রিতা নামের একটি মেয়ের গল্প (পর্ব:৩)
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সামনে গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি । গত দুই পর্বে আমি একটি গল্প শেয়ার করেছি সেই গল্পটির কিছু অংশ নিয়ে আজকে উপস্থিত হয়েছি । এ ধরনের গল্পগুলো লিখতে যেমন ভালো লাগে তেমনি সবাই যখন সুন্দর মন্তব্য করে সেটা দেখতেও ভালো লাগে ।আশেপাশে ঘটনা গুলো সত্যিই মাঝে মাঝে আমাদের হৃদয়কে নাড়া দিয়ে যায় সেটা অনেক সময় মনের ভেতর অনেক দিন পর্যন্ত গেঁথে থাকে এবং সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে আসি । সে রকমই একটি গল্প গত পর্বে শেয়ার করেছিলাম । রিতা নামের একটি মেয়ের কাহিনী । রিতার বিয়ে হওয়ার পরে দেখতে দেখতে চারটা মেয়ে হয় এবং তার কিছুদিন পরেই রিতার স্বামী মারা যায় । তারপর রিতা সবকিছু নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে তারপর থেকে আমি পরবর্তী কাহিনী শুরু করছি ।
ভালোই চলছিল রিতার দিনকাল আর যাই হোক শাশুড়ির অত্যাচার ছিল না এখানে ।এদিকে রিতের হাজবেন্ড যখন অসুস্থ ছিল তখন রিতাদের পাশের বাড়ির একটা লোক রিতাকে খুব সাহায্য সহযোগিতা করেছিল । সে সবসময় রিতার সাথেই থাকতো সেই কারণে তার সাথে তার একটা ভালো সম্পর্ক হয়ে ওঠে । তারও একটা ফ্যামিলি রয়েছে এবং তারা রিতাদের থেকে অনেক ভাল ফ্যামিলি । কিন্তু লোকটা রিতাকে খুব পছন্দ করে রিতাকে বিয়ে করতে চায় । রিতা কিছুতেই সেটা মানতে চায় না লোকটাকে বারবার ফিরিয়ে দেয় । সে বলে যে আপনার একটা সংসার রয়েছে বউ-বাচ্চা রয়েছে সেটা রেখে আপনি কেন আমাকে বিয়ে করবেন । সেই লোকটা কিছুতেই রিতার পিছু ছাড়ে না । সে আগে থেকেই তাকে নাকি পছন্দ করত ।
রিতার হাজবেন্ড অসুস্থ হওয়ার পর থেকে সেই লোকটা রিতার প্রতি আরো বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে । এভাবে আরো বেশ কিছুদিন চলে যায় রিতাও তার বাবার বাড়িতে থাকে এবং বাবার বাড়ির সমস্ত কাজ তাকেই করতে হয় । রিতার ছোট মেয়ে দুটোকে রিতার অন্য আরও যে সৎ বোনরা ছিল ওরা এক একজনকে নিয়ে গিয়েছে । ওদের সাথে রেখে তাদেরকে লেখাপড়া শেখাতে থাকে এবং রিতার সাথে যে দুটো ছিল তারাও স্কুলে ভর্তি হয় লেখাপড়া শিখতে থাকে । চলতে চলতে সেই আরো বেশ কিছু সময় পার হয়ে যায় । রিতার মেয়েরাও কিছুটা বড় হয় । সে লোকটাও কিছুতেই রিতার পিছু ছাড়ে না । বারবার রিতাকে বিয়ে করতে চায় । তখন রিতা দেখে যে লোকটা যেহেতু নিজের থেকে আমাকে বিয়ে করতে চাচ্ছে এবং এখানে থেকে তো আমার কষ্টই হচ্ছে । মেয়েরা তো লেখাপড়া করছে এবং বড় হচ্ছে । ওরা বড় হয়ে গেলে একেক জন একেক দিকে চলে যাবে তখন আমার তো একা থাকতে কষ্ট হয়ে যাবে । এসব ভেবে রিতা তখন বিয়ে করতে রাজি হয় ।
রিতা যখন বিয়েতে রাজি হয়েছে তখন লোকটাকে যাই বলা হয় লোকটা তাতেও রাজি হয়ে যায় । লোকটাকে পরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন শর্ত দেওয়া হয় সেই লোকটা সব ধরনের শর্ত পালন করতেও রাজি হয় । লোকটা মনে হয় সত্যি সত্যি রিতাকে ভালোবেসে ফেলেছিল । রিতা সেই ভালোবাসা দেখে লোকটার প্রতিও কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে । সবার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে কিছু শর্ত দেয় যে তাকে আলাদা একটা বাসায় রাখতে হবে । কারণ সে ওখানে গিয়ে ওই বউয়ের সংসারে অশান্তি করতে চায় না । আবার তার নিজেরও কিছু থাকতে হবে । তখন লোকটা রিতার নামে কিছু জমি লিখে দিতে চাই এবং তাকে আলাদা বাসা ভাড়া করে রাখতে চাই ।এরপর কথামতো লোকটা বিয়ের আগেই তাকে কিছু জমি লিখে দেয় এবং শহরে বাসার নেওয়ার ওয়াদা করে । রিতার মেয়েরাও বড় হয়েছে ওরাও বুঝতে শেখে ওরাও মায়ের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয় ।
চলবে.......
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস| samsung Galaxy s8 plus
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যেহেতু লোকটির আরেকটি সংসার আছে এমন লোককে রিতার কি বিয়ে করা ঠিক হলো। এখানে কাজ করে তাও ভালোই ছিলো। তার সৎ বোনেরাও দুই মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিল ভালো মনে করে। যেহেতু লোকটি সব কিছুইতেই রাজি হয়েছিলো তাহলে সত্যি ভালোবেসে ফেলেছিলো মনে হয়। যাই হোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
লোকটা এমন ভাবে রিতার পিছনে লেগেছে যে রিটাও মনে হয় মনে মনে লোকটাকে ভালবেসে ফেলেছিল ।