সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে একদিন
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব ফরিদপুর এসে মজাদার খাবার খাওয়ার অনুভূতি ।ফরিদপুর এসেছি আর রেস্টুরেন্টে যাব না সেটা কি হয় নাকি ।সবাই মিলে চলে গিয়েছিলাম রেস্টুরেন্টে । যদিও প্রচন্ড পরিমাণে গরম বাসা থেকে বের হতে ইচ্ছা করেছিল না । রিক্সা করে আনলিমিটেড ঘন্টা মাফিক ঘুরার ইচ্ছা ছিল । আর ঘুরা শেষ করে ভালো একটা রেস্টুরেন্ট থেকে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করে তারপর বাসায় চলে আসব। কিন্তু এটা চিন্তা করেছিলাম সেটা আর হলো না । কারণ আমরা বিকালে বাসা থেকে বের হতে চেয়েছিলাম কিন্তু হঠাৎ করে ভাই দেখি কোথায় যেন চলে গিয়েছে । ওর আসতে দেরি হয়ে গিয়েছিল । পতিবার আমরা আগে থেকে ঠিক করে রাখি ওর জন্য অপেক্ষা করতে করতে তখন আর আমাদের পরিকল্পনা গুলো ভেস্তে যায় । এবারও সেটাই হয়েছিল ।
কিন্তু তারপরও আমরা ভেবেছিলাম যে ও আসুক আর না আসুক আমরা বাসা থেকে বের হব । ঘুরতে না পারি সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে খেতে চলে যাব । যেই ভাবা সেই কাজ ও আসার আগে আমরা রেডি হয়ে নিলাম । তারপর ভাইকে ফোন দিলাম যে আমরা রেডি হয়েছি রেস্টুরেন্টে যাব তুই তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আয় । আসার পরে সে যেতে চাইছিল না তারপরও ভাইকে নিয়ে গেলাম । কারণ আমরা এতগুলো মেয়ে মানুষ একসাথে যাব একজন ছেলে মানুষ সাথে না থাকলে কেমন হয় । তারপর আমরা ওকে রেখে খেতে যাবো না ।
আমরা বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম ও অটো নিয়ে আসলো তারপর একটা অটোতে উঠে আমরা সবাই মিলে চলে গেলাম । দূরে একটা নতুন রেস্টুরেন্ট হয়েছে সেখানে । কারণ সেখানের খাবার ওয়াহিদা এর আগে কয়েকবার খেয়ে ওর কাছে নাকি অনেক ভালো লেগেছে সেজন্য ওয়াহিদার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সেই রেস্টুরেন্টে গেলাম । রেস্টুরেন্টটা আমাদের ভালই লাগলো । রেস্টুরেন্টটা মোটামুটি সব দিক দিয়ে সুন্দর ছিল । আমরা প্রথমে গিয়ে বড় একটা টেবিল বুক করে নিলাম । কারণ আমরা বাচ্চাকাচ্চা দিয়ে লোকজন বেশ কয়েকজনই ছিলাম । তারপর আমরা প্রথম খাবার হিসেবে দুই প্লেট নাচস অর্ডার করলাম ।সব সময় ঢাকা থেকে নাচস খেয়েছিস ফরিদপুর থেকে খাওয়া হয়নি । ওয়াহিদা বলে এখানকার নাচোস নাকি খুব মজাদার ।
সেখানে আমরা দুই রকমের নাচস অর্ডার করলাম । তারপর সবাই মিলে খুব মজা করে খেলাম নিমেষের মধ্যে শেষ হয়ে যায় কারণ এটা এতটাই মজাদার হয় । আমরা এখানকার নাচস মোটামুটি ভালোই ছিল । সবাই মিলে খেয়ে তৃপ্তি পেয়েছি । তারপর আমরা ফুল কোর্স অর্ডার করলাম । রাইস চিকেন সাথে আরো কিছু ছিল আমরা সেট মেনু অর্ডার করেছিলাম । খাবারের পরিমাণ বেশ খানিকটাই ছিল । আমরা একলা একটা খেয়ে শেষ করতে পারছিলাম না সবাই মিলে শেয়ার করেই খেয়েছিলাম । বাচ্চারা কোনো রকমের নামে মাত্র খায় ।
