গল্প: রং নাম্বার থেকে বিয়ে ( ৩য় পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে গল্প শেয়ার করতে চলে এলাম । আমি গত দুই পর্বে একটি গল্প শেয়ার করেছি সেই গল্পের কিছু অংশ এখনো বাকি রয়ে গেছে । বাস্তব জীবনের ঘটনা নিয়ে এরকম গল্প লিখতে সবসময় ভালো লাগে তাই আমি চেষ্টা করি মাঝে মাঝে মানুষের বাস্তব কাহিনী নিয়ে কিছু লেখার জন্য । এবং সেটি গল্প আকারে আপনাদের সামনে তুলে ধরলে আপনারা সুন্দরভাবে পড়তে পারেন এ ধরনের গল্প গুলো পড়তে আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে । আসলে মানুষের জীবন হাসি কান্না সুখ দুখ মিলেই গড়ে ওঠে আর তার ভিতর থেকে কিছু কিছু কাহিনী গল্প করে আমরা তুলে ধরতেই পারি । সেরকমই একটি গল্প তুলে ধরেছিলাম এখন তারপর থেকে শুরু করছি । গত পর্বে শেষ করেছিলাম টিনা এবং তারেক ফোনে ফোনে গল্প করতে করতে দুজনের দেখা পর্যন্ত গড়ায় এবং তারেক টিনাকে দেখে বিয়ের প্রস্তাব দেয় টিনা প্রথমে রাজি হয় না পরে বিভিন্ন দুঃখের কাহিনী শুনে মন কেমন যেন অস্থির হয়ে ওঠে তারপর থেকে শুরু করছি ।
টিনা তখন মনে মনে ভাবে যে ছেলেটা ছোটবেলা থেকে এত কষ্ট করে বড় হয়েছে তাকে আবার নতুন করে আমি কষ্ট দিলে সে আবার ভেঙে না পড়ে । এদিকে টিনার খালামনি সবকিছু দেখে এবং তারেকের মুখ থেকে সবকিছু শুনে তার খুব ভালো লেগেছে । সে টিনাকে বারবার বলতে থাকে ছেলেটা ভালো । যেহেতু ছোটবেলা থেকে অনেক কষ্ট করে মানুষ হয়েছে এসব ছেলেরা অনেক ভালো হয় । আর ছেলেটার ব্যাকগ্রাউন্ডও ভালো সবকিছু মিলিয়ে ছেলেটা কিন্তু আমার অনেক পছন্দ হয়েছে তুমি ইচ্ছা করলে রাজি হতে পারো ।
টিনা তখন বল যে আমি রাজি হলে তো হবে না বাসায় গিয়ে বাবা মার সাথে কথা বলতে হবে । তখন টিনার খালামণি বলে যে তোমার বাবা মাকে রাজি করার দায়িত্ব আমার । তারা ওদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায় পরে জানাবে বলে । বাসায় গিয়ে যখন ওর বাবা মার সাথে কথা বলে তখন তার বাবা-মা এরকম একটা ছেলের সাথে কিছুতেই নাকি বিয়ে দিতে রাজি হয় না । কারণ একটা ছেলের বাবা মা নেই তারপরে গ্রামে ছেলের বাড়িঘর সবকিছু শুনে তেমন একটা পছন্দ হয় না ।ওনারা মানা করে দেয় । এদিকে টিনার খালামনি বলে যে আমার ছেলেটাকে অনেক ভালো লেগেছে ছেলেটা ভদ্র এবং অনেক ভালো একটা ছেলে মনে হয়েছে আমার কাছে । ওর সাথে টিনাকে বিয়ে দিলে টিনা অনেক সুখে থাকবে । তোমরা যদি রাজি না হও আমি নিজ দায়িত্বে টিনাকে ওর সাথে বিয়ে দেবো । টিনার খালামণির অনেক জোড়া জড়িতে শেষ পর্যন্ত টিনার বাবা আর টিনার খালু তারেকদের গ্রামে গিয়ে খোঁজ নিতে চাই ।
তারা তারেকের বাড়িতে গোপনে যায় খোঁজখবর নিতে । তারা গ্রামে গিয়ে আশেপাশের লোকজনের কাছ থেকে শুনে আশেপাশে লোকজন ভালো তেমন কিছু বলে না । বিশেষ করে তারেকের কথা বলে যে তার কিছুই নেই যা কিছু আছে সব ওর বড় দুই ভাইয়ের । একজনের কাছে তারেকের বাড়ি দেখতে দেখতে চাই । তারা পেছনের দিক থেকে বাড়িটা দেখায় যেটা দেখে তাদের অপছন্দ হয় । কারণ পেছন দিক থেকে বাড়িটা একেবারে ছোট লাগছিল আর গ্রামের বাড়ি নরমালে এত ছোট দেখলে কারোরই পছন্দ হওয়ার কথা না । টিনার বাবা সবকিছু দেখে শুনে কিছুতেই বিয়ে দিতে রাজি নয় না । বাড়িতে এসে টিনার খালু টিনার খালামণিকে অনেক রাগারাগি করে এবং বলে যে তুমি মেয়েটাকে নষ্ট করেছ । তোমার কারনে আজকে এরকম একটা জায়গায় মেয়েটা বিয়ে করতে রাজি হয়েছে ।এদিকে টিনার কিন্তু কোনো দোষ নেই সে বিয়েতে কিছুতেই রাজি ছিল না শুধুমাত্র তারেকের কথা চিন্তা করে সেও নাও করতে পারছিল না ।
চলবে......
