আজকে আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আবারো একটি গল্প শেয়ার করতে এসেছি । গত পর্বে একটি গল্প শেয়ার করেছিলাম সেই গল্পের পর থেকে আজকে আবার আপনাদের সাথে শেয়ার করব । বাস্তব জীবনের ঘটনাগুলো গল্প আকারে আমি মাঝে মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করি এবং এই গল্পগুলো আমার কাছে পড়তে ভালো লাগে এজন্য আমিও মাঝে মাঝে আপনাদের পড়ার সুযোগ করে দেই । কিছু কিছু গল্প যখন মানুষের মুখ থেকে শুনি তখন নিজের কাছেই ভালো লাগে । এজন্য মাঝে মাঝে সেইসব বাস্তব ঘটনা গল্প আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করি । গত পর্বে শেয়ার করেছিলাম টিনা আর তারেক দুজনের রং নাম্বারে পরিচয় হয় । সেখান থেকে তাদের কথা বলাবলি শুরু হয় এবং কথা বলার এক পর্যায়ে তারেক টিনাকে দেখতে চায় তারপর থেকে শুরু করছি ।

কথা বলার একপর্যায়ে তারেক টিনাকে বলে যে অনেকদিন ধরে তোমার সাথে কথা বলছি আমার এখন তোমাকে একটু দেখতে ইচ্ছা করছে । তখন টিনাও দেখা করতে রাজি হয় ।টিনা তখন মনে মনে বলে যে এই কথা যদি বাসার অন্য কেউ জানে তাহলে তো আমাকে একেবারে মেরেই ফেলবে । এদিকে টিনা তার খালামণিদের সাথে অনেক বেশি ফ্রি । টিনা অনেক চিন্তা ভাবনা করে তার একটি খালামণির সাথে এ বিষয়টা নিয়ে আলাপ করে । টিনার খালামণি তখন বলে যে তুমি যখন দেখা করতে চাইছো তাহলে একদিন আমরা দুজনে মিলে গিয়ে ছেলেটাকে দেখে আসি । তারপর তারেক আবার যেদিন ফোন দেয় সেদিন টিনা তার সাথে দেখা করার ডেট ও জায়গা ঠিক করে নেয় ।

যথারীতি যেদিন বাসা থেকে বের হবে সেদিন তার খালামণি আসে এবং টিনা আর টিনার খালামনির বাসা থেকে বের হতে যায় । এমন সময় টিনার বাবা জিজ্ঞাসা করে তোমরা কোথায় যাচ্ছ । তখন বলে যে আমরা একটু শপিং করতে যাচ্ছি ।তখন টিনার বাবা আর কিছু বলে না । এরপর ওরা বাসা থেকে বের হয়ে যায় । যে রেস্টুরেন্টে গিয়ে দেখা করার কথা সেখানে গিয়ে তারেক তার এক বন্ধুর সাথে দূরে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে । টিনারা যখন রেস্টুরেন্টে ঢুকতে যাবে তখন দূর থেকে তারেক টিনাকে দেখে বুঝতে পারে । কারণ কথা বলার সময় অনেক কিছু জেনেছিল যার কারণে টিনাকে চিনতে তারেকের কোন ভুল হয় না । এদিকে তারেক আর ওর বন্ধু ওরা বাইরেই থাকে । টিনারা ভেতরে অনেক সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করে কিন্তু ওরা কেন জানিনা আর ভিতরে ঢুকে না ।তখন টিনারা অনেক সময় অপেক্ষা করার পরে চলে যাওয়ার কথা ভাবতে থাকে । বলে এখানে বসে থেকে কোন লাভ নেই ওরা হয়তো আসবে না । তখন ওরা বের হয়ে চলে যাবে তখন তারেক আর তারেকের বন্ধু ভিতরে ঢুকে । তারেক ভিতরে ঢুকে তখন ওদের পরিচয় হয় । প্রথম দেখাতেই তারেকের টিনাকে পছন্দ হয়ে যায় কিন্তু টিনা তারেকের সাথে থাকা যে বন্ধু তাকে তারেক ভেবে পছন্দ করে । পরে দেখা যায় যে ওটা বন্ধু আর তখন তারেক বলে যে ও আমার বন্ধু আর আমি তারেক । টিনার তারেককে তেমন ভালো লাগেনি । তারেকের গায়ের রং ছিল ময়লা আর টিনা হলে ধবধবক ফর্সা দেখতে অনেক সুন্দর ।

কথা বলতে বলতে তারেক একটা সময় বলেই ফেলে যে আমার আপনাকে অনেক পছন্দ হয়েছে আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই । তারেক তখন বিজনেস করে টাকা পয়সাও ভালোই রয়েছে এবং সবার ছোট সন্তান । তারেক টিনাকে যখন বিয়ের কথা বলে তখন টিনা না করে না তবে সে বলে বিয়ের ব্যাপারে আমি একা সিদ্ধান্ত দিতে পারবো না বাসায় গিয়ে আমার বাবা মার সাথে আলাপ করতে হবে তারপরে আমি আপনাকে জানাবো মানে এড়িয়ে যাওয়া আর কি । কিন্তু তারেক তখন তার ফ্যামিলির অনেক কাহিনী টিনাকে বলে । এসব শুনে টিনা অনেক কষ্ট পায় ওর তারেকের জন্য খারাপ লাগে । ছোটবেলায় তারেকের বাবা-মা মারা গিয়েছে বড় ভাই ওদেরকে কষ্ট করে মানুষ করেছে । তারেকের বড় ভাই অনেক কষ্ট করেছে বিদেশে গিয়ে ওদের জন্য কাজ করে তারপর ওদেরকে মানুষ করেছে । এদিকে ফ্যামিলিতেও তারেখের বোনরা ছিল ঠিকই কিন্তু ওদের বিয়ে হয়ে গিয়েছিল যার কারণে ফ্যামিলিতে মেয়ে সদস্য সংখ্যা টা থাকায় অনেক কষ্ট করে খাওয়া-দাওয়া টা মেইনটেন করে বড় হতে হয়েছে । অনেক ছোটবেলায় তারেক মা-বাবাকে হারিয়েছে যার কারণে তারেক মা বাবার আদর থেকে বঞ্চিত হয়েছে । তার আগের কাহিনীটা আসলে একটু কষ্টের ছিল সেটা শুনে টিনার মনটা একটু অস্থির হয়ে ওঠে ।