পছন্দের খানাস রেস্টুরেন্টে একদিন
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । দেখতে দেখতে দুটি দিন পার হয়ে গেল । দাদাদের পরিবারের উপর দিয়ে যে ঝড়টা এখন বয়ে ঝাচ্ছে সে ঝরাটা এত তাড়াতাড়ি সামলানো আসলেই মুশকিল । যাদের জীবনে এরকম একটি ঝড় আসে তখন তারাই বুঝতে পারে যে কতটা ভয়াবহ সে ঝড় এবং সেই ঝড় কিছুটা কাটিয়ে উঠতে অনেকটা সময় লাগে । তারপরও তো আমাদেরকে সবকিছুকে দূরে ঠেলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয় । আশা রাখছি দাদা এবং দাদার পুরো পরিবার খুব শিগ্রই এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারবে ।
আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব কদিন আগে খানাস রেস্টুরেন্টে গিয়ে মজাদার কিছু খাবার খেয়ে সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করার মুহূর্ত । বেশ কিছুদিন পরে আবার খানাস রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম । খানাস রেস্টুরেন্টটা আমার এবং আমার ছেলের খুব পছন্দের একটি জায়গা এবং আমার ছোট ভাইয়েরও এই রেস্টুরেন্টে অনেক পছন্দ । গতবার যখন ভাই ঢাকায় এসেছিল ওকে নিয়ে গিয়েছিলাম খানাসে । এখানের বার্গার ও অন্যান্য খাবার ওর খুবই ভালো লেগেছিল । যার কারণে ওর সাথে যখনই কথা হয় তখনই শুধু বলে যে ঢাকায় গেলে খানাস রেস্টুরেন্টে গিয়ে আবার খাব । কিন্তু দুঃখের বিষয় বেইলিরোডের খানাস রেস্টুরেন্টে আগুন লেগে পুড়ে যাওয়ার পরে খানাস রেস্টুরেন্টে আমাদেরই যাওয়া হয়নি ।
গত কয়েকদিন হল ভাই আমাদের বাসায় এসেছে এবং ও খানাস রেস্টুরেন্টে যেতে চেয়েছিল । যে করেই হোক আমি ওকে নিয়ে যাওয়ার কথা চিন্তা করেছি । আমাদের এখান থেকে খিলগাঁওয়ে খানাসের আরো একটি শাখা রয়েছে । ভেবেছিলাম সেখানে ওকে নিয়ে যাব । কিন্তু যে হারে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল বাসা থেকে বের হওয়াটাই মুশকিল । তারপরও ভাবলাম যে একটু সুবিধা হলেই আমরা রেস্টুরেন্টে যাব । প্রথম দিন বৃষ্টিতো থামরাই নাম নাই যার কারণে যাওয়া হলো না । এরপর পরের দিন একটু সময়ের জন্য বৃষ্টি থেমেছিল । যদিও রাত নয়টার পরে আমরা বাসা থেকে বের হয়েছিলাম । আমাদের এখান থেকে রেস্টুরেন্টে যেতে মোটামুটি আধা ঘন্টা সময় লেগেছিল ।
গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল আমরা বৃষ্টির ভিতরেই রেস্টুরেন্টে গিয়ে পৌঁছালাম তারপর সেখানে গিয়ে আমরা কিছু সময় বসে মেনু দেখতে লাগলাম এবং যা যা পছন্দ সবগুলো খাবারই আমরা সেখানে অর্ডার করলাম । তারপর আমি আর আমার ভাই গিয়ে খাবারের অর্ডার দিয়ে আসলাম এবং কিছু সময় অপেক্ষা করার পরে ওরা খাবারটা নিয়ে চলে আসলো । সেই মজার মজার খাবার দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো । আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম যে আমরা কিছু খাবার খাব এবং খাবার যদি আরো খেতে ইচ্ছা করে তাহলে আবার অর্ডার দেবো । কিন্তু খাবারের পরিমাণ অনেকটাই বেশি ছিল আমরা খেয়ে পরে আর খাওয়ার মত জায়গায় ছিল না । তারপর আমরা ড্রিংস খেয়ে আরো কিছু সময় বসে আড্ডা দিয়ে আবার সেখান থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম । বের হওয়ার পরও দেখলাম গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি নামছে রিকশায় করে এই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির ভিতরে ভিজতে কিন্তু ভালোই লাগে । আমরা রিক্সা নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে । সেদিন অনেক ভালো লেগেছিল মুহূর্তগুলো । একে তো পছন্দের রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়া তারপর আবার বৃষ্টির ভিতর রিক্সা নিয়ে আসা সত্যি সময়টা অনেক সুন্দর কেটেছিল ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
খানাস রেস্টুরেন্টে গিয়ে দেখছি অনেক মজার মজার খাবার খেয়েছিলেন আপনারা। খানাস রেস্টুরেন্টের খাবারের মান অনেক ভালো এটা তো বুঝতেই পারতেছি দেখে। অনেক খাবার দিচ্ছি অর্ডার করেছিলেন আপনারা। আসলে এতগুলো খাবার একবার খাওয়া হলে পরবর্তীতে কিছু খাওয়ার ইচ্ছেই করেনা। খাওয়া-দাওয়া শেষে আড্ডা দিয়েছিলেন এটা শুনে তো আরো ভালো লাগলো। আসলে রিক্সা করে আসার সময় গুড়ি গুড়ি এরকম বৃষ্টি হলে কিন্তু অনেক ভালোলাগে। আলাদা অনুভূতি কাজ করে তখন।