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস| samsung Galaxy s8 plus
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness
OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে বাবা মা সব সময় সন্তানের ভালো চায়। টিনার কথা অনুযায়ী তার বাবা-মা গ্রামে গিয়ে খোঁজ নেয় আর বিস্তারিত জানতে পারে যার কারণে সেখানে বিয়ে দিতে অসম্মতি প্রকাশ করে। যাই হোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম কি রয়েছে সেটা জানার জন্য।
আমার গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু, সম্ভবত রং নাম্বার থেকে বিয়ের প্রথম পর্বটি আমি পড়েছিলাম, তবে দ্বিতীয় পর্বটি মিস হয়ে গেছে। এখন তৃতীয় পর্বটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। তারেকের বাড়ির অবস্থা তেমন একটা ভালো নয় বলেই, টিনার বাবা এই বিয়েতে রাজি হচ্ছিল না। যদিওবা টিনা শুধুমাত্র তারেকের কথা চিন্তা করে সম্মতি জানিয়েছিল। যাইহোক আপু,টিনা ও তারেকের বিয়ের টুইস্ট থেকে গেল, তাই পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আমার গল্পটি আপনি পড়েছেন শুনে ভালো লাগলো খুব শিগগিরই শেষ পর্ব দিয়ে দিব ।
আপনার শেয়ার করা এই গল্পটার এর আগের পর্ব আমার পড়া হয়েছিল। যার কারণে আজকের পর্বটা পড়তেও অনেক ভালো লেগেছে। তারেকের কথা শুনে আমার নিজের কাছেও অনেক খারাপ লেগেছিল গত পর্বে। তারেক খুব ভালো ছেলে বলে আমারও মনে হচ্ছে। টিনা মনে মনে প্রথমে রাজি না হলেও সব কিছু শুনে একটু রাজি হয়েছিল। কিন্তু তারেকের তো দেখছি কোন কিছুই নেই। সবকিছুতো দেখছি তার ভাইদের। এখন দেখা যাক পরবর্তীতে কি হবে। অপেক্ষায় থাকলাম তৃতীয় পর্বের জন্য।
সব কিছু শোনার পরে ওর কাছে খারাপ লেগেছিল দেখে সে মনে মনে রাজি হয়েছিল ।
এখানে টিনার খালামণিরই তো সব দোষ দেখছি। টিনাতো প্রথমে রাজি ছিল না। খালামণির জোরাজুরিতে রাজি হয়েছে। টিনা যেই ফ্যামিলিতে বড় হয়েছে এরকম একটা ফ্যামিলিতে গেলে এডজাস্ট করতে পারবে বলে মনে হয় না। তাছাড়া তারেকের বাড়িতেও তেমন একটা ভালো অবস্হা নাই। যাই হোক দেখা যাক এখন পরবর্তীতে কি হয়েছিল। বেশ ভালো লাগছে গল্পটি আপু। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ওর মনে হয় গল্প করতে করতে কিছুটা ভালো লাগা কাজ করেছিল তাই রাজি হয়েছিল ।
আপু আমি তো ভেবেছিলাম এই পর্বে হয়তো টিনা এবং তারেকের দুজনের বিয়ের কথাটা জানতে পারবো। এবং তাদের বিয়ে হয়ে যাবে এটাই ভেবেছিলাম। কিন্তু দেখি এটার উল্টোটাই হয়েছে। টিনার খালার অনেক বেশি পছন্দ হয়েছিল তারেককে এটা তো বুঝতেই পারছি। এমনকি অনেক কষ্ট করে টিনার বাবা-মাকেও রাজি করিয়েছে। কিন্তু তারেকের ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে কোন কিছুই তো দেখছি নেই। সবকিছু নাকি ওর ভাইয়েদের আসলে এতসব কিছু দেখলে কোন বাবা-মাই চাইবে না নিজের সন্তানকে বিয়ে দিতে। বুঝতেই পারছি তারক অনেক ভালো ছেলে। কিন্তু এগুলো দেখে তো আর বিয়ে দেওয়া যায় না। পরবর্তীতে কি হয় এখন এটাই দেখতে হবে।
টিনার খালার বেশি পছন্দ হয়েছিল বিধায় শেষ পর্যন্ত বিয়েটা হয়েছিল ।