গল্প : রং নাম্বার থেকে বিয়ে (১ম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি গল্প লিখতে হাজির হয়ে গেলাম । গল্পটি আমারই পরিচিত জনের একটি সুন্দর জীবন কাহিনীর অংশবিশেষ । স্কুলে গেলে আমরা কত জনের সাথেই বসে গল্প করি এবং কত জনের সাথেই মনের ভাব ব্যক্ত করে থাকি তার কোন ঠিক নেই । এর ভিতর কিছু কিছু গল্প আছে সেটা সত্যিই খুব ভালো লাগে আর কিছু কিছু গল্প এমন আছে যেটা একেবারে কুরুচিপূর্ণ গল্প হয়ে থাকে সেটা শুনতেও ভালো লাগেনা । একটি ভাবির কাছ থেকে শোনা তার রং নাম্বারে পরিচয় তার থেকে বিয়ে হওয়া সুন্দর একটি ঘটনা শুনে আমার কাছে ভালো লেগেছে। এ ধরনের গল্প গুলো শুনতেও ভালো লাগে বিশেষ করে আমার কাছে মানুষের জীবনের রোমান্টিক সুন্দর কিছু মুহূর্ত শুনতে আসলেই ভালো লাগে । আর এটাতো রং নাম্বারে পরিচয় হয়ে বিয়ে পর্যন্ত গড়িয়েছে সেটা শুনতে সত্যিই ভালো লেগেছিল ।এজন্য কাহিনীটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এলাম ।
টিনা নামের একটি মেয়ে । বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে সন্তান তারা এক ভাই এক বোন । তাদের ফ্যামিলিতে মেয়ে সন্তান সে একলা এজন্য তার জন্য আদরের কোন কমতি ছিল না । সবাই তাকে অনেক বেশি ভালোবাসতো । তাদের যৌথ পরিবার । যৌথ ফ্যামিলির একমাত্র মেয়ে হওয়ার কারণে তাকে সবাই অনেক বেশি ভালোবাসতো এবং অনেক বেশি কেয়ারে রাখতো যার কারণে সে বাইরের কোন মানুষের সাথে সেরকম ভাবে মেলামেশা করার সুযোগ করে উঠতে পারত না । কাউকে যদি কখনো তার পছন্দ হয়ে যেত সেটা তো সে মুখে আনার সাহস পেত না । খুব হাসি খুশি এবং সুন্দরভাবে টিনাদের দিনকাল পার হচ্ছিল এবং তারা যখন আড্ডা গল্প করতে বসে তখন ফ্যামিলির সবাই মিলে খুব হাসি তামাশা গল্প করে সময় কাটায় ।
একদিন বিকেল বেলার টিনারা সপরিবারে বসে বসে আড্ডা দিচ্ছিল এর ভিতর হঠাৎ করে টিনার ফোনে রং নাম্বার থেকে একটি ফোন আসে । টিনা সেই ফোনটি রিসিভ করে । রিসিভ করে লোকটি অন্য একজনের নাম ধরে তাকে খুঁজতে থাকে ।তখন টিনা লোকটিকে বলে যে এটা রং নাম্বার তখন লোকটি তার কাছে টিনার নাম জানতে চাই । টিনা তখন মজার ছলে হাসতে হাসতে বলে কেন আমার নাম জেনে কি করবেন আমার জন্য কি বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবেন । এটা শুনে বাড়ির সবাই ও হাসাহাসি করে । লোকটা অপর উপর পাশ থেকে উত্তর দেয় যে পাঠাতেও তো পারি ভালো লাগলে । এই বলে টিনা ফোনটা কেটে দেয় ।
তারপর দুই একদিন যেতে না যেতেই আবার ওই নাম্বার থেকে ফোন আসে। টিনা প্রথম প্রথম ফোনটা তেমন ধরতো না কিন্তু বারেবারে ওই নাম্বার থেকে ফোন আসার কারণে টিনা ফোনটা রিসিভ করে । ছেলেটা তাকে বলে যে আপনার কন্ঠটা শুনে আমার কাছে ভালো লেগেছে এজন্য আমি আপনাকে বারবার ফোন দিচ্ছি আপনার সাথে একটু পরিচিত হওয়ার জন্য । টিনা তখন বলে যে আপনি আননোন একটি লোক আমার সাথে পরিচিত হয়ে কি করবেন । তখন লোকটি বলে যে আপনার কথা ভালো লেগেছে তাই একটু কথা বলতে চাই । তখন এভাবে একটু একটু করে টিনার সাথে লোকটির পরিচয় হতে থাকে ।একপর্যায়ে জানা যায় যে ছেলেটির নাম তারেক । এভাবে করে টিনা ও তারেক মাঝে মাঝে একটু একটু করে কথা বলতে থাকে । কিন্তু তাদের মধ্যে তেমন কোন সম্পর্ক হয় না শুধুমাত্র কথা পর্যন্ত । কিছুদিন চলতে থাকে এভাবে চলতে চলতে একটা সময় তারেক টিনাকে বলে যে আমি আপনাকে একটু দেখতে চাই ।
চলবে........
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস| samsung Galaxy s8 plus
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আগে এরকম রং নাম্বার থেকে পরিচয় হলে অনেকের প্রেম হতে দেখে দেখেছি। তারেক হয়তো টিনাকে ভালোবেসে ফেলেছে কথা বলতে বলতে। এজন্যই তাকে সামনাসামনি দেখতে চাচ্ছে। এখন টিনা কি উত্তর দেয় তাই জানার অপেক্ষা। বেশ ভালো লাগছে আপু গল্পটি। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
এই গল্পটা অনেক আগের ঘটনা এজন্য রং নাম্বারে প্রেম থেকে বিয়ে হয়ে গিয়েছিল ।
আপু, আপনার রং নাম্বার থেকে বিয়ে গল্পটি পড়তে গিয়ে আমারও একটি গল্প মনে পড়ে গেল। তবে সেই গল্পটি এখন আর বলছি না, আমিও গল্পটি শেয়ার করব। যাইহোক আপু গল্পটি পড়তে গিয়ে বেশ মজা পাচ্ছিলাম, আর ঠিক সেই মুহূর্তে আপনার গল্পটি শেষ হয়ে গেল। তারেক ও টিনার দেখা হওয়ার টুইস্ট থেকে গেল
খুব দ্রুত দ্বিতীয় পর্বটি শেয়ার করবেন আপু, যাতে করে তারেক ও টিনার বিয়ের পরিণতি সম্পর্কে জানতে পারি। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, চমৎকার এই গল্পটি শেয়ার করার জন্য।
আপনার গল্পটিও একদিন আমাদের সাথে শেয়ার করুন ভালো লাগবে । এ ধরনের গল্প পড়তে আমার কাছে ভালো লাগে ।
তারেক আর টিনার গল্পটি ভালো লাগলো।আগেকার দিনে এই রং নম্বরে প্রেমের গল্প শুনতাম।আর অনেকের পরিণতিও পেত।তারেক আর টিনা কথা বলতে বলতে ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়েছিল।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আমার গল্পটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো আপু ।