
BTC 64261.31
ETH 2787.80
USDT 1.00
SBD 2.66