এখানের খাবার গুলো অনেক মজার । এর জন্য দূরে হলেও গিয়ে খেয়ে আসলাম আর ভালো লাগলো অনেক।
আসলে এমন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির দিনে মন চায় বাইরে যেয়ে খেতে। খানাস রেস্টুরেন্টে গিয়ে আপনারা অনেক খাবার আইটেম অর্ডার করেছেন এবং সেখানে খাওয়া দাওয়া শেষে আড্ডা দিয়েছেন এটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে খাবার গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে খাবারের মান অনেক উন্নত। এমন একটি সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
একটু বৃষ্টি নামলে আমার বাইরে যেতে ইচ্ছা করে আর বাইরে বৃষ্টির ভিতরে ঘুরতে খুব ভালো লাগে।
খানাস রেস্টুরেন্ট পছন্দের হওয়ায় তাহলে বারবার যেতে পারবেন। তবে যেহেতু বেইলি রোডের খানাস রেস্টুরেন্ট পুড়ে গিয়েছে সে হিসেবে খিলগাঁওয়ে যেতে হয়তো আপনাদের একটু দূরেই হবে তাইনা আপু? তা যাইহোক ভাই বাসায় এসেছে তাকে নিয়ে এভাবে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেছেন দেখে খুব ভালো লাগছে। বিশেষ করে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে কোথাও যাওয়ার অনুভূতিটা অন্যরকম যদি সেটা গুটিগুটি বৃষ্টি হয়। আর তুমুল বৃষ্টি হলে তো সেখানে যাওয়ার নাম নেয়াই হয় না। তবে খাবারগুলো দেখিয়ে লোভ লাগিয়ে দিলেন আপু। যত খাবার দেখছি তত খাবার খাওয়ার পর আবার খাওয়ার মত খিদে কিভাবে থাকবে। যাই হোক খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন সবাই মিলে, ভালো লাগলো পড়তে পেরে।
আগে কাছে হওয়াতে বারবার যেতে পারতাম এখন একটু দূরে হয়ে গিয়েছে দেখে খুব একটা যাওয়া হয় না । খিলগাঁও আমাদের বাসা থেকে বেশ খানিকটা দূরে তারপরও যেতে কিন্তু ভালোই লাগে।
পছন্দের খানাস রেস্টুরেন্টে গিয়ে এত মজার মজার খাবার খেয়েছেন দেখেই তো ভালো লেগেছে আপু। খানাস রেস্টুরেন্টের খাবারের মান নিশ্চয়ই অনেক ভালো। তাই তো আপনার ভাই ও অনেক পছন্দ করে নিয়েছিল। এখন আবার ঢাকায় আসার পর ওই রেস্টুরেন্টে যাওয়ার কথা বলায়, আপনি উনাকে নিয়ে গিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। সবাই মিলে অনেক মজার মজার খাবার খেয়েছেন দেখছি। মুহূর্তটা নিশ্চয়ই খুব ভালো কেটেছিল আপনাদের। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে রিক্সা করে বাসায় ফিরেছেন। এটা কিন্তু আমার কাছে বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছে।
খাবারের মান খুবই ভালো, বার্গারটা এত বেশি মজা লাগে সেই বার্গার খাওয়ার লোভেই যাই সবসময় ।
হ্যাঁ আপু আমাদের সবার দোয়া রইল। যেন দাদার পুরো পরিবার খুব শিগ্রই এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারে।এরপর খালাসের কোন শাখায় গেলেন আপু। জানলে আমরাও খেতে যাব কোন সময়। আপু রেস্টুরেন্টের নামটি যেমন খানাস সেভাবে খাবারের মানগুলোও দেখতে অনেক উন্নত মনে হচ্ছে।আপনারা যে বৃষ্টির মধ্যে খাবার খেতে বের হয়েছেন এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। আমারও ঝিরঝিরি বৃষ্টির মধ্যে বাইরে রিক্সায় ঘুরতে ভালো লাগে। যাইহোক ভাইকে নিয়ে খানাস রেস্টুরেন্টে বেশ ভালো কিছু সময় অতিবাহিত করেছে। আর এই সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
খাবারের মান খুবই ভালো খুবই মজা এখানকার খাবার কখনো সুযোগ হলে দেখতে পারেন ।
ফরিদপুর থেকেই খানাস রেস্টুরেন্টের কথা শুনছিলাম। কিন্তু বেলিরোডের শাখা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে আপনাদের অবশ্য অসুবিধা হয়ে গিয়েছিল। তারপর ওর ইচ্ছার জন্য দূরে গিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। কোথাও খেতে গেলে এমনই হয় প্রথমে মনে হয় যে অনেক খেতে পারব, কিন্তু খাওয়া শুরু করলে আর তেমন একটা খাওয়া যায় না। খাবার গুলো আসলেই বেশ লোভনীয় ছিল। এরপরে আপনার বাসায় গেলে আমাকেও খাওয়াতে হবে।