তারপর সবশেষে আমরা লাচ্ছি অর্ডার করেছিলাম । যদিও লাচ্ছি অর্ডার করার পরে ছোট বাচ্চাটা অনেক বিরক্ত করছিল। আমরা চলে যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু ওরা বলার পরে তাড়াতাড়ি খাবারটা সার্ভ করল । প্রথমে ভেবেছিলাম পার্সেল নিয়ে যাব ওরা বলল যে সেটা পার্সেল দেওয়া সম্ভব নয় । পরে দেখার পরে বুঝলাম যে আসলেই এই লাচ্ছি পার্সেল নেওয়া যায় না । ওরা ভিন্নভাবে খাবারটা সার্ভ করেছিল । শেষমেষ লাচ্ছি খাওয়াটা আমাদের জন্য অনেক বেশি হয়ে গিয়েছিল ।তারপর আমরা খাওয়াটা শেষ করে যে যার মত সুন্দর ভাবে বাসায় চলে আসলাম । সময়টা সত্যিই তখন অনেক ভালো কেটেছিল । কারণ পরিবারের সবাই মিলে যখন একসাথে কোথাও যাওয়া হয় সেই সময়টা আসলেই অনেক ভালো কাটে।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness
OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ফরিদপুরে এসে আপনারা সবাই একসাথে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছেন দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো। আসলে সবাই একসাথে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। কারণ এটার মধ্যে আলাদা একটা আনন্দ পাওয়া যায়। আপনাদের খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্তটা খুব ভালোভাবে উপভোগ করলাম। খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু ছিল। এরকম মজাদার খাবারগুলো সবাই একসাথে শেয়ার করে খেতে আসলেই ভালো লাগবে। লাচ্ছি দেখে ও মজাদার বলে মনে হচ্ছে।
সবাই মিলে একসাথে রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার মজাই আলাদা । এজন্য আমরা সবাই মিলে গিয়ে সুন্দর একটি সময় কাটিয়ে আসলাম ।
রিক্সায় তো আর আমাদের ঘুরাই হলো না। তাছাড়া আপনি তো সেদিন যেতেই চাচ্ছিলেন না বিভিন্ন বাহানা করছিলেন। জোর করে গিয়েছিলাম জন্য সবাই মিলে এত সুন্দর সময় কাটাতে পেরেছিলাম। আসলেই খুব ভালো লেগেছিল সেদিনের ওই মুহূর্তগুলো। খাবারগুলোও বেশ ভালোই ছিল। যাইহোক আপু ভালো লাগলো এই পোস্টটি দেখে।
যে গরম পড়েছিল এর ভিতরে রিক্সায় করে ঘোরার কথা কল্পনাই করা যায় না ।
সবাই একসাথে রেস্টুরেন্টে গিয়ে এত সুন্দর সময় কাটিয়ে ছিলেন, আর খাওয়া-দাওয়া করেছিলেন দেখে খুব ভালো লেগেছে আপু। যদিও রিকশা করে ঘুরাঘুরি করার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু আপনার ভাইয়ের কারণে পারেননি। তবে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছেন এটা শুনে ভালো লাগলো। রেস্টুরেন্টের ফটোগ্রাফি দেখে তো মনে হচ্ছে, রেস্টুরেন্টের পরিবেশ অনেক ভালো। আর খাবারের ফটোগ্রাফি দেখেও মনে হচ্ছে খাবারের মান অনেক ভালো ছিল।
আসলে সেদিনকার সময়টা অনেক ভালো কেটেছিল সবাই মিলে খুব মজা করেছিলাম ।
আপনারা সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে খুব সুন্দর একটা সময় অতিবাহিত করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আসলে সবাই মিলে একসাথে রেস্টুরেন্টে খাওয়ার মজাটাই আলাদা। আপনি ফরিদপুরে এসে রিক্সা দিয়ে ঘুরে বেড়ানো না হলেও রেস্টুরেন্টে খাবারটা যেমন ভালো ছিল তেমন পরিবেশটাও বেশ দারুন ছিল। মাঝেমধ্যে সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করে নেয়ার জন্য।
পরিবারের সবাই মিলে এভাবে রেস্টুরেন্টে গেলে সত্যিই ভীষণ আনন্দ লাগে। খাবার গুলো যেমন মজার ছিল আর সবাই মিলে একসঙ্গে খেয়েছিলাম যার কারণে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল ।সেদিনকার মুহূর্তটা সত্যিই চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে আবার মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন রেস্টুরেন্টে যেতেও ভালো লাগে আর রেস্টুরেন্টে খাবার খেতেও কিন্তু ভালই লাগে ।