আলু বেগুন ও পটল দিয়ে ষোল মাছের মজাদার রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শোল মাছের মজাদার রেসিপি শেয়ার করব । শোল মাছ আমার কাছে অনেক ভালো লাগে খেতে । শোল মাছ আলু বেগুন দিয়ে রান্না করলে সত্যি অনেক টেস্ট হয় । সাথে আজকে আমি পটল ব্যবহার করেছিলাম একটু ভিন্ন টেস্ট আনার জন্য । এ ধরনের কয়েক রকমের তরকারি দিয়ে যেকোন মাছ রান্না করে খেতে খুব ভালো লাগে । শোল মাছ আবার বেশি করে পেঁয়াজ বাটা দিয়ে কষাকষা করে রান্না করলেও খেতে খুব ভালো লাগে । আসলে শোল মাছ মজাদার মাছ যেভাবে রান্না করা হোক না কেন আমার কাছে খেতে ভালোই লাগে । এখন চলে যাচ্ছি মূল পর্বে ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
আলু
বেগুন
পটল
পেঁয়াজ
মরিচ
পেঁয়াজ বাটা
আদা বাটা
রসুন বাটা
হলুদের গুঁড়া
মরিচের গুঁড়া
জিরার গুঁড়া
লবণ
তেল
কার্যপ্রণালী
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
প্রথমে মাছগুলো কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি । তারপর সবজি গুলো ছোট ছোট সাইজ করে কেটে নিয়েছি । তারপর চুলায় একটি করাই বসিয়ে তার ভিতরে তেল দিয়ে দিয়েছি ।তেল গরম হয়ে গেলে তার ভিতরে আলুগুলো দিয়ে দিয়েছি ।আলুগুলো হালকা বাদামি কালার করে ভেজে নিয়েছি ।আলু ভেজে তরকারির ভিতর দিলে খেতে বেশি ভালো লাগে । তারপর আলুগুলো একটা বাটিতে উঠিয়ে রেখে ওই তেলের ভেতরে পেঁয়াজ মরিচ দিয়ে দিয়েছি । হালকা নরম হয়ে আসলে তার ভিতর সব বাটা মসলাগুলো দিয়ে দিয়েছি ।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
বাটা মসলাগুলো দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে তারপর তার ভিতরে সব গুড়া মশলা গুলো দিয়ে দিয়েছি । তারপর বেশ খানিকটা সময় ধরে কষিয়েছি । এরপর উপর দিয়ে তেল ভেসে উঠলে তারপর তার ভিতরে মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি ।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
এরপর কষানো মশলার সাথে মাছটা ভালো করে নেড়ে চেড়ে একটু সময় কষিয়ে নিয়েছি । তারপর হালকা একটু পানি দিয়ে আরও বেশ কিছু সময় কষিয়ে নিয়েছি । তারপর মাছ কষানো হয়ে গেলে একটা বাটিতে তুলে রেখেছি । তারপর সেই মসলা টার ভিতরে কেটে রাখা সবজিগুলো দিয়ে দিয়েছি ।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
এখানে আমি মাছ ও আলু গুলো একটা বাটিতে তুলে রেখেছি । তারপর সবজিগুলো মসলার সাথে ভালো করে নেড়ে চেড়ে তার ভিতরে একটু পানি দিয়ে দিয়েছি সবজিগুলো ভালোমতো সিদ্ধ হওয়ার জন্য । কিছুক্ষণ ঢাকনা দিয়ে জ্বাল করার পর দেখব সবজী টা অনেকটা সিদ্ধ হয়ে এসেছে ।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
তারপর সেই সবজিগুলোর ভেতরে মাছ ও আলু গুলো দিয়ে আর একটু নেড়েচেড়ে রান্না করে নিয়েছি । তারপর প্রয়োজনমতো পানি দিয়ে দিয়েছি । এখানে আমি পানিটা সবসময় একটু বেশি ব্যবহার করি কারণ আমি সবসময় মাছে একটু ঝোল খেতে পছন্দ করি । তারপর ঢাকনা দিয়ে কিছু সময়ের জন্য ঢেকে দিয়েছি ।
![]() | ![]() |
---|
এরপর ঢাকনা খোলার পর পানিটা কিছুটা টেনে আসলে তার ভিতরে জিরার গুঁড়া দিয়ে দিয়েছি । তারপর আরো কিছু সময় জ্বাল করে নিয়েছি । এরপর রান্নাটা হয়ে গেলে চুলাটা বন্ধ করে দিয়েছি । তারপর একটা বাটিতে ঢেলে গরম গরম পরিবেশন করেছি ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness
OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি আজ আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করেছেন।আলু বেগুন ও পটল দিয়ে ষোল মাছের মজাদার রেসিপি। ষোল মাছের রেসিপি খেতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে এর আগে আমি অনেক ধরতাম পুকুর থেকে এবং খাল বিলে বেশি পাওয়া যেত। রেসিপির কালার টি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল ধন্যবাদ।
আমার রেসিপি টা আপনার কাছে ভালো লেগেছে যেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ।
আলু বেগুন ও পটল দিয়ে ষোল মাছের মজাদার রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপির পরিবেশন আমার খুবই ভালো লাগে। এত মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
রেসিপিটা অনেক মজা হয়েছিল এজন্য দেখে আপনার খেতে ইচ্ছা করছে ।
শোল মাছের পিস দেখে মনে হচ্ছে মাছটা ভালোই বড় ছিল। আমার কাছে শোল মাছ খেতে খুব ভালো লাগে। তবে শীতকালে শোল মাছের মজাটাই আলাদা। আমাদের বাড়ির পুকুর থেকে শীতকালে শোল মাছ তোলা হতো। সেগুলো খেতে খুব মজা লাগতো। আর আজকে আপনি ভিন্নভাবে একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। এটা অবশ্য ঠিক বলছেন শোল মাছ যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন খুব ভালো লাগে খেতে। আপু টাইটেলে শোল মাছের বানানটা একটু দেখে নিবেন।
মাছটি আসলেই অনেক বড় ছিল । আর এই বড় মাছ এভাবে ঝোল করে রান্না করলে কিন্তু আপু খেতে ভালো লাগে ।
শোল মাছ খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আজকে আপনি খুব সুন্দর করে আলু বেগুন এবং পটল দিয়ে শোল মাছের রেসিপি করেছেন। শোল মাছ রেসিপিগুলো খাবার মজাই অন্যরকম। আর এই ধরনের রেসিপি দিয়ে গরম ভাত এবং গরম রুটি খেতে বেশ ভালোই লাগে। খুব সুন্দর করে মজার রেসিপিটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
আমার কাছেও শোল মাছ অনেক ভালো লাগে । এইজন্য আমি মাঝে মাঝে খাওয়ার চেষ্টা করি । ধন্যবাদ আপনাকে ।
শোল মাছ আমিও খুবই পছন্দ করি। লাউ দিয়ে খেতে আমার বেশি ভালো লাগে। বেগুন দিয়ে রান্না করলেও মন্দ হয় না। তবে পটল দিয়ে কখনো খাইনি আপু। আপনার তৈরি করা রেসিপির পদ্ধতি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই ভালো ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে আপু চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
মাঝে মাঝে এ ধরনের সব্জি মাছ খেতে বেশ ভালো লাগে। আর শোল মাছ এভাবে সব্জি দিয়ে ঝোল ঝোল খেতে বেশ ভালো লাগে। আমার এ ধরনের ঝোল তরকারি খেতে বেশ মজা লাগে। রেসিপির রং দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ মজাই হয়েছিল। ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আপনার এই রেসিপি দেখে এখনই মুখের মধ্যে পানি চলে আসলো৷ যেভাবে আপনি এই রেসিপিটি এখানে শেয়ার করেছেন তা খুবই সুস্বাদু হয়েছে বলে মনে হয়৷ একইসাথে এই রেসিপি আপনার কাছ থেকে দেখে একেবারেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। যেভাবে আপনি রেসিপিটি শেয়ার করছেন তা খুবই লোভনীয় দেখা যাচ্ছে৷